ছি ছি কিসের মারামারি
বুঝলাম না ঘাট মানছি
প্রথম চোটেই সটকাচ্ছি
খুলে কৌপিন বীরসজ্জা-----
কি লজ্জা কি লজ্জা
ছেড়ে দিন বাবু
রঙ্গমাটি ধুয়ে ফেলে
নিই প্রব্রজ্যা !
. *************
. সূচিতে . . .
মিলনসাগর
ভরদুপুরে শহর পরিক্রমায় বের হয়,
যত মুহূর্ত বিকোচ্ছে নিঃশব্দে
তত ক্লান্তি তত দুঃখ
দেহের তদ্বিরে কত গাফিলতি,
কার্জন পার্কে ট্রামের চাকায় যে শব্দ ওঠে
তা অবিকল শাঁখের আওয়াজ
বেকারের ঘুম ভেঙে যাওয়ার পক্ষে তা যথেষ্ট |
এসো একটা পদ্য তৈরি করা যাক
সন্ধ্যালগ্নে
সেটাই শাঁখের আওয়াজের সময় ব’লে
পুরাকালে জানত-------
যেসব মেয়ের বিয়ে হওয়া কঠিন
নায়িকার মত অভিসার নেই
তারা এখনই জানলায় এসে বসবে
সব সন্ধ্যার শাঁখে নাছোড় বিষণ্ণতা থাকে
কিছু সমুদ্র শাঁখের ভিতর থেকে যায় |
পদ্যটি কোনোদিন শেষ ক’রতে পারলে
সেটাই হবে আমার নিজস্ব শাঁখ-----
মধ্যরাতে ভূমিতল কেঁপে উঠলে
আমি তার দিকেই হাত বাড়াব
চারিদিকে ভয়ভীতদের
পায়ের আওয়াজ
আমি নির্বিকার ছুঁয়ে থাকব শঙ্খকে
তারই মধ্যে সাগর |
. *************
. সূচিতে . . .
মিলনসাগর
. আমি শান্তিপ্রিয় জনৈক নাগরিক এই দেশে
. আমি শহরের রাস্তায় শীত রাতে বহুবার
. হারমোনিয়াম বাজিয়েছি
আমি সিনেমার টিকিটের কালো কারবারি
আমি সেই কাঙালী হোটেলের তলায় গাড়ি মুছি
. প্রতিযোগী ট্যাক্সি ধরে দিই-----
. ( বাবু পরবকা দিন, বহুত জাড়া----- বকশিস )
কতকগুলো ভীরু বছরকে
আমিই তো প্রচন্ড রেগে গিয়ে ঘেন্নায়
বোমা আর পাইপগান দিয়ে
. বিষম চমকে দিয়েছিলাম,
তবু আমি কোন ঝামেলিতে থাকি না
আমি বাজারের পয়সা চুরি করি মাঝে মাঝে
বাবুদের ফ্রিজ্ খুলে দুধ খাই
ধরা পড়ি মাঝে মাঝে,
আমার বয়েস কেউই সঠিক জানে না
পিসী বলেছিল বন্যার বছরে আমার জন্ম
মড়কের বছরে বাপ মা গেছে
কোথায় সঠিক জানি না
আমি ট্রাম চালিয়েছি বন্ধের দিনে
শীতে একটু ওম্ পাব ব’লে
আমি ট্রামে আগুন দিয়েছি বন্ধের দিনে
আমিই তো ধুপধাপ ক’রে
সেই অব্যর্থ খবর ছুঁড়ে দিয়েছি
আমি শান্তিপ্রিয় জনৈক নাগরিক এই দেশে
দেরী হ’ল বলে নাম কেটে দেবেন না স্যার
পুলিশের হাতে খরচা হয়ে
আমি একটু পাতালে ঘুমচ্ছিলাম
দেখুন আমার ত্বক সর্ষের হরিদ্রা কেড়ে নিচ্ছে
আমার ওপর কয়েক মাইল
. অড়হর জোয়ার দুলছে
যে অনাবাদী ডাঙার ওপর
শর আর কাশ ফুটে ঝরে যাচ্ছে প্রতি বছর
সে আমি
অনন্তর সামনে প্রক্সি দিতে দিতে সে যখন বলল
আমিই রোজ লুট হচ্ছি
তখন সর্ষের ঝাঁঝে বাতাস একটু ভারী ঠেকল
এখন সে যদি বলে
. আমি কোলকাতা আমি পাড়াগাঁ
. আমি ভারতবর্ষ আমিই তার অধিবাসী
. যুবকরা
. আমি প্রত্যহ লুঠ হচ্ছি
. কিন্তু ঠিক করেছি ফুরব না
তাহলে তাই মেনে নেব আপাতত |
. *************
. সূচিতে . . .
মিলনসাগর
মন কেন দেখেও দেখে না
বিশ্রস্ত ব্যাকুল নীল শাড়ি
এখনও তো চলে যায় নিঙাড়ি নিঙাড়ি |
. *************
. সূচিতে . . .
মিলনসাগর
অযুত কোটিতে বিভক্ত এক রেখাই
খুঁজে খুঁজে তুমি পারম্পর্য হারা
সংলগ্নতা ছিল শুধু সাইপ্রেসে
নিঃসঙ্গতা মাঠে ছিল না কি মনে
গরে ফিরে দ্যাখো অবশ্য এক প্রেত
ছিন্ন করে কি আত্মপ্রতিকৃতি
একলা মানুষ প্রতিবাদ করেছিল
বেমানান ভুবনের দিশেহারা পথে
একশ বছর আমরা তোমার সাথী
. *************
. সূচিতে . . .
মিলনসাগর
পরাভব
সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়
আমার নিজস্ব শাঁখ
সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়
এসো একটা পদ্য
সেটাই আমার নি
সকাল সন্ধ্যা ফুঁ দি
গঙ্গাজলের কল থে
বেরিয়ে আসতেই
কততগুলো লোক
তাদের ঘুম প্রত্যা
একটি একটি ক’রে
একটি একটি ক’রে
তাদের আমি শাঁখে
এত রকমের পেশা
এত রকমের গরীব
আমার পদ্যের কে
দীর্ঘশ্বাসের স্বর-----
সমুদ্র শাঁখের মধ্যে
আমার পদ্য এক
রোল্ কল্
সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়
অনন্তকাল যখন সকলের নাম
তখন যে দেরী ক’রে এল
তার মুখটা আমি চিনি
. এসেই বলল ঘুমি
. এই দেখুন আমা
. কত উদ্ভিদ জন্মে
সত্যিই তখন বনানীর গন্ধ পাও
সাদা হাড়ের ওপর সবুজ দুর্বা
অর্কিডের তারুণ্যে চোখ চকচ
ধুলোয় পা ডুবিয়ে শিশিরে পা
কে ডাকছিল পৌষের সকালে
অনন্তকাল পৌষের সকালে
. প্রত্যেকের নাম
কুয়াশায় একটু আধটু গোলমা
এমন ব’লতে পারি না
সেই সুযোগে মুখ চেনা যায়
সেই সকলেরই নাম নিয়ে প্রক্সি
নীল শাড়ি নিঙাড়ি
সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়
নীল শাড়ি নি
কবে যেন সমু
সে কি আর এ
একটা বয়সে
সেই তীব্র জল
ছদ্ম গাম্ভীর্যের
ভুলে যায় লো
লীলা কতখানি
আজও কি সে
হয়ত বা দুঃখ
কিছুটা অতলে
.
কিছুটা অতলে
পুরাতন সিন্ধু
ভ্যানগগের কান কেটে ফেলার শতবর্ষপূর্তি
সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়
হায় সে তো এক ক
অথচ জীবিত রয়েছে
দুঃসহ তাপ ওই মুখে
তথাপি শান্ত ক্যারা
খোলা সাঁকো আজও
শ্রাবণ হারানো কর্তি
স্বপ্ন হারাতে কিছুতে
সভ্যতা তার থেকে
সুবিন্যস্ত চেতনার চ
ভেঙে তার চোখে ফু
অতিকায় রবি ভো
চূড়াবলম্বী হয়ে ভাস্ব
তিল পরিমাণ বিন্দু