মানুষের ক্ষমতার পরিমাপ করেছে দুজন
একজন মরুপথে পেয়েছে সে জীবনসন্ধান
সৃষ্টির প্রাচুর্যে ভরা সংসারে সাজানো বাগান
হলাহল কোলাহলে নয়---- চুলচেরা অভিমান নয়
নিঃশেষ ভালবেসে, সবকিছু দিতে গিয়ে
অহিংসার বেদীমূলে লিখে রাখে জীবনের নয়া অভিধান,
মহাত্মা গান্ধীর নামে নত আসমান |
অন্যজন সাগরের গর্জনে কাঁপায় পৃথিবী
কিচু ভাঙ্গে মাস্তুল,
কিছু কিছু দিতে হয় রক্তের মশুল----
তারপর সাগরের মহামূল্য মুক্তার মত
রক্তের আল্পনা মাঝে---
জীবনের হৃদপিন্ড জাগে |
বাঁচার কায়দা শিখে সবাইকে করেছে সমান
সেইজন কমরেড মাও---- তারি কাছে মাথা পেতে দাও |
বেজিং এর মহাকেন্দ্র
এশিয়ার গণতীর্থ
তিয়েনমিয়েন তীরে চল যাই
চেয়ারম্যানের কাছে
শিখে নেই মাথা পেতে পৃথিবীর কথা
মানুষের কোন শ্রেণী কোন বর্ণ নাই |
অবশেষে অপরাহ্নে এই সত্য শুধু
বকুল সুবাস মত মানুষের স্মৃতি,
সাবরমতীর ভাষা প্রশান্তির বিশ্বলোক হ’ল
তিয়েনমিয়েন থেকে অন্ধকার প্রদীপের আলো ||
. ******************
. সুচিতে...
মিলনসাগর
কবি প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সীর কবিতা
|
চল যাই
প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সী
কখনো বা পৌষমেলার হিমে বোলপুরের গভীর নিশিথে
কেন্দুলির বাউলের মেলায় উদাস ভৈরবীর সুরে
বারবার একতারার তার গেছে ছিঁড়ে---
ইন্দ্রপ্রস্থ যমুনার পারে
রাজনীতি কোলাহলে ক্ষমতার হলাহল চেয়ে
বারবার জিজ্ঞাসায় ছুটে গেছি
কোথাও কি কোন ভীড়ে দেখব সে মুখ ?
সমুদ্রের ঢেউ গুনে গুনে
সময়ের ঘন্টা পেরিয়ে
অনির্দিষ্ট ভবিষ্যতে আছি
নিরন্তর পিপাসার সুখ নিয়ে
যদি পারি, আমাকে ঠিকানা দিও তুমি
অন্বেষণে গৃহত্যাগী হব
আছে যত দুঃখ ব্যথা বুকে
জয় করে চলে যাব কাছে
তবু যদি দেখি সে মুখ |
. ******************
. সুচিতে...
মিলনসাগর
কতদিন দেখিনি তোমায়
প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সী
রাজার নামে নিন্দে নয়গো ভাই
রাজা হলেই তাদের কোথাও
. দোষ ধরতে নেই----
ভীষণ যদি ক্রোধের কিছু হয়
মন্ত্রীকে ষড়যন্ত্রী বলে
সান্ত্রী সহ সহীইকে ঘা দাও |
. বাপরে বাপ
রাজার নামে রাগ করো না কেউ
অন্ন যাবে বস্ত্র যাবে
বাসস্থানের বাস্তু যাবে
রাজপুত্রের তলোয়ারেই সাফ্
. বাপরে বাপ্
ভুলব না এই মন্ত্র
ডিটারজেন্টে ধোলাই করা
. সুলভ গনতন্ত্র ||
. ******************
. সুচিতে...
মিলনসাগর
রাজার কোন দোষ নেই
প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সী
আমরা সবাই সবেতে মিলাই |
নমাজের কাল শুরু হতে
কিছুক্ষণ বাকী |
গির্জার ঘন্টা বাজে দূরে |
গায়ত্রীর উচ্চারণ এইমাত্র
স্তব্ধ হল বুঝি
অঙ্গীকার ভেঙে
বাল্মীকির অযোধ্যায়
দুর্যোগের অন্ধকার নামে |
নিরাপদ আশ্রয়ে আশ্রিত আত্মীয় যারা
অকস্মাৎ অনাহূত ভাবে | মিলনসাগর
কোথা যেন প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ হল ভেবে
হাতের রাখীর বাঁধ খুলে যায় ধীরে |
তপসিয়া, বোম্বাই, কানপুর, সুরাট শহরে
রক্তে ভেজা দূর্বাঘাস দেখে
অযোধ্যার জাগ্রত রাম মিলনসাগর
পুনর্বার যাত্রা করে বনে |
সিঁথির সিঁদুর পিলসুজের প্রদীপ,
বোরখা ঢাকা মুখ
পরস্পর ভাগ্যহীনা হয়ে,
আমাদের বারান্দায়
গোধূলিতে অশ্রুপাত করে |
ঈশ্বরের ভালবাসা শেষ,--------
অতিরিক্ত অভিশাপ আমাদের গ্রন্থির ভেতর,
রাবম প্রাসাদ থেকে পাতালের রাক্ষসের দূত-----
দানবের আত্মার প্রতিনিধি লাগে |
কর্মযোগ নয়, মিলনসাগর.কম
ভক্তিযোগ নয়, শক্তিযোগ নয়, মিলনসাগর
নির্বোধের আস্ফালন দেখে
বৈদিকের মনুষ্যত্ব
অযোধ্যাকে উপহাস করে |
প্রভাতের আগে
সূর্যদেব সায়াহ্নের কাছে
প্রায়শ্চিত্তে মাথা নীচু করে |
. ******************
. সুচিতে...
মিলনসাগর
অযোধ্যা সায়াহ্নে
প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সী
তের চির আশীর্বাদে
গেছ, দুর্যোগের নাও |
নৌকোয় কান্ডারীর কর্তা তুমি মাও |
জীবনের ঘারাপাতে
যতবার ধাও
যে আছে কোথাও
কতদিন দেখিনি তার
সেই কবে ফাল্গুনের স
চৈত্রের জ্যোত্স্নামাখা
সবকিছুর ভেতর ছিল
ঝাউবন সরে গেছে কত
ইটের পালিশ করা অতি
গাড়ীর হর্ন, দোকানীর
সব মিলিয়ে দারুণ এক
চলছে দীঘার সমুদ্র থে
কতদিন দেখিনি তার
জয়শলমীরের ধূসর প্রা