ডলি
সেনের বাড়ীর একটি মেয়ে
নাম ছিল তার ডলি
ছোট ছোট পা ফেলে সে
ফিরতো অলিগলি |
বয়স তাহার নয়কো বেশী
সবে কেবল দুই
ভাবটা এমন করে যেন
ধরতে পারে রুই |
কথা এমন বলে যেন
ঠাকুর মায়ের মা
আগেই যেন বুঝে ফেলে
যখন ভাবি যা |
বলতে কিছু বাদ রাখে না
যেমনি শোনে কিছু,
দিনরাতই সে ঘুরে বেড়ায়
সবার পিছু পিছু |
ডেকে দেখি দু'হাতে তার
পাকা জলপাই
ইচ্ছে হলো কেড়া নিয়ে
সব কটা তার খাই |
সব কিছু তার জানা আছে
আর সকল কথাই বোঝে
খাবার সময় দুধের বাটি
দেখলে সে মুখ গোঁজে |
যতই বকো যতই ভুলোও
আর বল মিষ্টি কথা
দুধ না সরালে কিছুতেই আর
তুলবে না সে মাথা |
ভাতের সময় ভাত তো রোচে না
মাছ তরকারী চাই
কেঁদে খুন হয় যদি বলা হয়
ভাত খাও, মাছ নাই |
***********
পথের খবর কবিতাটি সম্ভবত ১৯৪৪-৪৫ সালে লেখা হয়েছিল | কবির গ্রামের স্কুলের নতুন হেড মাস্টার মশাইকে গ্রামে আসার পথের বর্ণনা জানিয়ে এটি আসলে একটি চিঠি | অবিভক্ত বাংলার, খুলনা জেলার, মূলঘর গ্রামের এই অসাধারণ বর্ণনা থেকে সেই সময়কার একটি বর্ধিষ্ণু গ্রামের একটি নিখুত ছবি দেখতে পাওয়া যায় | বর্ণনা দিতে গিয়ে কবির কাব্যরসে একটুও ভাঁটা চোখে পড়েনা |
|
তারও উত্তরে দেখিতে পাইবে ওই যে দ্বিতল বাটি,
জানকী রায় রা ছিলেন ওখানে তাঁদেরই ভবন ওটি |
দাঁড়াবে এবারে পুকুরের পাড়ে ওখান হইতে ফিরি,
পূব দিক পানে তাকালে দেখিবে নেপাল রায়ের বাড়ি |
উমেশ, জানকী, নেপাল, তিনটি গাঁয়ের সুসন্তান,
পদধূলি পড়ি এ গাঁয়ে তাঁদের হয়েছে তীর্থ স্থান |
হেথায় আসিয়া যদি নাহি দেখ এ তিন তীর্থ ঙূমি,
কিছু দেখ নাই মূলঘরে এসে এ কথা বলিব আমি |
এইবার তুমি ফিরে এস পুনঃ ভূপেন সেনের বাড়ি,
তারই দক্ষিণে পুবমূখে দেখ গেছে যে পথটি ঘুরি,
সে পথ ধরিয়া যও আগাইয়া দেখ চেয়ে বাঁয়ে ফিরি,
একটি প্রাচীন দালানের গায়ে ভগ্ন দেউল সারি |
একদিন ছিল যেদিন এ বাড়ি গাঁয়ের প্রধানগণ,
সভা বসাতেন মণ্ডপে, হত কতশত আয়োজন |
বাড়ির মালিক বসন্ত রায়, যদু রায় সখা তাঁর,
আরও কতজনা মুখরিত করে রাখিতেন সভাঘর |
তাহার পুবেই 'ডর' নামে পারে বিরাট ধানের জমি,
দেশের লোকের ক্ষুধার অন্ন যোগাতেছে এই ভূমি |
রাস্তার পুব সীমানায় তুমি দেখিবে টিনের ঘর,
অবৈতনিক প্রাথমিক স্কুল পরিচয় জেন তার |
এইবার তুমি দক্ষিণ মুখে সোজা চলে এসো উঠে,
প্রথমেই দেখ রিজার্ভট্যাঙ্কটি উঠিবে সমুখে ফুটে |
একদিন এই দিঘিটি যোগাত গ্রামের পানীয় জল,
ছিল না তখন আর কোনো দীঘি, ইদারা বা 'টিউকল' |
বিকাল বেলায় জুটিত বালক, যুবা, ও বৃদ্ধ এসে,
খেলাধূলা ও গল্পগুজবে দীঘিটি উঠিত হেসে |
আজ কিছু নেই, কালের প্রভাবে সকলি গিয়াছে চলে |
দীঘির আর্শি মলিন হয়েছে, ভরিয়াছে পানাদলে |
পুবপার দিয়ে দক্ষিণ মুখে এবার আসিবে সোজা,
কাঁটাবন ঠেলে সাবধানে এসো, দেখে চল হরগোজা |
দক্ষিণ পারে নেমে এসো ধীরে সিড়ির কোলটি ঘেঁষে,
চলে এসো সোজা দেউলখোলা বলে ভুঁইটার পাশে |
জমিদারদের দেউলখোলায় মেলা বসে চোত্ মাসে,
সংক্রান্তির এই মেলাটিতে জড়ো হয় সব এসে |
আরও পুবে গেলে সামনে তোমার ওই দেখ 'বড় বাড়ি',
'খররিয়া' নামে পরগনা ছিল ইহাদের জমিদারী |
এই যে পুকুর নাম ছিল এর 'লক্ষণ রায় আঁধি',
অমৃতসায়র নাম হল তার পুনঃ কাটি পাড় বাঁধি |
সামনেই দেখ ডাক্তারখানা 'পল্লীস্বাস্থ' নামে,
দাতব্য এই চিকিত্সালয়ে রোগী দেখা চলে গ্রামে |
সামনেই দেখ ডাক্তারখানা 'পল্লীস্বাস্থ' নামে,
দাতব্য এই ভেষজাগারেতে চিকিত্সা চলে গ্রামে |
আরও পুবে যাও বামেতে তাকাও চক্ ঘেরা দেখ বাড়ি;
অনুকূল রায় আজ বেঁচে নাই বাস ছিল হেথা তাঁরি |
তার পুবে দেখ বিরাট দীঘিটি 'বড় আন্ধি' নামে খ্যাত,
রাম-লখনের কীর্তি বলিয়া খ্যাতি আছে ওর এত |
এইবার যাও দক্ষিন দিকে সিধা রাস্তায় চলে,
হরিখোলা আর নাগেদের বাড়ি পিছনে আসিবে ফেলে |
আরও এগিয়ে ডান দিকে পাবে বিমলা সেনের বাড়ি;
আজ তিনি নাই গৃহটি তাহার শূণ্য রয়েছে পড়ি |
দরিদ্র এই পল্লী মায়ের ছিলেন সুসন্তান,
কাঙাল গরীব সবাই সমানে পেয়েছে তাহার দান |
পুব দিকে তার চেয়ে দেখ ওই নুতন সেনের বাড়ি;
আমাদেরই জ্ঞাতি এসেছেন ওঁরা হোগল ডাঙ্গা গাঁ ছাড়ি |
এই বার তুমি আরও আগে গিয়ে পাবে নিয়তির মাঠ;
আরও পশ্চিমে গেলে নদীপথে পাবে কালীবাড়ি হাট |
হপ্তা দুদিন এই হাট মেলে শনি মঙ্গল বারে,
মুক্তকেশিনী কালীমন্দির পাবে উত্তর ধারে |
মন্দির পাশে চেয়ে দেখ ওই মানিক সেনের বাড়ি,
ওখানে রয়েছে মানিক সেনের স্বস্তিকা হোসিয়ারী
হাটের পাশেই বাঁধা ঘাট সহ দীঘিটি দেখতে পাবে,
তারি দক্ষিণে ছোট, দালান শ্বশানটি দেখা যাবে |
হাট ছাড়ি এবে পশ্চিম মুখে সোজা এসো তুমি চলে,
ওই দেখ মঠ মোহন সেনের ভৈরব নদ কূলে |
সেনের বাড়ির প্রাচীন কীর্তি মোহনের চিতা মঠ,
ভাঙিয়া পড়িছে, ঘিরিছে তাহারে @@ বৃক্ষ বট |
এবারে যে পথ দ্খিবে গিয়েছে উত্তরে সোজা চলে,
সেনের বাড়িতে আসিতে পারিবে সেই পথ ধরে এলে |
আগে তুমি যাও পুরুত বাড়ির তেমাথা পথের কাছে,
বাঁয়েতে প্রথমে পিণাকপাণির গৃহটি দেখিবে আছে |
তারপর দেখ বেদব্যাসের অতি পরিচিত বাটি,
শুধু বাটি নয়, ওটি হন তাঁর ত্রিলোচন চৌপাঠী |
রাস্তা পেরিয়ে উত্তর কোণে নরেনবাবুর বাড়ি,
শিক্ষকতা ও গাঁয়ের সেবায় নাম ডাক তাঁর ভারি |
একটু পিছিয়ে চলে এসো সোজা পুবের রাস্তা দিয়ে,
ওই পথ সোজা গরীবের ঘরে আসিবে তোমাকে নিয়ে |
গেটের কাছেতে পৌঁছিয়া তুমি দক্ষিণদিকে চাবে;
বাগান ঘেরা সে খুড়োর বাড়িটি অদূরে দেখিতে পাবে |
শীতল খুড়োর মজার কাহিনী তিনটি পর্বে লেখা,
কবির খাতায় ছন্দ কথায় পাবে তুমি তার দেখা |
রাজা হরিনাথ পূর্ব পুরুষ এঁদের বংশে ছিল |
কালের প্রভাব কূল-গৌরব সকলি ফুরায়ে গেল |
এইবার তুমি গেট দিয়ে সোজা চলে এসো আঙিনায়;
উত্তর দিকে দুর্গা বাড়িটি ওই দেখ শোভা পায় |
দক্ষিণে দেখ স্কুল বাড়ি ওটি বাণী বিদ্যালয় নামে
পঁচিশ বছর অবৈতনিক বিদ্যা বিলায় গ্রামে
এবারে বন্ধু বসে পড় এসে গরীবের এই ঘরে,
শ্রান্ত দেহটি জুড়াও তোমার চায়ের পেয়ালা হাতে |
এই গাঁয়ে এসে দেখিলে যা'সব ভুলিয়া যেওনা তাহা;
আরও আছে জেনো পশ্চিম পাড়া দেখা হয় নাই যাহা |
যদি পুনঃ তব আগমন ঘটে দেখাইয়া দিব সবে,
ঘোষ বোস আর মিত্তির পাড়া, বাকি কিছু নাহি রবে |
স্নানাহার করে বিশ্রাম নাও @@ বেলায় শেষে,
ইতিহাস কিছু বলিব গাঁয়ের, কাল ফিরে যেও দেশে |
************
ঘন ঘন নাড়ে কড়া
চাটগায়ে তাই ইভ্যাকুয়েশান্
ভীষণ করিছে তাড়া |
ঘরদোর ফেলে লোকজন তাই
ছুটিতেছে চারি ধারে
ছেলেপুলে নিয়ে গাছের তলায়
রাতি যাপে অনাহারে |
খুলনা, যশোর, কলিকাতা বাসী
পরিবার নিয়ে সাথে
ছুটিতেছে আজ নিরুপায় হয়ে
গ্রামে গ্রামে পথে পথে |
ঘন ঘন আজ সাইরেন বাজে
কলিকাতা নগরীতে
জাপানী প্লেনের আগমন নাকি
সূচিত হতেছে তাতে |
রাজপথে নাকি নিশিথের বাতি
জ্বলেনাকো আর রাতে
Blackout নাকি রক্ষা করিবে
জাপানের বোমা হ'তে |
ভাত খাব দুটো ঘরে আলো জ্বেলে
তাতেও বিষম ভয়
বাহিরেতে আলো দেখা গেলে পাছে
জরিমানা দিতে হয়?
ওদিকে আবার জার্মানী হইতে
পশ্চিম দেশ জুড়ে
হিটলার তার বিজয় পতাকা
শূণ্যে উড়ায়ে ফেরে |
লণ্ডনে নাকি জার্মানী বোমা
পড়িতেছে অবিরত
মাটির নিচেতে আশ্রয়ে থাকে
সে দেশের লোক যত |
দুই দিক হতে শত্রু কামান
গর্জিছে ঘোর রবে
অস্ত্রবিহীন বাঙ্গালীরা বুঝি
বিলুপ্ত হবে ভবে |
সরকার আজ ভারত বাঁচাতে
হয়েছেন তত্পর
জীবন বাঁচাতে তাই ছোটে সবে
ছেড়ে আজ বাড়ী ঘর |
খাবার জিনিষ অগ্নিমূল্য
কিনিবার নাই কড়ি
বস্ত্রের দাম শুনিয়া সভয়ে
তখনি দোকান ছাড়ি |
আমেরিকা দিবে অস্ত্র শস্ত্র
ভারত যোগাবে সৈন্য
হেলায় ব্রিটেন জীতিবে যুদ্ধে
রহিবে না কোন দৈন্য |
দু'চারটে মাস আধপেটা খেয়ে
বিলাত হইতে রাজ প্রতিনিধি
স্ট্যাফোর্ড ভারতে এসে
স্বরাজ দিবেন দিয়াছেন আশা
এবার যুদ্ধ শেষে |
নাহি আর ভয় ব্রিটেনের জয়
গাও সবে ঘোর রবে
হিটলার আর জাপানী আসুক
কারো ভয় নাই ভবে ||
************
বিলাতে সেদিন হেরে নির্বাচন দ্বন্দ্বে
চার্চিল, আমেরীর দিন কাটে মন্দে |
প্রধান মন্ত্রী আজ কৃষি নেতা এট্ লি,
বিজয় গর্বে ফোটে তার বা'র কেট্ লি |
পটাস্ ডমের এক বৈঠকে বসিয়া
ত্রিশক্তি করিল চুক্তি জাপানকে শানিয়া |
তারপর মার্কিন আনবিক বোমাতে
হিরোসিমা উড়াইল ভার কিছু কমাতে |
জাপানের নাগাসাকি তারও দশা হলো তাই
দেখে শুনে জাপানির ত্রাসে আর ঘুম নাই |
দু'লাখের বেশী লোক উড়ে গেছে বোমাতে
জাপান হইল বাধ্য অস্ত্র তাই নামাতে |
সন্ধি সর্ত্ত মেনে নিল তাই চারি শক্তি
জাপান অধীন হয়ে পেয়ে গেল মুক্তি |
যুদ্ধ তো মিটে গেল হাতে এল বার্মা
সৈন্যরা জয়ানন্দে খায় রোজই কোর্মা |
মার্কিন নাচে আজ আরও নাচে বৃটেনে
বাংলাও ভাবে বসি নাচে আজ কি টানে |
সুভাষ গেছে মারা এ ভীষণ যুদ্ধে
দাদা তাঁর রয়েছেন আজও কারা মধ্যে |
ওয়েভেল প্রস্তাব জিন্নার দাবীতে
ফেসে গেল কংগ্রেস পেলো নাকো ভাবিতে |
তারপর বাঙ্গালীরা আছে আজ যে সুখে
আমোদ করিবে তারা বল আর কি মুখে |
আটা, চিনি, কাপড়ের নেই কোন গন্ধ
ঘোমটা খুলে ফেলে |
যুদ্ধ জয়ের আমোদ এলো
বাংলা জুড়ে নেমে
কনট্রোলেরই হিড়িক লেগে
সব গিয়েছে থেমে |
কেরোসিন আর আটা চিনির
দুঃখ যাহা ছিল
তেল আর কাপড় উধাও হয়ে
তাহাও ঘুচে গেল |
বাংলাদেশের গুদম ভরা
সরষে যত ছিল
(যুদ্ধের) ভুত ছাড়াতে রাজা নাকি
সবই কিনে নিল |
তাইতে সকল Mill বন্ধ
তেল মেলেনা আর
কয়লাভাবে কল চলে না
কাপড় মেলা ভার |
কলিকাতার বড় বাজার
গেছে ফাঁকা হয়ে
শূণ্য হাতে নিরাশ হয়ে
ফিরছে সবাই গৃহে |
অনাহারে অর্ধাহারে
কাটতো তবু দিন
ভাবি কিসে লজ্জা রাখি
হয়ে বস্ত্রহীন |
ধনির শহর কলকাতারই
এমনি যখন সাজ
পাড়া গেয়ে ভাবুন দেখি
কিসে রাখবো লাজ
দোকান পাট সব বন্ধ হলো
নেইক ধুতি শাড়ী
হাটের দিনে ক্ষুন্ন মনে
ফিরছে সবাই বাড়ী |
ভদ্রতা আর যায়না রাখা
লজ্জা রক্ষাই ভার
তেলের কথা তলিয়ে গেছে
ভাবতে নারি আর |
তেল না হলেও ফেণাভাতে
কাটবে তবু দিন
রুক্ষ নেয়ে না হয় কিছু
হয়েই যাবো ক্ষীণ |
কিন্তু বস্ত্র বিনে একটি দিনও
কাটবে না যে আর
বিশেষতঃ নারীর কথা
ভবুন একটি বার |
আমরা তবু থাকতে পারি
আট হাত ধুতি পড়ে
(কিন্তু) মা-বোনদের শাড়ী নইলে
চসবে কেমন করে |
ভেবে ভেবে মাথা কারো
ঠিক থাকে না আর
আনন্দেতে নাচব কি না
ভাবি বারংবার |
অন্নবস্ত্র দুটিই মোদের
সুলভ এবার হলো
রাজার জয়ে আনন্দে তাই
হরি হরি বল ||
************
চায়ের মহিমা
আধুনিক কালে যে জন সকালে চা পান করিতে চায় না , নির্বাসনে পাঠাও তাদের জাপান কিংবা চায়না | উঠে অতি ভোরে চা পান না করে কেহ কোন কাজে যায় না, ছেলে মেয়ে জেগে ঘুম ভেঙ্গে আগে ধরে গিয়ে চার বায়না | বৌ ঝিরা সব 'চা'ই মুখে রব 'চা' না পেলে কিছু খায় না, বুড়ো উঠে ভোরে চটে বসে ঘরে এখনো 'চা' কেন হয় না | হাত মুখ ধুয়ে চার কাপ নিয়ে বসিতে কেন যে পায় না, কেরানী যাহারা ভেবে হয় সারা চা বিনে তো কিছু চায় না | ভাত টা না খেলে তবু দিন চলে 'চা' না পেলে দিন যায় না, সুসভ্য জাপান করিছে 'চা' পান 'চা' খায় স্বাধীন চায়না | জগতে এমন জাতি আছে কোন 'চা' যারা আজিও খায় না,
|
যদি উঠে ভোরে পাই শুনিবারে চিনি বিনে চা তো হয় না | মাথা যায় ঘুরে চক্ষু জলে ভরে প্রাণ যেন দেহে রয়না, এস তবে ভাই স্থির করি তাই যাহারা চা খেতে চায়না | নির্বাসনেই পাঠাই তাদের জাপান কিংবা চায়না ||
************
|
তুলসি পাতার কেমন গুণ
সে কালের সব বুড়ো বুড়ী জানতো এমন শেকড় পাতা | ষোল টাকার ভিজিট খেকো ডাক্তার সাহেব লাগেন কোথা | সে সব খবর রাখেন নাকো আজ কালকের গৃহ বধু | কথায় কথায় ডাক্তার ডাকো নিজেরা বেড়ান পাড়ায় শুধু | কিন্তু খোকার সর্দ্দি হলে কি হবে তাই ভেবে খুন | কোন কালে জানেন নাকো
|
শচীন্দ্রনাথ সেনের কবিতা যে কোন কবিতার উপর ক্লিক করলেই সেই কবিতাটি আপনার সামনে চলে আসবে।
একটি অনুরোধ - এই সাইট থেকে আপনার ব্ লগ্ বা সাইটে, আমাদের কোন লেখা, কবিতা বা তার অংশবিশেষ নিলে, আমাদের মূল পাতা https://www.milansagar.com/index.html এ দয়া করে একটি ফিরতি লিঙ্ক দেবেন আপনার ব্ লগ্ বা সাইট থেকে, ধন্যবাদ !
|