আরব্য রজনীর কথা নয়রে এটা ভাই কথা ও সুর -- প্রতুল মুখোপাধ্যায় স্বপন দাসাধিকারী সম্পাদিত যুদ্ধ জয়ের গান থেকে নেওয়া রাধারমন ঘোষের ‘চিচিং ফাঁক’ নাটকের জন্য প্রথম দুটি লাইন নাটকে ছিল, ১৯৭৯
আরব্য রজনীর কথা নয়রে এটা ভাই, সর্বযুগের কাহিনী --- তা সবারে জানাই, হায়রে কবে কেটে গেছে আলিবাবার কাল তবু দুনিয়া জুড়ে দেখ ---- ছি ছি এত্তা জঞ্জাল জালিমের জঞ্জীরে বাঁধা বাঁদী আর গোলাম বিকিকিনির হাটে হায় ইনসানিয়ৎ নীলাম | ইজ্জত নীলাম ইনসানিয়ৎ নীলাম |
আমি শুনেছি তোমার ড্রামের শব্দ, ফিরে এসো আফ্রিকা [ ফয়েজ আহমেদ ফয়েজের কবিতার নীলাঞ্জন দত্তের অনুবাদ অবলম্বনে গীতিরূপান্তর ও সুর - প্রতুল মুখোপাধ্যায় | মাই বুইয়ে-ই-আফ্রিকা : আমাদের আফ্রিকা ফিরে আসুক | দক্ষিণ আফ্রিকার ভাষায় এই প্রচলিত স্লোগানটি গীতিরূপে ব্যবহার করা হয়েছে, যা মূল কবিতা বা তার অনুবাদে ছিল না ] মার্চ---১৯৮৬, স্বপন দাসাধিকারী সম্পাদিত ‘যুদ্ধ জয়ের গান’ থেকে নেওয়া |
আমি শুনেছি তোমার ড্রামের শব্দ, ফিরে এসো আফ্রিকা আমার রক্ত দ্রুততালে নাচে, ফিরে এসো আফ্রিকা ফিরে এসো, ফিরে এসো, ফিরে এসো আফ্রিকা মাই বুইয়ে-ই আফ্রিকা, মাই বুইয়ে-ই আফ্রিকা . ( দ্রিম দ্রিম দিদিম দ্রিম )
ধুলোর স্তুপের থেকে আজ আমি উঠে দাঁড়িয়েছি, ফিরে এসো, দু’চক্ষু থেকে দুঃখের ছানি সরিয়ে দিয়েছি, ফিরে এসো, হাত দুটি আমি ছাড়িয়ে নিয়েছি বেদনার থেকে, ফিরে এসো, ( আমি ) ছিন্ন করেছি বঞ্চনা জাল, ফিরে এসো আফ্রিকা ফিরে এসো, ফিরে এসো, ফিরে এসো আফ্রিকা মাই বুইয়ে-ই আফ্রিকা মাইয়ে-ই আফ্রিকা . ( দ্রিম দ্রিম দিদিম দ্রিম ) হাতকড়া ছিল যে হাতে, এখন সে হাতে অস্ত্র, ফিরে এসো | জলায় জ্বলছে বর্শাফলকে চিতার চক্ষু, ফিরে এসো | রাতের কালোয় লাল ছিটে লাগে শত্রু রক্তে, ফিরে এসো ফিরে এসো, ফিরে এসো, ফিরে এসো আফ্রিকা মাই বুইয়ে-ই আফ্রিকা মাই বুইয়ে-ই আফ্রিকা | . ( দ্রিম দ্রিম দিদিম দ্রিম ) আমার বুকের স্পন্দন আজ সারা পৃথিবীতে, আফ্রিকা নাচে নদী, নাচে নদী--- নাচে নদী আর অরণ্য দেয় সাথে সাথে তাল, আফ্রিকা | তোমার রূপকে ধার নিয়ে দেখি, আমিই এখন আফ্রিকা | আমি আজ তুমি, চলেছি তোমার সিংহের চালে, আফ্রিকা ফিরে এসো, ফিরে এসো, ফিরে এসো আফ্রিকা ফিরে এসো আজ সিংহের মতো কেশর দুলিয়ে, আফ্রিকা ফিরে এসো, ফিরে এসো, ফিরে এসো আফ্রিকা মাই বুইয়েই আফ্রিকা মাই বুইয়েই-ই আফ্রিকা |