কবি প্রণবেন্দু দাশগুপ্তর কবিতা
|
নিরুপমা
আরো কাছে টেনে আনো
আরো গভীর
বাহির শুধু টাল-মাটাল
ভিতরে স্থির
শরীরে গাছ বেড়ে ওঠে
দোলে শিকড়,
ভেঙে যায় ছাল-বাকল
পুরনো ঘর
আরো নিচে প্রহেলিকা
বিবাদী জল
নতুন প্রাণ, হে অফুরান
অনর্গল!
. **************** সূচীতে . . .
মিলনসাগর
তারা-ভরা আকাশের দিকে তাকিয়ে পাস্কালের কথা
. মনে না প’ড়েও
ভূতে অস্ফুট কীর্তন-ধ্বনি ভেসে আসে কানের ভেতরে।
“দুটোই কি করা যায় না একসঙ্গে ?”--- কে যেন শুধাল,
তারপর হো হো ক’রে হেসে একটু বাইরে তাকিয়ে দেখে
সমুদ্র কী একটা যেন ছোঁ মেরে কোথায় নিয়ে গেল।
মাতাল মাতালকে বলল বাড়ি চ’লে যেতে,
বদমাইসির রেল কাঁকড়ার গর্তের ফাঁকে র’য়ে গেল শুধু॥
. **************** সূচীতে . . .
মিলনসাগর
আমি দিকচক্রবাল ঘুরে
কবি প্রণবেন্দু দাশগুপ্ত
আমি দিকচক্রবাল ঘুরে
চেয়েছি তখনও।
জল, স্বৈরিণী জল, অন্য কোনো প্রেমিকের দিকে
চলে যেতে চায়--- আমি লক্ষ করেছি।
সিন্ধুসারস শুধু চোখ মেলে দেখে নিতে চায়
কোন দিক থেকে এসে, হাওয়া তার
পালক কাঁপাবে।
ঝাউবনে অনেক হৃদয় বাঁধা থাকে,
আমি, রাস্তা দিয়ে যেতে, সব দীর্ঘশ্বাস
শুনতে পেয়েছি।
আমি দিকচক্রবাল ঘুরে
একটু বুঝেছি, প্রেমের কাঙাল এই মানুষেরা
দীর্ঘদিন একা একা থাকতে পারে না।
সে যেমন বৃক্ষ থেকে নীরবতা শেখে, মানুষীর কাছ থেকে
সে আবার চঞ্চলতা বুঝে নিতে চায়।
সে কখনো স্থির হয়, কখনো বা কিছুটা অধীর
হয়ে খোলা মাঠে পায়চারি করে।
দু’একটা উড়ন্ত মেঘ বৃষ্টি হয়ে ঝরে যাবে বলে
ধানের ক্ষেতের মতো সে কখনো উল্লসিত হয়।
তারপর বৃষ্টি নেমে আসে ?
এইভাবে, জলে ও ডাঙায়
. ঘুরে ঘুরে দেখেছি, মানুষের ভালোবাসা
এখনো কোথায় যেন বাধার সামনে এসে