শচীন্দ্রনাথ সেনের কবিতা |
আগমনী |
ঢাকের বায়না কুড়ি টাকা নিতে সে মা চায় না তারা | তোর পূজাতে বাজনা এবার হবে না তো ও মাতারা || কুমড়ো শশা আট দশ আনা কিনে দিতে পারবো না আর | পাকা কলা একটা করে তাও সে মাগো দেওয়া ভার || কাপড় দেব পূজার সময় তারও উপায় রাখিস নি মা | ছেলে মেয়ে ন্যাংটো আছে কোথায় পাব কাপড় জামা || রেশানের সে কাপড় এবার পাবার যে মা সাধ্য নাই | তোর পূজার মা কি যে করি দিন রাত্রি ভাবছি তাই || আসতে যদি হয় মা এবার দশ হাতে আয় অস্ত্র নিয়ে | বাংলাটাকে শেষ করে যা তোর হাতের ঐ দশটি ঘায়ে || জার্মানীরা হেরে গেছে জাপানও তো অধীন হলো | গেল না তো বাংলা হ'তে বাঙ্গালীর সে দুঃখ গুলো || তার উপরে তোমার ছেলে সুভাষ, ওতো নেইকো বেঁচে | পূজোর ছেলে মেয়ে কোন আনন্দে এবার নাচে || এত কাল মা আনন্দময়ী এলি হেথা হাসি মুখে | এবার একটু কেঁদে যা মা আমাদের এই দুঃখ দেখে || *********** |
আজাদ হিন্দ ফৌজ (২৩ জানুয়ারী ১৯৫২) বাংলা মায়ের বীর সন্তান সুভাষ এদেশ ছেড়ে সিঙ্গাপুরেতে পৌঁছে গেলেন বাঁধন ছিন্ন করে | জাপান তখন বীর বিক্রমে দেশের উপর দেশ অধিকার করি চলিয়া এসেছে বার্মাপ্রান্ত শেষ | বন্দী ভারতী সৈন্য লইয়া জাপানের কাছ হ'তে নেতাজী গড়িল আজাদী ফৌজ ভারত উদ্ধারিতে | সেই ফৌজ লয়ে মালয় জাভা ও বার্মা দখল করি নেতাজী এলেন চাটগাঁ পেরিয়ে কোহিমার পথ ধরি | জাপান যোগাল ট্যাঙ্ক ও বিমান কামান বারুদ গোলা আজাদী ফৌজ লইয়া সুভাষ আকাশে উড়ায় ধুলা | এ হেন সময় বিধাতা বিরূপ বর্ষা আসিল চেপে ইংরাজ সেনা সুযোগ বুঝিয়া জাপানে পড়িল ঝেপে | |
রাজার বাণী বাংলা জুড়িয়া দুর্ভিক্ষের আজি করাল মূর্তি দিয়াছে দেখা অনাহারে পড়ে কত লোক মরে হিসাব তাহার যায় না লেখা | শহরে শহরে সরকার আজ লঙ্গরখানা দিয়াছে খুলে খাইবে সকলে সেথা বিনা মূলে মরিতেছে যারা ক্ষুধায় জ্বলে | কিন্তু তাহাতে ক্ষুধা তো মেটে না হাহাকার আরও যেতেছে বেড়ে ভীড় করে শুধু নরনারী সেথা ঠেকাতে পুলিশ আসিছে তেড়ে | একটি ছটাক খিচুড়ির তরে লঙ্গরখানায় বাড়িছে ভীড় গ্রাম হতে সব শহরে আসিছে ছাড়িয়া তাদের শান্তি নীড় | ধনীর শহর কলকাতা মাঝে কাঙ্গালের মেলা গিয়েছে বসে কত মাতা পিতা শিশু পুত্র লয়ে এসেছে তথায় জীর্ণ বেশে | ক্ষুধার জ্বালায় পথে পথে মরে রোজ কত শত শিশু ও নারী হাস্পাতালেতে অর্ধমৃত কত নিতেছে পুলিশ ভরিয়া গাড়ী | সেখানে তাদের শেষ নিঃশ্বাস বাতাশের সনে যেতেছে মিশে বুঝিবে না তারা এ দৃশ্য যারা দেখে নাই কভু ভীষণ কি সে | পেটে অন্ন নাই কাপড় জোটে না বাঙ্গালীর আজ এই তো সাজ মনে হয় হেন যাদু বলে যেন উড়ে গেছে সব খাদ্য আজ | |
যতই না কাজ থাক | পিওনগুলি ঘাড়ে থলি দেয়না দেখা আর টেলিগ্রাম যয়না করা বন্দ আছে তার | কয়না কথা টেলিফোনে শুধুই ঘন্টা বাজে হ্যালো হ্যালো যতই বল হয়না কিছুই কাজে | ********* |
লীগের জেহাদ ( ১৯৪৬ সালের 'দ্য গ্রেট ক্যালকাটা কিলিংস' এর বিবরণ ) ১৬ই আগস্ট লীগের জেহাদ কলিকাতার পরে ভীষণভাবে দেখা দিল সেদিন শুক্রবারে | প্রধান মন্ত্রী সুরাবর্দী লীগের নেতা সেজে গড়ের মাঠে মিটিং করে এলেন লাঠি ভেজে | আটটা বেলায় বৌবাজার ও ধর্মতলার মোড়ে আক্রমণটা শুরু হলো দোকানগুলোর পরে | দেখতে দেখতে লুট হল সব হিন্দুর দোকানগুলো ফট্-ফটা-ফট্ ভাঙ্গলো মাথা রক্তে ভাসে ধুলো | হিন্দুর বাড়ী পেলেই ঢোকে লীগ গুন্ডার দল পরিবারের সবায় কেটে বাড়ায় হাতের বল | জীবন রক্ষার তরে শেষে অনন্যোপায় হয়ে হিন্দুরা সব মারল তাদের ইট আর পাথর দিয়ে | সমস্ত দিন চলল লুট আর খুন জখমের ঢেউ পুলিশ কিংবা মিলিটারি আসলো নাকে কেউ | শনিবারও লীগ নেতাদের চলল অবাধ গতি ঠেকাল না লাট সাহেব কি মন্ত্রি মহামতি | বিমান চেপে শহর দেখে সারল তাদের কাজ কান্ডজ্ঞানহীন এসব কাজের মাথায় পড়ুক বাজ | শনিবারের সন্ধ্যা কালে মিলিটারির করে ছেড়ে দিয়ে কলকাতাটা মন্ত্রীরা হাফ্ ছাড়ে | কিন্তু তাতে মারামারি বন্ধ হলেও কিছু লীগ গুন্ডা ছোড়া হাতে থাকল হিন্দুর পিছু | ট্রাম বাস সব বন্ধ হল বন্ধ রেলের গাড়ী সান্ধ্য আইন জারি হল বদ্ধ সবাই বাড়ী | তবু কিন্তু লীগের ছোঁড়া চলল সমান তালে শ্রমিক কুলি উড়িয়ারা মরল পালে পালে | ব্যাপার দেখে হিন্দুরা সব আত্মরক্ষার তরে ঝাপিয়ে প'লো অস্ত্র হাতে লীগ গুন্ডার পরে | মুসলমানের দোকানগুলোও লুট হয়ে সব গেল |
( আমি ) |
|
( আমি ) |
ছাড়িলাম মাছ পুকুরে আমার ভাল খাইবার তরে, রাতে এক দিন জাল দিয়ে সব কারা নিয়ে গেল ধরে | |
( আমি ) |
|
( শেষে ) |
কাটিবার কালে গিয়ে ধেখি তায় ধান নাই এক মুঠো, সব জমিটুকু ভরিয়া রয়েছে রাশি রাশি খড়কুটো | |
( আমি ) |
|
( আমি ) |
শীতের সময় গায় দেবো বলে কোট কিনেছিনু দুটো, বের করে দেখি সারা জাগা তার ইঁদুরে করেছে ফুটো | |
( আমি ) |
বিয়ে করেছিনু সুখী হবো বলে ঝাঁটা খেয়ে মরি এবে, কেহ নাই বুঝি আমার মতন এমন অভাগা ভবে | |
( আমি ) |
|
( পরে ) |
কিছু দিন বাদে খাতা খুলে সব দেখিনু হিসেব করে, নগদ বিক্রি আধলাও নেই বাকী খাতা গেছে ভরে | |
( আমার ) |
|
********************* |
কবি শচীন্দ্রনাথ সেন, দেশ-বিদেশ-বিশ্বযুদ্ধের মত নানা ঘটনাবলি, যখন যেমন পেয়েছেন, পর্যবেক্ষণ করে এই কবিতা রচনা করে গিয়েছেন | |
সংবাদ পত্র ( ৭ই জুন ১৯৪৫ ) |
(১০) গোয়েবলস্ ও দেখলো যখন যুদ্ধ জয়ের নেইকো আশা নিজের মাথায় গুলি মেরে শেষ করেছে মুখের ভাষা | (১১) সিনোর মুসলীনি নাকি পঞ্চাশ ঘন্টা দৌড়ে গিয়ে বেঁচে গেছেন জন্মের মত শত্রুর হাতে প্রাণটি দিয়ে | (১২) সান্ ফ্রান্সিস্ কো সভায় নাকি বিজয় লক্ষ্মী সকল খুলে চমকে দেছেন ফিরোজ খাঁ কে দেশের কথা বেবাক বলে | (১৩) সকলগুলি জবর খবর একটিও এর মিথ্যা নয় সবাই তাই আজ আনন্দেতে গাইছে শুন রাজার জয় | (১৪) বাঙ্গালীদের ভাগ্যে কিন্তু জয়ের আমোদ মোটেই নাই কারণ সবাই দিগম্বর আজ আজ যে তাদের কাপড় চাই | (১৫) কাল হয়েছে ১৬ টাকা জ্বলেনা আর রাতের আলো সরিসার তেল ২ টাকা সের তাও বাজারে অমিল হলো | (১৬) অন্ন, বস্ত্র, দুই বাঙ্গালীর সুলভ যখন এমনি ধারা রাজার জয়ে নেংটা হয়ে আনন্দেতেই নাচবে তারা | (১৭) এর পরেতেই বেতারেতে যে সব খবর পাওয়া গেল এখানে তা বলছি খুলে শুনতে খুবই লাগবে ভাল | (১৮) জার্মানেরই রাষ্ট্র নেতা ভোয়েনিত্স্ যে নিজে গিয়ে আত্ম সমর্পণের পত্র ত্রি শক্তিকে দেছে নিয়ে | |
কবি শচীন্দ্রনাথ সেন, দেশ-বিদেশ-বিশ্বযুদ্ধের মত নানা ঘটনাবলি, যখন যেমন পেয়েছেন, পর্যবেক্ষণ করে এই কবিতা রচনা করে গিয়েছেন | |
সংবাদ পত্র ( ৯ই জুলাই ১৯৪৫ ) |
(৯) লর্ড ওয়েভেল বিলেত থেকে সেদিন সবে এসে ফিরে নিমন্ত্রণ তার জানিয়ে দেছেন আজাদ এবং লীগ নেতাকে | (১০) শাসন পরিষদটা এবার তুলে দেবেন দেশের হাতে সিমলা গেছেন জিন্নাও তাই কংগ্রেসী সব নেতার সাথে | (১১) সেথায় গিয়ে নেতৃবর্গ ঘন ঘন মিটিং করে সদস্যদের তালিকাটা ঠিক করছেন কদিন ধরে | (১২) নামের লিস্ট টা পেলে পরে লাট বাহাদুর তার যে কথা ১৪ জুলাই জানিয়ে দেবেন সকল নেতার বৈঠকে তা | (১৩) জিন্নাজী ও কংগ্রেসীদের মতটা যদি একই হয় লর্ড ওয়েভেল দেবেন স্বরাজ ভারতকে, আর নেইকো ভয় | (১৪) জিন্নার মুখের ভাবটি দেখে সবাই কিন্তু বলছে ভাই জিন্না কিছু নেবেন না আর পাক্স্থানই তাহার চাই | (১৫) লীগ নেতার এই পাকিস্থানটা চাওয়াই যদি সত্যি হয় সিমলা বৈঠক যাবে ফেসে স্বরাজ পাবার রয়না ভয় | (১৬) ১৪ই জুলাই কি হয় দেখার আশায় মোরা রইনু বসে লাট সাহেবের বিচারে যায় পাকিস্থান কি স্বরাজ ভেসে | |
কবি শচীন্দ্রনাথ সেন, দেশ-বিদেশ-বিশ্বযুদ্ধের মত নানা ঘটনাবলি, যখন যেমন পেয়েছেন, পর্যবেক্ষণ করে এই কবিতা রচনা করে গিয়েছেন | |
সংবাদ পত্র ( সম্ভবতঃ এপ্রীল-মে ১৯৪৬ ) |
(১) টোকিও বেতার হতে আবার নূতন খবর পেলাম ভায়া সিতাংবাকে ভীষণভাবে বদলে গেছে যুদ্ধের হাওয়া | (২) কামান এবং সৈন্য সহ জাপানীরা প্রবল ভাবে দিচ্ছে বাধা এগিয়ে যেতে মিত্র পক্ষের সৈন্য সবে | (৩) কয়েক হাজার জাপান সেনা পেগুওমায় বন্দী আছে উপায় তাহার খুঁজছে তারা কোন ফিকিরে সবাই বাঁচে | (৪) রেলের যোগাযোগগুলি সব বৃটেন যাহা নেছে কেড়ে ট্যাঙ্ক কামানে জাপানীরা ফেলছে সে সব ছিন্ন করে | (৫) মিত্র পক্ষ তোড়জোড় খুব করছে নদীর অপর পারে দু পক্ষই ঠিক ভাবছে বসে কে জেতে আর কে বা হারে | (৬) ওদিক আবার বার্লিনেতে হচ্ছে সভা পটাসডমে ত্রি শক্তিতে মিটিং করেন ভূলটি নাহয় কোন ক্রমে | (৭) জাপান নাকি করবে সন্ধি বৃটেন আমেরিকার সাথে অধিকৃত দ্বীপগুলি সব ছেড়ে দিয়ে তাদের হাতে | (৮) জাহাজ এবং বিমান বহর সবই নাকি দেবে ছেড়ে মিত্র পক্ষ তাহা হলে যুদ্ধ দেবেন বন্ধ করে | (৯) হঠাত্ সেদিন দেখি আবার কাগজের এক খবর পড়ে নূতন বধুর সঙ্গে বসে হিটলার নাকি গেছেন উড়ে | (১০) বিমানযোগে দক্ষিন মেরুর কোন এক নতুন তুষার দেশে বরফ হয়ে জমে তারা সত্যি কিগো যাবেন শেষে | (১১) এই তো গেল বিদেশ বার্তা এবার আসি দেশে ফিরে লীগ নেতারা আর কংগ্রেসীরা কি বা বলেন লাটের ঘরে | (১২) আজকে পুনঃ বলব শুন জুলাই মাসের সকল কথা দেশ নেতারা ফিরেছেন সব সিমলা হতে পেয়ে ব্যাথা | (১৩) জনাব জিন্না ছাড়েন নিকো কোন রূপে আপন দাবী ওয়েভেলের কল্পনাটা তাইতে ভেঙ্গে গেল সবই | (১৪) এত দিনের এত আশা সবই সেদিন গেল ভেসে সিমলা শৈল যেদিন সেথা মুষিক প্রসব করল শেষে | (১৫) ফিরে গেলেন মহাত্মাজী ফিরে গেছেন আজাদ মিঞা মালাবারে ফিরে গেলেন শূণ্য হাতে জিন্না ভায়া | |
(১৬) ডোমিনিয়ান স্বরাজ দিতে ভারতেরে তাইনা পেরে ফিরে গেলেন বড়লাটও মনের দুঃখে নিজের ঘরে | (১৭) ওদিক আবার লণ্ডনেতে বিরাট খবর গেল পাওয়া আমেরী আর চার্চিল দুইয়ে ছেড়ে দেছেন খাওয়া দাওয়া | (১৮) হেরে গিয়ে নির্বাচনে সেদিন শ্রমিক দলের হাতে চাকরী নিয়ে চলে গেছেন নিজ নিজ দলের সাথে | (১৯) ক্লিমেন্ট এটলি শ্রমিক নেতা এখন প্রধান মন্ত্রী হয়ে চার্চিলের সেই বাড়ীখানায় খাটি ভাবেই গেছেন রয়ে | (২০) প্যাথিক লরেন্স ভারত সচিব আমেরীর পদ নেছেন কেড়ে তাই আমেরী বি@@@ চাকরী নেছেন সকল ছেড়ে | (২১) এই বদলে ভারতবাসী পাবে কি না নূতন কিছু জানিনে ঠিক আশায় ভারত @@@@@@@@@ | (২২) আর একটিও জবর খবর জাপান হতে গেল পাওয়া রুশ ও নাকি এত দিনে জাপানীকে করলে ধাওয়া | (২৩) এটমিক বম্ বাহির করে ইঙ্গ মার্কিন দুজন মিলে জাপানটাকে সেদিন নাকি দুধার থেকে উড়িয়ে দিলে | (২৪) হিরোশিমা নাগাসাকি বোমার ঘায়ে গেছে উড়ে শহর দুটোর সবাই নাকি একেবারে গেছে পুড়ে | (২৫) পটাসডমের বৈঠকে তাই জাপানীরা দারুন ভয়ে সন্ধিপত্র পৌঁছে দেছে তাদের প্রধান দূতকে দিয়ে | (২৬) চার প্রধানে সন্ধি সর্ত আগেই তাদের জানিয়ে দেছে মরণাস্ত্রের প্রভাব দেখে জাপানও তাই মেনে নেছে | (২৭) সর্বাধিনায়কের পদে ম্যাক আর্থার গেছেন বসে জাপান রাজা তার অধীনে স্বাধীন হয়ে রইল শেষে | (২৮) এতদিনের বিরাট যুদ্ধ এবার নাকি গেল থেমে জয়ের আনন্দেতেই এবার বাংলা নেয়ে উঠল ঘেমে | (২৯) ন মাস হল কারো কাছে দেশের খবর হয়নি বলা লেখার সময় পাইনি মোটেই যদিও খবর ছিল মেলা | (৩০) সংক্ষেপেতে বলছি এখন বড় বড় খবরগুলো দেশের ভাগ্যে জুটে গেছে এবার অনেক কলা মুলো | |
(৩১) বিমান চড়ে জাপান যেতে সুভাষ নাকি গেছেন মারা নিজের তৈরী আজাদী ফৌজ তাইতে হল ছন্ন ছাড়া | (৩২) নেতাজী আর কয়েকটা দিন তখন যদি যেতেন বেঁচে অধীনতার ললাট লিখন ভারত তবে ফেলত মুছে | (৩৩) তা যখন আর হলো নাকো মন্ত্রী মিশন এল হেথা তাদের দয়ায় ভারতবাসী পেয়েই যাবে স্বাধীনতা | (৩৪) লীগ নেতা আর কংগ্রেসীরে ডেকে নিয়ে সিমলা শিরে স্বাধিনতার দলিল লিখে নিয়ে এলেন নিচেয় ফিরে | (৩৫) দিল্লী এসে অবশেষে দিয়ে গেলেন স্বাধীনতা দুখের বিষয় বুঝল না কেউ কংগ্রেসীরা লীগের নেতা | (৩৬) খোস মেজাজে কেউই তারে চায়না নিতে এ কি জ্বালা সকল দেখে মন্ত্রি মিশন করছে এখন পালা পালা | (৩৭) স্ট্যাফোর্ড ক্রিপস্ অসুস্থ খুব শুনছি নাকি দিল্লী এসে ভালয়ে ভালয়ে পারলে যে হয় ফিরতে এখন তাদের দেশে | (৩৮) লীগ পেল না পাকিস্থান তাই জিন্না গেছেন ভীষণ ক্ষেপে কংগ্রেসীরা ভরছে পলো পাকিস্থানই ঘাড়ে চেপে | (৩৯) পড়েশুনে মহাত্মাজী মূল দলিলের সকল ভাষা বলছেন সবায় লওগো ইহা এইতো স্বরাজ দিচ্ছে খাসা | (৪০) বাংলা দেশের বড়ই দুঃখ নেতাজী নেই এমন দিনে তাকে পেলেই বাংলা এখন পারত যেতে পথটি চিনে | (৪১) হে ভগবান ফিরিয়ে দে আজ নেতাজীকে মোদের মাঝে পতাকা তার হাতে নিয়ে দাড়ান এসে বীরের সাজে | (৪২) আশার কথা একটু ইহা রাষ্ট্রপতির পদে এবার জহরলালজী মনোনিত ভার পেয়েছেন স্বদেশ সেবার | ************** |