ময়নামতীর পথের ধারে দেখা হয়েছিল আরে না না না, তেপান্তরের মাঠের পরে দেখা হয়েছিল দেখা হয়েছিল তবু, না দেখা যে ছিল ভাল, দেখা হয়েছিল | কাজলাদিঘির ঘাটের ধারে দাঁড়িয়েছিলে অন্ধকারে--- কেন গো উঁ ? জল আনিতে কলসি কাঁখে আসবে তুমি বলেছিলে | কে বলেছিল কে ? ঐ বামুনপাড়ার ছেলের সনে কথা হয়েছিল | কাল বোশেখীর ঘূর্ণী ঝড়ে হিজলবনে ছিলে পড়ে--- কেন এ্যাঁ কার জন্যে ! হাটের শেষে বনের পথে ফিরবে তুমি বলেছিলে | কে গো আমার এমন বন্ধুটি কে ? তোমারই এক সতিন সনে কথা হয়েছিল |
বন্ধু তোমার আসার আশাতে বসে আছি সাঁঝ রাতে রাত হল শেষ প্রভাতে তবু তোমার দেখা হল না, হল না | বন্ধু মাঝ দরিয়ায় দাঁড় টানি একূল ওকূল না জানি হালে আমি পাই না পানি তবু তোমার দয়া হল না, হল না | তাইরে নাইরে তাইরে নাই তাইরে নাইরে তাইরে নাই তাইরে নাইরে তাইরে নাই তাইরে নাইরে তাইরে নাই | তুমি ডুব দিয়েছ অতলে আমার জীবন করে বিফলে এখন ভেসে বেড়াই দেশে দেশে ভাসি নয়ন জলে | ছিল যে আকাশেরই চাঁদ দেখি সে মরণেরই ফাঁদ আমার সুখে সাধল বাঁধ বন্ধু তবু আমার সুখে সাধল বাঁধ বন্ধু তবু আমার মরণ হল না, হল না, হল না হল না---- তাইরে নাইরে তাইরে নাই তাইরে নাইরে তাইরে নাই তাইরে নাইরে তাইরে নাই তাইরে নাইরে তাইরে নাই | আমি টানি দাঁড় এপারে পাল তুলে দিই ওপারে এখন এপার ওপার ওপার এপার হল একাকার | বুঝি, শুনি বাঁশি কার জানি যাওয়া হবে সার ভাবি যাব কাছে তার, বন্ধু তবু আমার যাওয়া হল না, হল না, হল না, হল না |
নম কৃষ্ণ কৃষ্ণ বল বিষ্ণু বিষ্ণু ভজ এই নামে, তরে যাবে ভাইরে | আহা শ্যামের সোনার বাঁশি, মুখে তার মৃদু হাসি এ রূপের তুলনা যে নাইরে | মুকুটে কোটি সূর্য গলে দোলে বৈদুর্য নূপুরের কিনিকিনি বাজেরে বাজেরে | ক্ষমা ধর্ম আর কর্ম সাধনা যার সে তার পায়ে ঠাঁই পায়রে পায়রে