অ্যালবাম কবি যশোধরা রায়চৌধুরী (আমরা কৃতজ্ঞ কবির কাছে এই জন্য যে তিনি কবিতাটি নিজে টাইপ করে তাঁর ফেসবুক-এর পাতায় তুলেছেন। তাঁর অনুমতি নিয়ে আমরা এখানে কবিতাটি তুলেছি।) ১৯৯৫
আনতধন্যতা ছাড়া বাছাদের আর কোন খেলাধূলা নেই। উল্লাসকারিণীগণ এরকম বলে , বলে থাকে, আর তাই এফ এম তরঙ্গ থেকে হাহাকার তরঙ্গমালায় একটি ফরাসি ধাতু নেচে নেচে যায়, ধাবমান ।
শিলাপাত থেকে ছোট লজগুলি কী করে বাঁচাবে নিজেদের কী করে তাহলে খুব বালিভরা শংখ বিক্রি হবে তট জুড়ে, আর সব ঢেউ –আরোহণ ভ্রাতারাও টায়ারের স্নান সেরে নিয়ে আসবে মুহূর্ত ফিরিয়ে ?
তবে থাক, খুলে দিন, তবে খুলে দিন বয়সের শুরুর দিকের সব কথাবার্তা, বটলগ্রিন রঙ হোস্টেলের দরজা জুড়ে কেলেঙ্কারি, অমিতাভ প্লাস সুমিতার অলংকরণ, বৃষ্টি, ছুরির স্প্যাচুলা, শ্বাসাঘাত
আমি প্রেতিনীর মত খুলে দিচ্ছি অপ্রিয় সকাল তোমরা তো ভালো পারো প্রিয়মিথ্যা বলে পাশ ফেরা...
পাঁচমাঢ়ী পাহাড় কবি যশোধরা রায়চৌধুরী (আমরা কৃতজ্ঞ কবির কাছে এই জন্য যে তিনি কবিতাটি নিজে টাইপ করে তাঁর ফেসবুক-এর পাতায় তুলেছেন। তাঁর অনুমতি নিয়ে আমরা এখানে কবিতাটি তুলেছি।) ১৯৯৫
বিপুল পশ্চাদ্দেশ, ও এ্যাতো উপুড় হয়ে ঘুমিয়েছে, ভারি জঙ্ঘা মেলে কিছুদূর, আকাশের নীচে বুকের কাপড় কামড়ে উপলখন্ডের মত ঠ্যাঁটা তেষ্টা লাগা কাঁটাগাছে, কাছে দূরে রক্তিম ও ধূসর জমাট মস্তিষ্ক তার আলুথালু ছড়িয়ে রয়েছে, নাভি ভরে ধরেছে সূর্যের নষ্ট, গেলে দেওয়া চোখ : আর সেই বিবর্ন অশ্রুটি তার ঝোপড়পট্টি গ্রামের ভেতরে একমাত্র পয়ঃপ্রণালী, নদী, তিরতির, সবুজ।
সেকেন্ড ট্রিপ কবি যশোধরা রায়চৌধুরী (আমরা কৃতজ্ঞ কবির কাছে এই জন্য যে তিনি কবিতাটি নিজে টাইপ করে তাঁর ফেসবুক-এর পাতায় তুলেছেন। তাঁর অনুমতি নিয়ে আমরা এখানে কবিতাটি তুলেছি।) ১৩ জুলাই ২০১০
উত্সর্গ : ইস্কুলের ফেরত আসা বান্ধবীদের
প্রতিদিন সেকেন্ড ট্রিপ ব্যাগের ভেতরে খাকি রোদে আমাদের সেকেন্ড ট্রিপ বটগাছতলাটিতে বসে অবিরত সেকেন্ড ট্রিপ ব্যক্তিগত গল্প চালাচালি এই সব সেকেন্ড ট্রিপ দ্বিতীয় টিফিন বক্স খালি চুপি চুপি সেকেন্ড ট্রিপ আই স্পাই বন্ধুজন খোঁজে খেলতে খেলতে সেকেন্ড ট্রিপ গাছের আড়ালে চোখ বোজে দুমদাম কিল মারে সেকেন্ড ট্রিপ পিঠের উপরে কেঁদে ফেলে সেকেন্ড ট্রিপ, অভিমানে প্রান ওঠে ভরে আলুথালু সেকেন্ড ট্রিপ হজমি আচার নিয়ে এসে রোজ রোজ ফিস্ট করে পাড়ার দাদার গল্পে মজে চেটে খায় সেকেন্ড ট্রিপ আমাদের বড় হয়ে ওঠা ইস্কুল ফুরিয়ে গেছে, ফুরলো না বাস ধরতে ছোটা ...
একটি জীবন আলাঁ বস্কে ( অনুবাদ ; কবি যশোধরা রায়চৌধুরী ) (আমরা কৃতজ্ঞ কবির কাছে এই জন্য যে তিনি কবিতাটি নিজে টাইপ করে তাঁর ফেসবুক-এর পাতায় তুলেছেন। তাঁর অনুমতি নিয়ে আমরা এখানে কবিতাটি তুলেছি।) ৪ মার্চ ২০১০
কুড়িতে, আমি পৃথিবীকে পাল্টাতে চেয়েছিলাম কীভাবে জানিনা, কার জন্যে জানি না । পঁচিশে, আমি ছিলাম এক বিজেতা, জার্মানরা আমার সামনে হাঁটু গেড়ে নত , ফ্রান্স মুক্ত ,
পৃথিবীর সব নারী আমার শয্যায় । ত্রিশে , আমি চেয়েছিলাম সুখী হোক মানুষেরা - আমার হৃদয় ছিল উদার এক সমুদ্রের চেয়ে । চল্লিশে , আমার কবিতা খুঁজতে বেরিয়েছিল আপন কীর্তির মহিমা, যেভাবে কুকুরেরা
খুঁজে আনে হাড়গোড় । আর পঞ্চাশে, ছোট ছোট সুখ তাই দিয়েই চলে যায় - বন্ধুবান্ধব, একটি স্ত্রী শরীরের যাবতীয় আপোষ , আত্মার ঘরে পরার হাওয়াই চপ্পল ।
ষাটে , আমি এক দরজার মত ক্যাঁচকোচ করব যাতে তরুণেরা কখনো সখনো আমাকে লক্ষ্য করে কেননা আমি এক বিনয়ী পাকস্থলীর চেয়ে বেশি আর কিছুই নই ।