এই ফাগুনে ডাক দিলে কে ? ও আমার স্বপ্ন --- আবেশে ভরা মন নিলো যে আমার মন কে পরিয়ে মালা কাছে এলো যে সোনা আলো হাসিতে, ফাল্গুনী বাঁশীতে ডাক দিল কে আজ মালঞ্চে মোর বুঝি হয়েছে ভোর আহা প্রাণের গোলাপে এত রঙ দিল কে ? ও তার ভালোবাসার আমি রূপসী তাই মরি আমায় দেখেছি আমি তারই দুই চোখে
ও নিরুপম সুন্দর মন তুমি আছ নয়নে ও রূপ দেখে সাধ যে মেটে না আরো দেখার সাধ জাগে তোমারই মত সুন্দর গো কে আছে এ ভূবনে সূর্য্যমুখীর বুকে যেমন জাগে আলোর পিয়াসা তুমিই জানো আমার প্রাণে লুকিয়ে আছে কি আশা সাধ জাগে সাজাতে তোমায়, মোর প্রণয়ের চন্দনে। পূজার থালায় ফুল রেখেছি, মনও আমার ফুল হলো কোন কুসুমে গাঁথবো মালা তুমি প্রিয় আজ বলো একসাথে দুলবো দুজনে, সুখ দুঃখেরই ঝুলনে
কতদিন দেখিনি তোমায় তবু মনে পড়ে তব মুখখানি স্মৃতির মুকুরে মোর মন আজও তব ছায়া পড়ে রাণী, কতদিন দেখিনি----- কতদিন তুমি নাই কাছে তবু হৃদয়ের তৃষা জেগে আছে প্রিয় যবে দূরে চলে যায় সে যে আরও প্রিয় হয় জানি, কতদিন হয়তো তোমার দেশে আজ এসেছে মাধবী রাতি তুমি জোছনায় জাগিছ নিশি সাথে লয়ে নূতন সাথী হেথা মোর দীপ নেভা রাতে নিদ্ নাহি দুটি আঁখি পাতে প্রেম সে যে মরীচিকা হায় এ জীবনে এই শুধু মানি ; কতদিন -----
মা --- মধুর আমার মায়ের হাসি চাঁদের মুখে ঝরে মাকে মনে পড়ে আমার ---- মাকে মনে পড়ে | তার মায়ায় ভরা সজল বীথি, সে কি কভু হারাই সে যে জড়িয়ে আছে, ছড়িয়ে আছে সন্ধ্যারাতের তারায় সেই যে আমার মা, বিশ্বভুবন মাঝে তাহার নেইযে তুলনা--- মধুর আমার তার ললাটের সিঁদুর নিয়ে ভোরের রবি ওঠে, আলতা পরা পায়ের ছোয়ায় রক্তকমল ফোটে প্রদীপ হয়ে মোর শিয়রে কে জেগে রয় দুঃখের ঘরে, সেই যে আমার মা, বিশ্বভুবন মাঝে তাহার নেই যে তুলনা |
খেলাঘর মোর ভেসে গেছে হায় নয়নের যমুনায় বাঁশী শুধু কেন নাম ধরে ডাকে আজো মোর আঙিনায় | নয়নের----- মালতীর মালাখানি রেখে গেলে অভিমানি আশার মুকুল সেথায় বিরহে ঝরিয়া যায় | নয়নের---- চৈতি রাতের আকুল উজল গান ভুলে গেলে তুমি দিলে না দিলে না দিলে না তো কোনও দাম | মোর যত আশা ফুল না পেল না তো আজো কুল কুল হতে শুধু দূরে চলে যায় নিরালায় | নয়নের ---
আ --- ও তোর জীবনবীনা আপনি বাজে দুঃখ সুখের তারে ভাঙা গড়ার নিত্য খেলা জীবন নদীর দুই পারে || এ জীবনে চলার পথে আনন্দে তুই গান করে যা কি পেলি তুই কি হারালি হিসাব করে কাজ কি বল তোর দুঃখ গাঁথার মিলন পাতায় ফুটবে সুখের কমল হৃদয় কাঁটার ব্যথা আপনি লয়ে ফুলগুলি তোর গান করে যায় || দিন দুনিয়ার মালিক যিনি, জীবন চলে যাঁর হাতে এক হাতে যার গরল আছে, অমৃত রয় এক হাতে আপন হাতে যা দেয় প্রভু, তাই নিয়ে তুই পান করে যা, ও তোর ---
যেথা গান থেমে যায় দীপ নেভে হায়, মিলনের নিশি ভোরে যদি মনে পড়ে, সেথায় খুঁজিও মোরে, যেথা গান থেমে যায় || সেই হারানো স্মৃতির দেশে, যদি দাঁড়াও ক্ষণিক এসে ভুল করে শুধু ডাকিও আমায়, ভুলে যাওয়া নাম ধরে | যদি মনে পড়ে---- তোমার সে ডাকে ঝরাফুল সাথে ফাগুন আসিবে ফিরে, মনে হবে একার প্রেম জেগে রয় মরা অতীতের তীরে মনে হবে কে তোমার ছিল সবচেয়ে আপনার কোন সে বিরহী তোমার ভুবন গিয়াছে শূন্য করে | যদি মনে যদি মনে পড়ে, সেথায় খুঁজিও মোরে…
এমনি বরষা ছিল সেদিন, শিয়রে প্রদীপ ছিল মলিন তব হাতে ছিল অলস বীন, মনে কি পড়ে প্রিয় ? আমি শুধানু তোমায় বলো দেখি, কোনদিন মোরে ভুলিবে কি , আঁখিপাতে বারি দুলিবে কি, আমার তরে প্রিয় ? এমনি বরষা ছিল... মোর হাতখানি ধরে কহিলে ,হায় মন দিয়ে মন ভোলা কি যায় ? কাঁদিবে আকাশ মোর ব্যথায়, বাদল ঝরে প্রিয় হায় তুমি নাই বলে মোর সাথে , তাই কি বিরহ বরষাতে এত বারি ধারা আজি রাতে, অঝরে ঝরে প্রিয় | এমনি বরষা...
কথা - প্রণব রায়, সুর - কমল দাশগুপ্ত, কণ্ঠ - কানন দেবী ছায়াছবি - উদয়ের পথে
আমি বনফুল গো ছন্দে ছন্দে দুলি আনন্দে, আমি বনফুল গো বাসন্তীকার কন্ঠে আমি মালিকা দোদুল গো, আমি বনফুল বনের পরী আমার সনে খেলতে আসে কুঞ্জবনে ফুল ফোটানো গান গেয়ে যায়, পাপিয়া বুলবুল গো, আমি বনফুল--- পথিক ভ্রমর শুধায় মোরে, সোনার মেয়ে নাম কি তোর বলি ফুলের দেশের কন্যা আমি চম্পাবতী নামটি মোর লতার কোলে চাঁদনীরাতে, বাসর জাগে চাঁদের সাথে ভোরের বেলা নয়ন কোলে দোলে শিশির দুল গো | আমি বনফুল---