কবি শিবদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের গান ও কবিতা
কবি
শিবদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের
পরিচিতির পাতায় . . .
*
কথা - শিবদাস বন্দ্যোপাধ্যায়
সুর - ভূপেন হাজারিকা
শিল্পী - লতা মঙ্গেশকর
ভাল করে তুমি চেয়ে দ্যাখো
দ্যাখো তো চিনতে পারো কি না
আমার দু’চোখে চোখ রেখে দ্যাখো
বাজে কি বাজে না মনোবীণা ?
সোনালী বিকেলে গাছের ছায়ায়
মুখোমুখী বসে নীল সন্ধ্যায়
জীবনান্দ তুমি তো শোনাতে
ভেবে দ্যাখো মনে পড়ে কি-না ?
পটভূমিকায়, শহিদ মিনার
নাগরিক চাঁদ উঠেছে আবার
“বনলতা সেন” শোনাবে কে আর
এই আমি আজ তুমি হীনা॥
. *************************
.
সূচিতে . . .
মিলনসাগর
কবি
শিবদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের
পরিচিতির পাতায় . . .
*
কথা - শিবদাস বন্দ্যোপাধ্যায়
১৯৬২ সাল। চীনের ভারত আক্রমণের পরিপ্রেক্ষিতে রচিত
এই ভারতের শহরে নগরে গ্রামে
রক্তপিপাসু দানবের করাঘাত
ভয় কি বন্ধু, জীবনের সংগ্রামে
পঞ্চাস কোটি মিলিয়েছি হাতে হাত॥
পায়ে পায়ে আজ দুরন্ত পথ যদি
রক্তের বানে ভেসে যায় সব নদী
আমাদের চোখ রয়েছি প্রহরী হয়ে
মিছিলে মিছিলে গরজায় প্রতিবাদ॥
জীবনকে আজ দস্যুরা কেড়ে নেয়
কোটি কোটি প্রাণে জমে শুধু বিক্ষোভ
একসার হয়ে একতার গান গেয়ে
আমরা গড়েছি দুর্জয় প্রতিরোধ॥
সব রাস্তাই এক রাস্তায় মেশে
এই দুর্যোগে, স্বদেশ’ কে ভালবেসে
আমরা রয়েছি চোখের ইশারা হয়ে
শত্রুকে বুকে হানতেই পদাঘাত॥
. *************************
.
সূচিতে . . .
মিলনসাগর
কবি
শিবদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের
পরিচিতির পাতায় . . .
*
কথা - শিবদাস বন্দ্যোপাধ্যায়
গঙ্গার জল পদ্মার পানি
আলাদা কি করা যায়
কে ভগবান, কে যে আল্লাহ্
চেনার কি উপায় ?
কে মৌলবী কে যে ব্রাহ্মণ
একই রক্তে গড়া দুইজন
রক্তের রং দেখে জাত-পাত
বিচার কি করা যায় ?
সব নদী মিশে হয় যে সিন্ধু
যত মত, পথের একই বিন্দু
ধর্মের নামে বিভেদ-বিবাদ
শেষ হবে না কি হায়॥
. *************************
.
সূচিতে . . .
মিলনসাগর
কবি
শিবদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের
পরিচিতির পাতায় . . .
*
কথা - শিবদাস বন্দ্যোপাধ্যায়
এ কোন ভারতবর্ষে আমরা আছি
জীবন যেখানে মৃত্যুর কাছাকাছি
অন্ধকার অন্ধকার
আঁধারেই খেলি কানামাছি॥
দেশের পতাকা যারা আজ তুলে ধরে
দেশদ্রোহীর গুলিতেই তারা মরে
মীরজাফর জগৎ শেঠ
তোমাদের নিয়ে বেঁচে আছি॥
নতুন সূর্য ওঠে না আগামী ভোরে
মেয়েরা হয়তো রয়েছে দূরে সরে
যায় না রাত, আসে না দিন
তার পথ চেয়ে বসে আছি॥
. *************************
.
সূচিতে . . .
মিলনসাগর
কবি
শিবদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের
পরিচিতির পাতায় . . .
*
কথা - শিবদাস বন্দ্যোপাধ্যায়
সুর ও শিল্পী - হৈমন্তী শুক্লা
১৯৯২
এই তো এলে
এখনই প্রিয় যাবার কথা বোলো না
যে কথা বল্ বো বলে ভেবেছি মনে মনে
সে কথা তোমায় বলা হোল না
যাবার কথা বোলো না
না-না॥
বেশ তো ছিলাম আমি
আমারই একা
না-হয় হোত না আর
কোনও দিনও দেখা
মনের দরজা কেন দিলে গো খুলে
সে কথা বোঝা গোল না
যাবার কথা বোলো না॥
অনেক দিনের পরে
দেখা হোল যদি
দু’চোখে নামালে কেন
বেদনার নদী
আমাকে কাঁদিয়ে তুমিকি সুখ পেলে
সে কথা জানা হোল না
যাবার কথা বোলো না॥
. *************************
.
সূচিতে . . .
মিলনসাগর
কবি
শিবদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের
পরিচিতির পাতায় . . .
*
কথা - শিবদাস বন্দ্যোপাধ্যায়
সুর ও শিল্পী - অজিত পান্ডে
১৯৯৬ সাল। ১৯৪৬ এর নৌবিদ্রোহের পঞ্চাশ বছর পূর্তি উপলক্ষে রচিত।
ঝড় উঠেছিল --- “ঝড়”
নীল-সমুদ্রে ঝড়
আরব সাগর থেকে উঠে আসা
ছেচল্লিশের ঝড়
ঝড়ের দাপটে কেঁপে উঠেছিল শাসক ভয়ংকর॥
ঘুমন্ত নদী ছুটন্ত হয় দুরন্ত রণসাজে
বিদ্রোহ-নৌ বিদ্রোহ জাগে তলোয়ার জাহাজে
বিদেশী-শাসন, আসন স-ভয়ে
কেঁপে ওঠে থরোথর॥
নাবিক-বন্ধু সেনানী তোমরা পরাধীনতার কালো
জল-তরঙ্গে সাজিয়েছিলে স্বাধীনতার আলো
শৃংখল ভাঙো, শৃংখল ভাঙো সারা দেশে সাড়া জাগে
বিপ্লব, মহা-বিপ্লব আসে মুক্তির দোলা লাগে
ঝোড়ো হাওয়া এসে ভেঙে দিয়ে গেল
সাজানো তাসের ঘর॥
. *************************
.
সূচিতে . . .
মিলনসাগর
কবি
শিবদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের
পরিচিতির পাতায় . . .
*
কথা - শিবদাস বন্দ্যোপাধ্যায়
সুর - কল্যাণ সেন বরাট
শিল্পী - মাধুরী চট্টোপাধ্যায়
২০০১
আনন্দ আজ ধরে না আর
আজকে মা তোর বিয়ে
চোখের জলে ভিজিয়ে তোকে
দিলাম যে সাজিয়ে॥
আদর সোহাগ দিয়ে তোকে
তুলেছি যে গড়ে
আমায় ছেড়ে যাবি যে তুই
অন্য আর এক ঘরে
(তবু) বিদায় তোকে দিতে হবে
দু’চোখ ভিজিয়ে॥
এক মুঠো চাল দিলি যে শোধ
ঐ তো মায়ের ঋণ
ভাঙা বুকের মাঝখানেতে তুই
থাকবি চিরদিন
থাকিস সুখে সবাইকে তুই
আপন করে নিয়ে॥
. *************************
.
সূচিতে . . .
মিলনসাগর
কবি
শিবদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের
পরিচিতির পাতায় . . .
*
নেতাজীর জন্ম শতবর্ষ উপলক্ষে, আজাদ হিন্দ ফৌজের ক্যাপ্টেন রাম সিং ঠাকুর-এর লেখা ও
সুরারোপিত “কদম কদম বড়ায়ে যা” গানটির বঙ্গানুবাদ - শিবদাস বন্দ্যোপাধ্যায়
বঙ্গানুবাদ পরিবেশন করেছিলেন - ক্যালকাটা ইউথ কয়্যার
সামনে সামনে এগিয়ে যা
খুশিতে গান গেয়ে যা
এ-জীবনটা তোর দেশেরই
তুই দেশের জন্য দিয়ে যা॥
কেন, মরার আগে মরবি বল ?
শত্রুকে দু’পায়ে দল্
দেশের শক্তি বাড়িয়ে যা॥
সাহস যে তোর বুকের মাঝে
ঈশ্বর যে তোর সঙ্গে আছে
সামনে যদি কেউ আসে
তাকে ধুলায় মিশিয়ে যা॥
চলো দিল্লী’ --- ডাক দিয়ে
দেশের পতাকা হাতে নিয়ে
লাল কেল্লার’ উপরে
উড়িয়ে যা, উড়িয়ে যা॥
. *************************
.
সূচিতে . . .
মিলনসাগর
কবি
শিবদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের
পরিচিতির পাতায় . . .
*
কথা - শিবদাস বন্দ্যোপাধ্যায়
আকাশে গুরু-গুরু
মেঘের কথা শুরু
এ মনে দুরু দুরু ভয়
বাতাস এলোমেলো
পাতারা ঝরে গেল
পাখিরা চোখ গেল কয়॥
নিঝুম চরাচরে
অঝোরে বারি ঝরে
এক্ লা আমি ঘরে তাই
হৃদয় হাত পাতে
তোমাকে এই রাতে
মনের আঙিনাতে চাই
তুমি তো দূরে দূরে
তবুও মন জুড়ে
রয়েছো, শুধু মনে হয়॥
কোথায় তুমি আজ
একলা আমি আজ
বিফলে যায় সাঁঝ যেন
বিরহী নিশিরাতে
মিলন রাখী হাতে
ছিঁড়েছে বেদনাতে কেন
তবে কি ভালবাসা
মিথ্যে কাছে আসা
প্রেম যে দিল পরাজয়॥
. *************************
.
সূচিতে . . .
মিলনসাগর
কবি
শিবদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের
পরিচিতির পাতায় . . .
*
কথা - শিবদাস বন্দ্যোপাধ্যায়
সুর ও শিল্পী - ভূপেন হাজারিকা
১৩৯৩ বঙ্গাব্দ। ইথিওপিয়ার খরার সময় রচিত।
কৃষ্ণকায়া আফ্রিকা মোর
কৃষ্ণকলি মা
কান্না-ভেজা দু’চোখ তোমার
ব্যথায় ভরা বুক
তোমায় দেখে মনে পড়ে আমার মায়ের মুখ॥
তোমার মেয়ে পলিন’
আমার “পারুল” বোনের নাম
কবি মোলায়েজ
আমার নজরুল ইসলাম
জীবন দিয়ে কেনে ওরা স্বাধীনতার সুখ॥
বৃষ্টিহারা আফ্রিকা
তুই কেনিয়াটার মা
বিশ্ব জুড়ে ম্যান্ডেলা
আর হাজার লুমুম্বা
বর্ণভেদের মেঘ সরিয়ে দেখায় আলোর মুখ
ইথিওপিয়ার ক্ষধার জ্বালা
কান্না হয়ে শেষে
কঙ্গো নদীর স্রোতের ধারায়
গঙ্গাতে আজ মেশে
প্রাণের সূতোয় গাঁথা মোদের দুঃখ এবং সুখ॥
. *************************
.
সূচিতে . . .
মিলনসাগর