সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই কথা -- প্রতুল মুখোপাধ্যায় স্বপন দাসাধিকারী সম্পাদিত যুদ্ধ জয়ের গান থেকে নেওয়া রচনা -- ১৮ জানুয়ারী, ১৯৯৩
সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই চুপ করে থাক, কথা বোলোনাকো চণ্ডীদাস গোঁসাই | ---- একই বৃত্তে দুটি ফুল মোরা হিন্দু মুসলমান বিলকুল ভুল, নজরুল তুমি বন্ধ কর জবান | আমাদের হাতে নেশার পাত্র, ভনভন করে মাছি ভাইয়ের রক্ত সারা গায়ে মেখে বড় আনন্দে আছি |
যেখানেই জনগণ সংগ্রামরত কথা -- প্রতুল মুখোপাধ্যায় স্বপন দাসাধিকারী সম্পাদিত যুদ্ধ জয়ের গান থেকে নেওয়া রচনা----২২ /২৩ ডিসেম্বর, ১৯৮২ ( ভারত-চীন মৈত্রী সমিতির কোটনিস স্মরণ সভার জন্য লেখা )
আর কেঁদোনা, মা, আমায় যেতে দাও গীতিরূপান্তর ও সুর--- প্রতুল মুখোপাধ্যায় স্বপন দাসাধিকারী সম্পাদিত যুদ্ধ জয়ের গান থেকে নেওয়া রচনা -- ১৯৮৪, ১৯৮৫ [ ফ্রেজিকো ম্যাকের একটি দীর্ঘ কবিতার প্রথম স্তবকের বাংলা অনুবাদ অবলম্বনে গান | বাংলা অনুবাদটি সিসৃকা পত্রিকার ১৯৮৪-র কোনো সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল | রূপান্তরে পরিবর্তন ও সংযোজন করা হয়েছে | যেমন শেষ পংক্তিটি কবির সংযোজন | ]
আর কেঁদোনা, মা, আমায় যেতে দাও | আকাশে বিদ্যুত্সঙ্কেতে ভেসে ওঠে আমার গান | বজ্র নির্ঘোষে আসে ডাক---- যেতে হবে সেই পথে যে পথে মুক্তির অঙ্গীকার আর কেঁদোনা মা ---- আমার সঙ্গীরা চলে গেছে সে পথে অনেক আগেই ফিরবে না, ফিরবে না আর কোনদিন তোমার বাগানের গোলাপ ফুলেরা আজও বয় সেই সব তরতাজা গোলাপ ফুলের স্মৃতি কেঁদোনা মা আর কেঁদোনা আর তোমার ছেলেরা ডাকে, তোমার ছেলেকে আজ আর কেঁদোনা মা -----
আমরা চূর্ণ করেছি পাহাড় ভাষান্তর ও গীতিরূপান্তর --- প্রতুল মুখোপাধ্যায় স্বপন দাসাধিকারী সম্পাদিত যুদ্ধ জয়ের গান থেকে নেওয়া [ জর্জ রেবেলার কবিতার ইংরেজি অনুবাদ অবলম্বনে ] রচনা---মার্চ, ১৯৮৩
আমরা চূর্ণ করেছি পাহাড়, টুকরো করেছি বোল্ ডার, বিরাট বিশাল প্রোজেক্ট গড়ে ওঠে কিন্তু খাটে কারা ? আর কারাই বা লোটে ?
আমরা আগাছা করেছি সাফ চাষ করেছি খেতে সারা মাঠ জুড়ে দেখ শস্যের কি সম্ভার, আমাদেরই ঘাম দিয়ে, জল দিয়ে তো নয় | কিন্তু সে ফসল কার ? খুঁদকুঁড়ো কার জোটে ?
আমরা সূতো বুনি, চালাই তাঁত রাতদিন দিন রাত বানিয়ে চলি কতো ঝলমলে রঙীন পোশাক আমাদের নাড়ী দিয়ে, সূতো দিয়ে নয় | কিন্তু কারা পায় ওম ? কারা মরে শীতে ?
আমি কি গান গাব যে ভাবে না পাই কথা -- প্রতুল মুখোপাধ্যায় স্বপন দাসাধিকারী সম্পাদিত যুদ্ধ জয়ের গান থেকে নেওয়া রচনাকাল--- জানুয়ারী --অগস্ট ১৯৯০
আমি কি গান গাব যে ভাবে না পাই আমি কি গান গাই যখনই গাই, আমি দেখতে পাই কোথা থেকে গান আমার সামনে দাঁড়ায় বন্ধুর মত তার দু হাত বাড়ায়--- বলে এসেছি ফের, তুমি ডেকেছ তাই শুধু এখানে নয় চল সেখানে যাই |
এখানে নয় মানে ! যাব কোথায় : তোমার গান রোজ যেখানে যায় হয়নি তাদের পথ, হাতে মেলাই হাত ছুঁই তাদের দিন, ছুঁই তাদের রাত | আমি কি গান গাব যে ভেবে না পাই, আমি কি গান গাই |
যখনই গাই আমি দেখতে পাই কোথা থেকে গান আমার সামনে দাঁড়ায় বন্ধুর মত তার দুহাত বাড়ায় বলে এসেছি ফের, তুমি ডেকেছ তাই শুধু এখানে নয়, চল সেখানে যাই |
এখানে নয় মানে, যাব কোথায় ? তোমার গান রোজ যেখানে যায় তোমার গানে যারা প্রাণ ছোঁয়ায় চল তাদের কাছে তারা তোমাকে চায় | চলো সেখানে যাই, সেই শহর গ্রাম সেখানে তারা খাটে, কঠোর ঘাম হাঁটি তাদের পথ, হাতে মেলাই হাত ছুঁই তাদের দিন, ছুঁই তাদের রাত
নইলে মাইনে কাটা শুকনো ডাটা চিবাও শুকনো মুখে দেশের ভালো বুঝবে না তো, শেখো থেকে ভুখে তারা যা খুশি তাই----
তারা যা খুশি তাই করতে পারে পুরুষ মহারাজ তারা করবে শাসন, জন্মশাসন সেটা তোমার কাজ খাও জড়িবুটি ইটিউটি যা হয় তা করো সন্তান বন্ধ, ভ্রূণ বধ বা নিজে প্রাণে মরো নইলে দেশের বিপদ নইলে দেশের বিপদ বাঁচার কি পথ নিজেরা শেখালো গরীবগুলো যত কমে দেশের তত ভালো জয় মালঘুসবাবা বোকাহাবা বুঝেছি এই সত্য গরীব দেশে চান তোমার পচাগলা তত্ত্ব আহা গরীব মরুক
আহা গরীব মরুক ধনী বাঁচুক কথা চাছাছোলা গান ফুরাল এবার চলো খাই কোকাকোলা, এই শেয়ালদায়