সেই এক মহালয়া ভোর--- বীরেন্দ্রকৃষ্ণ এসে দাঁড়ালেন রমেশ পালের . স্টুডিয়োয়, একজন মন্ত্রে মন্ত্রে অশ্রুজলে কাতর হচ্ছেন, অন্যজন তুলি হাতে মাকে রং করছেন এমনই . সেকাল। কে বেশি আনন্দ পেল ? আপনি না আমি ? বীরেন্দ্র যেমন বলে রমেশের চোখে হাতছানি ; কে বেশি দুঃখ পেল ? আপনি না আমি ? আমি! আমি! আমি! আমি!
দু’ শিল্পীর গলার জোরেই হচ্ছে দিন কুমারটুলিতে আর পটুয়াপাড়ায়, চাঁদমালা চাঁদমালা চাঁদমালা দিয়ে
মালা গড়ে দিতে পারলে দেবী আর হাতে ধরবে না, চাঁদমালা . হবে গলায় দুলবে রূপময়ী ;
ও আমার শান্ত অধ্যাপক---তপস্যা ভঙ্গ করতে কতবার ব্রত . রাখলাম ফোনে ফোনে সুধাধারা গড়িয়ে দিলাম কানে কানে কাকাতুয়া কাকা বলে একবারও কেন যে ডাকে না সেটা হয়তো দুপুর জানে, রাত্রি জানে কিছু বুঝি যে, বিব্রত করছি--- ছাত্রীটির জন্য আপনার মায়া হত খুব সলগ্নকুমারী আসত হিড়িম্বার মতো থপথপ রিল জানি গড়িয়েই যেত, শুধু সুতোর মুখের দিকে আমার একান্ত লালা, আমারই হাতের ধরা উন্মাদিনী সূচ
পোড়ামুখ দেখাবে না বলে উপুর হয়েছ আর রাতে জেগে আছ ; রাত ? কাজলের কান্না শোনা যায় সিঁধেল চোরের মতো দেয়ালের নীচে শুয়ে শরীর ভরিয়ে দেয় চোখ আর চোখে একাকার কাজল : সম্ভ্রম নেই, বোধবুদ্ধিহীন যা পারে তা কালি করে . এমনই পাগল!
দরমার বেড়া ধরে আবার যে দাঁড়াবে কবে কিছুই জানব না তুমি কে--- বেড়াগুলি ঠিক করবে, বিনিময়ে গান গাইব আমি হাসবে মোহন হাসি বিনিময়ে সেই রাত ভালই কাটবে শকুন, শেয়াল সব, সিঁধচোরও ফিরে যাবে ঘরে ; ভোরবেলা বুঝব, তুমি ঠকাতে এসেছ বন্ধু বন্ধু, কিন্তু মায়ের মতন!