নববর্ষ লয়ে কেন ফাটা
পুরনো বছরটারে বা
দিয়ে কেন ঝাঁটা দিয়ে
কি দোষ করেছে, কও
তারেই তো নিয়ে বা
তিনশ পঁষট্টি দিন। গে
উঠেনি কি সূর্য বুঝি,
উঠোন বাজারে মা ভা
ব্লেডেতে কাটিয়া মাছ
মদ্য খেয়ে চাচা বুঝি
পুপু পুটু মীরামাই ক
যার যাহা অভিরুচি
বীবী সেজে বেরয় নি
বুদ্ধিটি খরচ করে বি
মাথায় বুলায়ে হাত এ
খরছ করো নি তারে
করেনি ক্যাটের ক্যাট্
করেনি কি বিক্রি, রা
বৌদি চষেনি মাঠ চক্ক
টাট্টু ঘোড়া যেন হায়
বড়দা করেনি রাঙ্গা
পাকু মাম গুড়গুড়ি
করেনি কি দিবারাত্রি
রকেতে দুজনা বসি
টুপাইস কামাবো বলি
কে জর্মনি বসে হয়তো
কবি সৈয়দ মুজতবা আলীর কবিতা
|
করে রেখে আছে ব্লণ্ড গণ্ডা দুই বিয়া!
. ( ২ )
তবে কি পুরানো সাল ছিল দিশী সস্তা
তাহারে বিদায় দিয়া ভরি বস্তা বস্তা
আনিবে জর্মন মাল কিংবা সে বিলাতি
নববর্ষ---গ্যারাণ্টিড পাকা সে বেসাতি!
চলিবে দশটি সন এক নববর্ষে
কই, দিদি, বলে না তো চোখেতে সরষে---
দেখি যবে, বলে কিনা এরেও বিদায়
দেওয়া হবে। বারো মাস হয়ে গেল, হায়!
. ( ৩ )
তুমিতো সেয়ানা মেয়ে চালাও সংসার
বলো দেখি তবে কেন এ হেন ব্যাভার ?---
বাজে খরচা একদম---পুরানাটা যবে
দিব্য কাজ দিয়ে যায় ; নয়া আনা তবে ?
. *****************
. সূচিতে . . .
মিলনসাগর
নববর্ষ
( ১৩৬৮ )
কবি সৈয়দ মুজতবা আলী
১৪ই এপ্রিল ১৯৬১
স্নেহের মুকুল,
তুমি তো আক্কেল ধরো, বলো তো আমারে
মুখ খান্ কেনে মেঘলা মেঘলা কবি সৈয়দ মুজতবা আলী ২রা জানুয়ারী ১৯৬২
বর
|
পিলসুজ পরে হেরো জ্বলে দীপশিখা
কবি সৈয়দ মুজতবা আলী
৯ই এপ্রিল ১৯৬২
(বৌদি), ৬.১১.৫৮ তারিখে লিখিত এক পত্রের অংশ
স্বজাতির সনে স্বজাতি উড়িবে মিলিত হয়ে