হারিয়ে যাবার জন্যে আসিনি, এসেছি তোমাদের পরিশ্রান্ত শরীরের উপরে ছড়িয়ে ডালপালা ছায়া দেবো বলে |
সে পথ যেদিকে যাক চলে, কে যাবে কোথায়, তার ঠিকঠিকানার খোঁজ নিতে আমার কি দায় ?
অন্ধকার থেকে আসে, অন্ধকার ফিরে চলে যায়, তোমার আমার এই অবিচ্ছিন্ন আত্মার প্রবাহ | হাসপাতালের বেডে যে শিশু জন্মালো আর যে বৃদ্ধকে করে দাহ ফিরে এসে দেখি— ঘর আলো করেছে ঈশ্বর | স্রোত উভয়ত আছে
তবুও আমরা শিল্পে বসিয়েছি আনন্দের হাট---- ‘কিনে নাও সহজের একটুকরো জমি’---- এরকম আহাম্মক বলে | আজ চতুর ও চক্ষুষ্মাম প্রায় সকলেই |
দিন না ফুরাতেই বেলাবেলি বেরিয়েছি, দেখি কালো অন্ধ আজও আমার মতন দাঁড়িয়ে রয়েছে কিনা জেব্রাক্রশিং-এ | হাত ধরে পার করে দিতে চাই | মাথার উপরে ডালপালা হয়ে যদি হাঁটি, আমি এতোকাল যেভাবে পারিনি !
প্রজ্বলিত চিতার আগুনে ঝলসে য়ায় এক একটি দিন আমার দিনগুলো ঝলসে যায় প্রজ্বলিত চিতার আগুনে . আমি কিছুই ধরে রাখতে পারি না
কেই বা ধরে রাখতে পারে মণির উজ্জ্বলতা, স্বপ্নের দ্যুতিময় আলিঙ্গন দুঃখের হন্তারক যে বিস্ময় তার ভ্রূণকে ? কেই বা ধরে রাখতে সমর্থ অন্তর্গত শুভ্রতা তরঙ্গসঙ্কুল জাগরণ ? কোন্ সমুথ্বিত কৃষ্ণ হাত মুহূর্তের স্তব্ধ ক’রে দেয় নিরন্তর উত্তোলিত আনন্দ ওই অস্থির সমুদ্রের উষ্ণতা ? . ( একটি বিষন্ন পাখি স্থির বসে থাকে অনন্তে ) আমার দিন তার শরীর ঝলসে যায় সিল্কমসৃণ অবাধ্য চুলগুলো জিহ্বার তাপে কুঁকড়ে যেতে থাকে আমার দিন তার শুভ্র সুন্দর আঙুল দগ্ধ সরীসৃপের মতন কী বীভত্স আর ভয়ঙ্কর আমার দিন তার উন্নত রাজটিকাখচিত ললাটফলক আধপোড়া বহুমূল্য পুঁথির মতন পরিত্যাক্ত সম্ভাবনা
. হায় রে আমার আতরমাখানো দিন . মস্ লিন জড়ানো দুঃখীর সঞ্চিত ঐশ্বর্য