মাটির প্রদীপ রয় যে চেয়ে নীল গগনে নয়ন মেলে সন্ধ্যাতারার নিমন্ত্রণে চোখের চাওয়ায় সাঁঝের হাওয়ায় সুর এলো কুলায় ফেরা পাখীরা সব গান পেলো মল্লিকা দল গন্ধ উতল আপন হারা আপন মনে সন্ধ্যা তারার নিমন্ত্রণে নীল গগনে সাধের শিশির প্রাণ দুলিয়ে কয় মন মুকুরে ধরেছে চাঁদ আর সে দূরে নয়গো আর দূরে সে নয় সাগর হিয়ায় মিলায় নদী গান গেয়ে পেয়েছি যা ধন্য আমি তাই পেয়ে স্বপন ভরা নয়ন বলে দেখা পেলাম শুভক্ষণে শুভক্ষণে |
সে বিনে আর জানেনা, জানেনা এই মন সে আমার আপন হতেও আপনজন সেই একজনকেই মন সঁপেছি স্বজন কি আর হয় দু’জন সে আছে আমার পরাণে, তাই ভাব দরিয়ায় ঢেউ উঠেছে ফুল ফুটেছে ভাবের বাগানে ? আর দিবানিশি নিরিবিলি কত ভাবের আলাপন তারে মন দিয়েছি বলে আমার হৃদ কমলে অরূপ মধু প্রেমের মধু নিতুই উথলে তাই আকাশ মধুর বাতাস মধুর, মধুর, মধুর এই জীবন
ও মন কখন সুরু কখন যে শেষ কে জানে ? এ যে বাজিকরের খেলারে মন যার খেলা হয় সে জানে ও মন তারই হাতের একতারা যে আমি ওরে সে বাজালে বাজি আবার সে থামালে থামি বুঝিনা এ কোন ক্ষ্যাপামি | ও সে জগৎ মেলায় পুতুল নাচায় কে বোঝে বলো সেই মানে দয়াল বন্ধু আছেতো সেইজনা যার দয়াতে হয় সকল ব্যথা আনন্দেরই সোনা হয় সে সুধারসের কণা ও আমি ঠিকানা খুঁজে বেড়াই এপার ওপার সবখানে |
নয়ন মোহন শ্যাম নয়ন ছাড়িয়া মোরে এ মধু থাকো এ পরাণে শ্যাম সুধা রসে জর জর অন্তর কানু ছাড়া আর নাহি জানে ব্রজবল্লভ গোপীবল্লভ বিনে আর নাহি জানে তুমি অকলংক শশী হে আমার আমার কপালে বিধি মিলায়েছে গুণনিধি এমন বধূয়া আছে কার তুয়া অনুরাগে পিয়া সকলি সমর্পিয়া ও চরণ করিনু যে সার আমি সার করেছি ওই লাজ কুল মান ভাসায়ে দিয়ে ও রাঙা চরণ সার করেছি ও চরণ করিনু যে সার আহা তুমি ছাড়া আর সুখ নাই বধূ তুমি যদি দাও সুধা ভেবে আমি হাসিয়া গরল খাই আমায় মালা করে গলে নাইবা রাখিলে রাখো শ্রীচরণতলে আমায় ছেড়োনা হে নাথ ভাসায়ে দিওনা ভব জলধির জলে |
আজ চঞ্চল মন যদি মৌমাছি হয়ে চায় ক্ষতি কি ? গুণ গুণ সুরে যদি সারারাত গান গায় ক্ষতি কি ? সেই সুরে ফোটে ফুল ফুটুক না সেই গানে ওঠে চাঁদ উঠুক না যদি স্বপ্নে এ আঁখি দুটি ভরে যেতে চায় ক্ষতি কি ? এই রাতে জোনাকী যত জ্বলুক না সেই সাথে হাওয়া কথা বলুক না এই মন যদি মন থেকে আজ ছুটি পায় ক্ষতি কি ?
মানুষের মনে ভোর হোলো আজ অরুণ গগনতল আলোকের শিশু ছুটে এসে বলে আলোর তীর্থে চল ঐ নতুন দিনের সূর্য্য তোর নয়নে জ্বালা বাজে পরানে আশার সূর্য্য আর কন্ঠে বিজয়মালা, চিরযৌবন জাগেরে, জাগে চিরচঞ্চল মোরা স্বপন দেখি যে আজ ঐ সুন্দর হোলো ধরা মানুষের প্রেমে আজ মানুষের বুক ভরা ওরে সবার লাগিয়া প্রাণরে আর সবার লাগিয়া গান তাই জীবনের ভালোবাসিয়া মোরা জীবন করিব দান মোরা দুঃখের কাঁটা ভোলায়ে ফোটাব কমল দল | যে স্রোত নদীতে ঐ বয়ে যায় তার দু’টি তিরে দুটি কুল আছে হায় সেই স্রোত কার মন রাখে গো . তারে দুটি কূল নিতে চায় টানি
কথা-শৈলেন রায় সুর - রবীন চট্টোপাধ্যায় ছবি- যাত্রা হোলো শুরু শিল্পী- সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়
এই গান গাওয়া মোর নয় গো অকারণে যেন স্বপ্ন আমার সফল হবে এই যে শুভক্ষণে দখিনা হাওয়া ফুলের কানে এ কোন সুরের আবেশে আনে, ফুলের কানে ! কিসের ছোঁয়া লাগলো, আজি, আমার উতল মনে তোমার আমার মিলন বাঁশী , শোনো গো ওই বাজে, তাই শুনে কি সেজেছে মন, নব বধূর সাজে ! হৃদয় বলে শঙ্খ বাজা, এসেছে তোর মনের রাজা শঙ্খ বাজা সেই কি তুমি দিলে সাড়া প্রাণের নিমন্ত্রণে |
পাখি আর ফুল বলে কে তুমি কে গো তুমি বাঁশরি সুধায় ফাগুন কহিল রহি গন্ধে গানে আর সুরের সুধায় আমি মধু মলয়ার হিন্দোল লতা আর ফুলে ফুলে দিই দোল পলাশে পিয়ালে আমি জাগিরে, বিহগের গানের কুলায় সুধালো ভ্রমর করি গুন-গুন-গুন-গুন-গুন-গুন কে বা তুমি আমি যে ফাল্গুন কৃষ্ণ চূড়ায় সব শাখাতে, রঙের আগুন আসে জ্বালাতে করবির অনুরাগে জাগিবে, ভালোবেসে ধরার ধূলায়