নজরুল আপোসহীন আগুনের শরীরী সংজ্ঞা প্রাণের গভীর গর্ভে যে আগুন দীপ্ত জেগে আছে, বাঘের ভীষণ স্নেহে যে আগুন মেঘে মেঘে বাজে ; অকস্মাৎ কূল ভাঙে করুণার পদ্মা গঙ্গা।
যে কণ্ঠ গেয়েছে গান বুলবুলের গুলবাগিচায়--- যমুনার জল দেখে রাধা আর গৃহবধূ কাঁদে, পথ খোঁজে বদ্ধ প্রেম আমরণ রহস্যের ফাঁদে, বজ্রের দারণ শরোদ বাজে তাই অগ্নির বীণায়॥
এখন নির্মম খরা, শুষ্ক হবে মরু বায়ু মুমূর্ষু বটের শাখা হা হা করে নিঃস্বের আকাশে শ্মশানের ছাই ভাসে যাবতীয় মরা জমা ঘাসে কবরের কারাগারে ক্লিষ্ট আত্মা ধুঁকিছে ভূখা হুঁ॥
হাজার দুয়ার খোলা-পদব্রজে নৌকা অস্ব-গজে যেদিকেই যাবে তুমি খোলা আছে অসীম সড়ক অথবা পুষ্পকে কোন স্বার্থের সীমায় দিো হানা, পকেটে ঠিকানা রেখে যেতে পার অতল নরক। যে দিকেই যাবে তুমি, ধৈর্য ধর---সময় দয়ালু দুই হাত ভরে দেবে যত তার দুর্লভ হীরক, একটি দুয়ার শুধু কোনদিন খুলিবে না, তার অদৃশ্য কপাট লৌহে নিষেধের কঠিন কিলক।
তবুো খোঁপায় জবা শবরী সে মেয়েটি তো তাকে বলেছে যখন এক ক্লান্ত আর অন্ধ বাসনায়, পকেটে ঠিকানা রেখে উত্তর বা পূবে তুমি ঘোরো নিঃশব্দ কৌতুকে সেই দ্বার অনায়াসে খুলে যায়। হাজার দুয়ার খোলা, শুধু সেই এক হাজার এক কখন যে খোলে সেই মেয়েটিও কখনও বলে না।