নিমন্ত্রণ কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় “শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের শ্রেষ্ঠ কবিতা” (১৯৭৩) থেকে নেওয়া। "হে প্রেম হে নৈশব্দ্য” (১৯৬১) গ্রন্থের কবিতা।
কোথায় থেকে তোমার ডাক শুনতে পেয়ে এলাম গতকাল আমায় কেন ডেকেছো তাই বললে হেসে-হেসে এমন সময় আবার এলো তেমন বৃষ্টি মাঠে ক্ষেতের পর ক্ষেতে ফুরালো, খামার, জঞ্জাল | এবার তোমার পিছনপানে আকাশ, আমি বৃষ্টি ফেলে
তুমি যেমন তেমনটি আর কোথাও কিছু নেই তুমি যেমন, অপার জ্যোত্স্না ঝরিয়ে যেতে পারো | চারিদিকের ক্ষেত-খামার ঝর্না হ’য়ে যায় তুমি যেমন তেমনই ঠিক, এই তো চ’লে যাই আকাশ, তোমার আর্শিখানা পড়শি-কুটুম রাখলো নিজের হাতে |
কখনো বুকের মাঝে ওঠে গ্রীস কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় “শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের শ্রেষ্ঠ কবিতা” (১৯৭৩) থেকে নেওয়া। "হে প্রেম হে নৈশব্দ্য” (১৯৬১) গ্রন্থের কবিতা।
কখনো বুকের মাঝে ওঠে গ্রীস শিল্পের দক্ষিণপার্শ্ব ভ’রে কালো নীরব তুহিন জ’মে যায় | রুদ্ধ অভিমান করস্পর্শে যে মোছাতে পারে সেই অনাবশ্যকতা আমায় একাগ্র রেখে একদিকে চ’লে গেছে |
প্রেম কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় “শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের শ্রেষ্ঠ কবিতা” (১৯৭৩) থেকে নেওয়া। "ধর্মে আছ জিরাফেও আছ” (১৯৬৫) গ্রন্থের কবিতা।
অবশ্য রোদ্দুরে তাকে রাখবো না আর ভিন্ দেশি গাছপালার ছায়ায় ঢাকবো না আর তাকেই শুধুই বইবো বুকের গোপন ঘরে তার পরিচয় ? মনে পড়ে মনেই পড়ে |
চিরটাকাল সঙ্গে আছে—জড়িয়ে লতা শাখার, বাহুর নিমন্ত্রণকে ব্যাপকতা বলার সময় হয় নি আজো ক্ষেমংকরে তার পরিচয় ? মনে পড়ে মনেই পড়ে | গোপন রাখলে থাকবে না আর – বাইরে যাবে পারলে হৃদয় দুর্বলতা দেশ জ্বালাবে মিছেই আমায় জব্দ করে তার পরিচয় ? মনে পড়ে মনেই পড়ে
এবার হয়েছে সন্ধ্যা কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় “শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের শ্রেষ্ঠ কবিতা” (১৯৭৩) থেকে নেওয়া। "ধর্মে আছ জিরাফেও আছ” (১৯৬৫) গ্রন্থের কবিতা।
এবার হয়েছে সন্ধ্যা | সারাদিন ভেঙেছো পাথর পাহাড়ের কোলে আষাঢ়ের বৃষ্টি শেষ হয়ে গেলো শালের জঙ্গলে তোমারও তো শ্রান্ত হলো মুঠি অন্যায় হবে না—নাও ছুটি বিদেশেই চলো যে-কথা বলোনি আগে, এ-বছর সেই কথা বলো |
শ্রাবণের মেঘকি মন্থর ! তোমার সর্বাঙ্গ জুড়ে জ্বর ছলোছলো যে-কথা বলোনি আগে, এ-বছর সেই কথা বলো |
এবার হয়েছে সন্ধ্যা, দিনের ব্যস্ততা গেছে চুকে নির্বাক মাথাটি পাতি, এলায়ে পড়িব তব বুকে কিশলয়, সবুজ পারুল পৃথিবীতে ঘটনার ভুল চিরদিন হবে এবার সন্ধ্যায় তাকে শুদ্ধ করে নেওয়া কি সম্ভবে ?
তুমি ভালবেসেছিলে সব বিরহে বিখ্যাত অনুভব তিলপরিমাণ স্মৃতির গুঞ্জন—নাকি গান আমার সর্বাঙ্গ করে ভর ? সারাদিন ভেঙেছো পাথর পাহাড়ের কোলে আষাঢ়ের বৃষ্টি শেষ হয়ে গেলো শালের জঙ্গলে তবু নও ব্যথায় রাতুল আমার সর্বাংশে হলো ভুল একে একে শ্রান্তিতে পড়েছি নুয়ে | সকলে বিদ্রূপভরে দ্যাখে |