রাজেশ দত্তর গান ও কবিতা
যে কোন কবিতার উপর ক্লিক করলেই সেই কবিতাটি আপনার সামনে চলে আসবে।   www.milansagar.com
কোনও গণসংগীত সংস্থা বা শিল্পী, এই কবির এই গানগুলি অথবা তাঁর অন্যান্য গানের সুর ও স্বরলিপি পেতে আগ্রহী
হলে নীচের চলভাষে যোগাযোগ করতে পারেন -
চলভাষ - ৯৪৩৪৫১৬৮৯৮ / ৯৩৩০৪৬২৬২০ / ৯৪৩৩৫৬৬৩০২
অথবা ই-মেল করুন-
rajeshdattain@yahoo.com / rajeshdattain@gmail.com    
অথবা এই ওয়েব-সাইটে মেল করুন -
srimilansengupta@yahoo.co.in     
*
*
দুই বাংলার এক আকাশে
শোকের আঁধার ছড়ায়।
রক্তে রাঙা কন্যার লাশ
কাঁটাতারের বেড়ায়।

.                --রাজেশ দত্ত, ১৭ জানুয়ারি ২০১১
.    ****************                    
.                                                                                     
উপরে      




মিলনসাগর     
*
মাখন বড়াল গলি
আমরাই গড়ে তুলি।
কবে মৃণালেরা বেড়া ভাঙবেন?
আমাদের চারপাশে
গিলে খায় গোগ্রাসে
২৭ নম্বর মাখন বড়াল লেন।

.                --রাজেশ দত্ত, ৮ জুলাই ২০১১


.    ****************                    
.                                                                                     
উপরে      




মিলনসাগর     
*
প্রেয়সীর কাছে
মানুষের কাছে
শহীদের কাছে
আমি ‘লাল’ রঙ চিনেছি।
আমাকে কেউ পতাকা দেখিয়ে
‘লাল’ চেনাতে চেয়ো না।

.                --রাজেশ দত্ত, চন্দননগর, ৩০ মে ২০১১


.    ****************                    
.                                                                                     
উপরে      




মিলনসাগর     
*
দু'চোখে রোদ্দুরের ঝলকা |
থাক পড়ে সব কিছু আলগা ||

.                        --রাজেশ দত্ত, ২৯ জুলাই,২০১১
[
এই গানের কথায় বাউল কবি অরুণদা (অরুণ চক্রবর্তী)র কবিতা নিবিড়ভাবে মিশে আছে]

.        ****************                    
.                                                                                     
উপরে      




মিলনসাগর     
*
ছিনিয়ে নিল জমি।
বন্দুক-লাঠির জোরে চলে
পুলিশি গুন্ডামি।
আমলারা হয় রাজাউজির,
ঠিকাদাররা ধনী।
গাঁ আমাদের হয়ে গেল হায়,
ওদেরই কলোনি।
(হায় রে) ওদেরই কলোনি।

বির্‌সা ডাকে একজোট হও,
এসো দলিত, চাষি।
চুপ থেকো না, আওয়াজ ওঠাও
এসো আদিবাসী।
খেত-খাদান জাগিয়ে বাজাও
ধামসা-মাদল-বাঁশি।
লড়াই ছাড়া বাঁচার পথ নাই
শোনো দেশবাসী।
(ও ভাই) শোনো দেশবাসী।

.        ভাষান্তর- রাজেশ দত্ত, ৩১ জুলাই ২০০৯

.        ****************                    
.                                                                                     
উপরে      


মিলনসাগর     
*

.                -- রাজেশ দত্ত. ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১০

.        ****************                    
.                                                                                     
উপরে      




মিলনসাগর     
*

.    ***************************                 

গ্ল্যাডস্টোন থেকে উইপা
কোন এক নাবিক বন্ধুকে. . .
কবি রাজেশ দত্ত   
.                                                                                     
উপরে      


মিলনসাগর     
ফেলানির কথা
কবি রাজেশ দত্ত

কবিকণ্ঠে সাউণ্ডক্লাউডে এই গানটির  
অডিও শুনতে এখানে ক্লিক করুন . . .   

প্রতি বছর অন্তত শতাধিক গরিব প্রান্তিক মানুষ  ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফ জওয়ানদের গুলিতে নির্বিচারে মারা
যায়। গত দশ বছরে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী প্রায় সাড়ে ন’শো বাংলাদেশীকে খুন করেছে। এছাড়া চলে নির্যাতন, ধর্ষণ
ও দমন-পীড়ন।

১৬ জানুয়ারি ২০১১-এ আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে প্রকাশ, কোচবিহার দিনহাটা সীমান্তের লাগোয়া গ্রাম খিতাবেরকুঠি
এলাকায় “মই-পুল” দিয়ে কাঁটাতারের বেড়া পার হতে গিয়ে বিএসএফের গুলিতে নিহত ১৫ বছরের এক কিশোরীর রক্তাক্ত
মৃতদেহ তারের বেড়ায় ঝুলতে থাকে। পরে বাংলাদেশের খবরের কাগজ থেকে জানতে পারি ওই কিশোরীর নাম -‘ফেলানি’।
অভাবের তাড়নায় বাবা নুরুল ইসলাম নূরের সাথে ফেলানি এসেছিল সীমান্ত পেরিয়ে। ৭ জানুয়ারি ২০১১-র  কাকভোরে
বাবার সাথেই বেড়া টপকে দেশে ফিরছিল। কিন্তু কাঁটাতারে কাপড় আটকে গেলে ভয়ে কেঁদে ফেলে অবুঝ ফেলানি। আর
যায় কোথায়, ছুটে আসে বীরপুঙ্গব সীমান্ত রক্ষীবাহিনী। গর্জে ওঠে বন্দুক। বাবা মই থেকে ছিটকে পড়েন বাংলাদেশ প্রান্তে।
আর মেয়ের ডানবুকে গুলি লাগে। গুলিবিদ্ধ হওয়ার পরেও সে আধ ঘণ্টা ‘পানি, পানি’ বলে আর্তনাদ করেছিল। তারপর
একসময় ঢলে পড়ে মৃত্যুর কোলে। অসহায় জন্মদাতার চোখের সামনেই ঝুলে থাকে সন্তানের রক্তাক্ত মৃতদেহ।

পঞ্চদশী ফেলানির বিয়ের কথা ছিল। বাড়িতে বিয়ের আয়োজন চলছিল। দিনক্ষণও চূড়ান্ত ছিল। ঘরে ফেরার দিন দুয়েক
বাদেই হয়তো মেয়ের হাতে মেহেন্দির রং লাগত। মেহেন্দি নয়, ডান বুকে বিঁধে যাওয়া বুলেটের ক্ষতের রক্তে রাঙানো
ফেলানির নিথর নিষ্প্রাণ দেহ পাঁচ ঘন্টা ধরে ঝুলে ছিল সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়ায়। কুড়িগ্রাম জেলার অনন্তপুর সীমান্ত
থেকে ফিরে বাংলাদেশের সাংবাদিক তারেক মোরতাজা লিখেছিলেন,“লাশ হয়ে ঝুলে থাকল কিশোরী ফেলানি। হবু স্বামীর
জন্য ভালোবাসার কথা লিখেছিল সে। সুঁই-সুতোয় সেটা ফুটিয়ে তোলার চেষ্টাও চলছিল। সাথে একটি ফুল। হাতরুমালে
নকশা করে নিজের মনে লুকিয়ে রাখা আবেগটা জানাতে চেয়েছে ফেলানি।  সেটি আর হলো না। জানুয়ারির সাত তারিখে
গান
২৭ নম্বর মাখন বড়াল লেন
কবি রাজেশ দত্ত
পারিবারিক নির্যাতনের শিকার হয়ে আমার বোন দেবারতি-র অকাল মৃত্যুতে লেখা।

কবিকণ্ঠে সাউণ্ডক্লাউডে এই গানটির  
অডিও শুনতে এখানে ক্লিক করুন . . .   
কবিকণ্ঠে ইউটিউবে এই গানটির  
ভিডিও দেখতে এখানে ক্লিক করুন . . .   

বিন্দিরা পুড়ে মরে,
মৃণালেরা ঘর ছাড়ে।
রবীন্দ্রনাথ আজও দেখছেন--
আমাদের চারপাশে
লাল
কবি রাজেশ দত্ত

সূর্যোদয়ের আগে
ভোরের পোয়াতি আকাশের
রক্তিম আভা দেখিয়ে বাবা চিনিয়েছিল,
ওটা ‘লাল’ রঙ।

বেঘোর জ্বরের রাতে
চারপাশে সবকিছু আলগা
কবি রাজেশ দত্ত
২৯ জুলাই,২০১১ ভিনসেন্ট ভ্যান গঘের মৃত্যুবার্ষিকীতে শিল্পীর আঁকা "শূন্য চেয়ার"-এর ছবি দেখে লেখা
গান।

কবিকণ্ঠে সাউণ্ডক্লাউডে এই গানটির  
অডিও শুনতে এখানে ক্লিক করুন . . .   
কবির অগ্রজাপ্রতিম শ্রদ্ধেয়া মিত্রা রায়ের কণ্ঠে ইউটিউবে এই গানটির  
ভিডিও দেখতে এখানে ক্লিক
করুন . . .    

চারপাশে সবকিছু আলগা,
গ্রাম ছাড়ব না
কবি রাজেশ দত্ত

শিল্পী সুতপা বন্দ্যোপাধ্যায় কণ্ঠে ইউটিউবে এই গানটির  
ভিডিও দেখতে এখানে ক্লিক করুন . . .   

১০ ডিসেম্বর, ২০১৮, ‘বিশ্ব মানবাধিকার দিবস’ উপলক্ষে কলকাতার ‘একাডেমি অফ ফাইন আর্টস’এর
পাশে ‘রাণু-ছায়া মঞ্চ’-এ ‘বাংলার মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চ’ (মাসুম) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে শিল্পী
সুতপা বন্দ্যোপাধ্যায়-এর কণ্ঠে ফেসবুকে
গানটির ভিডিও দেখতে এখানে ক্লিক করুন . . .   

বাংলাদেশের ঢাকার 'উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী'র গণসংগীত উৎসবের অনুষ্ঠানে শিল্পী অসীম গিরির কণ্ঠে এই
গানটির  
ভিডিও দেখতে এখানে ক্লিক করুন . . .   

গাঁও ছোড়াব নহী” -- উড়িষ্যার কাশিপুরে বক্সাইট খনির বিরুদ্ধে আদিবাসী গণ আন্দোলনের নেতা
ভগবান মাঝির গানের অনুপ্রেরণায় হিন্দী গীতিরূপ দেন মেঘনাথ, সহযোগিতা করেন সুনীল মিঞ্জ ও
বিনোদ কুমার। গানটি গেয়েছেন মধু মনসুরি হাস্‌মুখ। কোরাস-জয়ন্ত ও অম্রুতা। যন্ত্রসংগীত আয়োজন
- সন্তোষ জৈন। সম্পাদনা- কে এন আদিত্য। মিউজিক ভিডিওটির পরিচালক - কে পি শশী।  
৩১ জুলাই ২০০৯ আমি গানটিকে হিন্দী গীতিরূপ থেকে গানের মূল ভাব ও ভাষা যতটা সম্ভব
অপরিবর্তিত রেখে মূলসুরে ও ছন্দেই বাংলায় রূপান্তরিত করি। গত ১৮ ডিসেম্বর ২০১০-এ ধর্মতলার
মেট্রো চ্যানেলে “অপারেশন গ্রীনহান্ট” ও রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস বিরোধী প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক সমাবেশে সুতপা
ইউ এ পি এ’র প্রথম শহীদ স্বপন দাশগুপ্ত স্মরণে
কবি রাজেশ দত্ত

প্রতিবাদী মুখের ভাষা হয়নি আজো চুপ তো,
খেতের ফসল, হালের বলদ
পুকুর, ভিটামাটি।
আলু-পটল, বাড়ি-গাড়ি
জুতো-শাড়ি-গয়না,
বল্‌ দেখি মন, কোন্‌ সে রতন
টাকায় কেনা যায় না?
সে যে মানুষের সততা,
সে যে বিবেকের বারতা।
আপোসহীন সৎ মানুষের
প্রাণেরই সততা।
.                        -- রাজেশ দত্ত


.       ****************                    
চাল ফুরায়
কবি রাজেশ দত্ত
.                                                                             
উপরে    



মিলনসাগর     
*
কত সাধ বুকে নিয়ে গান গাই।
দিন বদলের আশা,
মানুষের ভালোবাসা
কথায়-সুরে বেঁধে গান গেয়ে যাই।

.                                --রাজেশ দত্ত

.       ****************                    
.                                                                                     
উপরে      




মিলনসাগর     
ভালোবাসি তাই গান গেয়ে যাই
কবি রাজেশ দত্ত

শিল্পী সুতপা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কণ্ঠে ইউটিউবে এই গানটির  
ভিডিও দেখতে এখানে ক্লিক
করুন . . .   

ভালোবাসি তাই গান গেয়ে যাই,
শিল্পী সুতপা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কণ্ঠে ইউটিউবে এই গানটির
ভিডিও দেখতে এখানে ক্লিক করুন . . .