কবি রাজশেখর বসুর কবিতা
.                             ----/ ১২ /  ৪০

.          ****************               
.                                                                                    
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
২০ /  ১০ /  ৪৪

.       ****************               
.                                                                                    
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
পঞ্চাশ বত্সর পরে
( নরেনবাবুকে* )
কবি রাজশেখর বসু

Be old with me,
The best is Yet to be.
বুড়ো হও দুজনে থাকিয়া কাছে কাছে
উত্তম ফল এখনও বাকী আছে  ||
অনেক বছর দুজনে করেছ ঘর,
বহু দোষগুণ সহেছ পরস্পর |
যা কিছু ঘটেছে সব ভাল, সব ভাল,
আর যা ঘটিবে তাও ভাল, তাও ভাল |
বিধাতার যাহা ভাল লাগে ঘটে তাই,
চোখ কান বুজে সহা ছাড়া গতি নাই ||
সুখং বা যদি দুখং, প্রিয়ং যদি বা প্রিয়ম্  |
প্রাপ্তং প্রাপ্তমুপাসীত হৃদয়েনা পরাজিতঃ ||
সুখ বা দুঃখ প্রিয় অপ্রিয় যাহা পাও,
অপরাজিত হয়ে হৃদয়ে মেনে নাও ||
.                                        ১৮ /  ১ /  ৫৫

*বহুকালের বন্ধু, ‘আর্ট প্রেসে’--এর সত্বাধিকারী, পরে ‘সচিত্র ভারত’--এর সম্পাদক শ্রী
নরেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়
|

.                ****************               
.                                                                                    
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
ন মাস সাগর শুষিয়া সূর্য করেছে আমায় সৃষ্টি
বর্ষায় এই তিন মাস আমি করিব প্রচুর বৃষ্টি |
ছেলেমেয়ে আর বিজ্ঞানীগণ
সবুর করিয়া থাকুক এখন
দু শ চোদ্দ বত্সর পরে মিটিবে তাদের আশ
শরত্কালের বিমল আকাশে দেখিবে পূর্ণগ্রাস |
.                               ২০/৬/৫৫ ( সূর্যগ্রহণ )

সূর্যগ্রহণের দিন, বন্ধু নরেন মুখোপাধ্যায়ের দৌহিত্র শ্রীমান সুরঞ্জন দত্তকে |

.                ****************               
.                                                                                    
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
.                                ২২ / ৬ / ৪২

.            ****************               
.                                                                                    
সূচীতে . . .   


মিলনসাগর
*
ছবি - মণিকে
কবি রাজশেখর বসু
( মায়া ও স্নেহ চৌধুরি )

দিল্লি শহরচারিণী----
কারণ রবণের সব মোটা বাঁশের পেন,
তাও ভেঙে ফেলেছেন ||

রাবণকে এত্তেলা পাঠিও লঙ্কায় গিয়ে,
কালনেমি মামাকে একটা টাকা দিয়ে |
তিনি হচ্ছেন রাবণের সেক্রেটারি,
আহম্মক আর ঘুষখোর ভারী  |
রাবণ ডেকে বলবেন--- ‘কে তোমার কন্যে,
এখানে এসেছ কি জন্যে ?
তোমরা কি সীতার সখী না রামচন্দ্রের দূতী  ?
তোমাদের ঐ শাড়ি রেশমী না সূতী ?
পায়ে মল নেই কেন, কান কেন ঢাকা  ?
ভুরু দুটো আসল না কালি দিয়ে আঁকা  ?
তোমরা বলবে ---‘হুজুর আমরা দিল্লী-প্রবাসিনী
তরুণী বাঙালিনী অটোগ্রাফ প্রত্যাশিনী |’
রাবণ বললেন --- ‘আরে দিল্লীওয়ালী,
তোমরা তো ভারি বদখেয়ালী !
অটোগ্রাফ লেখা কি সহজ কথা  ?
আমার দশটা মাথায় এখন বড্ড ব্যথা |
দুটো টিপটিপ, তিনটে কনকন, পাঁচটা কটকট---
ওঃ, রাজকার্য কি ভজঘট !’

তোমরা বলবে ---- ‘মশাই রেখে দিন ওসব চালাকি,
মনে করলে আপনি পারেন ইন্দ্রলোক জয়,
এক মিনিটে করতে পারেন না কী ?
খাতায় লেখা তো কিছুই নয় |
যদি নিতান্তই লেখাপড়া না থাকে জানা
তবে দিন শ্রীহনুমানের ঠিকানা |
শুনেছি তিনি যেমন লড়িয়ে তেমনি লিখিয়ে
আপনাকেও অনেক কিছু দিতে পারেন শিখিয়ে |’

রাবণ বলবেন ---‘সব মিছে কথা,
তার ভারী তো ক্ষমতা |
টিকটিকির মতন ছিনে ছিনে হাত
তাতে হাজারটা মাদুলি আর গাঁটে গাঁটে বাত |
আহা কিবা লড়িয়ে, কিবা লিখিয়ে ! রোগা নাদাপেট,
ব্যাটা ইল্লিটারেট !
দাও তোমাদের কলম আর খাতা দশখানি,
এক্ষুণি লিখে দিচ্ছি আমার বাণী |’

এই ব’লে রাবণ লিখবেন এক সঙ্গে দশ হাতে
দশটা খাতার দশ পাতে----
সেকেলে আস্ত আর আধুনিক ভাঙা কবিতা,
আর অত্যাধুনিক গদ্য কবিতা, যাকে বলে গবিতা |
তোমরা মোটেই বুঝবে না সেই প্রচন্ড বাণী,
কিন্তু না-বোঝার যে আনন্দ তা পাব অনেকখানি ||

রাবণ বলবেন --- ‘আর নয়,  আমার এখন বিস্তর কাজ |’
এক মেয়ে
থেকে তাকে
বলেই ডাকে ||