রাস্তার একটা কুকুরকে কিছু ছেলে ইঁট ছুঁড়ে মারছিল। ল্যাজ ধরে ঘোরাচ্ছিল॥ আমি প্রতিবাদ করে বলেছিলাম ‘এই নপুংশকের দল-আমায় মার দেখি, হিম্মত বুঝবো।’ এ বেশ কিছুদিন আগের ঘটনা--- এখন ওদের হিম্মত বুঝি কারণ এরাই তো বিস্ফোরণের মারে--- লাখ-লাখ মানুষ। শব্দহীন রাতে কুপিয়ে খুন করে--- কুড়ি বছরের যুবককে। তাদের কাছে আমি তো সামান্য প্রতিবাদী এক নারী॥
১মেয়েটি চিত্কার করছিল, . সাহায্যের জন্যে। প্রচুর সোক থাকলেও, . কেউ এগোলো না। তারা ভাবলো, এ তো আমার মা-বাবা-বোন নয়। কিছু কাপুরুষের হাত ছিল পকেটে। সিগারেটে বন্দী ছিল, কিছু পুরুষের আঙুলগুলো। মেয়েটি যখন, সম্মান বাঁচানোর শেষ শক্তি হারিয়ে ফেললো--- তখনই উত্সাহী জনতার ভিড় ঠেলে, এগিয়ে এল যেন বিদেহী। সম্মান বাঁচাতে। মনে মনে বললাম--- ‘তুমিই এই পৃথিবার শেষ মানুষ॥’
বসে পাশাপাশি করে, হাসাহাসি বললে, যে কথা সবই, তো বৃথা ভালো, বাসাবাসি কাছে, আসাআসি এ তো, অভিনয় আজ, মনে হয়। যত, রেষারেষি লোক, ঠাসাঠাসি এই, দুনিয়ায় মানুষ, পাওয়া দায়॥
‘একদমই আমি বিশ্বাসী নই বহুপুরুষকে ভালোলাগায়--- মানুষের মন তো একটাই সেখানে কত জনের জায়গা হবে।’ যতবার এ কথাগুলো বলি ততবার চোখের সামনে ভেসে ওঠে সপ্তপর্ণার দাদার কথা--- স্কুলের একাদশ শ্রেণীর ছাত্র---অভীকের চিঠি--- বৌদির ভাই সৌম্যর, পায়ের ওপর পা রাখা, আর নীলের বাহুলগ্না হয়ে, প্যারিস ভ্রমণ। এ সবই ছবির মতন দেখতে পাই। এক নিমেষে দেখি, সমস্ত ঘটনা--- যাকে বলে স্মৃতি। ফিল্মের ভাষায় যাকে বলা হয় ফ্ল্যাশব্যাক॥