কতবার যে মোদের বুকের আগুন রয়ে রয়ে বিদেশী রাজপ্রাসাদ চূড়ায় ফেটেছে বাজ হয়ে তুমি আমি শত্রু নই তাই তোমার আমার মাঝে বিভেদ হেনে নিরাপদে নিজেরা বিরাজে তাহা কেমনে ভুলিলে
সাগর পারে শ্বেত বরণ কালনাগের বাসা এদেশে এখনও আছে সে যে সর্বনাশা সেথা আবার ঢুকেছে ভাই স্বদেশী সাপেরা এসো তুমি আমি মিলে ভাঙ্গি তাদের ডেরা মোরা মরবো তা না হলে |
ফুলের মত ফুটল ভোর কবি পরেশ ধর ( হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের কণ্ঠে রেকর্ড করা এই গানটি বাংলার সর্বকালের সেরা জনপ্রিয় গানের অন্যতম। গানটি শুনুন এখানে ক্লিক করে )
. ফুলের মত ফুটল ভোর, . ভাঙল মাঝির ঘুমের ঘোর, . যাত্রা শুরু হবে এবার হ’ল যে সময়, ঝিকিমিকি জল নদী টলোমল জোয়ার বয় রে বয় || . ঐ হাঁকছে মাঝি চোখে যাদের ঘুম, . ঐ চতুর্দিকে প্রতিধ্বনির ধুম | আয়, ফেলে দে মনের যত পিছু টানা সতর্ক সংশয় || ঝিকিমিকি জল নদী টলোমল জোয়ার বয় রে বয় ||
দৈত্য-তুফান এসে যদি ঢেউয়ের পাহাড় গড়ে লক্ষ দাঁড়ের আঘাতে সেই পাহাড় ভেঙে পড়ে | . ঐ ডাকছে সুদূর ডাকছে নীল গগন, . ঐ হাতছানি দেয় শান্তির স্বপন, আয়, পালে তোর বাতাস যদি খেলে তবে আবার কিসের ভয় || ঝিকিমিকি জল নদী টলোমল জোয়ার বয় রে বয় ||
মোদের গানের অঙ্গনে যদি মানুষ না পায় ঠাঁই, গানের আসর ভেঙে দাও তবে, আমরা সেথায় নাই || মরা-মাটি যদি গানের ধারায় না পায় সবুজ প্রাণ, মোদের গানের সুরে যদি পাখি না গায় নতুন গান, কবি যদি বলে, ‘আগামী দিনের ভরসা খুঁজে না পাই’ | গানের আসর ভেঙে দাও তবে, আমরা সেথায় নাই || কিষাণের হালে, নাবিকের পালে, মরু ও সাগর ঘিরে মোদের গানের রাগিণী যদি না ঝড়ে ও সমীরে ফিরে, জনতার প্রাণে যদি নাহি আনে সৃষ্টির প্রেরণাই গানের আসর ভেঙে দাও তবে, আমরা সেথায় নাই || নিখিলের প্রাণে শান্তি-মন্ত্র এ-গান যদি না তোলে, বিপ্লবী যদি এ-গানে কভু না প্রাণের মমতা ভোলে, মুক্তি-সেনানী যদি নাহি বলে, ‘সবার মুক্তি চাই’----- গানের আসর ভেঙে দাও তবে, আমরা সেথায় নাই ||
এটা যে নাই রাজার দেশ আমরা হেথায় হাওয়া খেয়ে সুখে আচি বেশ ভাত নাই কাপড় নাই চাকরি মোদের নাই মাথা গোঁজার ঠাঁই নাই ফুটপাথে ঘুমাই কয়লা নাই বিদ্যুৎ নাই বন্ধ হল কল দেশটা জুড়ে এমন কি ভাই নাই খাবার জল জনগণের দুর্দশা যে কবে হবে শেষ
ট্রামে বাসে জায়গা নাই অফিস যাওয়া দায় হাসপাতালে সিট নাই রোগীর প্রাণ যায় শুকনো মাঠে শস্য নাই গোলায় নাই ধান গাছে গাছে ফুল নাই নাই পাখির গান অভাবের এই ফিরিস্তিটা কোথায় করি শেষ শ্রদ্ধা নাই ভক্তি নাই নাইরে হৃদয় স্বার্থত্যাগের কথা নাই একী দুঃসময় অফিসে আর আদালতে নাই রে সততা নিরাপত্তা নাই জীবনে সর্বত্র ব্যর্থতা লড়াই ছাড়া এই জীবনে ঘুচবে না তো ক্লেশ
ক্ষুদিরাম, ও ক্ষুদিরাম তুমি বলে গিয়েছিলে ফিরে আসবে লাখো লাখো হয়ে তুমি আমাদের শত্রু নাশবে তুমি আসবে তাই জাগি নিশি-ভোরে মুক্তিমশাল রাখি বুকে ধরে তুমি এসে ডাক যদি দেশমাতা আবার যে হাসবে আমারা রয়েছি বন্দী এখনো আমাদের হাহাকার শোন শোন তুমি যদি ভাঙ যদি বেড়ী চোখে চোখে স্বপ্ন যে ভাসবে
মুরগী ক্যারক্যারায় মুরগী ক্যারক্যারায় ক্যারক্যারায় আন্ডা পাড়ে না মিথ্যে বুলি কপচায় তবু ঠমক ছাড়ে না
বলেছিলে তুমি যদি দেশের গদী পাও দুধে ভাতে খাবো দুঃখ হবে যে উধাও ( কিন্তু কি হল ? ) একবেলা খাই আরেক বেলা অন্ন জোটে না
বলেছিলে জমির মালিক চাষীরা হবে নিজের জমি নিজের ফসল নিজেরই ঘরে ( কিন্তু হয়েছে উল্টো ! ) এই জমি থেকে চাষী উচ্ছেদ বন্ধ হচ্ছে না
মজুর হবে কলের মালিক তাও বলেছিলে শোষণ বন্ধ হবে তুমি শাষন হাতে নিলে ( কিন্তু কি দেখছি----- ) ধনী ছাড়া কলের মালিক হতে পারে না বলেছিলে বেকারেরা চাকরি যে পাবে রোয়াক বাজী বন্ধ করে অফিসে যাবে ( কিন্তু ------ ) দিনে দিনে বাড়ছে বেকার চাকরি পাচ্ছে না
সমাজতন্ত্র আসবে দেশে বলেছিলে কত এখন দেখছি মালিক তোষণ তোমার মহান ব্রত কালোবাজার ছাড়া কোন জিনিস মেলে না
( কিন্তু এরকম বেশীদিন চলবে না------ ) এই চাষী মজুর একজোটে ভাই রুখে দাঁড়াবে আর সিংহাসনের থেকে তোমায় টেনে নামাবে মনে রেখো তুমি কিন্তু পার তো পাবে না