কবি উত্পল দত্ত – জন্মগ্রহণ করেন বরিশালে। তিনি একজন বহুভাষাবিদ্ অভিনেতা, পরিচালক,
নাট্যকার এবং প্রবন্ধকার।
১৯৪৮ সালে তিনি দি শেক্সপিরিয়ান থিয়েটার দল গঠন করেন। পরে লিটল থিয়েটার গ্রুপ ও গণনাট্য
সংঘের সঙ্গে যুক্ত হন। ১৯৫৪ সালে তিনি এপিক থিয়েটার গঠন করেন।
বামপন্থী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত তিনি রাজনৈতিক থিয়েটারের অন্যতম শ্রেষ্ঠ পুরুষ ছিলেন।
তাঁর সফল নাট্যরচনার মধ্যে রয়েছে “ছায়ানট” (১৯৫৪), “অঙ্গার” (১৯৫৯), “ফেরারী ফৌজ” (১৯৬১), “কল্লোল”
(১৯৬৮), “টিনের তলোয়ার” “ব্যারিকেড” “মহাবিদ্রোহ” “রাইফেল” (১৯৬৮), “দাঁড়াও পথিকবর” প্রভৃতি।
তাঁর রচিত গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে “শেক্সপিয়ারের সমাজচিন্তা” (১৯৭২), “গিরিশমানস” (১৯৮৩) প্রভৃতি।
তাঁর বাংলা এবং হিন্দী ছায়াছবিতে অভিনয়ও ছিল প্রবাদপ্রতীম। তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যের “ফরিয়াদ”
ছয়াছবিতে খলনায়কের অভিনয় আজও আমাদের নাড়া দেয়। সত্যজিত রায়ের “জন অরণ্য”, “হীরক
রাজার দেশে”, “আগন্তুক” ; রাজেন তরফদারের “পালঙ্ক” ; তরুণ মজুমদারের “শ্রীমান পৃথ্বীরাজ” ; তাঁকে প্রায়
কিংবদন্তীতে পর্যবসিত করেছে।
হিন্দী “ভূবনশোম” ছায়াছবিতে তিনি অভিনয়ের জন্য সে বছর শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কার পান। ১৯৬৭
সালে, গোয়া আন্দোলনের উপর নির্মিত হিন্দী ছায়াছবি “সাত হিন্দুস্তানী” রিলিজ করা হয়। ছবিটিতে
নায়কের ভূমিকায় ছিলেন উত্পল দত্ত। সেই ছবিতেই জীবন শুরু করেন এক অখ্যাত শিল্পী যিনি এখনকার
অমিতাভ বচ্চন। উত্পল দত্তর সিনেমা নিয়ে লিখতে যাওয়ার ক্ষমতা আমাদের নেই।
২০১২ সালে প্রকাশিত, পার্থ ঘোষ, অনীশ ঘোষ সম্পাদিত “বড়োদের আবৃত্তির কবিতা সমগ্র” সংকলনে
আমরা উত্পল দত্তর লেখা একটি কবিতা পাই। তাঁর অন্যান্য কবিতা যদি কেউ আমাদের পাঠান তাহলে
আমরা কৃতজ্ঞতাস্বরূপ প্রেরকের নাম এই পাতায় উল্লেখ করবো।
আমরা মিলনসাগরে কবি উত্পল দত্তর কবিতা তুলে আগামী প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে পারলে এই
প্রচেষ্টার সার্থকতা।
উত্স - শিশিরকুমার দাশ, সংসদ বাংলা সাহিত্য সঙ্গী, ২০০৩
. পার্থ ঘোষ, অনীশ ঘোষ সম্পাদিত “বড়োদের আবৃত্তির কবিতা সমগ্র”
কবি উত্পল দত্তর মূল পাতায় যেতে এখানে ক্লিক করুন।
আমাদের ই-মেল - srimilansengupta@yahoo.co.in
এই পাতার প্রথম প্রকাশ - ৩১.০৭.২০১৩
...