আমাদের ওয়েবসাইট মিলনসাগরে কবি নিরুপমা দেবীর কবিতা তুলে আগামী প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে
পারলে আমাদের এই প্রচেষ্টা সার্থক হবে।
কবি নিরুপমা দেবী ২ এর মূল পাতায় যেতে এখানে ক্লিক্ করুন . . .।
কবি নিরুপমা দেবী ১ এর মূল পাতায় যেতে এখানে ক্লিক্ করুন . . .।
উত্স :
- যোগেন্দ্রনাথ গুপ্ত, "বঙ্গের মহিলা কবি", ১৯৩০।
- রাধারাণী দেবী ও নরেন্দ্র দেব সম্পাদিত "কাব্য দীপালি", ১৯২৭।
- ডঃ শিশিরকুমার দাশ, "সংসদ বাংলা সাহিত্য সঙ্গী", ২০০৩।
- সুবোধচন্দ্র সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত "সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান", ২০১০।
- নিরুপমা দেবী, “ধূপ” কাব্যগ্রন্থ, ১৯১৫।
- রাণী শ্রীনিরুপমা দেবী সম্পাদিত “পরিচারিকা” মাসিক পত্রিকা, ১৯১৯ বাদ দিয়ে ১৯১৭ - ১৯২৩।
- নমিতা চৌধুরী ও অনিন্দিতা বসু সান্যাল সম্পাদিত, "দামিনী" কাব্য সংকলন, ২০১৩।
- উইকিপেডিয়া
আমাদের ই-মেল - srimilansengupta@yahoo.co.in
এই পাতার প্রথম প্রকাশ - ২৭.৯.২০১১, মহালয়া
বিভিন্ন পত্রিকা থেকে সংগৃহীত মোট ৮টি কবিতা নিয়ে পরিবর্ধিত সংস্করণ - ২৭.৭.২০১৫
বিভিন্ন গ্রন্থ ও পত্রিকা থেকে সংগৃহীত মোট ২০টি কবিতা নিয়ে পরিবর্ধিত সংস্করণ - ১৮.১১.২০১৯
...
তাঁর পিতার নাম মতিলাল গুপ্ত। নিরুপমা দেবী কোনো স্কুল কলেজে শিক্ষা লাভ করেন নি। পিতার কাছেই
তাঁর শিক্ষালাভ। তাঁর মা ছিলেন বাংলা সাহিত্যের অনুরাগী। তাঁর কাছ থেকেই তিনি বাংলা কাব্যসহিত্যে
অনুরাগী হবার প্রেরণা পান। শৈশব থেকেই তিনি কবিতা লেখা শুরু করেন।
তাঁর মা ছিলেন বাংলা সাহিত্যের অনুরাগী। তাঁর কাছ থেকেই তিনি বাংলা কাব্যসহিত্যে অনুরাগী হবার
প্রেরণা পান। শৈশব থেকেই তিনি কবিতা লেখা শুরু করেন।
তাঁর প্রথম বিবাহ হয় কোচবিহার রাজপরিবারে। সেই বিয়ে সুখের হয় নি। বিবাহ বিচ্ছেদের পর
রবীন্দ্রনাথের তত্বাবধানে তাঁর পূনর্বিবাহ হয় স্বাধীনতা সংগ্রামী শিশিরকুমার সেনের সঙ্গে যিনি ছিলেন
নদীয়ার সাহেবনগরের সর্বোদয় নেতা। (উইকিপেডিয়া)
বিশের দশকে কবি শান্তিনিকেতনে শিক্ষকতা করেছেন। রবীন্দ্রনাথের কিছু ছোট গল্পের নাট্যরূপও তিনি
দিয়েছেন।
কবি নিরুপমা দেবীর স্বাধীনতা আন্দোলনে যোগদান - পাতার উপরে . . .
৪০ এর দশকে তিনি গান্ধীজীর সান্নিধ্যে এসেছিলেন। ১৯৪২ এর ভারত ছাড়ো আন্দোলনে ডায়মণ্ডহারবার
খাদি মন্দিরের অধিকাংশ কর্মী যখন জেলে, তখন স্বামীর সঙ্গে সেখানকার মধুসূদনপুর আশ্রমে গিয়ে বসবাস
শুরু করেন। ১৯৪৩ এর দুর্ভিক্ষের সময় ওই অঞ্চলের দুর্গতদের সেবার কাজে নিজেদের নিয়োজিত রাখেন।
১৯৪৩ সালে গঠিত কংগ্রেস সাহিত্য সংঘ পরিচালিত “অভ্যুদয়” গীতিনাট্যের কাহিনিসূত্র সঙ্গীতায়নের দায়িত্ব
পালন করেন। পরবর্তীতে নদীয়ার সাহেবনগরে তাঁর পরিচালনায় কস্তুরবা ট্রেনিং কলেজ চলেছে। পল্লী
অনাথ আশ্রমও তিনি গঠন করেছিলেন।
কবি নিরুপমা দেবীর কবিতা ও দ্বিতীয় কবি নিরুপমা দেবী - পাতার উপরে . . .
নানা মাসিক পত্রে তাঁর কবিতা প্রকাশিত হয়েছে। কোচবিহার রাজপরিবারের রাণী থাকার সময়ে “রাণী
শ্রীনিরুপমা দেবী” সম্পাদিত “পরিচারিকা” নামক একটি মাসিক পত্রিকা, ১৯১৭ থেকে ১৯২৫ সাল (মতান্তরে
১৯২৩ - ৩১) পর্যন্ত সম্পাদনা করেছিলেন। আমাদের সংগ্রহে ঐ পত্রিকার, ১৯১৯ এর সংখ্যাগুলি বাদে,
১৩২৫ (নভেম্বর ১৯১৮) থেকে কার্তিক ১৩৩০ (অক্টোবর ১৯২৩) পর্যন্ত প্রাপ্ত সংখ্যায় রাণী শ্রীনিরুপমা
দেবীকেই সম্পাদকের ভূমিকায় দেখতে পাই।
তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ “ধূপ” ১৩২৫ বঙ্গাব্দে (১৯১৮) প্রকাশিত হয়। এরপর ১৩৩৫ বঙ্গাব্দে (১৯২৮) প্রকাশিত
হয় “গোধূলি”।
অন্যদিকে তাঁর চেয়ে ৮ বছরের বড় ঔপন্যাসিক নিরুপমা দেবীও কবিতা লিখতেন। তিনিও বিভিন্ন পত্র-
পত্রিকাতে কবিতা রচনা করে গিয়েছেন। তাই বহু পত্র-পত্রিকায় নিরুপমা দেবী নামের কবির কবিতা
থাকলেও তা যে এই নিরুপমা দেবীর-ই লেখা, তা নিশ্চিতভাবে বলা যায় না। প্রাপ্ত নিরুপমা দেবীর
কবিতাগুলি কোন্ জনের তা বুঝতে গিয়ে আমাদেরও বেশ বেগ পেতে হয়েছে অনেক সময়ে। তবুও নানা
তথ্যনির্ভর যুক্তির মাধ্যমে আমরা চেষ্টা করেছি যাঁর যাঁর কবিতা তাঁর তাঁর পাতায় তুলতে। যদি তবুও
কোনও ভুল-ত্রুটি চোখে পড়ে, তাহলে প্রমাণসহ জানালে আমরা সংশোধন করে নেবো, কতজ্ঞতা সহ।
মিলনসাগরে উপন্যাসিক কবি নিরুপমা দেবীর কবিতার পাতায় যেতে এখানে ক্লিক করুন . . .।
কবি নিরুপমা দেবী ২ - জন্ম গ্রহণ
করেন উত্তর প্রদেশের হোসেঙ্গাবাদে। তিনি
রবীন্দ্রানুসারী কবিদের অন্যতম।
নিরুপমা দেবীর কবিতা সম্বন্ধে যোগেন্দ্রনাথ গুপ্তের উদ্ধৃতি - পাতার উপরে . . .
কবি যোগেন্দ্রনাথ গুপ্ত তাঁর ১৯৩০ খৃষ্টাব্দে প্রকাশিত “বঙ্গের মহিলা কবি” গ্রন্থে, কবি নিরুপমা দেবীর জীবন
ও কবিতা নিয়ে বিস্তারিত লিখতে গিয়ে, তাঁর সেই সময়ের নব-প্রকাশিত “গোধূলি” কাব্যগ্রন্থ ও
কবির কবিতা নিয়ে ২৯৯-পৃষ্ঠায় লিখেছেন . . .
“ ‘গোধূলি’ --- নিরুপমার নব প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ ১৩৩৫ সালে বাহির হইয়াছে। ‘গোধূলির’ অনেক কবিতায়,
কবির কাব্যোত্কর্ষের পরিচয় দিতেছে। কিন্তু সুর ও ছন্দে কোন বৈচিত্র কিংবা অভিনবত্ব নাই। অনেকগুলি
কবিতা রবীন্দ্রনাথের সুর, ছন্দ ও ভাবের প্রতিধ্বনি বলিয়া মনে হয়---এক কথায় এই তরুণ কবির কবিতায়
রবীন্দ্রনাথের প্রভাব এত বেশী যে, অনেক কবিতা পড়িতে পড়িতে রবীন্দ্রনাথকেই মনে পড়িয়া যায়---স্থানে
স্থানে শব্দের মিলন, ঝঙ্কার, এমন কি ভাবের অভিব্যক্তি পর্য্যন্ত সুস্পষ্টরূপে চক্ষে পড়ে। ইহা সত্বেও
নিরুপমার নিজস্ব প্রতিভা আছে। ছন্দের ঝঙ্কার, শব্দ চয়নের নৈপুণ্য, ভাবের নূতনত্ব এবং অন্তরের প্রেরণা
আছে।
অনেক সময় কবির ব্যক্তিগত সুখ-দুঃখের চিত্র অজ্ঞাতসারে তাহার কাব্যে ছায়াপাত করিয়া যায়। সেই
ব্যক্তিগত দুঃখ ও বেদনাকে ছাড়াইয়া যে কবি বাহিরে বিশ্বের বেদনাকেও অনুভব করিয়া ছন্দে ও ভাবে
প্রকাশ করিতে পারেন তাহাকেই আমরা উচ্চস্রেণীর কবি বলিতে পারি। যিনি এইরূপ কবি তাঁহার কবিতা
আপনার ব্যক্তিগত সঙ্কীর্ণ গণ্ডির বহু ঊর্দ্ধে চলিয়া যায়। বিশ্বের প্রতি মানবের বেদনা কবি আপনার হৃদয়
দিয়া অনুভব করেন এবং আপনার কথা বলিতে বলিতে নিখিলের নরনারীর মর্ম্ম-বেদনা আপনা হইতেই
তাঁহার কাব্যের ভিতর দিয়া উচ্ছ্বসিত হইয়া উঠে। এইরূপ কবিত্বের ব্যঞ্জনা আমাদের দেশে রবীন্দ্রনাথ
ব্যতীত অতি অল্প কবির কাব্যেই দেখিতে পাওয়া যায়। বিদ্যুতের বিকাশের মত মাঝে মাঝে
নিরুপমার দুই একটি কবিতায় ঐরূপ বিশ্বজনীন ভাবের অভিব্যক্তি দেখিতে পাই---”