চাঁদের বিপদ
উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী
. দেখেছিলুম থালার মত গোল,
. আগে ;
. আমার চোখে কেমনতর ঠেকে,
. |
. খসে গেছে, ওরে ও ভাই কেমন করে
. জানা |
. সাবধানী ফেলে দিয়ে ভাই, বুঝি
. কানা |
. গেছে, হতেও পারে তাও,
. ধা ;
. জব্দ এবার, কেমন করে ভাই,
. ক্ষুধা ?
. ই, ছুটে যাই, খুঁজি চারি দিকে,
. রে,
. কোথায় জড়, চাঁদের কণাটুকু,
. পড়ে ?
. ******************
. সুচিতে...
মিলনসাগর
সুখের চাকুরী
উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী
মনিব
বছর
ননীর
বদনে
সে যে হাসে খল-খল,
সে যে নাচে থৈ-থৈ,
তার চোখে ছোটে বিজলী,
তার মুখে ফোটে খই |
জবর জুটির সে যে, নোকরী নূতন,
বেতনের নাহি নাম, না মিলে ভোজন |
উপরী আছে চুমু, চলে শুধু তায়,
কৃপণার ধন তাও, না হয় আদায় |
সে যে দাড়ি দেখে চটে,
সে যে থাকে চোখ বুজে,
পড়ে শয্যায় লজ্জায়
মুখখানি গুঁজে |
কি করতে হয় মোর, চাহ সে খবর ?
মাতার মাতা রূপে,
যতনে পালিছ সবে
তোমারি স্নেহ-জ্যোতি
তোমারি স্নেহের হাসি
স্নেহের পরশ তব
তোমারি স্নেহ-গাথা
স্নেহের বাহুডোরে
তুমিই, তুমিই প্রভু,
আশিস ধারা তব
মোদের মাথার পরে
এ ক্ষুদ্র সন্তান, নাথ,
গাহিছে আজি তাই
আমার এ জীবন
তোমারি, তোমারি, প্রভু
. ******************
. সুচিতে...
মিলনসাগর
কম্ লা নাপিত
উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী
. ( ১ )
ঘোড়া চেপে কম্
রাত না হতেই কো
বন-জঙ্গল পেরিয়ে
বনের পাশের গাঁয়ে
রাত পোহাবার আ
যেতেই হবে শেষ
বাঘ একটা এমন
বন থেকে এল চলে
কম্ লা নাপিত উ
ঘোড়ায় চড়্ বে ব
বাড়ির লোক বলে,
পথে আছে বন-জ
হেসে বললে কম্ লা নাপিত, “আমি বাঘের চাঁই,
বাঘের ঘাড়ে চড়ি আর সিংহ ধরে খাই |”
চাঁইয়ের কথা শুনে বাঘ বিপদ গণে মনে,
ভয়ে হয়ে জড়সড় দাঁড়াল এক কোণে |
“আয়, ঘোড়া, আয়” বলে কথা কয় মিঠে,
আঁধার ঘরে দিল হাত বুড়া বাঘের পিঠে |
থরহরি কাঁপে বাঘ, লাগাম নিল মুখে ;
কম্ লা নাপিত বসল তার পিঠে চেপে সুখে |
বাঘ চেপে যেতে যেতে পোহাল যে রাত :
লাগাম মুখে বাঘ তখন কচ্ছে হাঁত্ফাঁৎ |
. ত ! নয়কো বাঘের চাঁই !
. ঘ ! ভাবে কোথা যাই !
. লাফিয়ে উঠল গাছে ;
. গেল বনের মাঝে |
. “তুই একটা ঠক ত !
. খাব তোর রক্ত |”
. ( ২ )
কবি উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর কবিতা যে কোন গানের উপর ক্লিক করলেই সেই গানটি আপনার সামনে চলে আসবে।
|
বাঘের উপর উঠছে বাঘ বুড়া রইল নীচে,
নাপিত দেখলে এখন আর ভাবা-চিন্তে মিছে |
ক্ষুর দিয়ে তালের কাঁদি কেটে নিয়ে ধীরে
বললে, “আজ বাঘের মরণ ভরা গাঙ্গের তীরে |
ব্রহ্ম তাল, বিষ্ণু তাল, আর তাল হেঁড়ে,
পড় গিয়ে বাঘের ঘাড়ে, নীচে আছে বেঁড়ে |”
লেজকাটা ভাবল মনে আমায় মাল্লে আগে,
অমনি কিনা বুড়ো বাঘ জলদি করে ভাগে |
টপাটপ পড়ল বাঘ, মরল আছাড় খেয়ে,
বেঁড়ে পড়ল হোঁচট খেয়ে, নাপিত চলল ধেয়ে,
ক্ষুর দিয়ে গলা কেটে, চন্দনার জলে
ফেলে দিল যত বাঘ | জিৎ বুদ্ধির বলে |
. ******************
. সুচিতে...
মিলনসাগর
“তোমরা এসে লাঙ্গল টান, জলদি হবে তবে |”
বুড়া বাঘ বন থেকে আরেক বাঘ এনে,
চাষ করে দিল ক্ষেত, লাঙ্গল টেনে টেনে |
তার পরে হল ধান ; বাঘেরা সব মিলে
ধানের বোঝা বয়ে নিয়ে ঘরে পৌঁছে দিলে |
ঘরের দুয়ার বন্ধ করে বললে নাপিত আস্তে,
“ল্যাজে বেঁধে ফুটো দিয়ে, দাও ত বাঘ, কাস্তে |”
বুড়া বাঘ লেজ বাড়িয়ে কাস্তে যেই দিল,
অমনি নাপিত কুচ করে লেজটি কেটে নিল |
বেজায় রেগে বাঘের পাল বলে, “ওরে দুষ্ট !
বাগে পেলেই করব তোরে ভাত খাইয়ে পুষ্ট !”
বনে গেলে বাঘের পাল, নাপিত বলে হেসে--------
কবিতা উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী
|