শচীন্দ্রনাথ সেনের রচিত কবিতায় ধাঁধা |
|| ১ || তিন বর্ণে নাম মোর প্রতি ঘরে রই চলে না কাহার কিন্তু কভু আমা বই | মাথা যদি কাট কবে ময়লাটা বই লেজ যদি কাট তবে সবজান্তা হই | পেটকে কাটিলে পরে জলে পেট ভরি কি নাম আমার ভাই বল ত্বরা করি | |
|| ২ || তিন বর্ণে নাম মোর রণস্থলে বাস, যুদ্ধ জয় করি আমি শত্রু ক'রে নাশ | মাথা যদি কাট তবে অতিশয় মানি | পেট কেটে ফেল যদি সব কথা শুনি | কঠিন আমার দেহ ভেদ নাহি হয়, বুদ্ধিমান হলে নাম বলিবে নিশ্চয় | |
|| ৩ || তিনটি বর্ণেতে মম নামের প্রকাশ প্রথম হরিলে করি সমুদ্রেতে বাস মধ্য বর্ণ বাদ দিলে অন্ধ হয়ে ফিরি শেষ যদি বাদ দাও সবে ঘৃণা করি ত্রিবর্ণ একত্র হয়ে দেশ হয়ে যাই কি নাম আমার তুমি বল দেখি ভাই | |
|| ৪ || তিন বর্ণে নাম মোর বৃক্ষচূড়ে বাস মুণ্ড কেটে নিলে করি অন্ধকার নাশ পেট যদি কাট তবে কাব্য লিখি বসে সব কিছু ধরে ফেলি লেজ গেলে খসে | বৃক্ষতলে পাবে মোরে ভোরের বেলায় কি নাম আমার তুমি বলো ত হেলায় | |
|| ৫ || তিন বর্ণে নাম মোর শূণ্যে করি বাস আমারে দেখিলে লোকের মনে লাগে ত্রাস শহরেতে ব্যস্ত থাকি সদা নানা কাজে দেখিতে পাইবে মোরে ধনি গৃহ মাঝে গরমের ঠাণ্ডা আমি আঁধারের আলো কি নাম হইবে মোর তুমি এবে বল | |
|| ৬ || চারিটি বর্ণেতে মম নামের প্রকাশ আমি কিন্তু করে থাকি বৃক্ষচূড়ে বাস বৃক্ষচূড়ে বাসা মোর পাখী আমি নই অথচ দুস্থদের বন্ধু আমি হই দরিদ্রের চালাঘর আমি বেঁধে দেই ভিক্ষুকের ভিক্ষাপাত্র আমিই যোগাই মাতা, কন্যা, যায়া হই প্রথমার্ধ নিলে মাথা লেজ তুলে নিলে ফুটে থাকি বিলে | |
|| ৭ || তিনটি অক্ষরে নাম ড্রেনে পড়ে রই, তাই বলে ভেব নাক জলে আমি নই, কাট যদি মাথা তবে গাছ হতে পড়ি, লেজ কেটে নিলে পরে স্নেহময়ী নারী, পেট কেটে নিলে উঠি কুলির মাথায়, নামটি আমার কেউ লেখ না খাতায় | |
|| ৮ || তিন বর্ণে নাম মোর শহরেতে রই, চলেনা কাহারো সেথা কভু আমা বই, লেজ যদি কাট তবে সবে বলে কথা, পেট কেটে নিলে খোকার ঠাণ্ডা হয় মাথা, ক্ষুধিতেরে আমি কিন্তু অন্নটা যোগাই, কি নাম আমার তুমি বল দেখি ভাই? |
|| ৯ || তিনটি বর্ণেতে মোর নামের প্রকাশ কোন কোন অঞ্চলেতে করি আমি বাস, মস্তক কাটিয়া নিলে সিংহাসন বসি | লেজ কেটে নিলে পরে জীব প্রাণ নাশি | সবাকার গৃহে গৃহে আমি স্থান পাই, নামটি আমার তুমি বল দেখি ভাই | |
|| ১০ || তিন বর্ণে নাম মোর আঁধার ঘুচাই, মস্তক কাটিয়ে নিলে রত্ন হয়ে যাই | পেট কেটে নাও যদি মিষ্ট রস পাই কি নাম আমার তাই বল দেখি ভাই? |
|| ১১ || তিনটি অক্ষরে মোর নামটি যে হয়, জগতের আমি এর বিরাট বিস্ময় | মাথা যদি কাট তবে সৈন্য তাতে রয়, পেট কেটে নিলে পরে গাছে মোরে খায় | বহু জীব জন্তু আমি সযতনে পুষি নামটি বলত তুমি হয়ে যাব খুশী | |
|| ১২ || চারি বর্ণে নাম মোর আনাজের রাজা, আমা হ'তে হয় বহু খাদ্য আর ভাজা | নবীন তরুণ আর সুপক্ক রসাল তাই বলে ভেব নাক নহে আমি তাল | |
|| ১৩ || তিনটি অক্ষরে নাম জলে বাস করি সাহেবের প্রিয় তাই নেয় ঠোঙ্গা ভরি, মস্তক কাটিয়া নিলে কুলিরে মাতাই পেট কেটে নিলে পরে নদী পারে যাই লেজ যদি কাট তবে খেতে বসে যাই কি নাম আমার তুমি বল দেখি ভাই | |
|| ১৪ || তিনটি অক্ষরে নাম খালে বিলে বাস আকাশে দেখিলে চাঁদ সেকি মোর বাস | পেট কেটে নিলে পরে কটুভাষা হয় লেজ কেটে নিলে পরে দেখে পায় ভয়, মায়া কেটে গেলে পরে মালা হয়ে যাই কি নাম আমার তুমি বল দেখি ভাই | |
|| ১৫ || তিনটি অক্ষরে নাম সবার প্রয়োজন আমারে পেলেই সবার খুশী হয় মন লেজ কেটে নিলে পরে সবাই বাজায় পেট কেটে নিলে পরে মরে লাভ পায় নীচ বংশ জন্ম মোর গতি সর্ব্ব ঠাঁই কি নাম আমার তুমি বল দেখি ভাই | |
|| ১৬ || তিনটি অক্ষরে নাম শুচি করি সব মস্তক কাটিলে হই বৃহত্ দানব | লেজ যদি কাটে তবে খাদ্যদ্রব্য হই কি নাম আমার তুমি বল দেখি ভাই | |
|| ১৭ || তিনটি অক্ষরে নাম প্রিয় সবাকার মস্তক কাটিলে পরে ঢেকে দেই ঘর লেজ যদি কেটে নাও ঘরে গিয়ে উঠি, পেট যদি কাট তবে ভাষা হই বটি | আমারে পাইলে খুশী হয় ছেলে বুড়ো নামটি আমার তুমি বল দেখি খুড়ো? |
|| ১৮ || তিনটি অক্ষরে নাম মোর নামের প্রকাশ, চিরদিন করি আমি নারী স্কন্ধে বাস | মাথা যদি কাট তবে গলদেশে বসি লেজ যদি কাট তবে হয়ে যাবে খুশী, পেট কেটে নিলে পরে পথের সাখী হই, কি হবে নামটি মোর বল দেখি ভাই? |
|| ১৯ || তিন বর্ণে নাম মোর সবার ঘরে বাস আমা হতে সবার আবার তৃষ্ণা হয় নাশ | মাথা যদি কেটে নাও শিউরে উঠি দেখে, লেজ কেটে নিলে পরে গিলতে হয় মেখে | একটি জিনিষ আমি কিন্তু পেটটি ভরে খাই কি হবে নামটি মোর বল দেখি ভাই? |
|| ২০ || তিনটি বর্ণেতে নাম দক্ষিণ দেশে বাস মোর নামেতে অনেকেরই মনে লাগে ত্রাস | পেট যদি কেটে নাও তৃষ্ণা করি দূর, লেজ কেটে নিলে পরে রই সাগর পুর | আমি কিন্তু করি বহু পরউপকার কি নাম আমার তুমি বল এইবার | |
|| ২১ || তিনটি অক্ষরে নাম জলে বাস করি কত লোকে পেটে পুরে যেথা সেথা ঘুরি, ডুবে মরি আমি হলে বিধির খেয়াল যন্ত্রযুগে কিন্তু আমি বড়ই অচল | তবু আমায় ঘৃণা করে নাক কেউ তবু কিন্তু ভেঙে চলি বড় বড় ঢেউ | |
|| ২২ || তিনটি অক্ষরে নাম নাই গৃহে বাস রোজগার করি কিন্তু আমি বারোমাস | মোরে নিয়ে শিল্পী বহু কারুকার্য্য করে হস্তে স্পর্ষ করে কিন্তু বহু নারী নরে | চারি পাঁচ ইঞ্চি হতে হই নাক বড়, কি নাম আমার তুমি বলিতে কি পার? |
|| ২৩ || তিনটি অক্ষরে নাম সখের জিনিষ, ক্রেতারা দোকানে গিয়ে আমারে কিনিস | মাথা যদি কেটে নাও প্রবাহেতে ফিরি, পেট কেটে নিলে পরে সব রাখি ঘিরি | লেজ কেটে নিলে পরে স্কুলে দেখা পাই, কি নাম আমার তুমি বল দেখি ভাই? |
|| ২৪ || তিনটি বর্ণেতে মম নামের প্রকাশ, গৃহস্থের আঙ্গিনাতে আমি করি বাস | সাজি হাতে বালিকারা ভরে তুলে নেয় গৃহিণীরা উপাদেয় খাদ্য বেঁধে দেয় | নামটি আমার কিন্তু সবে রক্ষা করে, মায়া কেটে নিলে সাঁঝে ছেলে মেয়ে ভরে | পেট যদি কেটে নাও বিলাস জোগাই নামটি কি হবে মোর বল দেখি ভাই ? |
|| ২৫ || তিনটি অক্ষরে নাম গাছে ঝুলে রই আমি কিন্তু মেয়েদের বড় প্রিয় হই | শয্যাশায়ী হই যদি মাথা কেটে নাও, পেট কেটে নিলে পরে সবে মোরে লও | বালকের প্রিয় আমি বালিকারও তাই, কি নাম আমার তুমি বল দেখি ভাই? |
|| ২৬ || গাছ হতে জন্ম মোর তিন বর্ণে নাম, শীত কালে গৃহস্থের গৃহে মোর ধাম | মোর নামে শিশুদের মুখে লালা সরে, পাইলে বুড়োও মোরে নাকে তুলে ধরে | মাথা যদি কেটে নাও ছাদে বসি এঁটে, পেট কেটে গেলে বসি ওজনের বাঁটে | জন্মিয়া পাড়াটি আমি সুবাসে মাতাই, শনি ও মঙ্গল বারে প্রতি হাটে যাই | লেজ যদি কেটে নাও সব ঘরে রই নামটি আমার তুমি বল দেখি ভাই? |
|| ২৭ || শহরেতে যাইনা আমি থাকি পল্লীগাঁয়ে, কলিকাতায় যাই না আমি গাড়ী ঘোড়ার ভয়ে | গয়ায় পিণ্ড দিতে আমি গয়া বাসে যাই, অন্য তীর্থ আমার কিন্তু মনে ধরে নাই | গঙ্গা স্নানটা আমার কিন্তু বড় ভাল লাগে, সজল-গঙ্গার মূর্ত্তি তাই মনে জাগে | গাড়ী চড়ার মোহ আমার মাঝে মাঝে হয়, বাসে চড়তে পাই আমি ঝাকুনির ভয় | ট্রামগাড়ী রেলগাড়ী তাই খুঁজে চড়ি, বল দেখি কেবা আমি কি নামটি ধরি | |
|| ২৮ || পাড়াগায়ে যাইনা আমি ম্যালেরিয়ার ভয়ে, কলিকাতার জল-হাওয়াটা গিয়েছে বেশ সয়ে | কাশিপুর আর লেক রোডেতে তাই আছি দুই বাড়ী, কবি এবং পাঠক সহ কাব্য কথা পড়ি | গয়ায় যাই না আমি থাকি গিয়ে কাশী, বর্ণশ্রেষ্ঠ বলে আমি প্রথমেই বসি | কিশোর দুয়ে বড় বাসী ভাল, কি নাম আমার হবে তোমারাই বল | |
|| ২৯ || চারটি বর্ণেতে মম নামের প্রকাশ, ধরণীর গর্ভে কিন্তু আমি করি বাস | শির উঁচু করে রাখি মৃত্তিকার উপরে, খাদ্যপ্রাণ আছে কিন্তু মোর দেহ ভরে | প্রখমার্ধ নিলে পরে দামী কাষ্ঠ হই, শেষ অর্ধে বর্তমানে ঘরে ঘরে রই | তরকারীর মধ্যে আমি তত মন্দ নই, কি নাম আমার তুমি বল দেখি ভাই | |
|| ৩০ || চারি বর্ণে নাম মোর বৃক্ষতলে বাস, জীব জন্তু মোর কাছে যেতে পায় ত্রাস | কিন্তু যদি আন কেহ মোরে যত্ন করে, মিষ্ট রস পাবে তবে অল্প কিছু পরে | সুনাম আছয়ে মোর গৃহস্থের ঘরে, নামটি কি হবে তুমি বল দেখি মোরে | |
|| ৩১ || তিনটি অক্ষরে নাম সাগর পানে ছুটি খ্যাত আমরা বাংলা দেশে ভাই আর বোন দুটি পেট কেটে নিলে পরে ভাঙা দেই জোড়া লেজ কেটে নিলে পরে দেবতার সেরা দুটি ভাই বোন মোরা ছুটিয়া বেড়াই কি নাম আমার তুমি বল দেখি ভাই ? |
|| ৩২ || তিনটি অক্ষরের নাম সাগরের ছেলে, সন্ধান পাবে মোর সমুদ্রের কুলে | মাথা যদি কেটে নাও যশোরেতে পাবে, পেট কেটে নিলে পরে আপন না রবে | এবড় মজার নাম যেথা সেথা নাই, ভাবিলেই পাবে দেখা, কে বা আমি ভাই? |
|| ৩৩ || তিনটি অক্ষরে নাম বৃক্ষ শাখে বসি, পক্ষকাল পরে আমি যাই কিন্তু খসি | মস্তক কাটিয়া নিলে সবে ভয় করে, মস্তক লইলে কিন্তু রসে ঘর ভরে | মোদকের দোকানেতে পাবে মোর দেখা, এখনও হলো না নাম এত তুমি বোকা? |
|| ৩৪ || তিনটি অক্ষরে নাম সর্বত্র বিরাজে, আমাকে লাগয়ে কিন্তু সকলের কাজে | সমুদ্র মাঝারে আমি জাহাজ চালাই, আকাশে প্রতাপ মোর কম নহে ভাই | মস্তক কাটিয়া নিলে সবে বসে নিয়ে, পেট কেটে নিলে ঘর করে তাই দিয়ে | নামটি এতই সোজা সকলেই জানে, বল দেখি এবে তুমি কিবা তার মানে? |
|| ৩৫ || তিনটি অক্ষরে নাম দৃষ্টি করি রোধ, আমার প্রতাপে কিন্তু বন্ধ হয় রোদ | স্টীমার জাহাজ আমি অবহেলে রুখি, প্লেনগুলি চলে নাক সোজা পথ দেখি | মস্তক কাটিয়া নিলে আশা জাগে মনে, নামটি আমার তুমি বল এতক্ষণে | |
|| ৩৬ || তিনটি অক্ষরে নাম প্রায় বাড়ী রই, ক্ষুদ্র হলেও কিন্তু কম আমি নই | মাথা যদি কেটে নাও প্রত্যেকে দেখি, পেট কেটে নিলে পরে নতুন করে রাখি | আমার ইঙ্গিতে কিন্তু জগত্ চালাই, কি নাম আমার তুমি বল দেখি ভাই? |
|| ৩৭ || তিনটি অক্ষরে নাম জীব হিংসা করি, রাজবংশি গৃহে থেকে বহু জীব ধরি | লেজ যদি কাট মোর শ্রেষ্ঠ হই আমি, পেট কেটে দাও যদি নীচে বসিলামি | মস্তক কাটিয়া নিলে দড়াদড়ি হই, বলতো নামটি মোর কোথা আমি রই | |
|| ৩৮ || চারটি অক্ষরে নাম পরোপকারী, সমাজে তাইতে মোর নাম আছে ভারী | প্রথমার্দ্ধ বাদ দিলে বার্তা নেই বয়ে, শেষ অর্দ্ধ বাদ দিলে সবে যায় লয়ে | লোকের বাড়ীতে গিয়ে মল মুত্র ঘাটি, নামটি আমার তুমি বল দেখি খাঁটি | |
|| ৩৯ || চারিটি অক্ষরে নাম লণ্ডনের নাতি এখানে আসিলে কিন্তু সবে মারে লাথি প্রথমার্দ্ধ নিলে থাকি রাস্তার পাশে শেষ অর্দ্ধে ঘুরি শুধু বৈকালে ঘাসে নামটি আমার বলা অতি সোজা ভাই যা ভেবেছ মনে মনে ঠিক কিন্তু তাই | |
|| ৪০ || চারিটি অক্ষরে কিন্তু হয় তার নাম ভরতের এক প্রান্তে আছে তার ধাম প্রথমার্ধ নিলে তার দুধ ডেকে রাখি দ্বিতীয় অর্ধেকে কিন্তু নায়ে নায়ে থাকি সব শুদ্ধ হয় যেই ইষ্পাত কঠিন নামটি বলার আশা করো নাক ক্ষীণ | |
|| ৪১ || তিনটি অক্ষরে নাম প্রিয় সবাকার আমাকে ছাড়িয়া কিন্তু ওঠা হয় ভার মস্তক ধরিলে পরে সবারে জিজ্ঞাসি পেট আর লেজ মিলে মৃত্যু কালে ভাসি নামটি আমার তুমি বল দেখি ভাই বলিতে না পার যদি বুদ্ধি তব নাই | |
|| ৪২ || তিনটি অক্ষরে নাম প্রিয় সবাকার, বর্তমানে তার দেখা মিলিবে না আর | মস্তক কাটিলে করি তার আরাধনা, পেট কেটে নিলে পোড়ে অনেক সাধনা | লেজ কেটে নিলে যাহা, সব মিলে তাই, কি নাম আমার তুমি বল দেখি ভাই? |
|| ৪৩ || চারিটি অক্ষরে নাম বৃক্ষে থাকি ঝুলে বাজারেতে মান মোর আছে কিন্তু ঝুলে প্রথম অর্দ্ধেক যদি নাও তুমি তুলে পাখী হয়ে বসি আমি গৃহস্থের চালে শেষ অর্দ্ধে পড়োদের ঘরে শোভা পাই কি নাম আমার তুমি বল দেখি ভাই | |
|| ৪৪ || এমন কি দেশ আছে বাংলার মাঝে নিরুত্সাহ করে দেয় সদা সব কাজে তিনটি অক্ষরে মম নামের প্রকাশ লেজ কেটে নিলে পরে মনে জাগে আস পেট কেটে নিলে পরে পুকুরেতে থাকি নামটি যে খুব সোজা আগে বলে রাখি | |
|| ৪৫ || চারটি অক্ষরে নাম বাংলায় রই পাকিস্থান অধিবাসী আমি কিন্তু হই প্রথমার্দ্ধ নিলে তারে খাদ্য মধ্যে গণি শেষ অর্দ্ধে ইহা যাহা ধনী সঙ্গী জানি নাম ডাকে আমি কিন্তু কম নহি ভাই কি নাম আমার তুমি বল দেখি ভাই | |
|| ৪৬ || তিনটি অক্ষরে নাম শীতে দেখা পাই, বৃটীশেরা এই নামে জানে মোরে ভাই | মাথা যদি কেটে নেই তাতে করে খাই, লেজ যদি কেটে নাও সোজা হয়ে যাই লাল রঙে শীতে আমি বাজার মাতাই কি নাম আমার তুমি বল দেখি ভাই | |
|| ৪৭ || চারি বর্ণে নাম মোর নামের পিছে ঝুলি, এরূপ লেজ নামের পাছে থাকে অনেক গুলি | প্রথমার্দ্ধ বাদ দিলে পথে দেখা পাই, শেষ অর্দ্ধ বাদ দিলে পুরীধামে যাই | রাজার সহিত তুমি মোর দেখা পাবে, কি নাম হইবে মোর বল দেখি তবে? |
|| ৪৮ || তিন বর্ণে নাম মোর পৃথিবীতে ভ্রমি জগতের সব তাতে মিশে থাকি আমি মস্তক লইলে হই সকলের বড় লেজ কেটে দিলে পরে সম্মানিত কর মস্তক ফেলিলে কেটে হইব নূতন নামটি ভাবিয়া দেখ করিয়া যতন | |
|| ৪৯ || এমন কি নদী আছে বাংলার মাঝে, চারি বর্ণে সাজিয়াছে অপরূপ সাজে | প্রথম অর্দ্ধেক তার ঔষধে লাগি, দ্বিতীয় অর্দ্ধেকে কিন্তু সব মনে জাগি | জেলেরা আনন্দে মাছ ধরে মোর জলে, কিবা শীত কিবা গ্রীষ্ম কিবা বর্ষা কালে | নামটি বলিলে খুশী হইব নিশ্চয়, বলিতে সুবোধ ছেলে পেয়নাক ভয় | |
|| ৫০ || কি এমন দেশ আছে পৃথিবী মাঝারে, তিনটি বর্ণেতে নাম আছয়ে বাজারে | মস্তক কাটিয়া নিলে সবে মোরে খায়, পেট কেটে নাও যদি জন্তুরা চিবায় | লেজ যদি কেটে ফেল পেতে ইচ্ছা হয়, নামটি বলিয়া ফেল পেয় নাক ভয় | |
|| ৫১ || তিটি অক্ষরে নাম দপ্তরেতে রই, সেথায় চলে না দিন কভু আমা বই | মস্তক কাটিয়া দিলে সবে হাতে পড়ে, লেজ কেটে নিলে থাকি গৃহস্থের ঘরে | আবার পশ্চিম বঙ্গে বাস করি আমি, বল দেখি কিবা নাম এইবার তুমি | |
|| ৫২ || ৫টি অক্ষরে নাম বাংলার নদী দামী বস্তু হই শেষ দুটি কাট যদি প্রথম ৩টি কেটে তরকারী পাই কি নাম আমার তুমি কন দেখি ভাই | |
|| ৫৩ || তিনটি অক্ষরে নাম বুড়োদের সাথী, যুবক ও বালক কিছু পেলে ওঠে মাতি | লেজ যদি কেটে নাও পান পর্ব্বে লাগি, পেট কেটে নাও যদি দ্রব্যাদি রাখি | ইহাতে আবার কিন্তু অনর্থ ঘটাই, কি নাম আমার তুমি বল দেখি ভাই | |
|| ৫৪ || তিনটি অক্ষরে নাম সখটি মিটাই, ভ্রমণের সঙ্গী রূপে তারে পেতে চাই | মাথা কেটে দিলে পরে হয় যে আমার, জিজ্ঞাসিত হই যদি মাথা লও তার | প্রিয় বস্তু তার মাঝে দেখিবারে পাই, কি নাম আমার তুমি বল দেখি ভাই | |
|| ৫৫ || ইংরাজীতে কিবা বস্তু আছয়ে এমন মিস্ত্রী লোকের তিনি সদা সঙ্গী হন | তিনটি অক্ষরে নাম হাতে হাতে ঘুরি মস্তক কাটিয়া দিলে কোলে তার চড়ি | শেষ দু অক্ষর বাদে ঠিক কি নাই কি নাম আমার তুমি বল দেখি ভাই | |
|| ৫৬ || তিনটি অক্ষরে নাম পাকিস্থানে রই দুবেলা তাদের লাগি ক্ষুদ্র আমি নই | লেজ কেটে নাও যদি পাকা ঘরে থাকি মাথা পেট কাট যদি হইব বা কি? নামটি সহজ খুব বল দেখি ভেবে কারণে একটু চিন্তা হয়ে যাবে তবে | |
|| ৫৭ || চতুর্বর্ণে নাম আমার পুলিশের দাস | সৈন্যদের ছাউনিতে থাকি বারমাস | অর্দ্ধেক যোগাইতে তেল অর্দ্ধেক নিবাস | বুদ্ধিমান হলে নাম করিবেন প্রকাশ | |