বসন্ত এসেছে। আমার শহর ভীষণ একলা এখন দূর থেকে আজ কে বুঝবে তার চোখের কোণে জল না ধুলো হাওয়ায় উড়ছে শুকনো পাতা, পায়ের ছাপও থাকছে না আর আস্তে-আস্তে ঝাপসা হচ্ছে ভালোবাসার রাস্তাগুলো
তবুও কথা জমছে। কথার নাম জানি না, মানে বুঝি না টেলিগ্রাফের তারের উপর শালিক বসেছে জোড়ায় জোড়ায় দুপুর রোদ্দুরে মুখে মুখোশ এঁটে ঘুরে বেড়াই রাতে বুকের মধ্যে কারা দাঙ্গা করে, টায়ার পোড়ায়. . .
সেই সঙ্গে ঘুম আসে আর ঘুমের মধ্যে স্বপ্ন ঢোকে স্বপ্নে আমি মাথা ঝাঁকাই স্বভাবসুলভ অবাধ্যতায় হারিয়ে যাওয়া বন্ধুদের মুখের আদল ভাসে তখন ছুটতে ছুটতে হাঁপিয়ে পড়ি, মন খারাপের সময় কোথায়
অথচ এই খারাপ মনে বেঁচে থাকার ইচ্ছে দারুণ কে জানে এই চিঠি লিখছি কীসের টানে, কোন গরজে বয়স যেন পাহাড়ি পথ, কাদের নীচে পড়ার সময় পলকা আমার শরীর শুধু শরীর, তুমুল শরীর খোঁজে
ওই ঠোঁটে ঠোঁট রাখবো ভাবি। লাগবে কি এক শতাব্দীকাল ? তোর কপালে সিঁদুরে মেঘ, আমার হাতে কাপাস তুলো শিগগিরি আয়। এই বসন্তে আমার শহর একলা ভীষণ আস্তে আস্তে ঝাপসা হচ্ছে ভালোবাসার রাস্তাগুলো