কবি তপন করের কবিতা
*
জঙ্গলে একা এলে
কবি তপন কর

জঙ্গলে একা এলে
ভাল থাকে না কেউ
পাতার বৈরাগ্যে অবহেলার জল জমে
গড়িয়ে যায় নির্জনতা
নির্জনতা ভালবাসে কে ?

পিছনে অমাবস্যার জমাট বাঁধা অন্ধকার
সাগ্রহে সরিয়ে রাখি -- কেন্দু পাতা
আনুপাতিক ছায়ার বিস্তার ঘিরে
বড় হয়ে উঠছে পরাজয়, নষ্ট ভুর্জে লেখা ভবিষ্যত্

জঙ্গলে একা এলে
ভালো লাগে না
নির্জনতা ভালবাসে কে ?

.           *************************      
.                                                                      
সূচিতে . . .   
.                            
সিঙ্গুর নন্দীগ্রামের কবিতার মূল সূচির পাতায় . . .   



মিলনসাগর   
*
আমার গেরস্থলি
কবি তপন কর

সযত্নে লুকিয়ে রেখেছে পুরনো ছবি
আমি ড্রয়ার খুলে কোনদিন পাইনি
সিমান্তের তার কাঁটা দেখিয়ে ভাঙতে বলেছ বাধা
আমি পেরোতে পারিনি

দূরে চলে গেছ! রাতপাখি ডেকে গেছে অনেক্ষন!
জলের হাতছানি দেখে পায়ে পায়ে
এগিয়ে গেলে নদী----

নদীতো নয়
পার হলে সমস্ত চষাক্ষেত, দুফসলি জমি
আল চিরে ভাগ করে নিতে গিয়ে
কান্নায় ভিজে গেছে দৈঘপ্রস্থে আমি
আমার গেরস্থলি

.           *************************      
.                                                                      
সূচিতে . . .   
.                            
সিঙ্গুর নন্দীগ্রামের কবিতার মূল সূচির পাতায় . . .   



মিলনসাগর   
*
নিজস্ব বুটিক
কবি তপন কর

এক
আদরের লেজ বুলিয়ে বয়স বাড়াচ্ছে সুখী বিড়াল
আমিও পোষা মাছ সুগভীর ভাতের টানে
মরতে আসি ঘাটে দু’বেলার অন্ন পেয়ে

তোমাদের জানা গল্পের উঠোনে আগোছালো
বঁটি পেতে কাটাকুটি দুঃখগুলি সাজাতে সাজাতে
দেখে নিই তাকে, পারতপক্ষে মনে পড়ে না সে কথা

কথা তো জলে ভাসে না জানি, রোদের বারুদ মেখে
মেঘ গম্ভীর, সুস্থির হয় না মাস প্রথামতো
যত দূর বুঝি বৃষ্টি হয়েছে ভেজা সকাল আসেনি

আসেনি বলে দূরে যাব না, পায়ের প্রবাস মুছে
ক্যালেন্ডারে তুলে রেখেছি পূর্ণিমা
নিজেকে সাজাব বলে বুটিক খুলেছি একেবারে নিজস্ব

দুই
অ্যাফলিকে ব-দ্বীপ, ম্যানগ্রোভ ভিতর-কণিকা
কুমির প্রকল্প ঘিরে সবুজ জমিতে নদীটি ছলকায়
যাকেই পরাবে আকাশ সে, দিগন্তের মেঘমল্লার

যাচ্ছতাই বালুচরি, অরিজিনাল বিষ্ণুপুর ঘরানা
মধুবনী পাড়ে বস্তার রূপটান---- কিনা নেই, সস্তার
জামদানি থেকে শান্তিনিকেতনি বাসন্তী লাল পরাব না

জলরঙের সীমান্ত ঘেরা কাঁটাতার মানচিত্রটি সামলায়
দুটো নিজের নিলে তৃতীয়টি বিনা পয়সায়
নিজস্ব বুটিক, একুশের বর্ণপরিচয় লিখে অ-অজগর শেখায়

তিন
শাড়িটি চেয়েছ যদি ছুঁয়ে যাও বিকেলের গোলপার্ক
বাঁধানো ফুয়পাথে খুর ঠুকছে খাই খাই ঘ্যাম মাল
জলে জঙ্গলে মাখনের বিভাজিকা, সমুন্নত গারো হিল

বর্ষার নদীতে কিছু ছেঁড়াকাটা পলিপ্যাক
মানবিক দূষণ রেখে লম্পটের মতো ভেসে যাচ্ছে---
উড়ন্ত আঁচলে আঁকা শালিক দম্পতির কথা

ঠোঁটে কুটো খড়, বিছানার জমিতে তখন
মনোযোগী পর্দার ব্লু-ফিল্ম, নিজস্ব বুটিক
হারানো বাসনায় ভেজা লবঙ্গলতিকা ফোটে

চার
পছন্দের নজর এড়িয়ে নিজস্ব তাঁতে বোনা জামদানি
বাংলাদেশ, সবুজ জমিতে কচিকলাপাতা রাখা
হাওয়ায় দুলে উঠতেই লালফোঁড় দেখা যায়
ফাটা আয়নায় মুখ রেখে----
.                         ‘একবার উঁকি দিয়ে দেক না কে এল ঘরে’
.                         আগাগোড়া জলছবি, সহজপাঠ খোলা
.                         লম্ফের আলো এসে পড়েছে, প্রথমভাগ
.                         অস্পষ্ট বর্ষার ছলাৎছল, রঙের গ্যারান্টি
.                          পাবেন ---- সম্পূর্ণ পার্বত্য পরিষদ---
.                          ‘শূন্য এ বুকে পাখি মোর ফিরে আয় ---


পাঁচ
প্রতিদিন যারা মন্তব্য লিখে যেতে পারছেন না
তারা চিঠি লিখতে দ্বিধা না করে আমাদের
ঠিকানায় পাঠিয়ে দেবেন :
.                         ‘কৃতজ্ঞ থাকব---’
ঠাস বুনট শাড়িতে ভাতের ফ্যান উথলে
ছড়িয়ে যাচ্ছে খিদে, ওদের আস্বাস দাও :

পণ্যের জবরদস্তি দিয়ে পেটের জ্বালা মেটালে
ওজন কমতে বাধ্য, ভি এল সি সি-র তোষামোদ

সময়মতো বিজ্ঞাপনে ড্রাই-ফ্রি উড়তে
ওই ক’দিন অসুবিধে হবে না,  শাড়িও ভেজে না

ছয়
ভোরের সমবেত স্বাস্থ্য পরিভ্রমণ ফিরে
জল সইতে গেছে রাধিকা ব্লাউজবিহীন
সরীর জড়িয়ে ঋতু বেরির মেঘ-রৌদ্র-জলের
শালুক পাতা, ঢাকা বুকে বাংলাদেশ রাখা

ক্ষুদ্র ঋণে কেনা হাঁস মুরগি ! ইউনুস ডিম ফুটিয়ে
বিবি রাসেলের গামছা কিনেছ ? মানাবে না !
বোনটি তোমার গোঁয়ার, কলস ভরে রেখেছে
স্বনির্ভর অভিমান, জানার সময় পেলে না---

কলমি লতার সাথে চইচই স্বাধীনতার
তুলতুলে ছানা পেলে তোমাকে দেখায় ভালো !
নিজেকে সাজাতে হলে বুটিকে আসা চাই !

সাত
সুন্দরী অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীর রাতকানা মেয়ে
বুটিকের খবর নিয়ে নাছোড় বায়না ফুটিয়েছে
নাক-কান !
.    দিদিমণির হাতে পায়ে আজ রূপলাগি
হারবাল প্রসাধন ----- ইস্কুলের ছুটি নিয়েছেন !
প্রয়োজনের বিউটি স্পটে ভরে গেছে আয়নার কাচ !
একটু নিজেকে সাজালে ধরা পড়বার ভয় নেই
চোখে কাজল টেনে অন্যরকম সাজলে বাংলা
ঝাঁপিয়ে পড়ে বুকে,  দুধের বাটিতে---
উনুনে আগুন রেখে ভাত ফোটেনি কার ?
.    ‘দোষ কারো নয় গো মা---’

আট
মানচিত্রে আঁকা বাংলার মুখ তথ্যনির্ভর |
সরকারি পুস্তিকায় অনুপস্থিত আমলাশোল
পূর্ণ স্বাক্ষর গ্রামের প্রান্তে লেখা জয়নুল আবেদিন
দুর্দান্ত মানাবে তোমাদের, নিজস্ব বুটিকের রং
এক্সক্লুসিভ শাড়িতে উত্তরবঙ্গ জমি---
দাম বেশি পড়বে না, সাধ্যের ব্যাটিং পিচ
ন্যায্য মূল্যের দোকান উল্টেপাল্টে পছন্দ হলে
হাসি মুখ ; রপ্তানিযোগ্য ফুলের বাহার
সময় করে আসবেন যামিনী রায়ও ---

নয়
শাড়িতে আকাশ এসে সুগভীর কৃষ্ণশায়র---
দলপরীরা স্নানরত, পাড়ের স্থলপদ্ম জলে পড়ে
শালুক ছায়া,  জুড়াবে মন ; মনঃপুত সবকটি

তা বলে ফিরে যাবেন ? সেটি হতে দেব না
আয়নায় দাগ রেখে চলে গিয়ে মুখ
দেখবেন কিসে ? পথ মনে রাখে না কিছু
নিজেকেই মেলে ধরে !

নিজস্ব বুটিক সাজিয়েছি! ইচ্ছের সমান্তরাল!
লোভের বরফকুচিতে বৃষ্টির ফোটা পড়ছে

দশ
সবটা শৈশব ছিঁড়ে বয়সের গাছপাথর ঢেকেছি
অবেলায়, নিজের বাগানে পোড়া অবাঞ্ছিত
পাতা ! তবু বেমানান নয় ; অচেনা কেউ
যখন তাকায় শাড়িটিও বেশ উচ্ছ্বাসে ভাসা
মগ্ন বাংলা ভাষা---

আমি মধ্যরাত, অন্ধকারে চিনে রাখি
পুকুর জল, থতমত বুকে মুখ গুঁজে চিরচির
পরকীয়া আয়নায় নিজেকে দেখি ভিজে যায় অন্তর্বাস----

একান্ত সাজাব বলে বুটিক খুলেছি
একান্ত নিজের---

.           *************************      
.                                                                      
সূচিতে . . .   
.                            
সিঙ্গুর নন্দীগ্রামের কবিতার মূল সূচির পাতায় . . .   



মিলনসাগর   
*
দুর্ঘটনা
কবি তপন কর

দোকান বন্ধ দেখে ফুল না কিনেই
তোমাকে দেখতে গেছি, রক্তপাতহীন বিকেলের আকাশ
মুখোমুখি সংঘর্ষে থেথলে যাওয়া ড্রাইভারের কেবিন
জল দিয়ে ধোওয়া চাকার শিহরণ ----

তোমার পায়ের নিচে সর্ষে ছড়িয়ে ভ্রমণ বৃত্তান্ত রেখে
আগুনে নামিয়ে রেখেছি অশৌচ
গঙ্গা স্নানে যেতে অনেক বাঁকি ----

সেদিন বৃষ্টি হয়নি! ভারি মেঘ আকন্দের
উপশম নিয়ে ঘিরে ছিল নদীর চর ----
দলবদ্ধ শবযাত্রীর কাঁধে অচেনা মৃতদেহ!

.           *************************      
.                                                                      
সূচিতে . . .   
.                            
সিঙ্গুর নন্দীগ্রামের কবিতার মূল সূচির পাতায় . . .   



মিলনসাগর   
*
তুই ফিরে আয় (সিঙ্গুরের কবিতা)           কবিকণ্ঠে আবৃত্তি শুনুন
কবি তপন কর

পোড়া মাংসের গন্ধ বাজেমেলিয়ার অনশন মঞ্চ
পর্যন্ত পৌঁছায়নি অথচ আকাশ বারুদে মেঘের
উত্তাপ ছড়িয়ে দিয়েছে......

মা লক্ষ্মী পাটে আসীন হতে গিয়ে নূতন চালের
ভাত ছড়িয়ে কাকে ডেকে এনেছেন?
মুখে ছাই পুরে শেষমেশ তোকেই......

মাঠে ধান, কলামুলো দাঁত বার করে হাসছে
সেচের অপেক্ষায় থেকে পাতার ক্লোরোফিল
জমিয়ে রাখছে শিশিরের অশ্রুকণা
যাবনা বলেও উন্মাদিনী তোকেই যেতে হল?

আর ফিরেই যখন এলি তখন লাশ
'এ লাশ আমরা রাখবো কোথায়' মাটিও আমার নয়
RAF পুলিশের কনভয় ঘোরে
গৃহদেবতার থানে, প্রিয় পাখীটিও গিয়েছে উড়ে
দেবী কোনদিন পাটে বসবেন না......

পায়ের শর্ষে রেখে যা, এবারের মত ফিরে আয়
তুই ফিরে এলে তোকে শ্মশানের কাঠ চিরে
জলচৌকি গড়িয়ে দেব......


এই কবিতাটি এখানেই প্রথম প্রকাশিত হল

.           *************************      
.                                                                      
সূচিতে . . .   



মিলনসাগর   
*
শ্মশানে কার লাশ (সিঙ্গুরের কবিতা)       কবিকণ্ঠে আবৃত্তি শুনুন
কবি তপন কর

শ্মশানে কার লাশ? জানে না প্রতিবেশী
চাষীর মৃতদেহ ঘিরে শকুনের উল্লাস শুনি শুধু
মৃতের চোখ ছুঁয়ে মায়ের কোলে শোয় দামাল শিশু

শ্মশানে কার লাশ? ভয়ে বলেনি কেউ চেনা
মৃত্যু জীবন নয় জানি, মৃতের জীবন থাকে না
শুধু মনে পড়ে

আমিও লাশ হলে মৃতদেহ উঠোনে রেখে
সন্ততি শোকস্তব্ ধ আগুনে হাত সেঁকতে সেঁকতে
১৪৪ ধারা পেরোবে?

শ্মশানে কার লাশ জানে না পুলিশ!


এই কবিতাটি এখানেই প্রথম প্রকাশিত হল

.           *************************      
.                                                                      
সূচিতে . . .   
.                            
সিঙ্গুর নন্দীগ্রামের কবিতার মূল সূচির পাতায় . . .   



মিলনসাগর   
*
চাষের জমি (সিঙ্গুরের কবিতা)                 কবিকণ্ঠে আবৃত্তি শুনুন
কবি তপন কর

এ জমি আমার বলে চিত্কার করে ওঠে
চাষী, মাঠের ধান পড়ে থাকে মাঠে

সান্ কি মেরে ধান নিয়েছে
কানকি দিয়ে ধান বেচেছে
 জমিন দিয়ে পেট
জলের দরে ভিটে বাড়ি
পেটের ছেলের জেলেই পাড়ি
 বন্ধ হল গেট

মুত্রে ধুয়ে লাল পতাকা, শূলের দণ্ডে
শুকিয়ে নিয়ে লাশ ঢেকেছে এ তল্লাটে
আয় যাবি কে মুক্তি পেতে বর্গা কাণ্ডে
জমিয়ে রাখতে লক্ষ্মীভাণ্ডে মন্ত্রপূত মুণ্ড চারটে

ঠিকঠাক অগ্রপথিক
দলে দলে শিল্প শ্রমিক
এগিয়ে যাচ্ছে কৃষির ভিত্তি স্বপ্ন সফল কারখানাতে
নিজের পিছন নিজেই মেরে হাসছে গাড়ল হাড় হাভাতে !

এই কবিতাটি এখানেই প্রথম প্রকাশিত হল

.           *************************      
.                                                                      
সূচিতে . . .   
.                            
সিঙ্গুর নন্দীগ্রামের কবিতার মূল সূচির পাতায় . . .   



মিলনসাগর   
*
দহন
কবি তপন কর

ভুলের মধ্যে এই অভিমান লণ্ডভণ্ড
হবে জেনেই পাপের মাথা বাড়িয়ে রাখি
কুয়োর দিকে, আকাশ ভাঙ্গা প্রচণ্ড এক
উলকাপাতে পিষ্ট হতেই জীবন পাখি
উড়তে থাকে বাধাবিহীন
সঙ্গে ছিল তুমুল বাতাস ব্যথার প্রলেপ অর্থহীন


স্রোতের কাছে হাঁটুমুড়ে কৃতাঞ্জলি
শিকড় ছেঁড়া ঘাসের মতো ছিন্নমূলি
পাপ করেছি, বুকের বামে তুষের আগুন
জ্বলতে থাকে ; ধূপ ছিল তাই পুড়ছে দ্বিগুন

শূণ্য বুকে দাহ্য বলেই সম্ভবত
ছাই উড়েছে যথা তথা ইতস্তত

.           *************************      
.                                                                      
সূচিতে . . .   
.                            
সিঙ্গুর নন্দীগ্রামের কবিতার মূল সূচির পাতায় . . .   



মিলনসাগর   
*
জলে নামলেও
কবি তপন কর

সমস্ত দিন নদীর কাছে দাঁড়িয়ে থেকেও
ছুঁতে পারিনা এক বিন্দু জল, গেরস্থালির বারবারান্দায়
হাওয়ার সুগন্ধে উড়ে যায় প্রজাপতি
ডানায় ফুলের পরাগ ; আমাকে প্রলুব্ ধ  কাকের মতো
অনবরত নিয়ে যেতে চায় বাইরে
অথচ ঘর, সংসার, সন্তান, প্রিয় নারীর সোহাগ
ছেড়ে দুর্দান্ত নেমে যেতে পারি না গভীরতর স্রোতে
হাঁটুর কাছে জল উঠতেই অঞ্জলি ভরে নিতে গেলে
বিষন্নতার লবণে দ্রবীভূত হয়ে যায় সমস্ত ঈপ্সা
ছুঁতেই পারি না --- হাঁটুর উপর জল!

.           *************************      
.                                                                      
সূচিতে . . .   
.                            
সিঙ্গুর নন্দীগ্রামের কবিতার মূল সূচির পাতায় . . .   



মিলনসাগর   
*
পক্ষীস্তুতি
কবি তপন কর

সম্ভাব্য রোদ্দুরকে অগ্রাহ্য করেও আকাশ
অধিকন্তু নীল! সদ্যবিধবার মত ম্লান
অথচ উর্বর | গানের কলি হয়ে ভেসে যেতে চাইছে
ফুল, বীজের সমারোহ হীন ক্ষয়াকৃতি বৃক্ষের কোটরে
মাছরাঙা পাখীর ডিম ফুটে যে বাচ্চারা
অচিরাত্ বেরিয়ে আসবে তাদের ডানায়
ক্লোনিং করা থাকবে মৃত ডাইনোর কোশ
উড়তে গিয়েই সরীসৃপ হয়ে যাবে
আগামী পাখীরা..... |

.           *************************      
.                                                                      
সূচিতে . . .   
.                            
সিঙ্গুর নন্দীগ্রামের কবিতার মূল সূচির পাতায় . . .   



মিলনসাগর