কবি নীলরতন সেন এর কবিতা
*
গাহা সত্তসঈ থেকে
কবি নীল সেন
“স্বপ্নের সাঁকো পেরিয়ে” কাব্যগ্রন্থ ( ১৯৮৩ ) থেকে নেওয়া |


১  প্রিয়তমের সঙ্গলাভে লাজে দুটি নয়ন ঢাকি |
.   রোমাঞ্চিত কদমবাসে পুলক কোথা লুকিয়ে রাখি ||

২ চৌর্যরতিতে আগ্রহশীলা জানি,
.   নিবিড় আঁধারে,  ভ্রমিওনা  তবু,  শোনো গো মেয়ে |
.   ঘন তমসায় দীপশিখাবৎ মানি,
.   দেহদ্যুতিলোভে পতঙ্গকুল আসিবে ধেয়ে ||

৩  ইন্দ্রনীলা  মণির প্রভা কর্ণাভরণস্থিত,
.    অশ্রুকণা গন্ডে বুঝি কজ্জলমিশ্রিত |
.    অভিমানের নয়নবারি যত্নে প্রিয়তম
.    মুছিয়ে দিতেই, হাতের পরশ ঘুচিয়ে দিল ভ্রম ||

৪   মানিনীললাটে মৃগগন্ধের আলিঙ্গন |
  প্রতিবিম্বিত চন্দ্রেরই বুঝি সুলাঞ্ছন ||
.     কলহরহিতা  প্রিয়ার দুখের বাষ্পজলে |
.     নয়নকলসে  বারি  সিঞ্চনে  গিয়েছে গলে ||

৫    মানধনে ধনী গরবিনীতেজ  এতই কঠিন হায় |
.     অনুতাপী প্রিয় একই পল্লীতে প্রবাসী থাকিয়া যায় ||

৬    নিমীল নয়ন শয্যায় লীনা চিন্তাময়ী |
.      শিথিল বলয় দুই বাহু ঘিরে,
.      স্বপনে জড়ায় কারে ধীরে ধীরে,
.      সে বুঝি তাহার দুষ্প্রাপনীয় চিত্তজয়ী ||

৭    কৃতজ্ঞ সুখে, ওগো মধুকর, সেদিন যাহারে করেছ রমণ |
.     ফুলাবনত সে মালতীলতায় ছেড়ে কোথা তব পুষ্পচয়ন ||


৮   রাতে সুরতহরষে  পুলককপোলা
.               শত অনুরোধ রেখেছ মোর |
.    প্রাতে লাজনতমুখী সেই প্রিয়া একি !
.            ----- অবিশ্বাসের লেগেছে ঘোর ||

৯   নববধূ লাজের বশে বরের মুখে তাকায় না |
.     দয়িত-পরশ দেহেতে তার স্বেদ-রোমাঞ্চ জাগায় না ||
.     প্রেম-আলাপন চিত্তে নব প্রেমের দোলা জাগায় না |
.     কোন্ রহস্যে, বল দেখি, বরের মোহ কাটায় না ||

১০  উন্নত দুটি কলসস্থিতা কমলাননা |
.     তুঙ্গস্তনী কাহারে ধেয়াও অম্যমনা ||

.                   *****************             

.                                                                           
সূচীতে . . .    


মিলনসাগর
*
গালিবের দশটি কবিতা
কবি নীল সেন
“স্বপ্নের সাঁকো পেরিয়ে” কাব্যগ্রন্থ ( ১৯৮৩ ) থেকে নেওয়া |


১   ধ্বংসের বীজ জীবনের মূলেই নিহিত |
দেখো,  কিষাণের মাথার ঘামই
.        বিদ্যুতে পরিবর্তিত হয়,
সেই বিদ্যুৎ একদিন
.        শষ্যকে পুড়িয়ে দেয় |

২   প্রেমে কাঁধ  ছাপিয়ে  মাথা  তোলা,
সেই সঙ্গে সহজাতভাবে আত্ম আবদমন,
.                 ----কি মূঢ়তা !
এ যেন বজ্রকে পূজো করে,
সেই বজ্র সব ধ্বংস করেছ বলে
.        আত্ম অনুশোচন !

৩    সুন্দরকে ভাবা তো সুন্দরকে সৃষ্টি করার সামিল,
--- যা আমি জীবনভোর করে এসেছি |
সে জন্যেই কবরের ভেতর থেকে
স্বর্গের একটি দরজা আমার খুলে গেছে |

৪   মনে রেখো আপাত সবচেয়ে সহজ কাজও
.            সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা খুবই কষ্টকর |
যেমন কষ্টকর কারও পক্ষে মানুষ হয়ে ওঠা |

৫  আকাঙ্ক্ষাই মানুষকে কোনো লক্ষ্যে পৌঁছতে
.        নিরলস কর্মের প্রেরণা দেয় |
মৃত্যু না থাকলে জীবনের কোনো আকর্ষণই রইত না |

৬  প্রতি জলকণা ঘোষণা করতে পারে ‘আমিই সাগর’ |
ঠিকই তো,  একজন অপরের কাছে
.          সম্পূর্ণ আত্মসমর্পণ করলে,
তার অস্তিত্ব তো অপরের মধ্যেই লীন হয়ে যায় |

৭   যেমন তেমনভাবে জীবনটা পেরিয়ে এলাম |
তিনি আমায় এ জীবন দিয়েছিলেন |
তাঁকে যা ফিরিয়ে দিচ্ছি তা কতই নগণ্য |
আমি ঈশ্বরের ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হলাম |

৮  যে যত দুঃসাহসী সে ততটাই সাফল্য লাভ করে |
চোখে সেই জলবিন্দুই টলটল করে
.         যা কখনো মুক্তো হয়ে উঠতে পারেনি |

৯  জীবনের পরমায়ু তো এক পলক মাত্র !
নাচ গানের দল ততক্ষণই স্ফূর্তি করে
.      যতক্ষম মোমবাতির আলোটা নাচতে থাকে |

১০  হায়, মৃত্যু ছাড়া জীবনের জ্বালা থেকে মুক্তি কোথায় ?
মোমবাতি সব ঋতুতেই
.           ভোর না হওয়া পর্যন্ত জ্বলবেই |

.                       *****************             

.                                                                           
সূচীতে . . .    


মিলনসাগর
*
ওকে দেখেছিলাম
( হেন্ রী ফ্রানসিস নাইটের ভাব অবলম্বনে )
কবি নীল সেন
“স্বপ্নের সাঁকো পেরিয়ে” কাব্যগ্রন্থ ( ১৯৮৩ ) থেকে নেওয়া


ওকে দেখেছিলাম ছোটবেলায়,
.        টগ্ বগে মিষ্টি মেয়েটি |
--- যেন  ভোরের স্নিগ্ধ আলোয়
.        সকালের আভাস |
---- কিংবা শরতের শিশিরকণা |
তখন ওর সারাদিনের খেলার সাথী ছিল,
.        হলুদ নীল প্রজাপতি,
.        আর রঙ্-বেরঙের ফুল |
তাদের মতোই লঘু মেজাজ, আর
.        সহজ চলন ছিল ওর |

আবার যেদিন দেখলাম
.        তখন ও অষ্টাদশী তন্বী,
টাট্ কা লাবণ্যে ঝল্ মল্ করছে
.        মন আর মুখশ্রী |
কন্ঠে সংগীতের মূর্ছনা,
.        বুঝি চাঁদের সুধা ঝরছে |
ও এখন সবার ঈর্ষা কুড়োয়,
.        গৌরব বাড়ায় শুধু এক জনার |

কয়েক বছর কেটে গেল |
.        ওকে দেখলাম, পূর্ণ প্রস্ফূটিতা
.                পুষ্প এখন ফলভারে আনতা |
গরবিনী মায়ের আসনে বসেছে,
.        কোলে ওর তাজা ফুলের মতো শিশু |
অনিমেষে চেয়ে রইলাম,
.        আরও ---আরও সুন্দরী হয়ে উঠেছে ও |
আর একবার মাত্র দেখা হয়েছিল |
.        সেদিন ও শেষ শয়ানে শায়িত.
.                স্বর্গের দ্যুতি চোখে মুখে ছড়িয়ে পড়েছে,
.                        ঈশ্বর পাশে এসে বসেছেন |
কোনো অভাব আর ওকে দুঃখ দেবেনা,
কোনো ভয়ের কাছে আর ওকে নতজানু হতে হবেনা |
আমার চোখে
.        এবারেই ও সবচেয়ে সৌন্দর্যময়ী হয়ে উঠেছে |

.                            *****************             

.                                                                           
সূচীতে . . .    


মিলনসাগর
*
একদিন পরিচয়হীন শষ্যদানায়
( ডিলান টমাস থেকে )
কবি নীল সেন
“স্বপ্নের সাঁকো পেরিয়ে” কাব্যগ্রন্থ ( ১৯৮৩ ) থেকে নেওয়া


একদিন পরিচয়হীন শষ্যদানায়
এ রুটির ছিল প্রাণ |
অচেনা লতার রঙীন স্বপ্ন দোলে
এ মদিরা বুঝি হয়েছিল ফলবান |
দস্যু মানব প্রকাশ্য দিবালোকে
নিঙড়ে নিয়েছে সব মধু,  ওই
কোমল কুমারী আঙুরের বুক থেকে |
সে কোন্ রাতের তপ্ত মত্ত হাওয়া
ঝরিয়ে দিয়েছে শষ্যকণার স্তনিত শোভা !

আর এক রাতে
প্রেমের স্বপ্নে ফাল্গুন মদির হাওয়া
আঙুরের বুকে জাগায়ে তুলেছে
রক্তের আলোড়ন |
সূর্য তাহার অরুণ আলোকে
শষ্যকণাকে ঘিরে,
প্রাণে প্রাণে তার সঞ্চারি গেল
জীবনের প্রেমকথা |

দস্যু মানব
সেই সূর্যের চরম অসন্মানে,
হাওয়ার বসন খুলে নিয়ে, তারে
নগ্ন নিঠুর ধুলিতে নামালো টেনে |
জৈব দেহটা ভোগ কর তুমি
ধমনীর তাজা রুধির সে শুষে নাও !
শষ্যদানা ও আঙুরের প্রাণ-সঞ্জীবনী
মদিরা সুধা কি পাও ?
কাহার পানীয় পান কর তুমি
রুটি কার কেড়ে খাও ?

.                   *****************             

.                                                                           
সূচীতে . . .    


মিলনসাগর
*
যখন কোমল সুর মিলিয়ে যায়
( শেলীর একটি কবিতার ভাবাবলম্বনে )
কবি নীল সেন
“স্বপ্নের সাঁকো পেরিয়ে” কাব্যগ্রন্থ ( ১৯৮৩ ) থেকে নেওয়া


যখন কোমল সুর মিলিয়ে যায়,
হে সংগীত,
তুমি মরমে তার রণন তোলো |
শরত-সকালে শেফালি যখন ঝরে যায়,
ওগো সুবাস,
তুমি চেতনায় তার আবেশ জাগিয়ে রাখো |
গোলাপ যখন শুকিয়ে যায়,
ওগো ঝরা পাপড়ি,
তুমি প্রিয়তমের শয্যায় ছড়িয়ে থাকো |
আমার প্রিয়তম,
যখন তুমি চলে যাও,
তোমার প্রেম আমার চেতনায় ঘুমিয়ে থাকে |

.                   *****************             

.                                                                           
সূচীতে . . .    


মিলনসাগর
*
অগীত গান
( মেরিডিথের একটি কবিতার ভাববলম্বনে )
কবি নীল সেন
“স্বপ্নের সাঁকো পেরিয়ে” কাব্যগ্রন্থ ( ১৯৮৩ ) থেকে নেওয়া


শুক্ নো ঘাসের কোনো গান নেই ;
তবু ওরা গান করে |
যখন ওদের পাশ কাটিয়ে চলে যাই,
বুকের ভেতর ওদের গান শুনি |
মনের একটি তার ওরা ছুঁয়ে যায় ;
হৃদয়ের গোপন গভীরে,
কি এক বেদনার সুর ওরা জাগিয়ে তোলে |
শুক্ নো ঘাসের গুঞ্জন আমি শুনতে পাই ;
সারাক্ষণ আমার বুকের মাঝে ওরা গান করে |

.                   *****************             

.                                                                           
সূচীতে . . .    


মিলনসাগর
*
মরণকে বড়ো ভয় পাই আমি
( কিপ্ লিঙ থেকে )
কবি নীল সেন
“স্বপ্নের সাঁকো পেরিয়ে” কাব্যগ্রন্থ ( ১৯৮৩ ) থেকে নেওয়া


মরণকে বড়ো ভয় পাই আমি,
একথা জানতে পেরেই
নিঃসঙ্গ আমাকে ওরা চোখ বেঁধে
মৃত্যুর দরজাতেই নামিয়ে দিয়ে গেল |

.                   *****************             

.                                                                           
সূচীতে . . .    


মিলনসাগর
*
হিমেনেথের একগুচ্ছ
কবি নীল সেন
“স্বপ্নের সাঁকো পেরিয়ে” কাব্যগ্রন্থ ( ১৯৮৩ ) থেকে নেওয়া



আমি তো আর আমি নই,
আমি সে,--
যে আমারই পাশে হাঁটছে আমার অলক্ষে ,
তাকে কখনো প্রায় দেখে ফেলি
কখনো বা বেমালুম ভুলে যাই |
কথা বললে যে আমি নীরব শান্ত  হয়ে থাকে,
ঘৃণা করলে যে আমি আমায় ক্ষমা করে,
আমি যেখানে যাইনি সেখানেও সে হাঁটে,
আমার মৃত্যুর পর সে ঋজু হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে |



বন্ধু,
আমার কাছে তুমি পৌঁছুতে পারবেনা |
ব্যাকুলতা আর পাগলামি নিয়ে তুমি আসবে ,
কিন্তু আমি তার আগেই চলে যাব |

এবং
সে যে কি ভয়াবহ নিঃসঙ্গতা !
সব কিছু পিছনে ফেলে এসেছ
শুধু আমার কাছে পৌঁছুবে বলে |

এবং
সে যে কি হতশ্রী অতল শূন্যতা !
---- আমিই ভরে তুলেছিলাম
দুঃখের মাঝখানে, কিছু  না ভেবেই, বন্ধু |

তুমি সেদিন থাকবেনা, বন্ধু ---
সম্ভবত আমি ফিরে আসব পৃথিবীতে
কিন্তু তুমি তখন চলে গেছ,
একমাত্র বন্ধু আমার |



যে শক্তিটুকু অবশিষ্ট ছিল
শেষ দুটি হাসির রেখায়
আমায় উপহার দিয়ে গেছ |
তারপর মুক্তি নিয়েছ,
যে মুক্তি তুমি চাওনি কখনো |



একটি যেন গোলাপ তুমি
.      পাপড়ি খুলে খুলে
হৃদয় তব দেখতে গিয়ে
.       পাইনি দেখা তার |
অবাক চোখে দেখছি যে আজ
.       ভূধর সাগর ছেয়ে,
সেই প্রাণেরই প্লাবন এলো
.       তাকিয়ে থাকা ভার |



চিনতে ভুল হয়নি
পথে তোমার পায়ের ছাপ পড়েছে যে !
বুকের মধ্যে তোলপাড় ;
উন্মাদ হয়ে তোমায় খুঁজি
সারা দিনমান ;
--- যেমন ভক্ত কুকুর খোঁজে প্রভুকে |
তুমি ততক্ষণে চলে গেছ |
তোমার পদধ্বনি
বুকের মধ্যে তোলপাড় করে |
খোঁজার শেষ নেই.
এই পথ কোথায় কতদূরে তোমায় নিয়ে গেছে |



ঘুম সাঁকের মতো |
আজ থেকে কাল,
এপার থেকে ওপার
.        পৌঁছে দেয় |
নীচে প্রবহমান স্বপ্ন-জলোচ্ছ্বাস |



কি আশ্চর্য
আমরা দুজনা
আর আমাদেরই যুগল চৈতন্য,
দেখতে দেখতে চারজনা হয়ে উঠলাম আমরা |



ছুটোনা, আস্তে চল |
তোমার কাছেই যে তোমাকে পৌঁছতে হবে |
আস্তে চল,  ছুটোনা |
তোমার নবজাতক,
.    ওই চিরন্তনী
.               তোমার নাগাল পাবে না যে |



যদি তাড়াহুড়ো কর
সময় তোমার আগে ছুটবে,
.   পলাতকা প্রজাপতির মতো |
যদি ধীরে সুস্থে চল
.   সময় তোমায় অনুসরণ করবে
.        অনুগতা প্রিয়ার মতো |


১০
আমি এখানে এসেছি
কিন্তু আমার কান্নাকে
.  ফেলে রেখে এসেছি যে !
--- সেই সাগরপারে সে
.        কাঁদছে |
আমি এখানে এলাম
কিন্তু তোমার কোনো কাজেই লাগব না,
.    হৃদয়কে যে ফেলে এলাম
.        সেখানে |
আমি এখানে এসেছি
কিন্তু তুমিতো চিনতে পারবে না আমাকে |
.       আমার আত্মা  যে সেখানে
.              কাঁদছে |


১১
কবিতা আমার মোহিনী প্রিয়া |
নিভৃত মনের সুখের খেলায়
গৃহকোণে ওকে লুকিয়ে রাখি |
তপ্তমদির প্রেমের স্বপনে
দুজনায় শুধু বিভোর থাকি |


১২
তোমার কন্ঠে আমার গান ফুটুক
যে গান কখনো গাওয়া হয়নি |
তুমি এখনো তো কিছুই বলনি
কিছুই বলা হয়নি আমার |


১৩
আজ রাতে
দরজা খুলে রাখো
ও আসবে |
কিন্তু ও যে মৃত |
দেখো,  ঠিক আসবে আজ রাতে |
সব দরজা-জানালা খুলে রাখো |
যদি চেহারাটা চিনতে পারি,
বুঝতে পারি,
পরে তুলে নিতে পারে আমাদের |
ক্ষণিকের মৃত্যুতে
.     যদি বা বেঁচে উঠতে পারি |
খুলে দাও,
সব দরজা-জানালা খুলে দাও |
গভীর নীল এই রাতে সে বুঝি এলো,
আমাদের রক্তে তার আসবার স্পন্দন জাগলো |
ফুল যেমন মুক্তি খোঁজে
.      তারার কাছে,
ও আজ এলো আমাদের মুক্তিদূত হয়ে |


১৪
রক্তিম সায়রে
দুটি হাঁস পাশাপাশি সাঁতার কাটছে---
আমারো রক্তে বেদনার সন্তরণ |
রক্তিম হাওয়ায়
দুটি গোলাপ পাশাপাশি দুলছে—
আমারো রক্তে বেদনার আলোড়ন |
রক্তিম আকাশে
দুটি পাখি পাশাপাশি ছুটছে—
আমারো রক্তে বেদনার শিহরণ |


১৫
ওজন তার ঠিকই রইল !
পাল্লার একটা দিক পাঁকে ডোবানো,
অপর দিকটা আকাশে উঠছে |

.                   *****************             

.                                                                           
সূচীতে . . .    


মিলনসাগর