“মাতঙ্গিনী হাজরা” ..............................বড়াই।

.                        *

বধূ তুমি মাতা রূপে---- সন্তানের কামনায়,
জননী হইয়া তুমি শিশুর তাড়নায়-
মমতাময়ীর মাতৃ ক্রোড়ে  দুগ্ধপানে সন্তান, এ ছবিই যেন চির শাশ্বত,
স্নেহময়ী মায়ের জন্ম বৃত্তান্ত - যুগে যুগে  এই ব্রতই হোক পালিত |

.                *************          
.                                                                                     
উপরে    




মিলনসাগর   
পরিতোষ ঘোষ-এর কবিতা
যে কোন গানের উপর ক্লিক করলেই সেই গানটি আপনার সামনে চলে আসবে।
*
 
ভালবাসা নেই প্রাণে
প্রেম নেই, হৃদয়ের অন্য কোণে,
স্নেহ মমতা ভরা নেই কোন পরশ |

আছে শুধু মাদকীয় উন্মাদনা,
চরম উচ্ছৃঙ্খলতা, সাময়িক আচ্ছন্নতা,
ঘুম-ঘোর তন্দ্রালু আবেশের আনাগোনা |

পরের প্রজন্ম কি হবে তার পরিচয় ?
সেও কি ঘুম ঘোরে হবে আচ্ছন্ন,
জীবনের পরিচয় হবে কি অন্ধকারময় ?

আছে কি এর প্রতিকার ?
আছে সমাজের বুকে ভুরিভুরি !
সুড়সুড়ি আর কথার ফুলঝুরি |

চাই উপড়ে ফেলার অনুসন্ধান-
চাই উৎপাটন, চাই না শুধু প্রতিশ্রুতি
যদি বোঝে মানব সমাজ এর অকাল বিচ্যুতি !

.          ******************          
.                                                                                                   
উপরে    




মিলনসাগর   
১।
২।
৩।
৪।
৫।
৬।
*

.       ************

এখন রাত কিবা দিন,
এখন বিশ্বায়ন - চাই শিল্পায়ন,
সিঙ্গুর  নন্দীগ্রাম তুমুল আলোড়ন,
কৃষির স্বার্থরক্ষা না কৃষিজমি রক্ষা
বুবুক্ষা, ভিক্ষা আর প্রতিক্ষা
অবরোধ  প্রতিরোধ,
সাম্যবাদ  পুঁজিবাদ,
বিবাদ প্রতিবাদ,
শিল্পের মৃত্যু সংবাদ |
চলছে বেঁচে থাকার জন্য লড়াই,
চলবে লড়াই |

.       ************

ধ্বংস নয়   “ সৃষ্টি চাই”

.       *************          
.                                                                                     
উপরে    




মিলনসাগর   
*
যখন কাঁদে আরো অসহায় গরীব দুঃখীজন,
.                             তোমাদের ভাবতে ইচ্ছে হয় না !

এভাবে আর কতদিন ?
কৃষকের জীবন যদি ফসল না ফলায়-- শ্রমিকের জীবন যদি কারখানায় না যায়,
মজদুর যদি হাত গুটিয়ে থাকে- গরীব দুঃখীর জীবন সব অনাহারে মরে |
.                            ---- তবে তোমাদের মহাজীবনের মূল্য কি হবে ?
সোনার চামচ - রূপোর বাটিতে কি খাবে ?  অট্টালিকায় কে রবে ?
একদিন নগর সভ্যতা হারিয়ে যাবে  অসম সমাজ ব্যবস্থার যাঁতাকলে |
তাই চলো যাই এক সাথে হাত মেলাই - বন্ধ কারখানা আবার খুলি,
নতুন শিল্প গড়ে তুলি - জাগিয়ে তুলি ভেসে যাওয়া পরিবারগুলি,
করি উৎপাদন  করি কৃষির উন্নতি সাধন,
থাকুক কৃষকের গোলাভরা ধান - গড়ে উঠুক শ্রমিকের সুন্দর জীবন,
গড়ে তুলি ,সুন্দর সামাজতান্ত্রিক জীবন |

.                          *************          
.                                                                                     
উপরে    




মিলনসাগর   
*
একটা মৃত্যুর জন্য ঘোষিত হলো, আর একটা মৃত্যুর প্রচার |
সংগঠিত হলো মৃত্যুদন্ড, ফাঁসি - অপরাধীর সাজা দেওয়ার পালা,
আর এক দিকে চলল, মুক্ত করার নানান কৌশল, ছলাকলা |
নিন্ম আদালতে, উচ্চআদালতে - রায়, ফাঁসি, দড়ি ধরে মারো টান
দ্বিধাবিভক্ত সভ্যসমাজ, বিপদে পড়লেন জ্ঞানীগুনিজন |
চলল দেশব্যাপী আবেদন নিবেদন - জল্পনা, কল্পনা, প্রার্থনা,
স্বয়ং রাষ্ট্রপ্রধান মহান দায়িত্ব পালনে , সংশয়ে ছিলেন দোমনা |
অবশেষে করলেন ঘোষনা হ্যাঁ, দেওয়া হোক মৃত্যুদন্ডই,
আইনি মারপেচে চলল লড়াই, আইনজীবিদের কথার কতনা বড়াই |
আইনের বেড়াজালে জ্বরিত, পেশাদারী মানুষজন
আরোও যারা সমাজের, সংবেদনশীল বিশিষ্ট স্বজন |
আইনের কচকচানি শেষ, এলো এক নির্মম কালো রাত
সর্বশেষ হয়ে গেল ফাঁসি, যবনিকা পাত |

জ্বলল মোমবাতি হাতে হাতে
হলো প্রার্থনা গির্জায়, মন্দিরে, মসজিদে |
একসাথে চলল - মৃত্যুর প্রতি নিরবতা পালন,
লেখা হলো শোকবার্তা, শোকগাথা, শোক জ্ঞাপন |
প্রলোভন, ক্রোধ , কাম, লালসা, হিংসায়-
জর্জরিত সমাজ থেকে পাপ মুক্ত হবার আশায় |
“বন্ধ হোক, এই সামাজিক পাপক্ষয়”,
আর যেন না হয় -- হেঁতাল পারেখ , ধনঞ্জয় |

.                *************          
.                                                                                     
উপরে    




মিলনসাগর   
*
*
লাল রঙ - শক্তি, তারুণ্য, যৌবনের প্রতীক তোমাকে সেলাম |

            ******* ****** *****

এমনি ভাবে নানান ধরনের ফুল ফোটে, গন্ধ বিলায়
হঠাৎ একদিন নজরে এলো  দুটি প্রজাপতি মেতেছে আপন খেলায় |
কী সুন্দর উড়ছিল  মনের আনন্দে রঙিন দুটি পাখা মেলে,
এ ফুল থেকে ও ফুলে বসে মধু খায়, সারা বাগানময় বেড়ায় খেলে
আমার এই ছোট্ট বাগানে ওরা ঘুরে বেড়াচ্ছিল -- আমার ভীষণ আনন্দ হোল,
ওরা নির্ভয়ে আনন্দে ঘুরে বেড়াবার একটু জায়গা পেল
আমি খুশী হলাম  আমার সখের বাগান করা স্বার্থক হোল |

.                       *************          
.                                                                                     
উপরে    




মিলনসাগর   
কেউ ইঞ্জিনিয়ার - কেউ অফিসার- কেউ মস্ত বড় খোলোয়াড়,
কেউ বৃহৎ ব্যবসায়ী - কেউ বিখ্যাত অভিনেতা, কেউ জননেতা,
আরও যারা কোটি কোটি টাকার মানব জীবন |
তোমরাই যদি হও মহাজীবন |
.                                      ------- তোমাদের একটু ভাবতে ইচ্ছে হয় না !

যে মানুষগুলির জন্য চাই একটু অন্নসংস্থান,
মিছিমিছি রান্নাবাটি খেলা - সঙ্গী সাথীদের নিয়ে দু’বেলায়,
শিশুর আনন্দের সময় - এমনি ভাবেই দিনগুলি কেটে যায় |

.                        *

শিশু যখন ক্রমান্বয়ে - জীবনের দ্বিতীয় পর্যায়,
খেলাধুলা, পড়াশুনা, মেলামেশা, জীবন গঠনের সময়-
রূপান্তরিত হওয়ার স্বাদ লাগে - ধীরে ধীরে আপনার মনে জাগায়,
পার্থক্য বিচার করে জানান দেয় , প্রকৃতি আর পুরুষের পরিচয় |

.                        *

বালিকা যখন কোন নারীর ভূমিকায়,
অপরূপা রূপের মহিমায়
নারী তুমি সুন্দরী - জীবনের সন্ধিক্ষণে,
অনুভুতি ভালবাসা প্রেম জাগরণে
হঠাৎ যখন রূপবান পুরুষের কাতর আহ্বান,
ভালবাসা, শ্রদ্ধা, আদর, প্রীতি
প্রতিবেশী, বান্ধব, আত্মীয় স্বজন
আর যারা স্বামীর প্রীতিভাজন |

.                        *

এসেছেন “ভগিনী নিবেদিতা” নিবেদিত প্রাণ,
“মাদার টেরেসা” দুঃস্থ মানুষের কল্যান |
“সারদা মায়ের” কথা  জানি মোরা ভারত সন্তান.
পাখনা মেলে তিরতির
এ ফুল থেকে ও  ফুলে
ঘুরে ঘুরে বেড়ায়, রঙিন দুটি ডানা মেলে |

         *********

বাড়ীর সামনে, এক টুকরো খালি জায়গা দিয়ে
ছোট্ট একটা বাগান করেছি, স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে |
মাটিতো নেই, সখ করে নানান ধরনের গাছ লাগিয়েছি টবে,
ঠিক মনে নেই আমার, শুরু করেছিলাম কবে |

            ********* ******

গাছেদের কত কী নাম-
পাতাবাহার, মানিপ্ল্যান্ট , পাম,
কালমেঘ, বাসক, তুলসী, নিম,
লাউ, লংকা, পুঁই, টমাটো, ছিম
স্ত্রীর আবার ঝোঁক এসব গাছের প্রতি
লম্বা লম্বা পাটগাছগুলি টবের মধ্যে , দিনরাত করে মাতামাতি |
আছে নানান ধরনের জবা , টগর, কামিনী, সন্ধ্যামালতী,
হলুদ করবী, সেঁজুতি, রঙ্গন, লাল কলাবতী |

           *********   **********

এক একটা ফুল ফোটে আমার খুব আনন্দ হয়,
কামিনী ফুলগুলি যখন মন মাতানো গন্ধ ছড়ায় |
গাছ ভর্তি সাদা রঙের টগর ফুলগুলি  দূর করে মনের ক্লান্তি,
শুভ্রতায় , নির্মলতায় মনে আনে প্রশান্তি |
হলদে করবী ফুলগুলি যখন ফোটে