কবি নিস্তারিনী দেবী – প্রবাসী বাঙালী ছিলেন। পিতা কেশবদেব সান্যাল পশ্চিমাঞ্চলে বা উত্তর পশ্চিম
প্রদেশে ( গোক্ষপুরেই সম্ভবত ) একজন শিক্ষিত ব্যক্তি বলে পরিচিত ছিলেন। তাঁদের আদি নিবাস ছিল
রাজসাহীর পুঁটিয়া গ্রাম। বাংলার বাইরে থাকা সত্ত্বেও কবি পিতার তত্ত্বাবধানে বাংলাভাষা শিখেছিলেন।

কবির প্রথম কাব্যগ্রন্থ “মনোজবা” প্রকাশিত হয় বামাবোধিনী পত্রিকার সম্পাদক ও সিটি কলেজের অধ্যক্ষ
উমেশচন্দ্র দত্তর যত্নে ও উত্সাহদানে। কাব্যগ্রন্থটি ছাপা হয় কলিকাতা ইণ্ডিয়ান প্রেসে এবং প্রকাশিত হয়
গোরক্ষপুর থেকে ১৩১১ বঙ্গাব্দে (১৯০৪ খৃষ্টাব্দ)। বঙ্গের মহিলা কবির লেখক শ্রী যোগেন্দ্রনাথ গুপ্ত মনোজবা
কাব্যগ্রন্থ সম্বন্ধে লিখেছেন---  
. . . এক সময়ে এই কবিতা পুস্তকখানি বঙ্গীয় সাহিত্যসমাজে বিশেষ সমাদৃত হইয়াছিল এবং অনেকে ইহার
সমালোচনাও করিয়াছিলেন।

এই কবিতার বইখানি পড়িতে বসিলে সকলের আগে কবির পিতৃভক্তির প্রকৃষ্ট উদাহরণ পাওয়া যায়। পিতৃ
শোকাতুরা তনয়ার শোক নিবেদন অনেক কবিতার মধ্য দিয়া প্রকাশ পাইয়াছে। এতদ্ব্যাতীত ঈশ্বরপ্রেম,
মাতৃপ্রেম, ভ্রাতৃপ্রেম, সখিপ্রেম, স্বদেশপ্রেম প্রভৃতির পরিচয় মনোজবায় দেখিতে পাওয়া যায়।
”   

তাঁর অন্য প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ হল “কেশব জ্যোতি” এবং রাধাকৃষ্ণ বিষয়ক পৌরাণিক নাটক “মাথুর”।

আমরা যোগেন্দ্রনাথ গুপ্ত রচিত বঙ্গের মহিলা কবি বইতে দেওয়া, কবি নিস্তারিনী দেবীর একটি পূর্ণ ও দুটি
খণ্ডকবিতা এখানে তুলে দিলাম।

আমরা
মিলনসাগরে  কবি নিস্তারিনী দেবীর কবিতা তুলে আগামী প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে পারলে এই
প্রচেষ্টার সার্থকতা।

কবির একটি ছবি ও তাঁর জীবন সম্বন্ধে আরও তথ্য যদি কেউ আমাদের পাঠান তাহলে আমরা, আমাদের
কৃতজ্ঞতাস্পরূপ প্রেরকের নাম এই পাতায় উল্লেখ করবো।


উত্স --- যোগেন্দ্রনাথ গুপ্ত, বঙ্গের মহিলা কবি, শ্রাবণ ১৩৩৭ (১৯৩০)।    


কবি নিস্তারিনী দেবীর মূল পাতায় যেতে এখানে ক্লিক করুন


আমাদের ই-মেল -
srimilansengupta@yahoo.co.in     


এই পাতা প্রথম প্রকাশ - ২১.১০.২০১৪
...