একদিন আকাশ ছুঁয়েছে শিরীষের ডাল . তার নীচে হেঁটে যাওয়া আদিগন্ত ভোরে তারপর খুব দীর্ঘ নীরবতা, শেষ কথামালা . আর আলাপের অস্থিরতা
আজ কতদিন পরে ফিরে এল আষাঢ়ের মেঘমালা নৈঃশব্দ্যের উপর ঝরে পড়ল . কয়েকফোঁটা কদমের রেণু আর সেই মেঘের নীচে অন্ধকার-হয়ে-আসা . পুরনো দিগন্তের দিকে তাকিয়ে . দুলে উঠল একটি বিকেল
জেগে উঠছে ঝর্ণায় স্নান করে ; চারপাশে হাওয়ায় লুটোপুটি খাচ্ছে . পশমের বলের মতো গড়িয়ে নামা হাল্ কা রোদ, দিগন্তের দিকে হেঁটে-যাওয়া টুকরো স্বপ্নের হাত ধরে গল্প করছে চেনা পড়শিরা, আমার চারপাশে মুখ আর মুখের উপর লেগে-থাকা . হাসির দিকে তাকিয়ে দেখি জেগে উঠছে অন্য অনেকদিনের মতো, তবু অন্যদিনের থেকে . আলাদা হয়ে-থাকা একটা দিন | আজ এই চৈত্রের দিনলিপি আমার এলোমেলো . সময়ের ভিতর এঁকে দেয় শাদা-কালো রেখায় রেখায় অনেক রঙের চাপা দ্যুতি |
বিকেলের সেতু পেরিয়ে এসে গম্ভীর শহরের . মাথার উপরে জেগে ওঠে একটা দুটো তারা--- অবুঝ কয়েকটা শব্দ ঘুরে বেড়ায় এদিক ওদিক . আর তারপর একটু শান্ত হয়ে নিজেকে গুটিয়ে নেয় ঘুম আর স্বপ্নের শুশ্রূষায় |
একটা দিনের চলে যাওয়া দেখতে দেখতে মনে হয় এই একটা দিন অন্য অনেকদিনের মতো, তবু অন্যদিনের থেকে কতদূর--- আজ জন্মদিন, আমার মেয়ের |