লাল পার্টির যত বীর কমরেড কথা -- প্রতুল মুখোপাধ্যায় স্বপন দাসাধিকারী সম্পাদিত যুদ্ধ জয়ের গান থেকে নেওয়া
লাল পার্টির যত বীর কমরেড সর্বহারা জনতার সঙ্গী যারা সব-সেরা হাতিয়ার আজ তোমাদের মহান মাও-সে-তুঙ বিচারধারা
রাখো তিন শৃঙ্খলা আর আটদিকে মন শেখালেন আমাদের চেয়ারম্যান মাও ( সাচ্চা লাল ফৌজ হতেই হবে লাল নিশানের তলে পপথ নাও ) এক সব কাজে পার্টির আদেশ মানো . এর ভুল হবে না কখনও কোথাও দুই যা হবে দখল সব পড়বে জমা . ভুল যেন না হয় কখনও কোথাও তিন বড় শৃঙ্খলা সামনে রেখে, জনতার সঙ্গে আজ . মিলেমিশে যাও
এই তপ্ত অশ্রু দিক শক্তি কথা -- প্রতুল মুখোপাধ্যায় স্বপন দাসাধিকারী সম্পাদিত যুদ্ধ জয়ের গান থেকে নেওয়া অনুপ্রেরণা থাকিন থান টুন, মাও-সে-তুঙ
এই তপ্ত অশ্রু দিক শক্তি এই শোকের আগুন জ্বালাক দ্বিগুণ চিরশত্রুর পরে ঘৃণার আগুন জ্বলুক জ্বলুক দাবানল | দাবানল জ্বলুক দাবানল ---- দিকে দিগন্তে ছড়িয়ে পড়ুক বিপ্লবের দাবানল |
শোনো শহীদের ডাক সাহসী হও সংগ্রামের পথে সাহসী হও হাজার বাধার মুখে সাহসী হও আত্মত্যাগের পথে সাহসী হও উন্নতশির চল জয়যাত্রায় হও মুক্তিপণে অবিচল | দাবানল জ্বলুক ------ সামনে মোদের কত বীর শহীদ মুক্তিযুদ্ধে দিল জীবনবলি এস তাদের পতাকা তুলে উর্দ্ধে’ তাদেরই রক্ত চিহ্ন ধরে এগিয়ে চলি |
শোনো শহীদের ডাক সাহসী হও সংগ্রামের পথে সাহসী হও হাজার বাধার মুখে সাহসী হও আত্মত্যাগের পথে সাহসী হও উন্নতিশির চল জয়যাত্রায় হও মুক্তিপণে অবিচল দাবানল জলুক |
আসে বিপ্লবের আহ্বান জাগে লাঞ্ছিত সর্বহারা কথা -- প্রতুল মুখোপাধ্যায় স্বপন দাসাধিকারী সম্পাদিত যুদ্ধ জয়ের গান থেকে নেওয়া [ ‘লাল লন্ঠন’ নাটকের সংলাপ অবলম্বনে গীতিরূপান্তর ( চীনা সুর ) ]
আসে বিপ্লবের আহ্বান জাগে লাঞ্ছিত সর্বহারা দেখ জ্বলে ওই লাল লন্ঠন মহান মাও-এর চিন্তাধারা পথ দেখায় পথ দেখায় পথ দেখায় আজ লাল লন্ঠন দুনিয়ার সর্বহারায় পথ দেখায় আজ লাল লন্ঠন
দেখ হাতে এই লাল লন্ঠন মহান বিপ্লবেরই প্রতীক মন যদি হয় দিশাহারা লাল লন্ঠন দেখায় দিক পথ দেখায়----
আসুক না আঁধার রাত ঝোড়ো হাওয়া বহুক শনশন আমাদের হাতে অর্নিবান জ্বলে জ্বলবে লাল লন্ঠন পথ দেখায়---
আজ বীরমুক্তি ফৌজের পদধ্বনি যায় যে শোনা লাল লন্ঠনের আলোয় দীপ্ত পথের নিশানা পথ দেখায়---
মহান্ পার্টির পতাকাতলে হয়েছি, আজ চিরনির্ভর বীর গেরিলার মোরা কমরেড এই ত আমাদের পরিচয় পথ দেখায়----
বড় সুখবর শুনিলাম বাঘা জোতদার মরিল নাকি কথা -- প্রতুল মুখোপাধ্যায় স্বপন দাসাধিকারী সম্পাদিত যুদ্ধ জয়ের গান থেকে নেওয়া রচনা --১৯৬৯
বড় সুখবর শুনিলাম বাঘা জোতদার মরিল নাকি গেরিল্লা কিষাণের ঘায়ে জোতদার মরিল নাকি চাপিয়া মোদের পরান ছিল জগদ্দল পাষাণ কিষাণের এক ঘায়ে সে পাষাণভার সরিল নাকি, পুরানো দিন নাইরে আর দেখরে জনতার বিচার সে বিচার, রক্তচোষা, কেমনে দিবিরে ফাঁকি ? কাঁপে শয়তানের বৈঠকখানা হইল প্রভুর চোখ কানা দেশ করতে ঠাণ্ডা হাতে ডাণ্ডা . পাঠায় পুলিশ শাদা খাকি বাহাদুর গেরিলা ভাই ( আজ ) যুদ্ধে সামিল জনতাই জলের মধ্যে মাছের মত লড় জনতার সঙ্গে থাকি |
সুর দিগন্ত আলো করে সূর্য ওঠে কথা -- প্রতুল মুখোপাধ্যায় চীনা সুর অবলম্বনে স্বপন দাসাধিকারী সম্পাদিত যুদ্ধ জয়ের গান থেকে নেওয়া
সুর দিগন্ত আলো করে সূর্য ওঠে সূর্য ওঠে ওই রক্তরাঙা ছড়ায় সে আলো তার দিকে দিকে শুরু সবহারা বন্দীর শেকল-ভাঙা ! যুদ্ধ শুরু শেষ যুদ্ধ শুরু শত্রুর বুক করে দুরু দুরু | হাতিয়ার হাতে আজ সর্বহারা রক্তের ঋণ শোধ করবে তারা | আগুন জ্বলে আগুন জ্বলে দিকে দিকে বিদ্রোহ-আগুন জ্বলে | বলে কারা বিপ্লবী মুখোশ পরে আজ নয় আজ নয় অনেক পরে শত্রুর চেয়ে বড় শত্রু তারা চিনবে এদের ঠিক সর্বহারা শুনেছে কে কোন্ ওদিন আঘাত ছাড়াই শান্তিতে সরে গেছে অত্যাচারী সংগ্রাম চিরদিন-ই রক্তরাঙা ওই সূর্য রক্তরাঙা সাক্ষী তারই |
আমাদের বিপ্লবী কাজে নেতৃত্বের কেন্দ্রশক্তি বল কি কথা -- প্রতুল মুখোপাধ্যায় স্বপন দাসাধিকারী সম্পাদিত যুদ্ধ জয়ের গান থেকে নেওয়া ( Red Book--এর প্রথম উদ্ধৃতি অবলম্বনে চীনা সুর )
আমাদের বিপ্লবী কাজে নেতৃত্বের কেন্দ্রশক্তি বল কি জানি সে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি মার্ক্স বাদী লেনিনবাদী হে--------------- যুগ যুগ জিয়ে চেয়ারম্যান মাও . জিন্দাবাদ লিন পিয়াও . যুগ যুগ জিয়ে চেয়ারম্যান মাও . জিন্দাবাদ চারু মজুমদার আমাদের চিন্তাধারা পথনির্দেশে তত্ত্বের কী আছে বনিয়াদ জানি সে বনিয়াদ অজেয় মহান্ মার্ক্সবাদ লেনিনবাদ হে-------------
সামাজ্যবাদ যবে ধ্বংসের মুখে হয়েছে দিশাহারা জানি সে যুগের মার্ক্সবাদ লেলিনবাদ মাও -সে তুঙ চিন্তাধারা হে--------- চীনের চেয়ারম্যান আমাদের চেয়ারম্যান চীনের পথ আমাদের পথ জয় আমাদের হবেই রেডবুক হাতে নিলাম মুক্তির শপথ হে ----------
ঘর পুড়েছে সব গিয়েছে বলেন তো যাই কোথা? কথা -- প্রতুল মুখোপাধ্যায় স্বপন দাসাধিকারী সম্পাদিত যুদ্ধ জয়ের গান থেকে নেওয়া রচনা--- ১৭ জানুয়ারী, ১৯৯৩
ঘর পুড়েছে সব গিয়েছে বলেন তো যাই কোথা? দেশের বড় শত্রু এখন সাম্প্রদায়িকতা ! সাম্প্রদায়িকতা দূর হোক সাম্প্রদায়িকতা সব চেয়ে বড় শত্রু এখন সাম্প্রদায়িকতা জনগণের কাছে আমরা রাখছি আবেদন রুখুন সাম্প্রদায়িকতা একসাথে প্রাণপণ | নেতারা সব ভাষণ দিচ্ছেন ময়দানে মিনারে, বুদ্ধিজীবী ব্যস্ত এখন ওয়ার্কশপ সেমিনারে | সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে কী করে যায় আনা ? --- শোনপাপড়ি না কি বললেন, তা দেন না দু’চারখানা | যুগ যুগ সঞ্চিত বিষ দূর করা দরকার করতে হবে নতুন করে চেতনা সঞ্চার | চেতনা সঞ্চার নতুন চেতনা সঞ্চার জনগণের মধ্যে নতুন চেতনা সঞ্চার কোথা থেকে এল কী করে হয় দূর ? এ বিষয়ে অসংখ্য মত, বিতর্ক প্রচুর | ব্যাপারটাকে দেখতে হবে বিভিন্ন অ্যাঙ্গেলে --- কী হবে আর দেখে শুনে না খেয়ে প্রাণ গেলে আপনারা ঐ দেখাদেখি ভাবাভাবি করুন চলেছি ভাত রুটির খোঁজে, এবার সরে পড়ুন | মুখ্যু মানুষ, তবু বলি, বুঝতে চান তো বুঝুন বিষ যদি বা থাকে সেটা অন্য কোথাও খুঁজুন | কার পকেটে বিষের প্যাকেট, আমরা সেটা জানি | কার ইশারায় সারা দেশে চলল হানাহানি ? খুঁজতে থাকুন, আমরা কিন্তু দেখছি পরিস্কার আচ্ছা তবে আসুন, খোদা হাফিজ, নমস্কার |