কম্ লা নাপিত
উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী
. ( ১ )
ঘোড়া চেপে কম্
রাত না হতেই কো
বন-জঙ্গল পেরিয়ে
বনের পাশের গাঁয়ে
রাত পোহাবার আ
যেতেই হবে শেষ
বাঘ একটা এমন
বন থেকে এল চলে
কম্ লা নাপিত উ
ঘোড়ায় চড়্ বে ব
বাড়ির লোক বলে,
পথে আছে বন-জ
হেসে বললে কম্ লা নাপিত, “আমি বাঘের চাঁই,
বাঘের ঘাড়ে চড়ি আর সিংহ ধরে খাই |”
চাঁইয়ের কথা শুনে বাঘ বিপদ গণে মনে,
ভয়ে হয়ে জড়সড় দাঁড়াল এক কোণে |
“আয়, ঘোড়া, আয়” বলে কথা কয় মিঠে,
আঁধার ঘরে দিল হাত বুড়া বাঘের পিঠে |
থরহরি কাঁপে বাঘ, লাগাম নিল মুখে ;
কম্ লা নাপিত বসল তার পিঠে চেপে সুখে |
বাঘ চেপে যেতে যেতে পোহাল যে রাত :
লাগাম মুখে বাঘ তখন কচ্ছে হাঁত্ফাঁৎ |
. ত ! নয়কো বাঘের চাঁই !
. ঘ ! ভাবে কোথা যাই !
. লাফিয়ে উঠল গাছে ;
. গেল বনের মাঝে |
. “তুই একটা ঠক ত !
. খাব তোর রক্ত |”
. ( ২ )
খুকুমণি
উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী
এই যে আমাল থোনাল
লাঙ্গা তুলি থিল হাতে,
নিদে হাতে তিপ পলেথি,
থোত্ত কাকাল দোয়াত
দেক আমাল কেমন ক
ধূলোল উপল বথব না
দিদি দিল লাল ফিতা বেঁ
বা খেল এত্ত তুমু কোলে
তাই ত আমাল তুল এথে
দাদা বলবে নোংলা মেয়ে নেবে না আল কোলে |
. ******************
. সুচিতে...
মিলনসাগর
প্রার্থনা
উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী
বিজন বনে কুসুম কত বিফলে
নীরবে আহা ঝরিয়া পড়ে কেহ
তবু ত প্রভু তাহারো তরে করুণা
বরষা বারি ধরায় ঝরে, উথলে
তোমারি প্রেমে শিশির সুধা ফুলের
তোমারি রবি বিকাশে আসি সে
অতুল তব সেই সে দয়া রাখিছে
জয় হে দেব ! জীবন মম রহুক
মায়ের কোলে পালিছ মোরে অমৃতধারে করায়ে স্নান,
বরণ রস লহরী মাঝে পুলকে মম মজায়ে প্রাণ |
. ******************
. সুচিতে...
মিলনসাগর
কবি উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর কবিতা যে কোন গানের উপর ক্লিক করলেই সেই গানটি আপনার সামনে চলে আসবে।
|
রেল গাড়ির গান
উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী
. ঘন্টা,
. বাই রেলের গাড়ি |
. ভাই, তলপী নিয়ে টিকিট কিনে,
. ব তাড়াতাড়ি |
. রি,
. ট দুই চারি |
. ক্ ! ভকত্ ভকত্ ভকত্ ভকত্ |
. ক মাঝে মুলুক যাব ছাড়ি |
. , দেখবে কেমন চলবে ছুটে ঝড়ের মতন,
. বে নিশানখানি নাড়ি |
. ড়ি ঘোল চিনি দই পোলাও পুরী উদর ভরি ;
. খুশী হয়ে,
. দেয় মাসের পথে পাড়ি |
. তোরা, নাইরে দেরি,
. ভাই, কোনখানে তার বাড়ি |
. ******************
. সুচিতে...
মিলনসাগর
বেচারা
উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী
নটি মলে, কে বলেছে মন্দ ?
খাঁচাঘেরা খাওয়াদাওয়া বন্ধ !
বেলা বসে আছে চুপটি |
ফোঁসফোঁস, কাঁদ-কাঁদ মুখটি ?
.ঠোঁট কাঁপে, বুক ফাটে দুঃখে,
ল ফেটে পড়ে চক্ষে !
চেঁচামেচি ? কে দিয়েছে শাস্তি ?
ঘেউ ঘেউ মৎ কর যাস্তি !”
খেলেছিলে কাদা মেখে ঘরদোর ?
ড়ি-ঝুড়ি আসবাব পত্তোর ?
জ খাড়া, ছুটেছিল বন-বন ?
ঠ্যাঙে জোরে কামড়েছিল প্রাণপণ ?
য়ে সোজাসুজি উঠবে গিয়ে বিছানায় ?
নপিটে শাস্তি তাদের মিছে নয় !
বাঘের উপর উঠছে বাঘ বুড়া রইল নীচে,
নাপিত দেখলে এখন আর ভাবা-চিন্তে মিছে |
ক্ষুর দিয়ে তালের কাঁদি কেটে নিয়ে ধীরে
বললে, “আজ বাঘের মরণ ভরা গাঙ্গের তীরে |
ব্রহ্ম তাল, বিষ্ণু তাল, আর তাল হেঁড়ে,
পড় গিয়ে বাঘের ঘাড়ে, নীচে আছে বেঁড়ে |”
লেজকাটা ভাবল মনে আমায় মাল্লে আগে,
অমনি কিনা বুড়ো বাঘ জলদি করে ভাগে |
টপাটপ পড়ল বাঘ, মরল আছাড় খেয়ে,
বেঁড়ে পড়ল হোঁচট খেয়ে, নাপিত চলল ধেয়ে,
ক্ষুর দিয়ে গলা কেটে, চন্দনার জলে
ফেলে দিল যত বাঘ | জিৎ বুদ্ধির বলে |
. ******************
. সুচিতে...
মিলনসাগর
“তোমরা এসে লাঙ্গল টান, জলদি হবে তবে |”
বুড়া বাঘ বন থেকে আরেক বাঘ এনে,
চাষ করে দিল ক্ষেত, লাঙ্গল টেনে টেনে |
তার পরে হল ধান ; বাঘেরা সব মিলে
ধানের বোঝা বয়ে নিয়ে ঘরে পৌঁছে দিলে |
ঘরের দুয়ার বন্ধ করে বললে নাপিত আস্তে,
“ল্যাজে বেঁধে ফুটো দিয়ে, দাও ত বাঘ, কাস্তে |”
বুড়া বাঘ লেজ বাড়িয়ে কাস্তে যেই দিল,
অমনি নাপিত কুচ করে লেজটি কেটে নিল |
বেজায় রেগে বাঘের পাল বলে, “ওরে দুষ্ট !
বাগে পেলেই করব তোরে ভাত খাইয়ে পুষ্ট !”
বনে গেলে বাঘের পাল, নাপিত বলে হেসে--------