কবি সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের কবিতা
www.milansagar.com
*

তুমি না বললে আসবে  তাড়াতাড়ি ?

.            *************   
.                                                                                         
সূচিতে . . .   


মিলনসাগর
*
ঘড়ির একটা দাগও স্পষ্ট নেই এতদিনে
কোথায় কোথায় আয়েস পরিতৃপ্তি লিপ্সা ছিল
সব কটি দাগ মুছে গেছে
আন্দাজে কিছু বলা ঠিক হবে না তো,
কৈফিয়ত আফসোস
এই মুহূর্তে এসবের কোনো দাম নেই |

ভারী, দামী পাথরের টুকরোর মত সময়কে
ঢালু জমির ওপর গড়িয়ে যেতে দেখছি
জলের দিকে গড়িয়ে যাচ্ছে,
অনতিপ্রদোষের মধ্যে
সব ছবিগুলো ডুবে যাবে
ঝিল, জলের ভিতরে ছায়া আকাশনিমের |
কার মুখ দেখা যাবে
আততায়ী অত্যাচারী কিনা
এই সবই পড়ন্ত ছায়ার মধ্যে সন্ধান করেছিলাম
ল্যাংচাতে ল্যাংচাতে যে  সামনে এসে দাঁড়াল
সে আমার এতগুলি বছরের নিঃসঙ্গতা
হাস্যকর ভাঁড়ের পোশাকে |

.            *************   
.                                                                                         
সূচিতে . . .   


মিলনসাগর
*
মাঘের বিকেলে |

এক চিলতে গলি তারই নাম সুখ
তারই অন্ধকারে
আমি স্পর্শ করেছিলাম তোমার দিব্য চিবুক-----

সঙ্গে সঙ্গে শৈলসানু আঁধার হয়ে এল
গোলপাতা ছাউনির ঘর
শীতরাত্রির স্বপ্ন ক’টি মুড়িসুড়ি দিয়ে বসে গেছে
শীলাতল
ব্যগ্র হয়ে কেড়ে নিচ্ছে উত্তাপ কোমল
দু’জনের থেকে-----
তোমার চিবুক স্পর্শ ক’রে কতদূর আমরা যেতে পারি
এক চিলতে গলি তারই নাম সুখ
তারই অন্ধকারে
স্বপ্ন থেকে স্বপ্নে প্রস্থান আলবৎ সম্ভব
অথবা দুঃখের ভিতর থেকে আরো দুঃখের ভিতর
নিয়ে যেতে পারে
ভালোবাসা

ভালোবাসা মানে কেবলই যাওয়া
কোলকাতা রোল করা গালিচার মত কেবলই খুলে
.                                    যাচ্ছে কেবলই
আমাদের পায়ের নিচে
ফুরোচ্চে না |

তবু ভালোবাসা ফুরায়ে গেলে
আমি অপ্রেম থেকে চলে যাব ব’লে
অভিমানে বাসস্টপে এসে হাত নেড়ে ডাকি

ভালোবাসা কখনও কখনও চলে যাওয়া
ঘর গ’ড়ে ঘর ভেঙে ফেলা
তারপর উঠে পড়া
পেয়ে গেলে নিকটতম ট্রাম
পড়ে থাক রাজবংশ বৈভব যা কিছু
সব ছেড়ে চলে যেতে পারে শুধু ভালোবাসাই---

সেই কোনোদিন
ফিরে এসে তাকাতে পারে অকপটে অনিমেষ
ক্যাথিড্রালে ঘন্টা বাজলেই
কিনতে থাকবে মুহূর্ত এন্তার
একরাশ ব্যক্তিগত নীল নক্ষত্রমালা |

.            *************   
.                                                                                         
সূচিতে . . .   


মিলনসাগর
*
কি হবে আউড়ে আফসোসের পাঁচালি----‘

‘বলো কিহে কবে পুড়ল এ অরণ্য খান্ডব
পাতায় পাতায় ইতিহাস কত কি------‘

‘ন্যাকামি রাখুন |  কত কলরব
করেছিলেন মনে নেই ? আবেদন দরখাস্ত কত লেখালিখি
শেষ কালে প্রতিজ্ঞা ভাঙতে হলেন নিমরাজি’

‘হায় সহকারী, তবে সব শেষ ?
না না এ নিশ্চয়ই তোমারই কারসাজি’

‘আবার ধাপ্পা কেন স্যার যুগলে যুক্তি ক’রে উল্টিয়ে গণেশ ?’

.            *************   
.                                                                                         
সূচিতে . . .   


মিলনসাগর
*
আকাশকে আষাঢ় ব’লে ডাকতে ইচ্ছে করে |

‘এই যে, এত দেরী করলে কেন’
ব’লে কেউ কব্জিটা শক্ত ক’রে
ধ’রে নামিয়ে নেবে
আঠারো বছরের মুখে কিছুটা ইস্পাত থাকে

এখন হাতে পিস্তল রাখা বারণ
তাই নীল ইস্পাতটুকু মুখে

ভালোবাসার কাছে কিছুই নেই এখন
কার্তুজ বন্ধুরা রাজনীতি
একটি বর্ষাতিও নয়
বরষায় তাকে খুব একা দেখব বোধহয়
যদি ফিরতি বাসে যাই |

.            *************   
.                                                                                         
সূচিতে . . .   


মিলনসাগর
নস্ টালজিয়া
সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়


জীয়লের গাছে
ম্লানতর ক্রমশ রোদ্দুর
কেন ভুলি বয়েস বেড়েছে ঢের ব্যথা ক্লান্তি সময় প্রচুর
মারমুখী এ শহর আকাঙ্খায় ক্লিষ্ট নীলাকাশ
কেন ভুলে যাই সময় করেছে চুরি শৈশব তুরুপের তাস |



আর কতকাল সইবে বালিয়াড়ি
পড়ন্ত ছায়ার মধ্যে   
সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়
   
ব্যক্তিগত নক্ষত্রমালা     
সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়
 
খান্ডব দহনের পরে সংলাপ     
সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়
 
ভালোবাসা বহুদিন আগে     
সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়
  
যাওয়ার সম্ভাবনায়