গঙ্গাতীরে পিকনিক করতে গিয়ে বাগান বাড়ির অন্ধকারে
করমচার ঝোপ থেকে সাবেকি মোহর এনেছিলে |
কারো ঘরে সোনা নেই, কেবল তুমিই
লুকিয়ে রেখেছো, তাই মোরারজি দেশাই
অবশেষে আমাকেই তদন্তের দায়িত্ব দিলেন |’
‘কিন্তু স্যার, সত্যি বলি একটু একটু মনে পড়ছে যেন,
কিন্তু সেতো মোহর বা আশরফি নয়,
ভীষণ পুরানো এক পূর্ণিমার সস্তা গোল চাঁদ
সেই দিনই শ্যামবাজারে ফিরতে ফিরতে হারিয়ে ফেলেছি |’
হাসলেন এরকিউল পয়রো, ‘শ্যামবাজারে সঠিক কোথায়
কোন্ খানে হারিয়েছো, মনে করতে পারো নাকি কিছু ?’
‘কিছুই পড়েনা মনে, হয়তো পড়ে আছে সেই করমচার ঝোপে
কিংবা কবে, কে কুড়িয়ে পেয়ে সন্ধ্যাবেলা
খুব সস্তা বেচে দিয়ে হাটবারে গঙ্গার ওপারে
স্ত্রীর শাড়ি, ইলিশ বা মাংস কিনে খুশি মনে বাড়ি ফিরে গেছে |
এ-বাড়িতে কিছু নেই স্বর্ণমুদ্রা, আশরফি মোহর
তা’হলে কি এই রাত বারোটার ঘর
কেউ খুলে রাখে স্যার ?----- রাখবেনা, রাখে না |’
. ******************
. সুচিতে...
মিলনসাগর
উচ্ছে সুক্ত, মাছের তেল কখন ছোঁয় আলগা বিকেল এখানে কিসের মেলা ?
এ মেলা নয়, এ মেলা নয় এখন তোমার হৃদয়ময় যে মেলা জমে আসে, তারই কোথাও একটু সময় একটি পাল্লা বন্ধ রয় কেউ কি থাকে পাশে ?
****************** . সুচিতে...
মিলনসাগর
|
পঞ্চাশ বছর ধরে এটা সেটা কেনাবেচা করে
সারেঙের চোখ দিয়ে তারো সব দেখা হয়ে গেছে
সমস্ত বন্দর, ঝড়, মাস্তুল, জাহাজ, নীলজল |
তুমিও কি ছিলে নাকি ? তুমিও কি বাঁশি শুনেছিলে ?
সে বছর ক্যাপ্টেন ডফের জাহাজে তুমিও কি ছিলে নাকি ;
উনিশ শো এগারো, দ্যাখো, সব ঠিক মনে আছে আজো,
হ্যালির ধূমকেতু নিয়ে সাহেবরা কি ভীষণ মাতামাতি !’-----
‘আমার প্রথম মেয়ে মরিয়ম সেবার জন্মালো’ ;
মরিয়ম, দূর চট্টলের কোন্ পার্বত্য প্রদেশে
সন্তানসন্ততি সহ সে তো আজ নতজানু বৃদ্ধা পিতামহী |
এখন সমুদ্রচ্যুত তিনজন অথর্ব সারেং,
ভাঙা ভাঙা কথাবার্তা ; তিন গেলাস চায়ের ধোঁয়ায়
গুড়ের, আদার গন্ধ | খিদিরপুর ডকে আলো জ্বলে
দূর বন্দরের থেকে নিয়ে আসা জলপাই গাছের
বিশাল বিশাল ছায়া চারিদিক ছড়ায় এখন |
. ******************
. সুচিতে...
মিলনসাগর
ভারতবর্ষের ইতিহাস
তারাপদ রায়
ভারতবর্ষের ইতিহাস এক
কয়েকজন যুবকের মহিমা
সহস্র সম্রাট আর মহাপুরু
. অতি তু
সাম্রাজ্য, সংগ্রাম, শান্তি, ব
অসহযোগের শোচনীয় পরি
কয়েকজন যুবকের মহিমা
রাজ্য সিংহাসন নেই, নেই
এমন কি ‘প্রতিভা’ নামক
ঠিক কার মাথায় রয়েছে
তবু সেই কয়েকজন যুবকে
পার্টিহীন, ম্যানিফেস্টোহীন,
আগামী দিনের এক ভারত
কয়েকজন যুবকের ফটো
. কোথায় তা
কলকাতার উন্মত্ত সন্ধ্যায়,
. ******************
. সুচিতে...
মিলনসাগর
রামতনু লাহিড়ী ও তত্কালীন বঙ্গ সমাজ
তারাপদ রায়
রামতনু লাহিড়ী কি চেয়ার ছেড়ে
সুকুমার সেন কিংবা নীহার রঞ্জন
বলবেন, ‘তোমার জন্য এক প্যারা
বাঙালীর ইতিহাসে’ | বয়স ক্রম
একদিন যূথভ্রষ্ট হয়ে যাবো, যে যা
দ্বাররক্ষী, কোলাপ্সিবল গেট আটকে
বদ্ধ ঘরে ঢুকবার আগে জোরে জো
টোকা দেবে ; দর্শনার্থী ব্যর্থ, আশা
এসব কল্পনা ভালো ভালো স্থূলকায়া
সম্মান, গৌরব, অর্থ, পুরস্কার, পত্রি
এমন কি মন্ত্রিত্ব, গদি, দৈনিকের স
স্বপ্ন দেখা ভালো. স্বপ্ন না দেখা অ
স্বপ্ন দেখতে ভয় পাই, স্বপ্ন বড় জ
রজতের শুভ্র রৌদ্রে হীরকের শীত
পাখা ঝাপটায় | ফুটপাথের চেয়ে
জানা নেই, সুহৃদ----- পর্ষদ ভিন্ন ম
দৃষ্টির গোচরে নেই | তবু অ্যাকা
১৯৯০ সালে কারা খুব কার্যকরী হ
৮০ সালে কৃষ্টির মন্ত্রিত্ব কার বাঁধা
সুতৃপ্তির রুদ্ধ কলসী থেকে কফি হা
কোনোদিন মূর্তি পাবে, রূপকথার
ঠোঁটে মৃদু হাসি টেনে বলবে, ‘একটু রাজধানীতে
যেতে হবে |’ কে কে রাজধানীতে এবং কে যাবে না |
কে তার রক্তের মধ্যে চিরদিন সমুদ্র গর্জন
শুতে পাবে | কে তার ঘরের পাশে দিগন্তের রেখা
প্রতিদিন দেখতে পাবে, প্রতিদিন
দ্বাররক্ষী, কোলাপ্সিবল গেট টেনে
স্বপ্ন দেখতে ভয় পাই | স্বপ্নে এক
বিশাল দেয়াল, গেটে ক্রুদ্ধ চেনখো
তকমা আঁটা দারোয়ান কেমন ঝি
সুকুমার সেন, শশিভূষণ, প্রমথনাথ
সেখানে মিটিং বসে | কবির সা
তাঁরো কিছু মতামত, স্বপ্নে সেই অ
দেয়াল টপকাতে গিয়ে হাঁটুতে ভী
অন্ধকারে তাড়া খেয়ে ফিরে আসি,
সমুদ্র, দিগন্ত পথ, ভালোবাসাতে না
সুন্দরী, স্বপ্নের মধ্যে এরা কেউ ক
পান্ডুলিপি একটানে ছিঁড়ে ফেলতে
বুড়ো হবো, নখহীন, দন্তহীন পুরস্কা
ঈশ্বরকে ফাঁকি দিয়ে বহুকাল বেঁচে
এক প্যারা ভিক্ষা চাইবো কোনো
এইভাবে দিন যাবে, শোক-সংবাদে
মালিকানা পেয়ে, তুচ্ছ মনে হবে র
সমুদ্রের মতামত একদিন, একদা জা
দিগন্তের বনরাজি | রাস্তা থেকে প
মৃদু হাসি ছুড়ে দিয়েছিলো কবে ঘ
. ******************
. সুচিতে...
মিলনসাগর
মোহর
তারাপদ রায়
খিদিরপুরে তিনজন সারেং
তারাপদ রায়
স্রোতোমধ্যে বংশীধ্বনি
এই নিয়ে কোলাহল তি
চতুর্দিকে ঊর্মিমালা নীল
অস্পষ্ট উদ্বেল ফেনা খি
--উত্তর সমুদ্রতীরে একবা
সুবর্ণাকুন্তলা এক মত্স্য
গহন গভীর নাভি, তীক্ষ্ণ
দেখেছিলো, স্রোতোমধ্যে
কেউ দেখেছিলো তাকে,
প্রাচীন সারেং----- মধ্যস
জলপাইচারা এনে বুনেছি
অন্যজন পার্ল হারবারে
মসজিদে নামাজ পড়তে
আরেকজন কোথাও ছিল