সলিল চৌধুরীর গান এবং কবিতা যে কোন গান বা কবিতার উপর ক্লিক করলেই সেই কবিতাটি আপনার সামনে চলে আসবে।
|
সামনে দাঁড়িয়ে ইমেজটাকে
রাখতে হবে আমাদেরই
বলতে হবে ইংরেজী ভাষাটাই
প্রাথমিক স্তরে পাঠ্য হওয়া উচিত
বলতে হবে শান্তি শৃঙ্খলার বড্ড অভাব
যদিও সেটা ভাঙছে ওই গুণ্ডারাই
তা না হলে নিশ্চিন্দিপুর থেকে আমাদের নির্বাসন,
কী কাণ্ড! ভাবুন তো! এর নাম কি শাসন |
আরে মশাই, আমরা হলুম গিয়ে ইন্টেলেকচুয়াল
গোদার ফেলিনি সত্যজিতের
কোনটা আসল কোনটা ভেজাল
এই নিয়ে মাথা খুঁড়ে খুঁড়ে
চকচকে টাক পড়ে গেল ;
ওইসব মিডিয়া ফিডিয়া যাই বলুন
ভাবুক না লোকে যতই স্বাধীন
চলছে কার আইডিয়ায়
ওই গৌরী সেনকে একটু বুঝিয়ে বলুন
গুণ্ডা পুলিশ দিয়ে শাসন হয় না
মন্ত্রী দিয়েও হয় না
ওটা বাইরের ব্যাপার
আসল হচ্ছে আইডিয়ার শাসন |
অর্থনীতি স্ট্যাটিস্টিক্স
সেমিনার ফেমিনার
এমন কি স্কুল পাঠ্যপুস্তক থেকে শুরু করে
মায় সিনেমা টেলিভিশন পর্যন্ত
চলছে ওই আইডিয়ার শাসন
আর সেটা চালাচ্ছি আমরা,
এমন কী ওঁর ভাষণ
তার ভূতলেখক আমরাই ;
আমাদের অনিশ্চিন্তপুরে পাঠালে
অনিশ্চিত হবে ওঁর শাসন
একথা একটু বুঝিয়ে বলুন---
আই! আই!
কে কান ধরে টানছে
কান ধরে টানছে কে?
. ************************
. সূচিতে . . .
মিলনসাগর
পাঞ্জাব সিন্ধু গুজরাট মারাঠা
তিনরঙ্গা খাঁড়া দিয়ে সব মাংস কাটা |
যৌবনবিলাসী এসো নেবে ত এখন
গর্ভবতী রমণীর রক্তমাখা ভ্রূণ
বাত্সল্য রসিক যদি থাকো কোন জন
কচি শিশু মাংস পাবে সদ্য করা খুন |
ভয় নেই আমাদের মাংস নিরামিষ
সর্বত্রই ব্রাঞ্চ আছে দিল্লী হেডাপিস |
. ***********************
. সূচিতে . . .
মিলনসাগর
তার চেয়ে বড় কোনো কথা
বলার কখনো কোনো চেষ্টা করি নিক!
আমার সময় স্বল্প
ডুবন্ত জাহাজের ডেকে দাঁড়িয়ে
আজগুবি কোনো গল্প
ফাঁদার সময় নেই---
বক্তব্য সমস্ত স্পষ্ট
আমার ও সাথীদের
বাঁচার প্রচণ্ড প্রশ্ন
চতুর্দিকে ঢেউ
ধীরে ধীরে ডুবছে জাহাজ
যে কটা লাইফ বোট ছিল তার বেশী ভাগ
ওরা হাতিয়েছে
আর নিয়ে গেছে
খাবার, খাবার জল ভোগ্য সবকিছু |
আমাদের সঙ্গে আছে
নারী আর শিশু
অসহায় কিছু লোকজন
জাহাজ বাঁচাতে হবে
এ তুফান মেকি --- ওদের সৃষ্ট ঝড়
এ ঝড়ের পাল্টা ঝড়
কবিতা
কবি সলিল চৌধুরী
এমন কোনো অনুভূতি আসে যদি কখনো
যে আমার বৌ-এর মতো
নাম যার সবিতা |
অনুভব করা যাকে যায় না কখনো
অথচ সে সর্বক্ষণ ছেয়ে থাকে বুকে
শত সুখে দুখে
নাম তার কবিতা |
. *********** ২২/০৮/১৯৭২
. ******************************
. সূচিতে . . .
মিলনসাগর
এই দুনিয়া ঘুরে বন বন বন বন
ছন্দে ছন্দে কত রঙ বদলায়।
. ******************************
. সূচিতে . . .
মিলনসাগর
ইউলিসিস
কবি সলিল চৌধুরী
এক বড় ঝড়কে পোষ মানিয়ে
. হাতপাখা নাম দিয়ে ঘরে এনেছি
দুরন্ত বন্যাকে কোণঠাসা করে
. একটি গেলাসে তাকে পান করেছি
সূর্যের পিঠে আমি হাত বুলিয়ে
. কিছু তার তেজ এনে আলো জ্বেলেছি
তারা ভরা বিশ্বকে অক্ষর করে
. ছোট এক বই লিখে পড়ে ফেলেছি।
. ******************************
. সূচিতে . . .
মিলনসাগর
শপথ
কবি সলিল চৌধুরীর
আমার কুটিরে আর জ্বলে নাতো আলো
ভাঙা ছাদ টলোমলো বৃষ্টি এসে পড়ে
স্তূপাকার ভগ্ন আশা আবর্জনা রাশি
পরগাছা সরীসৃপ ভয়ালো কুটিল
বাসা বেঁধে আছে যেথা এক দিন ছিল
প্রিয়ার চোখের মায়া শিশুদের হাসি |
অহল্যা আমার শোন!
আমারও তো শান্তি নেই
আমার বুকের দুর্গে করে আক্রমণ
ফ্যাসিস্ত দস্যুর মতো যক্ষ্মাবীজ এসে
তবু আমি প্রাণপণে টেনে যাই শ্বাস
আমার বিশ্বাস জানি রক্তকণিকারা
লাল ফৌজের মতো দুর্জয় সুনিশ্চিত
আবার দখল নিয়ে দেবে প্রত্যাঘাত
অমর স্তালিনগ্রাদ
আবার আমারই বুকে
ফিরে পাব আমি |
মিছিলে মিলেছি কেননা বুকের
কলজের সাথে হাড় পাঁজরেরা
মিছিলে গিয়েছে কবে একদিন
জীবনের সন্ধানে
কেননা আমার শান্তির নীড়
হাসি আর গান ভালোবাসা দিয়ে
গড়তে চেয়েছি কর্মমুখর জীবনের মাঝখানে |
মিছিলে মিলেছি কেননা আমরা
স্তন্য না পেয়ে মায়েদের কোলে
বোবা শিশুদের আর্তনাদের
বাঙময় ভাষা শুনেছি |
কেননা আমরা ফিরে পেরে চাই
আমাদের যত হৃত যৌবন
স্বপ্নকে নিয়ে চোলাই যন্ত্রে
মদ্যের বিলাসিতা
কেননা দেশের যত ঘর বাড়ি
কলকারখানা ধানের খামার
মাঠ ঘাট পথ ফিরে পেতে চায়
তাদের জন্মদাতা
কালপুরুষের হাত থেকে তাই
জিক্জ্ঞাসা ছিঁড়ে এনে
প্রত্যেক মুখে জবাব লিখেছি
ঘোষণার অক্ষরে
এ দেশ আমার
আমাদের মাটি
এ দেশে যেখানে
যতকিছু খাঁটি
আমাদের কলকারখানা আর
আমাদের নদী খনি ও পাহাড়
বয়স
কবি সলিল চৌধুরীর
এমনও মুহুর্ত আসে
নিশ্চিন্দিপুরের কাব্য
কবি সলিল চৌধুরী
১৬/০৯/১৯৮৩
এখন আমরা নিশ্চিন্দিপুরে বাস করছি
কারুর কোনো ভাবনা নেই
খাচ্ছি দাচ্ছি আরাম করছি
গৌরী সেন টাকা জোগাচ্ছেন
আমি কবি নই
কবি সলিল চৌধুরী
কবি কাকে বলে?
যারা কল্পনার জাল বুনে বুনে
স্মরণের নদী থেকে উদ্ভট সব মাছ
রুই নয় কাত্লা নয়
দুরন্ত ঘূর্ণির এই লেগেছে পাক
কথা ও সুরঃ সলিল চৌধুরী
শিল্পীঃ হেমন্ত মুখোপাধ্যায়
(আমরা কৃতজ্ঞ নুরুস সাফা-র কাছে যিনি এই গানটি পাঠিয়েছেন।
তাঁর ইমেল - nurus.safa@gmail.com )
দুরন্ত ঘূর্ণির এই লেগেছে পাক
ফাঁদ
কবি সলিল চৌধুরী
আমার ইচ্ছেগুলো প্রজাপতি হয়ে
ঘাসে ঘাসে বনে বনে
ওড়ে আর ফেরে
হৈমন্তিক
কবি সলিল চৌধুরী
বৃদ্ধ বাউল বেশে কাশবন গান গায়