শান্ত নদীটি পটে আঁকা ছবিটি কবি পরেশ ধর ( হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের কণ্ঠে রেকর্ড করা এই গানটি বাংলার সর্বকালের সেরা জনপ্রিয় গানের অন্যতম। গানটি শুনুন এখানে ক্লিক করে )
শান্ত নদীটি পটে আঁকা ছবিটি একটু হাওয়া নাই জল যে আয়না তাই ঝিম ধরেছে ঝিম ধরেছে গাছের পাতায় পাল গুটিয়ে থমকে গেছে ছোট্ট তরীটি, আহা ছোট্ট তরীটি শান্ত নদীটি
উড়ছিল ঘুড়ি, গাছটি ডিঙিয়ে বন্ধ বাতাসে পড়ল ঝিমিয়ে ক্লান্ত সুরে ডাকছে দূরে ঘুঘু পাখিটি আহা ঘুঘু পাখিটি শান্ত নদীটি
দুষ্টু ছেলেটা গরমে ঘামে নদীর ঘাটে জলেতে নামে আহা গরমে ঘামে জমছে কালো মেঘ অন্ধকার ঘনায় তাই দেখে মাঝি আকাশে তাকায় রুদ্ধ ঝড়ে উঠবে নড়ে স্তব্ধ প্রকৃতি আহা স্তব্ধ প্রকৃতি , শান্ত নদীটি
শান্ত নদীটি পটে আঁকা ছবিটি একটু হাওয়া নাই জল যে আয়না তাই ঝিম ধরেছে ঝিম ধরেছে গাছের পাতায় পাল গুটিয়ে থমকে গেছে ছোট্ট তরীটি, আহা ছোট্ট তরীটি শান্ত নদীটি পটে আঁকা ছবিটি
কারখানা কলে কবি পরেশ ধর (বেচু দত্তর কণ্ঠে রেকর্ড করা এই গানটির সব কটি রেকর্ড ভেঙে ফেলেছিল গ্রামোফোন কোমেপানি, "আকাশবাণী'র আপত্তিতে। গানটি শুনুন এখানে ক্লিক করে)
এই কারখানা কলে ভাই খাটি দলে দলে তাই যত মেশিন চলে এই মোদের তাকত শুষে (হেঁই হেঁইয়ো হেঁইয়ো হেঁইয়ো)
সেই ভোরে বাঁশি বাজে এই আমরা আসি কাজে আর ঘরে ফিরি সাঁঝে ভাই পেটে খিদে পুষে (হেঁই হেঁইয়ো হেঁইয়ো হেঁইয়ো হেঁই হেঁইয়ো, হেঁই হেঁইয়ো, হেঁই হেঁইয়ো, হেঁই হেঁইয়ো)
এই মেশিনের সাথে মোদের বুকের দরদ বাঁধা (হেঁইয়ো হেঁইয়ো হেঁইয়ো হেঁইয়ো) ওদের গতির তালে তালে গানের কলি সাধা (হেঁইয়ো হেঁইয়ো হেঁইয়ো হেঁইয়ো) গহিন প্রাণের ব্যথায় যেন বলে ওরা হেঁকে মুক্ত মোদের কর অনাচারের কবল থেকে একসাথে ওঠো গুঁজে (হেঁই হেঁইয়ো হেঁইয়ো হেঁইয়ো)
এই কারখানা কলে ভাই খাটি দলে দলে তাই যত মেশিন চলে এই মোদের তাকত শুষে (হেঁই হেঁইয়ো হেঁইয়ো হেঁইয়ো হেঁই হেঁইয়ো, হেঁই হেঁইয়ো, হেঁই হেঁইয়ো, হেঁই হেঁইয়ো)
মুনাফা কলঙ্ক মাখা কালো বিষের বান (হেঁইয়ো হেঁইয়ো হেঁইয়ো হেঁইয়ো) মেশিন আর মজুরীর মাঝে হানল ব্যবধান (হেঁইয়ো হেঁইয়ো হেঁইয়ো হেঁইয়ো)
এসো মোরা নয়া সুরে গাহি দেহি তালী স্মরণ করি নয়া যুগের সুমধুর মিতালি এই মেশিনে মানুষে (হেঁই হেঁইয়ো হেঁইয়ো হেঁইয়ো)
এই কারখানা কলে ভাই খাটি দলে দলে তাই যত মেশিন চলে এই মোদের তাকত শুষে (হেঁই হেঁইয়ো হেঁইয়ো হেঁইয়ো)
সেই ভোরের বাঁশি বাজে এই আমরা আসি কাজে আর ঘরে ফিরি সাঁঝে ভাই পেটে খিদে পুষে (হেঁই হেঁইয়ো হেঁইয়ো হেঁইয়ো হেঁই হেঁইয়ো, হেঁই হেঁইয়ো, হেঁই হেঁইয়ো, হেঁই হেঁইয়ো)
ওরে ও নতুন দিনের পাখি আমার এই গান খানি হায় তোমার দেশে যায় নাকি, যায় নাকি ওরে ও নতুন দিনের পাখি
তুমি ডালিম রঙের ডানায় উড়ে উড়ে এসে ঘুরবে কবে আমার আকাশ জুড়ে এই বাতাস জুড়ে, সেই সোনালী দিনের কত বাকী ওরে ও নতুন দিনের পাখি আমার এই গান খানি হায় তোমার দেশে যায় নাকি, যায় নাকি ওরে ও নতুন দিনের পাখি
কত রঙিন স্বপন দেখছি বসে কত আলো ঝলমল দিনের ছবি আঁকছি বসে ,আর ভাবছি কবে পুব সীমানায় উঠবে নতুন রবি , কত রঙিন স্বপন দেখছি বসে কবে এই দেশের এই সবুজ মাটির পরে রাঙা আলোর কণা পড়বে ঝরে ঝরে আহা সোনার হরিণ সেই আশাটি আজ বুক বেঁধে রাখি ওরে ও নতুন দিনের পাখি আমার এই গান খানি হায় তোমার দেশে যায় নাকি, যায় নাকি ওরে ও নতুন দিনের পাখি
ধর্ম ছিল আফিম-সম যে দেশে কৃষ্ণপ্রেমে মজল সে দেশে অক্লেশে ন্যাড়া মাথা তিলক কাটা ছেলেরা গাউন ছেড়ে শাড়ি পরে মেয়েরা খোল কর্ত্তাল নিয়ে তারা সংকীর্ত্তন গায় লেনিন কান্দে, স্ট্যালিন কান্দে, কান্দে রাশিয়ায় . আহা কান্দে রাশিয়া
বড়ো বড়ো বুদ্ধিজীবী বিজ্ঞানী কৃষ্ণপ্রেমে মজলো কেন কি জানি সমাজতন্ত্র মিলিয়ে গেল ধনতন্ত্রে উড়ে গেল দেশের চাকা কি মন্ত্রে ক্রশ্চেভ এসে মার্কস লেনিন স্ট্যালিনকে হঠায় লেনিন কান্দে, স্ট্যালিন কান্দে, কান্দে রাশিয়ায় . আহা কান্দে রাশিয়া
রুশ যুবারা হয়ে গেল কৃষ্ণদাস রুশ যুবতী কৃষ্ণদাসী এ কি সর্বনাশ ধনতন্ত্র আসার ফলে এল দুর্নীতি মস্তানি আর খুনোখুনি মদ গাঁজায় প্রীতি ধনতন্ত্রের নীল বিষে দেশটা দেখ ছায় লেনিন কান্দে, স্ট্যালিন কান্দে, কান্দে রাশিয়ায় . আহা কান্দে রাশিয়া
সভ্যতার পশ্চাত্গতি কখনো কি হয় সমাজতন্ত্র ভেঙে কভু ধনতন্ত্র নয় সমাজতন্ত্রের পরে আসবে সাম্যবাদ সভ্যতার সবচেয়ে সেটা সুসংবাদ সেই সুদিনের জন্য মানুষ স্বপ্ন দেখে যায়, লেনিন স্ট্যালিন কান্দে না আর, কান্দে না--- . আর হায়
ডাইনে আমার হিন্দুজা, বাঁয়ে আমার আম্বানি কথা ও সুর – পরেশ ধর স্বপন দাসাধিকারী সম্পাদিত যুদ্ধ জয়ের গান থেকে নেওয়া
ডাইনে আমার হিন্দুজা, বাঁয়ে আমার আম্বানি আমি বড় কম্যুনিষ্ট, বড় খানদানি |
কোন কালে কার্ল মার্কস বলেছিলেন ভাই পূঁজিপতি শ্রেণীটাকে শেষ করা চাই ধনী গরিবের মাঝে যত ব্যবধান ধ্বংস করে দিলে হবে সকলে সমান এ সব ছেঁদো কথা এখন চলে না তা জানি |
দুনিয়াতে বর্তমানে শ্রেণী দ্বন্দ্ব নাই শ্রেণী সমন্বয়ের পথে চলেছি সবাই | শান্তিপূর্ণ পথে আমরা সমাজ পাল্টাবো পূঁজিপতির বুদ্ধি বিভব কাজে লাগাবো | মার্কস সাহেব জানতেন না রে এই নয়া বাখানি |
কৃষক জোতদারের এখন ঝগড়াঝাঁটি নাই মজুর মালিক দেখ কেমন মিলে গেছে ভাই হিন্দুজা আম্বানি আমার বন্ধু হয়েছে দেশের পালে এবার নয়া বাতাস লেগেছে | সৃজনশীল মার্কসবাদের বোঝ মর্মবাণী |