কবি তপন গাঙ্গুলীর কবিতা
যে কোন কবিতার উপর ক্লিক করলেই সেই কবিতাটি আপনার সামনে চলে আসবে।
*
কবি তপন গাঙ্গুলীর পরিচিতির পাতায় . . .
শীলাবতী
কবি তপন গাঙ্গুলী
২০২৩ সালে প্রকাশিত, কবির "শীত-গ্রীষ্মে" কাব্য গ্রন্থের কবিতা।
মিলনসাগরে প্রকাশ ৬.২.২০২৩।

নদীর নামে নাম রেখেছি
বড্ড ভালবাসি নদীকে ---
সেই থেকে তুমি
হয়ে উঠলে শীলাবতী,
নদীর মত ই তোমার
স্রোতস্বিনী প্রএমএ----

ইতিহাসের পর্ণকুটির থেকে
অন্তহীন চুড়ান্ত স্বপ্নের সিঁড়িতে
হেঁটেছি অনেক কাল,
স্বাধীনতা, গনতন্ত্রের
ভূবন দেখেছি ঢের --

নদীতো কৃপন নয়-
দু:খ দিলেও সুখ
ফিরিয়ে দিত সে আমাকে,
আমার অস্তিত্ব জুড়ে
নদীর মত ই ছিল
তোমার ও পরিচর্যা।

গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে
শহরের পাঁচিল জুড়ে
ক্ষত বিক্ষত,উত্তাল
ইতিহাসের সাক্ষী থেকে
অবিরাম বহমান
নদীর ক্লান্তিহীন শরীর
আমি ভালবাসি।

আজ বড় সন্দেহ, সংশয়-
দ্বিধা নেই ঘোর সংকটকালে
চারিদিকে প্রজ্জ্বলিত শ্মশানচিতা,
আগ্নেয়াস্ত্র মাঝে
তুমি থেকো স্বস্তির বিশ্বাস ঘরনী হয়ে--

************************








*
শীত-গ্রীস্মে
কবি তপন গাঙ্গুলী
২০২৩ সালে প্রকাশিত, কবির "শীত-গ্রীষ্মে" কাব্য গ্রন্থের কবিতা।
মিলনসাগরে প্রকাশ ৬.২.২০২৩।

অনেকের মত আমিও
ফুটপাত ধরে হাঁটি।
হাঁটতে হাঁটতে ভাবি যদি কখনও
ত্রিফলার আলোর চাদরে
ফুটপাতে শুয়ে থাকা কোনো নর-নারীর,
সঙ্গম দেখে ফেলি নির্লজ্জের মতো
তবে সেই মুহুর্তে কেমন
করুনা হয় রাষ্ট্র যণ্ত্রের উপর!

ছড়িয়ে পড়েছে ধর্ম ধর্ম গন্ধ
বর্ণ ভেদে ভাঙছে একটা সমাজ,
কোরান-পুরান, রাষ্ট্র যন্ত্র অন্ধ
এসো,রক্ত দাগে নামতা পড়বো আজ।

ভেবে দেখো,স্বর্ণলঙ্কায় লঙ্কাকান্ড
কি কারনে,রামের ঘরনী গেল আগুনের মুখে।

আমরা সবাই বুঝি,যখন ই--
চাঁদ পেড়ে দেবো বলেছো সকলের হাতে
তখনই দু:খ বেড়েছে,যন্ত্রণা পেয়েছি অনেক,
ক্ষুধায় পুড়েছে গা
ক্ষুধার সূচক নেমেছে পাতাল গহ্বরে।

ঘুণে ধরা সমাজের বিপরীতে
মুক্তির ঝড় তোলার সময় এখন ই।
কালো মেঘের গর্জনে ভয় নয়,
স্পর্ধার উল্লাস চাই
দৃঢ় ঋজু থাকার লগন এখন ই।
সময় এখন বায়োস্কোপের নয়,
প্রতিবাদের, প্রতিরোধের --

************************








*
অন্ধকারের দ্রৌপদী
কবি তপন গাঙ্গুলী
২০২৩ সালে প্রকাশিত, কবির "শীত-গ্রীষ্মে" কাব্য গ্রন্থের কবিতা।
মিলনসাগরে প্রকাশ ৬.২.২০২৩।

দুর্যোধন কেন তোকে বস্ত্র জোগায়?
অর্জুন,সোনামনি,মাধব -মাধবীর
চোখে আলো নেই ---
বস্ত্রহীন,অন্নহঈন,অধিকারহীন
অপাঙতেয় দলিতের কোন ও ভাষা নেই॥`

জোছনার আলোয় বেঁচে থাকা,
কি ভীষন ভালবাসায়--
বন্ধ হবে ধনুকের টংকার?
অরণ্যের ভালবাসা খাক করে
জিঘাংসার পবিত্র আগুনে !!!

নিরুত্তর অবয়বগুলো
মারাঙবুরু তোর মাঝ দরিয়ায়,
উঠি যদি উল্টো খেয়ায়
ডাষ্টবিনের ঘোলা জল সাঁতরে
সবুজের শিকড় থেকে
আঁধারে আকাশ দেখি--
দেখি বারবার মায়া চাঁদ
ঢেকে নেয় মুখ তার
মেঘেদের ঘোমটায়।

এখনো মাঝ দরিয়ায়
বুকে তোর দম ভরে
ঘোলা জলে করজোড়ে --
এখনও তাকিয়ে থাকি
তোর অভিধানে।
এখনও ভেসে উঠে ফিরে যাই
তোর উচ্ছল বানে।
অগনিত জ্যোৎস্না-তারাদের
তুলে রাখি -তুলি টেনে
তোকে পাই ছবিতে ছয়লাপে -

ঘোলাজলে ভেসে আসে
নিরুত্তর অবয়বগুলো।
তোকে কেন বস্ত্র জোগায়
দুর্যোধনে -দু:শাসনে --

************************








*
সভ্যতার আদিম সঙ্গীত
কবি তপন গাঙ্গুলী
২০২৩ সালে প্রকাশিত, কবির "শীত-গ্রীষ্মে" কাব্য গ্রন্থের কবিতা।
মিলনসাগরে প্রকাশ ৬.২.২০২৩।

সৃষ্টির আদিতে কোন এক মহেন্দ্রক্ষণে,
তুমি আর আমি ভিন্ন দেহে অভিন্ন সত্তার গভীরে!
দীর্ঘ রাতের সহচর হয়ে পথ হারিয়েছি,
মানব সভ্যতায় ইতিহাসের সাক্ষী হবো বলে।

স্রস্টার ইচ্ছার মূল্য দিতে গিয়ে,সেই কবেই তোমাকে হৃদয়ে ধারন করে
এই বুকের গহীনে ঠাঁই দিয়েছিলাম!

এসেছি এই পৃথিবীর নশ্বর গ্রহে,
মুসাফির হয়ে তোমার এই মেকি সভ্যতার ভিড়ে!
দুর্গম গিরি পথে অনেক পথ হেঁটেছি,
তোমার ওই হৃদয় মন্দিরে পূজা দিবো বলে!
সহস্র ফুলের কুঁড়ি হাতে নিয়ে,
সুপ্ত প্রাঙ্গণে ঠায় দাঁড়িয়ে আছি!

বহুদিন বহুকাল বহু বসন্ত ধরে,
শুধু একটিবার দর্শন পাবো বলে,
খুঁজেছি স্বপ্নের শহরে,
কল্পনার আকাশে,
নীলগিরি পাহাড়ের সুউচ্চ চূড়ায়!
বাতাসে ভেসে আসা সাদা মেঘের গভীরে,
কেবলই তোমার মুখ দেখি।

************************








*
বুলেটিন এবং --
কবি তপন গাঙ্গুলী
২০২৩ সালে প্রকাশিত, কবির "শীত-গ্রীষ্মে" কাব্য গ্রন্থের কবিতা।
মিলনসাগরে প্রকাশ ৬.২.২০২৩।

বুলেটিন যেন বুলেটিন হয়,
বুলেটিন হারিয়ে যায় ভাবনায়
বুলেটিন কখনও কথা কয়--

বুলেটিন আরশির ওই পাড়ে
ফুটে উঠেছে শয়তানের চ্যালা
ফিরে প্রতিশোধ নিতে তেড়ে আসে
উল্টো ছবিই নিত্য দেখি বুলেটিনের আরশিতে।

বুলেটিনে আজ দেখি
এলুমিনিয়াম বাক্সে গোছ করা আমার ই মড়া
অর্ধেক পাঁজর পুড়ে গেছে রাবার জ্বালানো আঁচে
আমাকে ক্ষমা করো
মানুষের মগজ নষ্ট হোক
আমার নখ দাঁত নষ্ট হয়ে যাক
হাতির আদুয়া দিয়ে বেঁধে রাখো আমায়
দেখতে চাই রক্তের ভেতর হাঙর হাঁপানি দেয় কি না
লাথি লেগে ভাতের থালার ওপর
জলের গ্লাস উলটে পড়ে কি না
আমাকে ক্ষমা করো বুলেটিন,
সন্তানের হস্ত মৈথুন করা হাতে মুখাগ্নি
উলুঘাস -বুনোটের শেকড়ের পাশে
পোকাদের নি:শব্দ সঙ্গম।
এতদিন এদের মুখে
থুতু ছিটিয়ে দিতে পারিনি,
ধানকাটা নিয়ে এবছর
অনেক লাশ পড়ে গেল
বাইসন শিকারের জন্য
বেতলার জঙ্গলে ।
আমাদের চিৎকারে
হরিনের মাংস কাটা হয়েছিল
কোদাল দিয়ে।
আমাদের ছেলেরা খেলা করছিল বেতলার দুর্গে
এলুমিনিয়াম বাক্সে আমার লাশ বাঁচিয়ে তুলতে
আমাকে ক্ষমা করুন বুলেটিনের মহোদয়গণ।

************************








*
ধর্মের রং লাল
কবি তপন গাঙ্গুলী
২০২৩ সালে প্রকাশিত, কবির "শীত-গ্রীষ্মে" কাব্য গ্রন্থের কবিতা।
মিলনসাগরে প্রকাশ ৬.২.২০২৩।

ধর্মের রং লাল কেন হয়
সেটা আজও জানা হয়নি
আসলে হাড় পাঁজরের নিচে
আস্ত যে মানুষটা সেটা তো
রক্ত মাংস দিয়েই তৈরি।
ঘাম অশ্রু আর সুখ দিয়ে
প্রস্তুত ধর্মটা কখনও তুষারে
জমাট রং চাটে, কখনও
শুনতে পায় আর্তস্বর
এবং মায়েদের চোখ
ভিজে যায় শিশুদের জন্য।

রক্তচোষা মশকবাহিনী
নোঙর ফেলে গ্রামে ও নগরে
আমাদের চাষী ভাইরা
কলের গর্তে লুকিয়ে লুকিয়ে
প্রস্তুত হয় কারখানার জন্য,
মন্দিরে মসজিদে
গীর্জা বা গুরুদোয়ারায়
গড়িয়ে যায় নিস্প্রাণ মৃতদেহ।

লাশের কোনো রং হয়না
শুধু জীবনের রং
ধর্মের সঙ্গে মিশে
বয়ে যায় লাল স্রোত পথে।

************************








*
তিলোত্তমা
কবি তপন গাঙ্গুলী
২০২৩ সালে প্রকাশিত, কবির "মহাকালের পদাবলী" কাব্য গ্রন্থের কবিতা।
মিলনসাগরে প্রকাশ ৮.৬.২০২৩।

তিলোত্তমা কেন এতো বেসামাল তুমি?
আমার তন্ত্রীতে বাঁধা সুর
সুতানুটি গ্রাম থেকে তুলে আনা
সুদুর নক্ষত্রমালার মতোহিরণ্ময়ী রূপে
আমাকে নি:স্ব করে যেতে চাও কেন?
বুকভরা স্রোতস্বিনী গঙ্গার শয্যায়
আমি এক সর্বস্ব খোয়ানো পরিব্রাজক
শান্তির নীড়ে থেকে কৃষ্নচূড়া,
পলাশের বনে হাত রাঙিয়ে
বাউলমাটির ভূবন পেতে চাই।

এখানে যাদু আছে,মায়া আছে,
কথার সমুদ্দুর থেকে
মার-প্যাচ বুঝে নিতে হয়।
এত জটিল সিঁড়ি ভেঙে চলায়
জীবনী শক্তির ক্ষয় রোগ ধরে।
শুধু আছে,শুধু নেই,শুধু নেই,শুধু আছে
প্রেম প্রেম খেলায় আকাশ বিদীর্ণ টিলা
ফুটপাতে ভরা সংসার।

প্রানের মিছিলে হাঁটে যাদবপুর,
প্রেসিডেন্সি সমুহ কলেজস্ট্রীট
ঋতুচক্রে আয়ুস্মান বংশগতি বাড়ে।

অজস্র ধ্বংসের শেষে --
জেগে ওঠে সহজ সবুজ ক্ষেতভূমি
শব্দ অক্ষর সম্মিলিত ভাদু টুসু গান।
নধর মেয়েমানুষের গা দোলানো প্রেম
লতিয়ে ওঠা লাউশাকের যৌবন ঘিরে
জমে ওঠা শিশুদের কোলাহল।

************************








*
হাথরাসের দেশমাতৃকা
কবি তপন গাঙ্গুলী
২০২৩ সালে প্রকাশিত, কবির "মহাকালের পদাবলী" কাব্য গ্রন্থের কবিতা।
মিলনসাগরে প্রকাশ ৮.৬.২০২৩।

প্রহরারত উর্দিপরা রক্ষক
আজ আইন পোড়াতে ব্যস্ত!!
মানবতা,মনুষ্যত্ব,গণতন্ত্র, সংস্কৃতি --
পোড়াতে পোড়াতে ওরা আজ
দেশমাতাকে পোড়াচ্ছে!!

হাথরাসের ভূমিকন্যা--মণীষা বাল্মীকি
দলিত রমনীর কি করে এমন নাম হয়ে যায় !!
ভুলে যাই সভ্যতার বয়স বেড়েছে
স্বাধীনতা বার্ধক্যের দোরগড়ায়
সাবেকি হিংস্রতা নিয়ে শাসকের দল
গহীন জঙ্গলের বন্য জন্তু থেকে গেল।
মণীষা নয় আমি দেখছি--
আমার স্বদেশ পুড়ছে!!!
মণীষা নয় আমি দেখছি
পুড়ে চলেছে আমার স্বদেশ!!!

মধ্য রাতের ছুরি শানিয়ে
ছিঁড়ে দাও, গুড়িয়ে দাও
হায়নাদের মুখ
জ্যোৎস্নার চাঁদ বাঁচুক
নিজস্ব যতনে।

কেমন হবে দেখে নিও --
এতো গ্লানি নিয়ে
কিছুটা স্বস্তি পেতে
খচ্চর শাসকের গালে
একটা থাপ্পড় কষাতে চাই।

আমাকে করুনা দাও আমার বিবেক
তুমি কেন পুড়ে ছাই হবে
তার চেয়ে দংশনে দংশনে আরো ক্ষত বিক্ষত হও
রক্তক্ষরণ হোক রাম সেবকের দেশে --
অগ্নিপরীক্ষায় সীতা
কুলিন হিন্দুর চার পুরুষ
অহরহ রামনাম মুখে
মনীষার কাঁচা মাংস খেয়ে
মেরুদন্ড ভেঙে জিহ্বা কেটে
পুরুষত্ব দেখায়।

যোগী সাধু রাম রাজ্যে
নির্ভেজাল শাসকের মুখ !!!

কেন শোক হবে --
ক্রোধের আগুনে জ্বলে উঠুক
বহ্নিমান চিতা!!!
মধ্যরাতের ছুরি শানিয়ে
ছেটে দাও ছেঁটে দাও তাকে
গর্জেউঠে বলো
ডুবছে চাঁদ,পুড়ছে চাঁদ
অন্ধ সবাই কেন?
দুর্বৃত্তায়নের জবাব দিলেই
জ্যোৎস্না থাকে বেঁচে।

************************








*
অশোকস্তম্ভ
কবি তপন গাঙ্গুলী
২০২৩ সালে প্রকাশিত, কবির "মহাকালের পদাবলী" কাব্য গ্রন্থের কবিতা।
মিলনসাগরে প্রকাশ ৮.৬.২০২৩।

দুর্গত কেউ দায়ী হলে ভালো হতো
যদি কেউ স্নান করত এই নির্জনে
অবগাহনের শেষে যেচে নেওয়া রাতে
কাঙালের কাজল পরাতো কে ?

ব্যাথা জ্বলে পুড়ে ছারখার হয়
পুড়ে ছাই হ ওয়া মেদ গোপন ঘৃণা বাড়ায়,
সর্বনাশের আগের বাঁকে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষ
ভীস্মের মতো আকীর্ণ হন শিখন্ডির নানাবিধ শরে।

একথা পৌঁছনো চাই পৃথিবীর প্রতিটি ঘরে ঘরে।
ষাট পাওয়ার নিস্প্রভ হয়ে জ্বলে ওঠে নিয়নের আলো
সময়ের ক্রান্তিকালে মানুষ ই মানুষের বুকে রআখএ--
ভালোবাসা,ভোর,পৃথিবী ও কবিতা।

ঘাসের তীব্র রোশনাই পুড়তে পুড়তে
আনন্দদাহ হয়ে যেত পরাজিতদের সঙ্গে,
জলের বুকে আঁকা হচ্ছে বিভাজন রেখা
নিরাভরন জানু থেকে ঝুলে আছে অশোকস্তম্ভ ---

************************








*
মৃত স্বপ্নের পসরা
কবি তপন গাঙ্গুলী
২০২৩ সালে প্রকাশিত, কবির "মহাকালের পদাবলী" কাব্য গ্রন্থের কবিতা।
মিলনসাগরে প্রকাশ ৮.৬.২০২৩।

স্বপ্নের পসরা নিয়ে বসে যাই হাটুরে মাজমায়
কবি কাঁধে ঝুলিয়ে রাখি মাছিদের জীবন ইতিহাস।
মুহুর্তেই হয়ে যাই পতঙ্গ বিশারদ।

নদীবুক ঘিরে রাখা স্বপ্নগুলো,
প্রতিদিন বিক্রি করি সস্তায়।
ভ্রান্ত উড়তে থাকা মাছিদের স্বপ্নগুলো,
ক্ষত হয়ে পড়তে দেখি বিরহের সার্বভৌম চোখে।
অত:পর,নিজেই হয়ে যাই গল্পরসদ কিংবা
সুবিধাবাদী কাকের আদল---

এভাবেই গড়ায় জীবনের দিনলিপি ক্লান্ত সন্ধ্যায়।
নিদারুণ অবঙায় পড়ে থাকে কাঙ্খিত স্বপ্নশব।

************************