হিন্দু ধর্মে যিনি ভগবান ; মুসলিম আল্লাহ বলে খৃষ্ট ধর্মে মাইটি গড ! সবাই ঈশ্বর বলে | শিষ্যের বেশে শিব এলেন নারায়ণ গুরু বেশে--- শ্রীরামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ , চলেছে দেশেদেশে |
সনাতন ধর্ম রক্ষার তরে, বিশ্বের দ্বারে দ্বারে শিষ্যের ধ্যানে আপনি আসীন, কোথা না পাঠালে তাঁরে ? যুগে যুগে ঠিক আপনি আসেন ; এই মহাদুর্দিনে ! সেই কারণেই বিশ্ববাসীও সুন্দর বলে চিনে !
টুকরো টুকরো মানিক যেন গো ! তোমার প্রতিটি বাণী অমৃত ভরানো অধরে নয়নে, মধুময় হৃদিখানি | পাপ ও পাপীরে নির্মূল করো , দুঃখীর দুঃখ হরো বিশ্বই যেন ধ্বংসের পথে ! তুমিই রক্ষা করো |
ফিরিয়ে আনো জ্ঞান ( বুদ্ধের প্রতি ) কবি নরবাহাদুর লামা
বলো হে প্রভু, একি লীলা ! অসব কাদের কর্ম ! বিশ্বজুড়ে খুনাখুনি কেন ? এই কি মানব ধর্ম ? হিন্দু ও মুসলিম, বৌদ্ধ ও খৃষ্টান ; জৈন বা ইসাই , শিখ তাঁরা তো সবাই দেখিয়ে গেছেন নতুন নতুন দিক
সব মহাজনই শুনিয়ে গেছেন , অমৃত বাণী কতো ! যুগযুগ ধরে মানব জাতি কি, থাকিবে পশুর মতো ? তুমি তো মহান রাজার ছেলে , সব কিছু ত্যজিয়া গেলে তরুণী ভার্যা, রাজার মান ! বলো তো কি সুখ পেলে ?
অনাহারে অনিদ্রায়, কাটালে বহুদিন মানব জাতিকে যাদিয়ে গেছো, শোধাতে পারে সে ঋণ ? মাঘের হিম ! বর্ষার ঝড়, বয়ে গেছে কত যে শিরে অনেক কষ্টে লভিয়া সিদ্ধি, বুঝিলে ধীরে ধীরে |
রাজার ভূষণও ছুড়িয়া ফেলে ; ভ্রমিলা মলিনবেশে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে গেছো, বিশ্বের প্রতিটি দেশে | জীব হত্যা যে মহাপাপ ! অহিংসাই পরম ধর্মে--- এই সভ্য যুগেও অবাক হই ! মানব জাতির কর্মে !
পরের চর্চাও তেমনই পাপ ! অথবা অভিশাপ ! নিষ্ঠুর যুগ আসিয়া আজ ; পুত্রেও চেনে না বাপ ! ভুলে গেছে তাঁদের অমৃতবাণী ; মানুষ হয়েছে পশু ইহার ফলে যে মানব দানব ; জীবকুলের ধ্বংস আশু !
পথের ভিক্ষু, নিরীহ মানুষ ; তারেও হত্যা করে ! মানব জাতির এ দশা কেন ? তাই তো অশ্রু ঝরে ! মাতৃজাতি নারীর প্রতিও নেই কোনো দয়া বা মায়া মানবতাবোধ কি লুপ্ত হলো, নাকি প্রেতাত্মা কায়া !
অতীব তুচ্ছস্বার্থের বশে, মিষ্টি মিষ্টি মুখে শানিত ছুরিকা বসাতে পারে, সহোদর ভাইয়েরও বুকে ! দ্যাখো না আর শিশুর পরেও চলিছে অত্যাচার কলির দাপটে কবির প্রাণ করিছে হাহাকার |
নেতারা ভুলে দেশের কথা ; অথবা জাতিরও কথা সমাজে শ্রেষ্ঠ আসনে বসে, বোঝে কি কাহারও ব্যথা ? সভ্যযুগের মানুষ হয়েও এমন কেন তবে ? চেতনাহীন পশুরও অধম, বলো তো জাগবে কবে ?
পরের কথায় মারিতে গিয়ে নিজেরাও মরে কতো ! মোদের ঘরেরই অবুঝ সন্তান ---হাঁস বা মুর্গির মতো | আমি তো একজন ক্ষুদ্র মানুষ ! বুঝি না এদোষ কার ? মানুষের পরে এত অনাচার ! সহিতে পারি না আর |
আর তুমি ? পুত্রে দিয়েছ ভিক্ষার ঝুলি , বলিয়া করুণ বুলি ! মানব জাতিকে শিক্ষার তরে ; তবুও কি চোখে ঠুলি ? বলো প্রভু, কেন এ দশা আজ ? বারবার প্রশ্ন করি তুমি বুদ্ধ মহাজ্ঞানীগুণী, শুধাই চরণ ধরি |
শ্রীরামকৃষ্ণ ও মোহম্মদ ইশাই এসো এসো নানক গুরু যীশুখৃষ্ট মহাবীর মুশা, আবার করোগো শুরু | এসো বুদ্ধ পুনঃ ফিরে এসো , জাগাতে মানবপ্রাণ জীবে যে শ্রেষ্ঠ মানব জাতির , ফিরিয়ে আনো জ্ঞান |
জীবন রক্ষা করো ( স্বামী বিবেকানন্দের প্রতি ) কবি নরবাহাদুর লামা
হে স্বামীজী স্বর্গের দেব ! প্রণাম গ্রহণ করো-- শিবরূপে এসে বিশ্ববাসীর দুঃখ ও গ্লানি হরো | গেরুয়া বসনে দন্ড হস্তে, ঘুরছো কত না ঠাঁই--- সীমাহীন দুঃখ সয়ে গেছো তুমি, তাহারও হিসাব নাই !
ক্ষুধার জ্বালায় ক্লীষ্ট হয়ে, বর্জিতে চাহিলা প্রাণ --- অরণ্য মাঝে ব্যাঘ্রের মুখে, নিজেকেই করিলা দান | আসিল এক ক্ষুধার্থ ব্যাঘ্র, নিকটে ধীরে ধীরে তোমারে দেখে সেই হিংস্র জীবও পালাল নতশিরে |
বনের এমন হিংস্র পশুও , হেরেছে তোমার কাছে মহান তব কীর্তির কথা , ইতিহাসে লেখা আছে | সনাতনধর্ম লুপ্তের মুখে , বিশ্বধর্ম সভায় গিয়া বিশ্বের সকল মানব জাতির , জয় করেছ হিয়া |
নিমেষের মধ্যে শেষ করেছিলে , বৃহৎ বাইবেল পড়ে | কত পৃষ্ঠায় কী কী লেখা আছে, তাই সবে বাহাবাহা করে ! ধর্ম ও কর্মে মহাবীর তুমি ; ভারতবাসীরা বলে-- বিশ্বের মানুষই এসেছে ছুটে তাই তোমার চরণ তলে |
তোমার জ্ঞানে তো মানব জাতির ভাবনি ভিন্ন জাত তাইতো যত অহংকারীরা , হয়েছিল কুপোকাত | বিদেশে গিয়েও কেঁদেছো শুনি, ভারতবাসীর তরে--- কত হত জন অনাহারে আছে , ভাবিয়া অশ্রু ঝরে |
একদল খুনী দেশ ছেড়ে গেল, এসেছে অন্য খুনী যাদের ভাবি আপন ভাই, তারা কি মানুষ শুনি ? নেতার বেশে গুন্ডা-ডাকাত, তারাই করিছে রাজ, গণহত্যা-গণধর্ষণ বিচারই হয় না আজ |
একশো কোটিরও অধিক মোদের, পীড়িত ভারতবাসী, আমি তো সবারে আপন ভেবে, ভীষণ ভালোবাসি ! রাষ্ট্রশক্তি খুনীর দ্বারাই, ঘরছাড়া কত যে লোক মানুষের পরে এ অনাচার ! কেই বা করিবে শোক |
দেশের যারা ব্যাঘ্র-সিংহ , শৃগাল হয়েছে তারা বুনো কুকুর, হায়না ও নেকড়ে করিছে সর্বহারা ! আই এ এস ও আই পি এসরা, এতোই দুর্বল কেন ? চোখেও দেখনা , কানেও শোনে না, অন্ধ বা বোকা যেন |
শ্রীরামকৃষ্ণের কৃপায় ধন্য, কোমল হৃদয়খানি জীবের সেবায় শিবের সেবা , বলিয়া গেছ বাণী | একদা এসে সনাতন ধর্ম, রক্ষা করেছো তুমি--- ঐ দ্যাখো আজ মানব রক্তে লালে লাল বিশ্বভূমি |
এসো শিবরূপে, দুষ্টুর বুকে, ডমরু ও ত্রিশূল ধরো নিরীহ মানুষ, শিশু ও নারীর, জীবন রক্ষা করো |
শোন হে আমার প্রিয় জন, সকল জনগণ পূজিতে হবে সবহারাদের , পবিত্র রাখিয়া মন | গোটা দেশজুড়ে বন্যা ও ঝড়ে, নানান বিপদ এসে খাদ্য বস্ত্র ঠাঁই বিনে মানুষ---রয়েছে কতো যে ভেসে !
তবুও দেখি পূজার নামে ; আনন্দে অট্টহাসে ! কোটি কোটি টাকা খরচ করে, খুশির জোয়ারে ভাসে--- প্যান্ডেল এবং আলোর পিছে, করিয়া অপচয় অবুঝসম ডাকিয়া আনে দেশের অবক্ষয় !
বৃদ্ধ ও বৃদ্ধা রোগী শিশুনারী, পড়ে আছে অনাহারে ! আপন বলতে যার কেহ নাই ! সে ব্যথা জানাবে কারে ? মনে কর তারাই মার পরিবার; নররূপে নারায়ণ তারা দেবের দোষে, দুষ্টুর রোষে, যারা হয়েছে সর্বহারা !
তারাও মানুষ ! ভাব না কেন ? আমার তোমারই মতো সমাজের হাতেই মার খেয়ে যারা হয়েছে ক্ষতবিক্ষত ! যাহার যেটুকু সাধ্য আছে, সেইটুক সাহায্য করো | এক-এক জনে এক-এক জনের চরম দুঃখ হরো !
দশের লাঠিতো একের বোঝা, একথা সবাই জানে সবারে শুধাই তাদের ব্যথায় ব্যথা কি পাও না প্রাণে ? খাদ্য ও বস্ত্র যোগাতে যে হবে , ভাবিয়া সবারে ভাই ! তাই তো কবি মিনতি করে, যাদের কিছু নাই----
একটুকু হলেও ক্ষুধার্ত জনে, পায় যেন সবাই ভুজা এটাই হবে স্বার্থক মোদের মহান দুর্গাপূজা |
হে দুর্গা, তুমি কি মাতা ? পাগল সম যে ধাও সকল জীবের জননী হয়ে কেন সন্তান-রক্ত চাও ? কখনো বন্যা কখনো খরায় জীবেরই বিপদ আনো সুনামি ও ঝড় ! ভূমিকম্পে চরম আঘাত হানো !
তোমার এই পূজার তরে কত না আয়োজন তিল তিল করে যোগায়ে অর্থ ; যোগাই তোমার মন | দেবগণ মিলে দিয়েছে তোমায়, দশহাতে অস্ত্র ভরে মানববেশী দানব যারা, দেখ না লুন্ঠন করে ?
নারীধর্ষণ লুট খুন করে, করিছে যে ছার খার ! তোমার পরে ভরসা করে, কী কর প্রতিকার ? কেহ বা জমায় টকার পাহাড়, কেহ মরে অনাহারে জীবের মধ্যে শ্রেষ্ঠ মানুষ ; দোষ দেব বলো কারে ?
দেশের নেতা ও জাতির পিতারা হয়েছে স্বার্থপর পশুরও অধম নিষ্ঠুর হয়ে ভাঙিছে দুঃখীর ঘর ! কত রোগ শোকেও ভুগিছে মানুষ--- বিশ্বের চারিধার নানান বিপদে ত্রাশিত প্রাণ--করিছে যে হাহাকার !
এসব কি ঠেকাতে পার না তুমি ? তোমার মন্ত্র বলে-- কী করে ইহার সমাধান হবে---তাই ভাসি চোখের জলে | জননী হয়ে তুমিও কী ভাব সন্তানগণের কথা ? ভ্রষ্টাচারী নেতাদের মতোই বোঝে না কাহারও ব্যথা ?
নইলে বিবেকহীনে বিবেক দাও, অর্থহীনে ধন, সবার মাঝে শান্তি এনে, ভরিয়ে দাও না মন | হয় তুমি সবারে শেষ করে দাও, না হয় রক্ষা করো মানব,দানব, পশু-পাখি-কীট-সবার দুঃখ হরো |
বলো হে প্রিয় লেখক ও কবি, এহেন ভীত কেন ? বরফ নাকি ননীর পুতুল, ছুলেই গলিবে যেন ! শিক্ষা ও দীক্ষায় বি এ , এম এ রয়েছে অনেক ডিগ্রি দেশদ্রোহী দুষ্টদের কাছে , মাথ কি করেছ বিক্রি ?
সারা দেশ জুড়ে কত অনাচার , চলিছে অবক্ষয় | সত্য কথা প্রকাশ করিতে ,কর কেন এতো ভয় ? দেশপ্রেমিকেরা দেশের তরে, দিয়েছে কত না প্রাণ জীবন ধন সর্বস্ব দিয়ে রেখে গেছে অবদান |
মোরা তো কেহ অমর নই, একদা মরিতে হবে একশত কোটি ঘুমন্ত জনে , জাগাও না কেন তবে ? ঊগ্রপন্থী গুন্ডা বা ডাকাত , তারাও মোদের ভাই ! অবুঝ ভেবে প্রতিটি জনে , বুঝিয়ে বলা চাই |
মুনাফা-খোর মাফিয়া চোর, সমাজ-বিরোধী যত সমাজে ফিরিয়ে আনিতে হবে, বুঝিয়ে ভাইয়ের মতো | সমাজ হতে বঞ্চিত কেন ? বলো না এদোষ কার সবার মতো তোমারও আছে, বাঁচার অধিকার |
পরের কথায় আপন জনেও হত্যা কর তুমি বুঝাতে হবে এ দেশ তোমার, বাঁচাও মাতৃভূমি | ভ্রষ্টাচার নেতা ও আমলা ভাঙবে তাদেরও ভুল রক্ষা করো দেশ ও জাতি বাঁচাও নিজেরও কুল |
এমনভাবে বোঝালে হয়তো , অনেকেই জাগতেও পারে জীবনে যারা অন্যায় করেছে, বুঝিবে হাড়ে হাড়ে ! অতীব মন্দও হতে পারে, হয়তো ভীষণ ভালো লেখক ও কবিরা নিষ্ঠাভাবে দেখালে জ্ঞানের আলো |
হে দেশপ্রেমিক মানবদরদী, প্রণাম চরণে তব---- অরবিন্দ হতে মহর্ষি যে হলেন , সে কথা কেমনে কবো ? দর্শন তব পাইনিকো আমি, ঘরে ঘরে দেখেছি তব ছবি কি কথা তব লিখিব আমি, অতীব ক্ষুদ্র কবি !
দেশবাসী ও দেশের তবে, কঠোর সাধনা করে, পরাধীন দেশ স্বাধীন করাতে ঘুরেছো ঘরে ঘরে | জীবনের স্বপ্ন , কত কি আশা, নিজের সবকিছু ভুলে দেশ রক্ষার দায়িত্বভার , লয়েছিলে মাথায় তুলে |
কতই না কষ্ট সয়েছ তুমি ! তাহার যে হিসাব নাই--- সেসব কথা ভাবিতে গেলে, বুক-ফাটা ব্যথা পাই ! ত্যজিলে গৃহ, মাতা বা পিতা , ধনজন , ভগিনী , ভ্রাতা--- কয়েক কোটি ভারতবাসীর , ভাবিয়া আপন ত্রাতা |
ঘুমন্তজনে জাগাবার তরে ঘুরেছ দ্বারে দ্বারে--- চোখে নেই ঘুম, নেই পেটে দানা, কি করে জাগাবে কারে ? কাহিনী তব বলে শেষ নেই, কী আর কহিব আমি--- মহান তব পুণ্যের ফলে, হয়েছো যে অন্তরযামী |
একদা হঠাৎ পড়িলে ধরা, বিদেশী-শত্রুর হাতে-- কারাবাস কাহিনী রচিলা সেথায়, কারাতেই দিনেরাতে | দিব্যচোখে দেখিলে তুমি, এসেছে ভগবান ! সি আর দাশ ও সুভাষ রূপে, রাখিতে দেশের মান |
ভীষণ মজার দৃশ্য দেখিয়া আনন্দে ভরিল বুক শত্রু ও মিত্র যাকেই দেখেছ ইষ্টদেবের মুখ | সেই কারা হতে মুক্তি পেলে , মুক্ত কর্ম হতে--- এবার দেশ স্বাধীন হবেই, ভাসিলা আনন্দস্রোতে |
সি আর দাস ও সুভাষ ‘পরে, সঁপিয়া কর্মভার--- পন্ডিচেরি চলিলা তুমি, এলে না ফিরে আর! ভারত স্বাধীন হয়েছে বটে, এল না দেশে সুখ একশত কোটি ভারতবাসী, সহিছে চরম দুখ !
কত মানুষের রক্তের দাম, গিয়াছে ধুলায় মিশে ! তোমরা যে এতো বেদনা লয়ে সাধনা করেছ কিসে ? রামের ভারত, কৃষ্ণের ভারত. ভারত যে মহান দেশ কুক্কুর সম লোভীরা এসে, সবারে করেছে শেষ |
দেশের কথাই ভাবে না যারা, সে-ই বলে গদিটি চাই ! তাই তো ভাবি নিষ্ঠ-নেতা বলো তো কোথা পাই ? প্রশাসন ও বিচার বিভাগ ? অচল হয়েছে আজ আইননীতি কর্তব্য ভুলে, করিছে উল্টো কাজ |
হাজার হাজার খুন হয় মানুষ, শাসক-শোষক দ্বারা নারী ধর্ষণ, ধন জন লুটে, করিছে যে সর্বহারা ! খাদ্য নাই, বস্ত্র নাই, নাই কারও থাকার ঠাঁই----- যেদিকে দেখি শুধু হাহাকার ! দেউলিয়া হয়েছে প্রায় !
দেশের এই দুর্দশা দেখে, মোরা যে ভাবিয়া মরি আজিকে তাই বড়ই দুঃখে , বারবার তোমারে স্মরি !
কী ভেবেছিলে, কী হয়ে গেল, ব্যথা পাই গভীর প্রাণে সুখের আশায় কত কী গড়েও, ভাসিছে দুঃখের বানে ! চারিদিকে শুধু হাহাকার শুনি, না জানি সে সুর কার যতই তারা চেচিয়ে মরুক, জানি হবে না প্রতিকার |
দেশদ্রোহীরে বিশ্বাস করে, আদর করেছিল যারে, কয়েক কোটি অবুঝ মোরাও, সন্মান করেছি তারে | শয়তান সে তো বিশ্বাসঘাতক, চরম সে দুর্মতি একেবারেই খোকলা করে, করেছে এ দুর্গতি |
কলকারখানা বন্ধ করিয়ে, শ্রমিক কর্মীরা মরে--- দানবসম লুটেপুটে খেয়ে, মানব জীবনও হরে | পরের পিতাকে বাপ মনে করে ,ভুলে যায় নিজের বাপ সিংহাসনে বসিয়ে দানবে, এনেছি ডাকিয়া সাপ |
গায়ের জোরে যে-কোনো লোকের, কাড়িছে মুখের গ্রাস মুখেও কুলুপ, চোখেও ঠুলি দেখিয়া তাদের ত্রাস ! পৈতৃক ভিটা ধন প্রাণ মান, শাসক ও শোষাকে লুটে মানববেশী ছাগ ও মেষেরা, তাদের পেছনেই ছোটে |
প্রসাশনের হাত পা বেঁধে, রেখেছে পঙ্গু করে | খাদ্য ও বস্ত্র ঠাঁই বিনে মানুষ, জ্বলিয়া পুড়িয়া মরে | তুমিও যেমন ভুল করেছিলে , মোরাও করেছি ভুল | সোনার বাংলার বেহাল আজ, খুঁজিয়া পাইনা কুল !
শিক্ষা ও স্বাস্থ্য, পানীয় জল, আলো ও যোগাযোগ--- উন্নয়নের অর্থ লুটে, নেতারাই করে ভোগ | দুগ্ধ-গাভীরে বিকিয়ে যারা, আখের গুছাতে চায়--- নিষ্ঠ ও সৎ, নেতাও আমলা একটিও খুঁজে পাই ?
নিজের সুখ ও তুচ্ছকরে-- দেশ ও জাতির পিছে কঠোর কঠিন সাধনা করা, সবই হয়েছে মিছে | যাহারা ভাবেন ভাবনা তব, তাহারাই ভাবিয়া মরি--- জন্ম ও তব মৃত্যু দিবসে , বারবার তোমায় স্মরি |
দেবতা সম ভক্তি করি, অনেকেই মনে মনে--- পরম সুখে বিরাজ কর গো, স্বর্গের সিংহাসনে | বঙ্গবাসীর পিতার তুল্য রেগীর অন্তর্যামী--- ডাক্তার রূপেও ভগবান ছিলে, তাই সকলেই মোরা নমি |