কবি নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের কবিতা
|
কাঁটাগাছে অকারণে খুঁজে ফিরি ফুলের ফসলে
তখন আকাশ ঘিরে কালো হয়ে মেঘ দলে দলে
সেই নদী মেঘ হল, সে নদীর স্রোতে ভাসা ফুল
বিদ্যুৎ মালায় জ্বলে---জ্বলে ওঠে রক্তিম শিমুল
মধুমালা চিঠি লেখে--- ছুটে চলে রক্তের পাখায়
আমারি ঠিকানা খুঁজে হারানো দিনের দেশে যায়।
. *****************
. সূচিতে . . .
মিলনসাগর
টুপটুপিয়ে আমের গুটি ঝরছে সারাখন,
ছায়ার মতো কী যায় নেচে ধূসর পথের বাঁকে,
একলা বসে তখন ভাবি হারিয়ে যাওয়া মাকে।
কুয়াশাতে দিক ছেয়েছে নিথর শীতের রাত :
. চাঁদ-ডোবা এক নিতল কালো,
. দূর শ্মশানে চিতার আলো ?
মরণ-বুড়ি বাড়ায় যেন শীতল দুটি হাত---
ঘুম-ভাঙা সেই ভয়ের মাঝে তখন খুঁজি কাকে ?
ছোট্টবেলায় হারিয়ে-যাওয়া সেই যে আমার মাকে।
. *****************
. সূচিতে . . .
মিলনসাগর
যে নদীতে
কবি নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়
(মেঘ বসু সম্পাদিত “আবৃত্তির কবিতা কবিতার আবৃত্তি” থেকে নেওয়া।)
প্যালারামের ছড়া
কবি নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়
(শক্তি চট্টোপাধ্যায় ও এখলাসউদ্দিন আহমদ সম্পাদিত “দুই বাংলার ছড়া” থেকে নেওয়া।)
শখ করে এনে দাদা পুঁতেছিল ওল---
হারিয়ে যাওয়া মা
কবি নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়
(নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী ও সরল দে সম্পাদিত “পাঁচশো বছরের কিশোর কবিতা” থেকে নেওয়া।)
সন্ধ্যাবেলায় তারায় তারায় আকাশ যখন ছাওয়া,
সময় বুঝে গলির মোড়ে হাঁচলো কে রে ফ্যাঁচর ফ্যাঁচ্---
একটি কোপে পাশের গলা কাটল শেষে ঘ্যাচাং ঘ্যাঁচ!
আর কী হবে! শুই গে খাটে, আন রে খেঁদি ঠাণ্ডা জল---
নাক ডাকিয়ে ঘুমুই গিয়ে---এক্জামিনে আর কী ফল!
. *****************
. সূচিতে . . .
মিলনসাগর
শুভযাত্রা
কবি নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়
( কালিদাস ভদ্র সম্পাদিত “আবৃত্তির সেরা ছোটদের ছড়া ও কবিতা” থেকে নেওয়া।)
এক্জামিনের সময় হল, কালীঘাটের ফুলটা কই
হাঁ করে যে আছিস খেঁদি ? পরব ফোটা---আন না দই!
জলভরা ঘট কোথায় গেল---কই বা গেল আমের ডাল ?
বেদনার হে পথিক
কবি নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়
ফণীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত ভারতবর্ষ পত্রিকায় মাঘ ১৩৪৪ ( জানুয়ারী ১৯৩৮ )
সংখ্যায় প্রকাশিত। মিলনসাগরে প্রকাশকাল ১৮.৯.২০১৮।
বেদনার হে পথিক, চেয়ে দেখো দূর দিগন্তরে
উঠিয়াছে উদ্বেলিয়া অন্তহীন অশ্রুর সাগর,
শূন্যতা মুখরি’ ওঠে ব্যথা-ক্ষুব্ধ তরঙ্গ-মর্মরে,
পশ্চাতে মিলায়ে যায় দগ্ধরিক্ত ধরিত্রীর-প্রস্তাব।
সেথায় করিছে নৃত্য অবাস্তব মরু-মরীচিকা,
প্রাণের স্পন্দন নহে, নাহি সেথা প্রশান্তি-প্রচ্ছায়া,
শীত-রিক্ত পত্রহারা মৃত্যুমগ্ন অরণ্য-বীথিকা,
রূদ্র রৌদ্রে দিবানিশি দীপ্যমান বেদনার মায়া।
সম্মুখে অসীম সিন্ধু অনাদ্যন্ত ওঠে তরঙ্গিয়া,
তুমি তা’র তটপ্রান্তে আশাহীন দাঁড়ালে একাকী,
অন্তরের দীপশিখা ঝঞ্ঝা-স্পর্শে গেলো নিভাইয়া,
রিক্ততার পূর্ণ পাত্র, ---এতটুকু রহিলো না বাকী।
সাধনার বেদীমূলে হে পথিক, এই তব বলি
লহো ওগো সর্ব্বহারা, মোর তপ্ত অশ্রুর অঞ্জলি।
. *****************
. সূচীতে . . .
মিলনসাগর
শাশ্বতী
কবি নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়
ফণীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত “ভারতবর্ষ” পত্রিকার মাঘ ১৩৪৬ ( জানুয়ারী ১৯৪০ )
সংখ্যায় প্রকাশিত। মিলনসাগরে প্রকাশকাল ১৮.৯.২০১৮।
. এও সত্য নয়---
হাসি-অশ্রু-কল্পনার পুঞ্জ পুঞ্জ এত যে সঞ্চয়
. আত্ম-প্রতিষ্ঠার লাগি দ্বারে দ্বারে এই মাধুকরী
. পর্ণপুট ভরি’
যা-কিছু চেয়েছি বন্ধু, যতটুকু লভিয়াছি তার,
অলব্ধের পথে লক্ষ্যহারা এই অভিসার
. ছায়াঘন অরণ্যের দিগন্ত-বিস্তারে
. আলেয়ার দীপ-দীপ্ত প্রান্তরের পারে
যে জীবন ছুটিয়াছে অনির্দেশ চক্রবাল লাগি।
তপস্যায় রহে যারা বেদনার দীর্ঘ রাত্রি জাগি ;
. তাহাদের সেই জয় সেই পরাজয়
. জানি বন্ধু, সেও সত্য নয়॥
নক্ষত্রের দীপশিখা শিহরিছে নিশীথ আকাশে
তমোমগ্ন ধরিত্রীর মূর্ছাতুর শান্ত অবকাশে
. অকস্মাৎ দেখিলাম চাহি
. অপসৃত সঞ্চয়ের অর্ঘ্যথালা বাহি’
চলিয়াছে চিরন্তনী ভবিষ্যের পূজাবেদী পানে,
. কেহ নাহি জানে
. কবে সৃষ্টি-তোরণের তীর্থদ্বার হ’তে
শাশ্বতী বহিয়া চলে অন্তহীন সময়ের স্রোতে।
. তাহারি যাত্রার ছন্দে অকস্মাৎ উদ্দাম কল্লোল
. ফাল্গুনী অরণ্যসম মর্মে মোর জাগাইল দোল।
. দেখিলাম : অমাকীর্ণ প্রান্তরের প্রেতচ্ছায়া তলে
. শব্দহীন অন্ধকারে শোভাযাত্রী চলে দলে দলে।
. উন্মত্ত কালের নৃত্যে রক্ত মোর নাচিল উত্তাল—
. দেখিলাম : সারি সারি চলিয়াছে আমারি কঙ্কাল
. আজিকার এই ধ্বনি, এই প্রতিধ্বনি,
অনন্ত ইথারবক্ষে নিত্যকাল ওঠে রণরণি’---
মৃত্যুহীন ক্ষয়হীন রাত্রি সম অতীত আমার
. ভবিষ্যতে বর্ত্তমানে বিথারিয়া কৃষ্ণপক্ষ তার
. আমারে ঘিরিছে বব্ধু, যুগান্তের অগণ্য-সঞ্চয়,
. তবু তারা কিছু সত্য নয় ?
. *****************
. সূচীতে . . .
মিলনসাগর
দ্বয়ী
কবি নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়
ফণীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত ভারতবর্ষ পত্রিকার আশ্বিন ১৩৪৭ ( সেপ্টেম্বর ১৯৪০ )
সংখ্যায় প্রকাশিত। মিলনসাগরে প্রকাশকাল ১৮.৯.২০১৮।
১
আমার আকাশে সখি, বিচ্ছেদের অন্তিম গোধূলি
মৃত্যুর মলিন-বর্ণে প্রসারিছে প্রাণের প্রান্তরে,
প্রত্যাশার রক্ত রাগে ক্ষীয়মান রবি রশ্মিগুলি
আত্মহত্যা করিয়াছে তিমিরের অতল-সাগরে।
স্মরণে কি জাগে আজ কোন্ শুভ্র উজ্জ্বল-ঊষায়
আমার যৌবন দিনে পরালে যে মল্লিকার মালা,
তার জীর্ণ দলগুলি ব্যথাতুর ধূসর-সন্ধ্যায়
নীড়ের বলাকা সম উড়ে যায় বিষণ্ণ-নিরালা ;
বিরহের ছায়া নামে কাচমণি কাঞ্চনের জলে
আমার মনের সে কি অন্তঃশীলা সুর-প্রবাহিনী,
মন্থর বেদন-ছন্দে বয়ে যায় আঁধারের তলে
কল্লোল-ক্রন্দন ঘিরে আসে নেমে ঘন-নিশীথিনী।
মৃত্যুর সীমান্ত হ’তে শুনি আজ যৌবনের ডাক,
তুমিও কি শোনো সখি, কোথায় কাঁদিছে চক্রবাক ?
২
তবু তুমি একবার পশ্চাতের ঘনচ্ছায়া পারে,
বারেক ফিরাও যদি স্বপ্নাতুর সুনীল-নয়ন,
আলো-ছায়া-মর্মরিত দিনান্তের স্বচ্ছ-অন্ধকারে
সহসা পড়িবে চোখে ফেলে আশা মাধবী-শয়ন।
রিক্ত-পান-পাত্র হ’তে মোছেনি তো চুম্বনের লেখা,
বিপঞ্চীর ছিন্নতন্ত্রে শিহরিছে তোমার পরশ,
বিকীর্ণ বকুল-পুঞ্জে আজো আছে অলক্তক-রেখা,
কাঁপিছে দীঘির জলে ছায়ালোভী রোমাঞ্চ-হরষ।
জানি সখি, বিদায়ের অশ্রুম্লান এ অন্ত-বেলায়
চলে যাবে অনিন্দিতা, কোনো গ্লানি রাখিবে না মনে,
স্মরণের চিত্রপট ধূলিতলে লুটিবে হেলায়,
বিস্মৃতির কৃষ্ণচ্ছায়া ছড়াইবে প্রাণের প্রাঙ্গনে।
তোমার চলার পথে অকৃপণ বাসন্তী সঞ্চয়,
বেদনার অন্ধকারে মৃত্যু মোরে করিয়াছে জয়।
. *****************
. সূচীতে . . .
মিলনসাগর
বাপুজী
কবি নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়
ফণীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত ভারতবর্ষ পত্রিকার চৈত্র ১৩৫৪ ( মার্চ ১৯৪৮ )
সংখ্যায় প্রকাশিত। মিলনসাগরে প্রকাশকাল ১৮.৯.২০১৮।
সুপ্তির তিমিররাত্রে কে জ্বালিল মুক্তির মশাল
শ্মশানের প্রেতভূমে কে করিল জীবন-সাধনা,
শবের শীতল-বক্ষে সঞ্চারিল প্রাণ-উন্মাদনা
মৃত্যুমগ্ন মাতৃভূমি অকস্মাৎ উত্কন্ঠ উত্তাল।
আরণ্যক আফ্রিকার, নীলোর্মির পরপার হতে
হে সন্ন্যাসী অগ্নিমন্ত্রে বিঘোষিলে লাঞ্ছিতের জয়
দুঃখের তামস ভেদী দেখা দিলে তুমি জ্যোতির্ময়
উদীচি-প্রতীচি-প্রাচী ভেসে গেল এক মহাস্রোতে।
‘দিনগত পাপক্ষয়’--- ছায়া মূর্তি আমারা মানুষ,
দুরন্ত আশার ঢেউ জীর্ণ বুকে ব্যর্থ ভেঙে পড়ে,
সহসা শিহরি’ উঠি রক্তমেঘ-সংকেতিত ঝড়ে---
মুহূর্তে ফাটিয়া যার কল্পনার বিলাসী ফানুষ।
চম্পারণে দেখিলাম ‘অভীঃ’ মন্ত্রী তুমি পুরোহিত
ডাণ্ডীর সমুদ্র পথে অর্ধনগ্ন তুমি সত্যাগ্রহী,
আমাদের যত পাপ নীলকন্ঠ একা নিলে বহি’
আমরা দাঁড়ানু উঠি---মুগ্ধ বক্ষে জাগিল সম্বিৎ।
ঘন হয় অবিশ্বাস, ক্ষমতার দ্যুতক্রীড়া চলে,
বিষাক্ত কুটিল হিংসা শান দেয় নগ্ন ছুরিকায়
বিহার-পাঞ্জাব-বাংলা ভেসে যায় হত্যার বন্যায়
ধর্মধ্বজী স্বার্থ হাসে চক্রান্তের সুড়ঙ্গের তলে।
তার মাঝে একা তুমি হে মৈত্রেয় অহিংস-তাপস,
প্রেম-মন্ত্রে নিবারিলে সমুদ্যুত হিংস্রতার ফণা---
মিলনের ঋক্-ছন্দ দিকে দিকে করিলে ঘোষণা
পূর্ণ হল মুক্তিব্রত---স্বাধীনতা হল আত্মবল।
তোমারে হেনেছি তবু, করিয়াছি পিতৃরক্তপাত—
চিরন্তন ইতিহাসে কলঙ্কেরে করিয়াছি জমা—
পৃথিবী করুক ঘৃণা, তবু তুমি করে যাও ক্ষমা
তোমার মৃত্যুতে পিতা, শেষ হোক যত আত্মঘাত॥
. *****************
. সূচীতে . . .
মিলনসাগর
হে মেঘলতা
কবি নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়
বঙ্কিমচন্দ্র সেন সম্পাদিত “দেশ” পত্রিকার অগ্রহায়ণ ১৩৪৬ ( ডিসেম্বর ১৯৩৯ )
সংখ্যায় প্রকাশিত। মিলনসাগরে প্রকাশকাল ১৮.৯.২০১৮।
দীরঘ রাত দীরঘ দিন নীরবে মোর কাটে,
. হে মেঘলতা বুঝেছি বুঝি ভুল,
তখনো আমি ভাবিনি মনে এমনি মাঠে বাটে
. ভাসিবে চোখে তোমারি এলো চুল !
কত যে দিন কত যে রাত গুঁড়ারে গেল ধীরে
. কাজল মেঘে ঢাকিল সারাদিক,
বুঝেছি আজ উদাসী মন কেন যে চাহে ফিরে
. রাতের তারা তাকায় অনিমিখ্।
তাই ত ভাবি চলিতে পথে কী গান এল ভেসে,
. স্বপন-ধারা নামিল সারা চোখে,
কী গান এল --- কী গান এল---কী গান এল শেষে,
. চ’লেছি যেন অরূপ মায়ালোকে !
দীরঘ রাত দীরঘ দিন এমনি মোর কাটে
. হে মেঘলতা বুঝেছি আজি ভুল,
তখনো আমি ভাবিনি মনে এমনি মাঠে বাটে
. ভাসিবে চোখে তোমারি এলো চুল !
সারাটি বেলা বসিয়া থাকি উদাস মনে একা,
. ভাসিয়া আসে ঘুঘুর শুধু ডাক্
বসিয়া ভাবি জীবনে যত হিসাব হ’ল লেখা
. আজিকে সব তেমনি তোলা থাক্ !
আজিকে শুধু রঙীন ভোরে বাহিরে ছুটে যাওয়া
. আজিকে শুধু পথে চলার গান,
আজিকে শুধু ঘোরালো স্রোতে একলা তরী বাওয়া
. তোমার সাথে দূরের অভিযান !
চলিতে পথে দু’পাশ থেকে করবী কুঁড়িগুলি
. ঢুলায়ে মাথা হাসিবে অভিনব,
স্রোতের বেগে ঢেউয়ের বেগে চলিব দুলি দুলি
. “আসিব ফের” হাসিয়া মোরা কব।
চাহিয়া দেখি দীরঘ রাত---দীরঘ দিন কাটে
. হে মেঘলতা সকলি ভাবা ভুল,
বুঝি না কেন ভাসে যে চোখে তবুও মাঠে বাটে
. তোমার যত এখনো এলোচুল !
. *****************
. সূচীতে . . .
মিলনসাগর
আমার বিদায় ক্ষণে
কবি নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়
উপেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায় সম্পাদিত বিচিত্রা পত্রিকার আশ্বিন ১৩৪৬ সেপ্টেম্বর ( ১৯৩৯ )
সংখ্যায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত “নীড় ও দিগন্ত” উপন্যাসের কবিতা। মিলনসাগরে
প্রকাশকাল ১৮.৯.২০১৮।
“আমার বিদায়-ক্ষণে
কানন-কুঞ্জ কেঁদে উঠিবে না
মর্মর গুঞ্জনে ?
হাসিটুকু তা’র রবে অম্লান
বল্লরী-কিশলয়ে,
গোধুলি ধূসর ছায়া নামিবে না
সুদূর দিগ্বলয়ে ?##
অঙ্ক-বিহারী বীণায় তোমার
তন্ত্রী কী যাবে ছিঁড়ে,
বুকের নিচোল সিঞ্চিত হ’বে
দু’ ফোঁটা নয়ন-নীরে ?
-----আমার বিদায় ক্ষণে,
চেয়ে দেখো প্রিয়া সে কোন্ তারাটি
জাগে তব বাতায়নে।”
. *****************
. সূচীতে . . .
মিলনসাগর