যেদিন তুমি জন্ম দিলে সেদিন নদীতে একটা মরা ভেসেছিল আমি তারই মৃত্যুবীজ--- কালবৈশাখী আর রূপসা নদী আমার জনিতৃ তোমাকে ভিন গ্রহের মত মনে হত তাই গ্রহের কপাল থেকে বাঁকুড়ার মাটিকে উৎপাটন করেছি, তুমি মাটির তলায় যাবার দিনও . চুড়ি পড়েছিলাম আর বাক্স খুঁজেছিলাম সাড়ে চার বছরের ; দীর্ঘ এক পথ আমি শুধু কালো হয়ে যাচ্ছিলাম বুকের ভিতর স্বর্গ-নরকের দ্বন্দ্ব এখন কালো গায়ে পুনর্জন্ম হয় নকল পুচ্ছের মত রঙে গর্ত খুঁজি নির্গমনের দ্বীপান্তরে এক গাছের পায়ে সিঁদুর পড়ে আছে সংকেত মানি না, রাসকেল বলে ইঁট চাপা দিই সবুজ পাতা, তবু লাল রং আমায় . . . হত্যা মনে করায়
আচমকা ঘুম থেকে উঠে দেখি তুমি আগ্নেয়গিরির এক সুপ্ত আত্মকথন গলিতলাভার মত তোমার দৃষ্টি ছুঁয়ে টুকরো টুকরো পড়ে আছে চামড়া ধীর হতে শিখি, ক্রমাগত ছুরি হাতে আদিম অভ্যাস বেছে নিই এখন দীর্ঘ শীতকাল, বসন্ত আসার আগে আগুনের ঘরে পুড়ে গেছে অন্তর্বাস শরীর নিকোনো বিরক্তি দিয়ে সংযত করেছি বিরতিপর্ব সংশোধন করার আগে শুদ্ধ হয়ে নিচ্ছি, মেঘের সামনে উজ্জ্বল হচ্ছে দুঃসাহস আলিঙ্গনে শক্তি পাচ্ছি না চৌম্বকধর্মে দিক নেই আর--- আসলে তোমার জাগার মন্ত্র . নিজেই করেছ লোপাট . . . আমি শুধু বেদের মত গিলে নিচ্ছি . কিছু ধ্বনি