বক্তব্য সংক্ষেপ করো দীর্ঘ কবিতাদের স্থান নেই জয়গা নিয়ে বড় টানাটানি লেলিহান জনতাপ রোষ-শিখা জ্বলে উঠবে কখন কোথায়---বিধাতারও জানা নেই আমরা কি জানি ইদানিং রামকুমারের খুব চল হল কণিকা কি সুচিত্রা বল সখী তোরাই তা বল গান দিয়ে ঝরে যাক ক্লান্তির তাপ বর্ম-জল তুলসী মঞ্চে সাঁঝ-প্রদীপের দিন ফুরিয়ে গিয়েছে এখন তো ঢিমে লয়ে চলতে চলতে কারুর সময় নেই উরুতে লাগিয়ে জল পাকাবার নিপুণ সলতে এখন গর্জিত হও গর্জমান বিস্ফোরণ বিস্ফোরণ চারি দিকে বিস্ফোরণ কোথাও নেই তো স্থির নীর প্রতিমা নিজের মুখ আয়নায় দেখবে গভীর সারাক্ষণ ঢেউ ভাঙে ঢেউ ভাঙে---ভেঙে ভেঙে যায় সারাক্ষণ চলে আলোড়ন অরণ্যদেব বড় পুরনো পুরনো যেন স্পাইডার ম্যান চাই শিশুরা প্রাতরাশ মুখে নিয়ে সেই জলে করে আচমন ট্রেন ছোটে ট্রাম ছোটে সব ছোটে দিন ছুটে চলে কোথাও বিশ্রাম নেই দাঁড়াবার পাতাল রেলের গর্ত তাই থেকে ভলকে ভলকে লোক বোরিয়ে আসছে খঞ্জনি সঙ্গত কর গানের সঙ্গে তারই বিধুরতা দিয়ে ব্যস্ততার চাপ যদি গলে
এক চক্কোর দুই চক্কোর দুই চক্কোর তিন এরোপ্লেনে করে খোকা পাড়ি দেবে চীন। তিন চক্কোর চার চক্কোর চার চক্কোর পাঁচ বিকেলবেলায় ঢাউস ছিপে ধরবে খোকা মাছ। পাঁচ চক্কোর ছয় চক্কোর ছয় চক্কোর সাত সন্ধে হতেই ঢুলছে খোকা সামনে ধারাপাত। সাত চক্কোর আট চক্কোর আট চক্কোর নয় রাত্তিরেতে বাইরে যেতে বড্ড খোকার ভয়। আট চক্কোর নয় চক্কোর নয় চক্কোর দশ সকাল হতেই পৃথিবীটা আবার খোকার বশ।