হিউম ইস্তাহারের
করেই বললেন,
এজরা পাউন্ড,
এমি লয়েল এক্ষুনি আসবেন
আর একটু অপেক্ষা
ইতিহাসের গতিপ

আজ ১৯৯৬ সালের জুন
আপনার অনুমতি নিয়ে
হিউম একটু সরে জায়গা
ভারতবর্ষ থেকে আসছি,
এই রেস্তোরাঁ একশ বছরেও
আপনারাও পাল্টান নি, আরো
হিউম হাসলেন, একটা স্থা
এত দিনের আত্মীয়তা, কেন
একটা স্থির সিদ্ধান্তে পৌঁছতে
এই দেখুন এজরা আর হিলডা
আর এমি লয়েল একেবারে
জীবনানন্দের আসার কথা,
উঠে দাঁড়ালেন, হিউম দু-হা

.                          ******************     
.                                                                                                
সুচিতে...   


মিলনসাগর
নর্তকী    
কবি উত্তম দাশ

এই নর্তকীদের কথাও
সুরের কাছে নিয়ে গেছে
সমুদ্রের ওপর ছায়ার ম
আলোর প্রতিফলন পরজের
গোলাকার অসহ্য ভারি

জাগছে, সঞ্চারীতে তাকে
তবু জাগছে, বিস্তারে
পাথরকে বেগবান এক
এই নর্তকী আভোগে
তাকে ধারণ করার

গভীর বন পরিবেশ
ঢেকে ফেলেছে নর্তকী
শরীর ধর্মের কথ মা     
পাথরের শরীর কেমন থেমে আছে |

কিন্তু তবু, এই নর্তকীদের কথাও লিখো,
শরীরকে তারা সুর করেছিল একদিন |

.               ******************     
.                                                                                  
সুচিতে...   


মিলনসাগর
কবি উত্তম দাশ-এর কবিতা
যে কোন গানের উপর ক্লিক করলেই সেই গানটি আপনার সামনে চলে আসবে।
*
যাচ্ছে না, ঠিক আছে সেটা ব্রাস দিয়েই টানা হলো |
এবার বুকের লোম, ঠিক ঠিক বসিয়ে দেওয়া হলো |
তারপর বাঁ উরুর ওপর গোল পোড়া দাগ |
স্টিমারে শৈশব খেলছে , হাত ছুঁড়ছে পা ছুঁড়ছে,
বাবার গড়গড়া থেকে কলকের টিকে ছিটকে পড়লো,
এ দৃশ্য ফোটানো যাবে না, ঠিক আছে, শুধু
বাবা শব্দটি উরুর চামড়ায় বসানো হলো |
এবার বসাবো ধুকপুক, বুকের বাঁদিকে,
হচ্ছে না---- আবস্থান পাল্টে যাচ্ছে
তোমার ডান দিকে, ছবির বাঁ দিকে,
তোমাকে ছবির ওপর জুড়ে দেওয়া হলো :
ছবিটা বেঁচে উঠলো----- বুকের বাঁ দিকে,
বেঁচে আছি,  বেঁচে আছি,
তুমি ছবি ----- বেঁচে আছি, বেঁচে----
ছবি----- বেঁচে, ছবি----- ছবি----- বেঁচে----

.             ******************     
.                                                                                  
সুচিতে...   


মিলনসাগর
*

.       ******************     
.                                                                                  
সুচিতে...   


মিলনসাগর
*
এই সব ছায়াবাজি গ্রাহ্য না করলেও চলত
কিন্তু চারঘন্টা শহর জ্যাম করে দেওয়া লোকগুলো কারা
তদন্তে এসব কথা মনে রাখা দরকার, শোধনবাদ থেকেই
প্রতিশোধনবাদের জন্ম হয় |
মিলনসাগর থেকে নেওয়া
এই লোকটা এখনও প্রতিবাদ ছুঁড়ছে
কিন্তু প্রতিবারই মেয়েটা রিক্সায় উঠতে গিয়ে হোঁচট খাচ্ছে --



একজন মানুষ মিছিল থেকে ফিরেই ভাত চাইছে
কিন্তু লড়াইটা ছিল এ ভাতের জন্যই
সারাদিন মাত্র চারখানা রুটি বরাদ্দ ছিল
ঝোলাগুড় ও কলের জল রোজের মধ্যেই পড়ে
চিড়িয়াখানাটা অবশ্য ফাউ দিয়েছিল, টাটকা বাঘের গন্ধ
জিরাফের লগির মতো গলা বাড়িয়ে মগডালে খুবলে ধরা
কিন্তু বাগানের মালিগুলো ঠিক বিপ্লবের সপক্ষে ছিল না
ছড়ানো রুটির ঠোঙাগুলো নিয়ে যাচ্ছেতাই ঝগড়া করে গেল |
মিলনসাগর থেকে নেওয়া.......
একজন মানুষ যখন হাঁটছে, শোষণহীন সমাজের ছবিটা
বুকে ঝুলছে, মাই-- ঝুলে যাওয়া বউটার কথা মনে হলো
বাচ্চাটা শুষে ছিবড়ে করে দিয়েছে সব |
মিলনসাগর থেকে নেওয়া
শোষণের এই দ্বিতীয় প্রক্রিয়াটার কথা তিনি বলেন নি,
কথাটা মনে হতে একজন মানুষের মুঠোভর্তি হাতটা
মাথার ওপরে থমকে গেল, দুজন মুনিশ লাগানো আছে মাঠে
কাল কি হালটা নতুন করে দিতে হবে আবার ?



একজন মানুষ সংগ্রামের জন্য সংগ্রাম করে না
বিপ্লব বিপ্লব খেলাটা তার জন্য নয়,
বেঁচে থাকার কথা তারও মনে আছে
এবং খুব গাছ ভালোবাসে সে |
মিলনসাগর থেকে নেওয়া
অনেক বছর থেকে ময়দানে লোক নিয়ে যায়
খুব জোরে চেঁচিয়ে বলে সংগ্রামের কথা
আসলে সে বাঁচার লড়াই চেয়েছে,
মন্ত্রিত্বের দিকে তাদের নিয়ে যেতে
সে বনগাঁ থেকে এই মিছিল নিয়ে আসেনি |
মিলনসাগর থেকে নেওয়া
সংগ্রামের জন্য সংগ্রাম করে না সে,
বাঁচার কথাটাই তার কাছে জরুরি,
তার নিজস্ব কোন নক্ শিকাঁথার মাঠ নেই
রেললাইনের ধারে যে ঝুপড়িটায় থাকে
সেটাই হয়তো স্বাধীনতার প্রতীক,
নিশানটা উড়িয়ে দিয়ে সে ভাবে
স্বাধীনতার রঙ আসলে কোনটা ?


একজন মানুয আসলে শুধু একজন মানুষ |
তার নিজস্ব একটা বাগান আছে,
ঘন সবুজ সাঁতার দেবার মতো গভীরতা নিয়ে
তৈরি হয়ে আছে সামনে, পায়ে পায়ে মিছিল
চলে যাচ্ছে, আর লোকটি সংগ্রাম শব্দ
উচ্চারণ করতে গিয়ে আসলে বলে ফেলল বিশ্রাম |
মিলনসাগর ওয়েবেসাইট থেকে নেওয়া
জীবন থেকে তুলে আনা হয়েছে মানুষটাকে
আর মিছিলে পা মিলিয়ে শুধু জীবনের কথাই
ভাবে সে, এই পথ তাকে নিয়ে যাচ্ছে
বৃত্তের বাইরে, আর বৃত্তটাই তাকে ঘিরছে
ক্রমাগত, সে এখনো সংগ্রামের কথা
ভাবে----- তার সংগ্রাম আসলে
নিজেকে ভেঙে বেরিয়ে আসা |

সে মানুষ আসলে শুধু একজন মানুষ |

.            ******************     
.                                                                                  
সুচিতে...   


মিলনসাগর
*
*
অর্জুন যদুনাথের না
তাঁর কোন চিন্তাও ছি
একজন ঐতিহাসিকে
এই ভাবে অর্জুন ও
কিন্তু ভারতবর্ষের এ
এ নিয়ে দুজনে বেশ
আত্মীয় হনন যজ্ঞে তাঁ
খুব সন্দেহজনক----তাঁ
ভাবাও যায় না, ব্যা
অজুর্ন বিশ্বাস করেন
ব্যাধের শলাকার দি
করেছেন তাঁর হৃৎপিন্ড,
ভারতবর্ষের এই অবস্থায় নির্ভরযোগ্য কোন অবস্থান
খুঁজে পাচ্ছেন না, নেই নেই করেও জুড়ে ছিল
যে ধর্ম, ভারতবর্ষের শরীর থেকে তাকে
ছেটে ফেলা হচ্ছে এবার

.        ******************     
.                                                                                  
সুচিতে...   


মিলনসাগর
*
রাত একটার বৃষ্টি   
কবি উত্তম দাশ
Copied from www.milansagar.com
এখন রাত একটা, বাইরে গোয়েন্দা গল্পের মতো
বৃষ্টি হচ্ছে, নিশ্চয় খুব পিছলপথ ঘাট, রাধে
পশ্চিমবঙ্গের এই পুলিশি ব্যবস্থায় তুমি আর
অভিসারে বেরিও না, তোমার শ্রীমান ভিজুক |
মিলনসাগর থেকে নেওয়া
আর . ডি. এক্সের চেয়ে অনেক বেশি মারণযন্ত্র
তোমার বুকে লুকানো আছে, শ্রীমান জানে না
তোমাকে ছলাকলায় খুব আদর করে গেছে সেবার,
তুমিও কেমন মেয়ে বিস্ফোরণের কথাটাই চেপে গেলে ?
মিলনসাগর থেকে নেওয়া
রাত একটার বৃষ্টি, তোমাকে আবার জয়দেবের কাছে
নিয়ে গেল, এই ফাঁকে মাঠ এবং সদ্য মাথা ছাড়িয়েছে
এমন গাছের অরণ্য পেরিয়ে তুমি শ্রীমানকে সেই
কথাটা বলে এসো : বিস্ফোরকের কোন শত্রুমিত্র নেই |
মিলনসাগর থেকে নকল করা
রাধা, অনুবাদ কবিতার মতো তুমি শরীর থেকে
বিদেশি অলংকার খুলে ফেল, তুমিও ভিজতে থাক
রাত একটার বৃষ্টিতে সদ্য মাথা ছাড়িয়েছে
এমন গাছের অরণ্যে, তোমার শ্রীমানের সঙ্গে |

.                 ******************     
.                                                                                  
সুচিতে...   


মিলনসাগর
*
.উঠছিল মারবেলের লুকানো বাক্স, আর
জড়িয়ে ধরছিল দুপুরের ছাদ,
দনার কথা বা চেখের জল কিছুই বলি নি,
ভবতোষ কে কোথায় রইল, সামনে
দিনের শেষ সূর্যটা একেবারে ঝুলে পড়েছে |

স্টার মশাই একদিন বলেছিলেন, তুমি আসছ
রোহী এক বীরের ছবি হয়ে আছ
.আসছ, অশ্বের হ্রেষা
পদশব্দ হৃৎপিন্ডের তালে তালে
দিন, সাত চল্লিশের সেই সীমান্ত
বিকেলের ঝুলে পড়া সূর্য তোমার
ছবি বুক থেকে কখনো মুছতে পারে নি |

ন, বিপদে তাঁকে স্মরণ করো, আমার শৈশবের
বার হাত ধরে সীমান্ত পেরিয়েছি,
ডেকেছি, আমাদের ফেলে আসা
ঝোলানো তোমার ছবি থেকে
গবগিয়ে ছুটে এলে না
স্টার মশাই কিন্তু বলেছিলেন, তুমি আসবে

কষ্টে আছি, সমস্ত দেশটা , ভাঙছে ভেতর থেকে
ধ্যে রক্তলোভী হয়ে উঠছি আমরা
দেশপ্রেমিকরা বেশ ভাগাভাগি করে নিচ্ছে
পদে তোমাকে আর একবার ডাকলাম,
রোহী এবারও আসবে না তুমি ?

আছি, জানো, একটা জাতির
হয়ে গেছে, বধ্যভূমিতে দাঁড়িয়ে
ডাকলাম  :  তুমি আসবে ?

.*****************     
.                                                              
সুচিতে...   


মিলনসাগর
*

কলম্বাসের সমুদ্রযাত্রার মতো
সমস্ত পত্রিকা জুড়ে এবার শুধু ঢেউ-এর কথাই লিখবো  |

.                 ******************     
.                                                                                  
সুচিতে...   


মিলনসাগর
*
একজন মানুষ    
কবি উত্তম দাশ


একজন মানুষ টালা থেকে পা মিলিয়ে মিছিলে হেঁটে আসছে
হাত ঝাঁকিয়ে দাবি ও প্রতিবাদের ভাষা আকাশ পর্যন্ত
ছুঁড়ে দেবার আবেগে বারবার বলছে---- বন্ধুগণ,
অর্জুন ও যদুনাথ    
কবি উত্তম দাশ

ভারতবর্ষের এই অবস্থায় যদুনাথ সরকার
ও অর্জুনের কথা খুব মনে পড়ে,
অর্জুনের সঙ্গে যদুনাথের কোন বন্ধুত্ব ছিল না
কেউ কাউকে দেখেনও নি, মহাভারতের কালনির্ণয়ে,
অর্জুনের অবস্থান ও যোগ্যতা নিয়ে যদুনাথ ভেবেছিলেন,
তুমি আসবে   
(সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মশতবর্ষে)
কবি উত্তম দাশ


বাবার হাত ধরে সীমান্ত পেরুতে পেরুতে ভেতরে ভেতরে
কলম্বাস     
কবি উত্তম দাশ

তাঁর কাছে আমার জীবনের গল্প পাওনা ছিল

তিনি লেখা শুরু করেছিলেন কিন্তু যতবার জীবন শব্দের
এক ভারতীয় কবির ডায়েরি থেকে     
কবি উত্তম দাশ

আইফেল টাওয়ারের এ রেস্তোরাঁয় হিউম তখন ধ্যানের মধ্যে
১৯০৯ সাল, ২৫ মার্চের সন্ধ্যা, পুরো স্থাপত্যটি
এই রকম  :  যোগেশ ক্যাম্পবেল ও ফ্লিন্ট একটু অস্থির
এডওয়ার্ড স্টোরার নিরুত্তাপ, ‘রূপকল্পবাদ আন্দোলন’------