কবি শাঁওলী মিত্র – নাট্যকার শম্ভু মিত্র ও তৃপ্তি মিত্রের কন্যা।
তিনি কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। কবি থিয়েটার নিয়ে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর হয়ে
থিয়েটার এবং কনটেম্পোরারি আর্ট নিয়ে গবেষণা করে চলেছেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য কাজে মধ্যে রয়েছে
“বর্ণাত্মক নাট্যধারা”, “রবীন্দ্র সংলাপের বাচিক অভিনয়ের স্বরূপ” ইত্যাদি।
তিনি নিজে একজন বিশিষ্ট নাট্য-ব্যক্তিত্ব। পঞ্চম বৈদিক নাট্যদলের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি নাটকে অভিনয় শুরু
করেন মাত্র সাড়ে পাঁচ বছর বয়স থেকে। শিশু-শিল্পী হিসেবে অভিনয় করেন বহুরূপী প্রোডাকশনের তুলসী
লাহিড়ির “ছেঁড়া তার”-এর বশিরের ভূমিকায় ও “ডাকঘর”-এ অমলের ভূমিকায়।
অভিনয় করেছেন ঋত্বিক ঘটকের “যুক্তি তক্কো আর গপ্পো” ছায়াছবিতে।
তাঁর ১৯৮৩ সালে রচিত এবং অভিনীত নাটক “নাথবতী অনাথবৎ”, বাংলা নাটকের উল্লেখযোগ্য
ঘটনাবলীর মধ্যে পড়ে। তাঁর নির্দেশিত অন্যান্য নাটকের মধ্যে রয়েছে “কথা অমৃতসমান”, “বিতত বিতংস”,
“পুতুল খেলা”, “রাজনৈতিক হত্যা”, “চণ্ডালী” প্রভৃতি।
১৯৯১ সালে তিনি আনন্দ পুরস্কারে ভূষিত হন “নাথবতী অনাথবৎ”-এর জন্য। সে বছরই পান শিরোমণি
পুরস্কার এশিয়ান পেইন্টস এর তরফ থেকে। ২০০৩ সালে ভূষিত হন সংগীত নাটক অ্যাকাদেমি পুরস্কারে।
২০০৬ সালে ভূষিত হন নরওয়ের সংস্কৃতি মন্ত্রকের “দ্য ইবসেন সেন্টেনিয়াল এওয়ার্ড”-এ। ২০০৯ সালে কবি
ভারত সরকার দ্বারা পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত হন।
সিঙ্গুর নন্দীগ্রাম আন্দোলনের সময়ে যে ক’জন বুদ্ধিজীবি সর্বাগ্রে তত্কালীন সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে মুখ
খুলেছিলেন, কবি শাওলী মিত্র তাঁদের মধ্যে অন্যতম।
২০১২ সালে, “পরিবর্তন”-এর পর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে, পশ্চিমবঙ্গের নতুন সরকার তাঁকে “বঙ্গ
বিভূষণ” সম্মানে ভূষিত করেন। এ ছাড়া সেই সরকার তাঁকে বিভিন্ন সরকারী কর্মকাণ্ডের পরামর্শদাতা
হিসেবে নিযুক্ত করেন।
নাটকের পাশাপাশি তিনি কবিতা চর্চাও করে থাকেন।
আমরা মিলনসাগরে কবি শাঁওলি মিত্রর কবিতা তুলে আনন্দিত।
উত্স - নমিতা চৌধুরী ও অনিন্দিতা বসু সান্যাল সম্পাদিত, মহিলা কবিদের বাংলা কবিতা সংকলন
. দামিনী ১৪০০ - ২০০০।
. কবির প্রতিষ্ঠিত পঞ্চম বৈদিক-এর ওয়েবসাইট।
কবি শাঁওলি মিত্রর মূল পাতায় যেতে এখানে ক্লিক করুন।
আমাদের ই-মেল - srimilansengupta@yahoo.co.in
এই পাতার প্রথম প্রকাশ - ২২.০৭.২০১৩
...