শিমুলতলা কবি শঙ্খ ঘোষ আমন যাবে লাট্টু পাহাড় থেকে নেওয়া
শিমুলতলায় যায়নি যারা জানবে না তো তারা ধানের ক্ষেতের মধ্যে আমার ঘরটা কেমন খাড়া | হাত বুলিয়ে দেখতে পারি বাছুর ছাগল হরিণ ইচ্ছে হলেই ধরতে পারি ছটফটানো ফড়িং | বিকেলবেলায় ছুটতে পারি দিব্যি একা একাই মজার কাঁটা চোর কাঁটা, তাই মাম্মাম্ কে দেখাই | অনেক দূরে দেখতে পারি মস্ত মাঠের শেষে আকাশ এসে কেমন করে মাঠের সঙ্গে মেশে | যায়নি যারা শিমুলতলায় জানবে কি আর তারা একটু হলেই ছুঁয়ে দিতাম আকাশভরা তারা !
মনামের কাণ্ড কবি শঙ্খ ঘোষ আমন যাবে লাট্টু পাহাড় থেকে নেওয়া
মনাম কী করেছিল, শোনো সেই কথা | মা তো দিল ছানা খেতে, আর রুটিকটা--- পড়ার টেবিলে সেটা খেয়ে নেবে পরে এই বলে নিয়ে এল নিজেদের ঘরে | তা বলে কি অতসব খাওয়া যায় না কি ? ভাবে সে কীভাবে মাকে দেওয়া যায় ফাঁকি | ঘরে কেউ নেই তাই জানছে কে আর এমনকী জানলেও করি না কেয়ার— এইসব ভেবে শেষে অতি অবহেলে জানলার ফাঁক দিয়ে দেয় সব ফেলে | তিনতলা থেকে দলা পড়ে গেল ঝুপ— কেউ কিছু জানল না | সব দিক চুপ |
এদিকে তো কাজে রত মাম্মাম্ ঘোরে--- হঠাৎ সিঁড়ি বেয়ে ওঠে জোরে জোরে ? দরজায় কারা এত গর্জায় খালি ? খুলে দেখে টাকমাথা বাগানের মালি | হাইমাই করে মালি রেগেমেগে বলে— ‘আমি কি মানুষ নই ? কেন সক্কলে যা খুশি তা করে যাবে--- কারো নেই মানা ? তেতলার থেকে কেন টাকে পড়ে ছানা ? পড়ে যদি তবে কেন মুখে পড়ে না তা ? ভেবেছে কি ডাস্টবিন আমাদের মাথা ?’