আমার মা প্রতিদিন নির্বাসন ফিরে গুছিয়ে রাখেন আমার বিদ্যালয় ফেরত ভৌগলিক অভিপ্রায়গুলি, পূর্ববঙ্গের অভ্যাসমতো মাটির উপর ছক কেটে অতিক্রম করতে বলেন বাবার লাম্পট্যময় জীবনের যাবতীয় দাগ আমি লাইটপোস্টে হাত রেখে আলোর দিকে তাকিয়ে থাকি আর দেখতে পাই আমার মা পার বাংলার জল কাদায় ভিজে একটা পুতুল গড়ে নেবার চেষ্টা করছেন.....
পয়ঃপ্রণালীর স্রোতধারা মিশে যায় পরিশুদ্ধ পানীয়ে, নাগরিক তৃষ্ণায় ছড়িয়ে পড়ে অগ্নি নির্বাপক বাণী আলোর গতিবেগ মাপে স্থাপক কমিশন ন্যূনতম মূল্যে অনগ্রসর শ্রেণীর বিধবা রাঁড় সর্বক্ষণের পার্টিকর্মীর কাছে বাঁধা থাকে, দিনের বেলায় ধ্বজভঙ্গের তাবিজ এবং গর্ভপাতের শিকড় বেচে সান্ধ্যপথ সভায় নেতার ধাতু দুর্বল হয় করিত্কর্মা সাম্যবাদীর "দুঃসময়" দেখতে ছুটে যায় হা-ঘরে যুবক সস্তার চমক কাটে পরের দিনের সংবাদ পত্রে যত্রতত্র বিবৃতি নিষিদ্ধ হয় সাংবাদিক সন্ধ্যায় অশ্বের যৌন ব্যভিচার বন্ধ করে মহাজাগতিক প্রচার আপত্কালিন সতর্কতা এখন ধর্মীয় কথকতা
লণ্ডভণ্ড তিন সান্ কি বাগড়া মেরে নিজেই খান্ কি নিজের বিচি নিজের নোড়ায় শুদ্ধ হাতে নিজেই বাটায়
জনগণের শ্রাদ্ধবাসরে দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে হাঁটুর ব্যথায় গোময়ের তোপমারি জাপ দিয়ে কঠোর হাতে নির্দেশ আসে মন্ত্রী সকাশে দেখা করেন বেশ্যার দালাল কিন্তু চালান যেতে হয় না, বিদেশের শিল্পপতি এসে ক্ষেতের সর্ষে কাটে, বারমাস ফসল তালুর ঘাস সমূল তুলে নেমে আসেন তথাগত বুদ্ধ নিবাণে পরিশুদ্ধ রক্তবীজ রাক্ষস সাহস থাকলে মুখোমুখি মাটির উপরে দাঁড়াতে পারিস সন্মুখ সমরে ?
আদল বদল ন্যাংটা রাজা মড়ার মাথায় কর্ত্তা ভজা গুহ্য ফুঁড়ে গুহ্যদ্বারে কাশ এই ছিল তোর গোপন অভিলাষ ?
সর্গ : তিন
ভগন্দরে গলগণ্ড নাভির নিচে খণ্ড খণ্ড সর্পাঘাতে সর্বহারা জন্ম দিয়ে কম্ম সারা ?
সমস্ত ভয় ও বিড়ম্বনা তোমাকে দিয়ে দেবার পর মাটিতে পা রেখেছি, মায়ের গোপনতাগুলি বাজারে খুলে রেখেছি দ্যাখো, এরপর আমার কিছুই দেবার নেই !
যেখানে ভারসাম্য রেখে মায়ের সম্মান হারিয়েছি সে মাটি দেব না, আর যা চাও নিয়ে যেতে পারো গুলির শব্ দ চিনে সদ্য কিশোর বাড়িয়ে নিচ্ছে ঘরে ভিজিয়ে রেখে অধিকারের বীজ চলে যেতে পারি কিন্তু জমি চাইলে দিতে পারবো না---ক্ষমা করবেন !
নদীকে পাব বলে জলের কাছে যাই, তুমি জান না তা নুনের দ্রাব্যতা পেয়ে আমিও জল তুমি গভীরতা বর্ষার হিসেব নিয়ে বৃষ্টি ফোঁটায় রাখি ভীরু হাত জল বাড়ে না | শুধু শেণিতের বাষ্প জমে বৃষ্টিপাত নদীও তখন দূরে মাতলার চরে হারিয়েছে সব উচ্ছ্বাস কথা রেখেনি, তোমাকে জানায়নি কোনও অভিলাষ
তোমাকে পাব বলে ঝিনুকে রেখেছি বালি সেও কণামাত্র শালুক পাতার জল শিশিরের কথা ভোলে সর্বত্র মনে পড়ে না, তোমার বুকের কাছে জমেছে কতখানি জল কলস্বর, কথা তো হবে না কোনও দিন সেও অভিমানী নদীকে কাছে পেতে ডাহুক যুবতীর সাথে পত্র বিনিময় এস্ এম্ এস্ ইন্টারনেট ঘেঁটে যাবতীয় সুদূর পরিচয়
তবুও দূরে মেঘমল্লার বাজে আষাঢ়স্য প্রথম দিবসে সুউচ্চ বহুতলে মেশে অনন্ত আকাশ তুমি পরবাসে |