কবি তুলসী লাহিড়ী  - প্রখ্যাত নাট্যকার ও অভিনেতা ছিলেন। তিনি জন্মগ্রহণ করেন অবিভক্ত
বাংলার রংপুর জেলা, অধুনা  গাইবান্ধা জেলার সাদুল্লাপুর উপজেলার নলডাঙ্গা গ্রামের জমিদার পরিবারে।
পিতা সুরেন্দ্রনাথ লাহিড়ী। বি. এ. ও বি. এল. পাস করে প্রথমে রংপুরে ও পরে কলকাতার আলিপুর
আদালতে ওকালতি শুরু করেন।

তাঁর রচিত দুটি গান জমিরুদ্দিন খাঁ রেকর্ড করার পর তিনি সাংস্কৃতিক জগতে পরিচিতি লাভ করেন এবং
হিজ মাস্টার্স ভয়েস এবং মেগাফোন কোম্পানিতে সংগীত পরিচালক পদে নিযুক্ত হন। শুরু হয় গান রচনা
আর সুর সংযোজনার অধ্যায়। ওকালতির ব্যবসা ছেড়ে তিনি পুরোপুরিভাবে চলচ্চিত্র ও নাট্যাভিনয়ে শুরু
করেন।

নির্বাক যুগ থেকে শুরু করে বাংলা চলচ্চিত্রের সঙ্গে তাঁর কয়েক দশকের সম্পর্ক ছিলো। নাট্যরচনা,
মঞ্চাভিনয় এর সাথে চিত্রপরিচালক ও অভিনেতা
রূপেও তিনি প্রতিষ্ঠা লাভ করেছিলেন।

তিনি মার্ক্সীয় দৃষ্টিভঙ্গী নিয়ে নাট্যরচনায় সার্থকতা লাভ করেন। পঞ্চাশের মন্বন্তরের পটভূমিকায় গ্রাম
বাংলার দরিদ্র মানুষের অভাব-অনটন দ্বন্দ্ব-সংঘাত ও তাদের উপর ধর্মীয় ও সামাজিক নিপীড়নের আলেখ্য
অবলম্বনে শিশিরকুমার ভাদুড়ী নির্দেশিত "দুঃখীর ইমান" (১৯৪৭) ও শম্ভু মিত্র নির্দেশিত "ছেঁড়াতার" (১৯৫০)
নাটক রচনা করে সুখ্যাতি অর্জন করেন। উত্তরবঙ্গের কৃষক সমাজ নিয়ে রচিত নাটকের মধ্যে রয়েছে
"মায়ের দাবি" (১৯৪১), "পথিক" (১৯৫১), "লক্ষ্মীপ্রিয়ার সংসার" (১৯৫৯) প্রভৃতি। পুঁজিবাদী সমাজ ব্যবস্থার
অসারতা প্রমাণ করার উদ্দেশ্যে নাটক রচনায় তিনি আত্মনিয়োগ করেছিলেন।

গানের জগতে তাঁর ঘনিষ্ঠতা ছিল
কাজী নজরুল ইসলামের সঙ্গে। তাঁর লেখা বহু গান নজরুলগীতি বলে চলে
আসছে।
কবি সুব্রত রুদ্র সম্পাদিত গণসঙ্গীত সংগ্রহ বইটিতেও তুলসী লাহিড়ীর "ভুলো না রেখো মনে বাঁচবে
যত কাল" গান
টি স্থান পেয়েছে। তাঁর আরও কিছু গান গণসঙ্গীতের পর্যায়ে পড়ে।

আমরা
মিলনসাগরে  কবি তুলসী লাহিড়ীর গান তুলে আগামী প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে পারলে এই
প্রচেষ্টার সার্থকতা।


উত্স --- জিল্লুর রহমান জন, বিপেডিয়া,   
.          
শিশিরকুমার দাশ, সংসদ বাংলা সাহিত্য সঙ্গী, ২০০৩,
.          স্বপন সোম, সংকলক, গানের ভিতর দিয়ে ১, ১৯৯৮,  
.          
উইকিপেডিয়া বাংলা।      


কবি তুলসী লাহিড়ীর মূল পাতায় যেতে এখানে ক্লিক করুন



আমাদের ই-মেল -
srimilansengupta@yahoo.co.in     


এই পাতা প্রথম প্রকাশ - ১০.০৪.২০১৫
...