ছবিটা জুড়তে গিয়ে বারবার এঁকেবেঁকে যায় চালচিত্র মনে নেই কবে থেকে ভুলে গেছি উত্সমুখ, মানচিত্র তার। সেঁটে বসে আছে বুকের ভিতর ছোপ ছোপ কান্না, দুঃখ অপবাদ। মস্তিষ্ক যদিও বা কথা শোনে ক্কচিৎ কখনো, হৃদয়টা বেঁকে বসে পরিত্যক্ত ন্যানো। মাটিরও নরম বুকে কান্না জমে জমে নিরক্ত পাথর অনাবাদী মরে যায় মরমে মরমে নেপথ্যে পুড়তে পুড়তে মনটা কবেই পুড়ে ছাই--- এ শরীর এখন তবে কাকে দিয়ে যাই, হায়! কাকে দিয়ে যাই।
. শরীরও যে কত দামী . রঙ্গমঞ্চে অনুগামী যুটে যায় কত . শরীরও যে নীল কণ্ঠ, বেশী ছুঁলে . বদলেই যেতে পারে রঙ তোমারও। . যদিও ছোবল থেঁতলে গিয়েছে কবে . মেরুদণ্ড সোজা করা কালে ভদ্রে ঘটে। . তবুও জাতসাপ--- . ফোঁটা ফোঁটা ঈর্ষা, লোভ, ক্রোধ, কাম . বিষভাণ্ড চুঁয়ে চুঁয়ে আদিম দহন ঝরে পড়ে . সম্মান বিকোতে চায় আজ নিতান্ত হরে দরে। . এভাবে ছোবল মারতে আসে অনেকেই . আমারও যে দিন ছিল, সে আক্ষেপ নেই। . নেপথ্যে পুড়তে পুড়তে মনটা যে ছাই . এ শরীর এখন তবে কাকে দিয়ে যাই . হায়! কাকে দিয়ে যাই!
একলা ঘর, নিস্তব্ধ চরাচর, মধ্যরাত--- ঘুমপরী এসে নিয়ে যাক রূপকথার দেশে। যেতে চাই, অথচ হারিয়ে যাই অন্ধকারে চোখের আলোয় হাতড়ে বেড়াই কিছু ভাঙাচোরা মুখ একটা রঙচটা তোরঙ্গ, লাল বেনারসী ভাঁজে ভাঁজে ফেঁসে যাওয়া, জীবন যেমন। গরদের জোড় হাসে, বজ্রআঁটুনি বাঁধা ফস্কাগেরো জীবনের তীব্র পরিহাসে। ঘুণধরা গাছকৌটো, সিঁদুরের পাশে রুপোর টাকা--- আজও কাঁপে স্বপ্নবিলাসে।
স্বপ্নেরা ঘুমন্ত আজও কৌটোবন্দী সাজে চাবিটা হারিয়ে গেছে। জাগাবো সে যাদুমন্ত্র জানা ছিল না যে। বুকভরা অগ্নিমন্ত্র ধরে একা একা ধ্যাননেত্রে চেয়ে থাকা যযাতি আলোয় কৈশোরের ঘ্রাণ ঘুরে ফিরে আসে। চাবিটা লুকোনো কোথায়, থাক্ খুলে যদি দেখা যায় সবকিছু ফাঁক ফাঁকি দিয়ে চলে গেছে যত চাওয়াপাওয়া হিসেবনিকেশ! রূপকথা হয়ে সব নিরুদ্দেশ!