কবি অমল বিশ্বাসের কবিতা
যে কোন কবিতার উপর ক্লিক করলেই সেই কবিতাটি আপনার সামনে চলে আসবে।
যে কোন কবিতার উপর ক্লিক করলেই সেই কবিতাটি আপনার সামনে চলে আসবে।
সব চোখ, চোখ নয়
কবি অমল বিশ্বাস
মিলনসাগরে প্রকাশ ২৫.১০.২০২৩।
সব শব্দ, শব্দ নয়
কিছু বৃষ্টি অতিষ্ঠ-আকাশের ঘাম
ভেবেছিলাম, একটু দাঁড়িয়ে দেখে চলে যাবো,
সব দেখা যদি প্রেম হতো
তাহলে বিচ্ছেদ নামক শব্দটির সাথে
কবিতার ছাড়াছাড়ি হতো বিচ্ছেদের আগে ;
সুশ্রী মুখের হাসি
কবোষ্ণ অন্ধকারে সমাধিস্থ হতো সৌরভ ছাড়া।
একটু পরিশ্রুত জল খেতে চেয়ে
কী বিপদ! ভাবলো গ্লাসটিও হাতছাড়া হবে!
আমার গন্তব্য চুলখোলা বাঁশঝাড়ে
কঞ্চি কেটে শখের বাঁশি বানানোর ইচ্ছে নেই
শুধু কঁচিপাতা দেখতে চেয়েছি,
চাঁদ ছোয়ার মতো স্পর্ধা আমার নেই
কলঙ্কের ভেতর যদি বিপজ্জনক অধ্যায় থাকে
কেটেছেটে টিপ পরাতে চাওয়া
নিশ্চয় কোনো অস্বাভাবিক মূর্খতার কাজ নয়,
রাতের প্রস্তুতিও নয়
কয়েকলক্ষ মাইল দূর থেকে
স্বপ্নে দেখা ফুলের জোছনায় কিছুটা অবগাহন।
কখনও পার্কের বেঞ্চিতে
কিংবা জলছোয়া পুকুরের সিঁড়িতে বসতে চাইনি
ওখানে অনৈতিক স্পর্শের দাগ লেগে আছে,
রাত্রিতে লাইটপোস্টের থাম ছুঁয়ে
রাস্তায় দেখতে চেয়েছি কারা আসে, কারা যায়
কারা পেটের দাবিতে রোদন করে!
একদিন প্যান্টের পকেটে হাত ঢুকিয়ে বললাম
এই মেয়ে, এই টাকাগুলো নিয়ে বাড়ি যাও,
সে পানের চিপ ফেলে বললো, এদিকে আসুন
আমি না গিয়ে নিজেকে নিজে বললাম
হায়রে বিভৎসতা, তোমাকেও কিছুক্ষণ দেখা!
সব চোখ, চোখ নয়
কিছু চোখ পছন্দের পাথরে ফুল ফুঁটতে দেখে
কিছু চোখ বিজ্ঞাপন আলোর নিচে কামার্ত হয়
কিছু চোখ নষ্ট জল দেখে এড়িয়ে যায়।
একদিন চায়ের বিকেলে তাকে চা খেতে দেখলাম
যেমন ফুল দেখতে গিয়ে মালিকে বলি, ছিঁড়বো না!
একটু দাঁড়িয়ে দেখে চলে যাবো
ঠিক সেভাবে তাকে কিছুক্ষণ দেখলাম,
কী জানি, এ দেখায় প্রেমের উষ্ণতা আছে কি-না!
নাকি, শুধুই কিছুক্ষণ দেখা।
*********************
কবি অমল বিশ্বাস
মিলনসাগরে প্রকাশ ২৫.১০.২০২৩।
সব শব্দ, শব্দ নয়
কিছু বৃষ্টি অতিষ্ঠ-আকাশের ঘাম
ভেবেছিলাম, একটু দাঁড়িয়ে দেখে চলে যাবো,
সব দেখা যদি প্রেম হতো
তাহলে বিচ্ছেদ নামক শব্দটির সাথে
কবিতার ছাড়াছাড়ি হতো বিচ্ছেদের আগে ;
সুশ্রী মুখের হাসি
কবোষ্ণ অন্ধকারে সমাধিস্থ হতো সৌরভ ছাড়া।
একটু পরিশ্রুত জল খেতে চেয়ে
কী বিপদ! ভাবলো গ্লাসটিও হাতছাড়া হবে!
আমার গন্তব্য চুলখোলা বাঁশঝাড়ে
কঞ্চি কেটে শখের বাঁশি বানানোর ইচ্ছে নেই
শুধু কঁচিপাতা দেখতে চেয়েছি,
চাঁদ ছোয়ার মতো স্পর্ধা আমার নেই
কলঙ্কের ভেতর যদি বিপজ্জনক অধ্যায় থাকে
কেটেছেটে টিপ পরাতে চাওয়া
নিশ্চয় কোনো অস্বাভাবিক মূর্খতার কাজ নয়,
রাতের প্রস্তুতিও নয়
কয়েকলক্ষ মাইল দূর থেকে
স্বপ্নে দেখা ফুলের জোছনায় কিছুটা অবগাহন।
কখনও পার্কের বেঞ্চিতে
কিংবা জলছোয়া পুকুরের সিঁড়িতে বসতে চাইনি
ওখানে অনৈতিক স্পর্শের দাগ লেগে আছে,
রাত্রিতে লাইটপোস্টের থাম ছুঁয়ে
রাস্তায় দেখতে চেয়েছি কারা আসে, কারা যায়
কারা পেটের দাবিতে রোদন করে!
একদিন প্যান্টের পকেটে হাত ঢুকিয়ে বললাম
এই মেয়ে, এই টাকাগুলো নিয়ে বাড়ি যাও,
সে পানের চিপ ফেলে বললো, এদিকে আসুন
আমি না গিয়ে নিজেকে নিজে বললাম
হায়রে বিভৎসতা, তোমাকেও কিছুক্ষণ দেখা!
সব চোখ, চোখ নয়
কিছু চোখ পছন্দের পাথরে ফুল ফুঁটতে দেখে
কিছু চোখ বিজ্ঞাপন আলোর নিচে কামার্ত হয়
কিছু চোখ নষ্ট জল দেখে এড়িয়ে যায়।
একদিন চায়ের বিকেলে তাকে চা খেতে দেখলাম
যেমন ফুল দেখতে গিয়ে মালিকে বলি, ছিঁড়বো না!
একটু দাঁড়িয়ে দেখে চলে যাবো
ঠিক সেভাবে তাকে কিছুক্ষণ দেখলাম,
কী জানি, এ দেখায় প্রেমের উষ্ণতা আছে কি-না!
নাকি, শুধুই কিছুক্ষণ দেখা।
*********************
ভালোবাসার মুক্ত বৈঠক
কবি অমল বিশ্বাস
মিলনসাগরে প্রকাশ ২৫.১০.২০২৩।
অর্ধেক ডুবে আছি
বাকি অর্ধেক জলের উপর,
আঙুলের নখ যেমন মৌচাকের কুঠরী
টসটসে ডগায় দুঃসময়ে ছুঁয়ে যায় সন্ধ্যার লিরিক।
যামিনী সংগীতে অন্ধকারেও দেখি সুন্দর রঙ,
মাঝেমধ্যে মনে হয় বেণীতে সৌন্দর্য নেই
খোপায় যাবতীয় ওষধি আমেজ।
সত্যি বলতে কি, প্রেমের হিসেব বনাঞ্চলের মতো
এলোমেলো পোশাকে এক চিলতে লিপস্টিকের দাগ
কিংবা ক্রোধে বোতাম ছেঁড়ার অভিযান।
আঙুলের উপরে আঁচড়ানো রোম
মোম ছেঁকে মধুর প্রলেপে সাজগোজ করে,
সাদা জুঁইফুলের মতো উরুতের অর্ধেক আঁধার
বেশিদিন দেখতে পারি আর নাই পারি
নির্জন শিল্পে আহা কি মিষ্টি, মিষ্টি বলে চুম্বন দিই,
এভাবেই বাকি অর্ধেকে ডুবতে চাই।
ছন্দরীতিতে ভরা কোমরের আধখোলা গিঁটে
ইচ্ছে করে, কেনো ইচ্ছে করে!
বুকের ললিতকলায় দুঃখের প্রকারভেদ কি
কোন্ ভাঁজে সুবর্ণ হবে ঘাস
কোন্ ভাঁজে নীলের মৃত্যুবেলা একখণ্ড আকাশ!
সব দেখেশুনে নাকে নাক ছুঁয়ে
যখন শ্বাসপ্রশ্বাস দুইবুকে মিলেমিশে একাকার
হয়তোবা তোমার স্থির চোখ বলতে চাইবে
আমি এরকম অসভ্য কেনো!
অসভ্য বলো না, ভালোবাসায় আর্তনাদ নেই।
তুমি বলবে, সামান্য জলে কি বাকি অর্ধেক ডোবে!
যদি ডুবতে চাও
আঙুলের ডগা থেকে চুলের ডগায় এসে জিজ্ঞেস করো
কোথায় কতোটা সুখ যখন একাত্ম শরীর,
কোনখানে নতজানু হ'লে
বৃক্ষের শাখা থেকে খুলে পড়ে মাধবী মৌচাক।
এসো নতজানু হই।
পায়ের নখেও জানুক রোদ্দুর ও বৃষ্টিতে সৃষ্টি হয়
সাতরঙা রঙধনুর প্রেমিক বলয়,
চুলের ডগাও জানুক চুয়ে পড়া ফোঁটাফোঁটা জল
মৃত্তিকায় সৃষ্টি করে যৌবনের শ্রেষ্ঠ অংকুর,
শরীর জানুক, শিউরে উঠতে গেলে প্রয়োজন
দ্বিধা ছেড়ে অনুভবে মেধা ও মনন।
*********************
কবি অমল বিশ্বাস
মিলনসাগরে প্রকাশ ২৫.১০.২০২৩।
অর্ধেক ডুবে আছি
বাকি অর্ধেক জলের উপর,
আঙুলের নখ যেমন মৌচাকের কুঠরী
টসটসে ডগায় দুঃসময়ে ছুঁয়ে যায় সন্ধ্যার লিরিক।
যামিনী সংগীতে অন্ধকারেও দেখি সুন্দর রঙ,
মাঝেমধ্যে মনে হয় বেণীতে সৌন্দর্য নেই
খোপায় যাবতীয় ওষধি আমেজ।
সত্যি বলতে কি, প্রেমের হিসেব বনাঞ্চলের মতো
এলোমেলো পোশাকে এক চিলতে লিপস্টিকের দাগ
কিংবা ক্রোধে বোতাম ছেঁড়ার অভিযান।
আঙুলের উপরে আঁচড়ানো রোম
মোম ছেঁকে মধুর প্রলেপে সাজগোজ করে,
সাদা জুঁইফুলের মতো উরুতের অর্ধেক আঁধার
বেশিদিন দেখতে পারি আর নাই পারি
নির্জন শিল্পে আহা কি মিষ্টি, মিষ্টি বলে চুম্বন দিই,
এভাবেই বাকি অর্ধেকে ডুবতে চাই।
ছন্দরীতিতে ভরা কোমরের আধখোলা গিঁটে
ইচ্ছে করে, কেনো ইচ্ছে করে!
বুকের ললিতকলায় দুঃখের প্রকারভেদ কি
কোন্ ভাঁজে সুবর্ণ হবে ঘাস
কোন্ ভাঁজে নীলের মৃত্যুবেলা একখণ্ড আকাশ!
সব দেখেশুনে নাকে নাক ছুঁয়ে
যখন শ্বাসপ্রশ্বাস দুইবুকে মিলেমিশে একাকার
হয়তোবা তোমার স্থির চোখ বলতে চাইবে
আমি এরকম অসভ্য কেনো!
অসভ্য বলো না, ভালোবাসায় আর্তনাদ নেই।
তুমি বলবে, সামান্য জলে কি বাকি অর্ধেক ডোবে!
যদি ডুবতে চাও
আঙুলের ডগা থেকে চুলের ডগায় এসে জিজ্ঞেস করো
কোথায় কতোটা সুখ যখন একাত্ম শরীর,
কোনখানে নতজানু হ'লে
বৃক্ষের শাখা থেকে খুলে পড়ে মাধবী মৌচাক।
এসো নতজানু হই।
পায়ের নখেও জানুক রোদ্দুর ও বৃষ্টিতে সৃষ্টি হয়
সাতরঙা রঙধনুর প্রেমিক বলয়,
চুলের ডগাও জানুক চুয়ে পড়া ফোঁটাফোঁটা জল
মৃত্তিকায় সৃষ্টি করে যৌবনের শ্রেষ্ঠ অংকুর,
শরীর জানুক, শিউরে উঠতে গেলে প্রয়োজন
দ্বিধা ছেড়ে অনুভবে মেধা ও মনন।
*********************
নির্বাক ইচ্ছের মূর্ছনা
কবি অমল বিশ্বাস
মিলনসাগরে প্রকাশ ২৫.১০.২০২৩।
ভালো লাগছে না!
তুমি চলে যাবে, গতরাতে একবার বলেছিলে।
তোমাকে অপব্যবহার করিনি
শুধুমাত্র হাত ধরে বলেছিলাম, দূরত্ব কমাও।
শ্রেষ্ঠ সংকলনের কথা ভেবে
স্নিগ্ধ বুকে কিছু কথপোকথন লিখেছিলাম
যা অপ্রকাশিত পাণ্ডুলিপির মতো পড়ে থাকবে,
যা বলতে চেয়েছিলাম তার সবটাই ছিলো
আমাদের নির্বাক ইচ্ছের মূর্ছনা।
বলো তো, আমার বুকে এতো দীর্ঘশ্বাস কেনো!
জানি, একা হয়ে যাওয়ার ভেতরে জীবন থাকে না
মানুষের চলাচল ছাড়া পথ মরে যায়,
আলুথালু পাখির মতো
ক্ষত-বিক্ষত পালক মিলিয়ে যায় মৃত্তিকার বুকে।
ভালো লাগছে না!
কোনো এক বিক্ষুব্ধ প্রহরে যদি শুনতে পাও
এক মাতাল ঋত্বিক তোমার উদ্দেশ্যে চুম্বন দিচ্ছে
স্রোতস্বীনি নদীর ঠোঁটে,
সে নদীতে তুমি কি একটিবারের জন্যে নামবে না!
যদি নামো, অন্তত বিরহী জলের বুকে লিখে দিও
কে পেয়েছে সবকিছু! কেউ না,
দুঃখ করো না হে আমার মাতাল ঋত্বিক।
*********************
কবি অমল বিশ্বাস
মিলনসাগরে প্রকাশ ২৫.১০.২০২৩।
ভালো লাগছে না!
তুমি চলে যাবে, গতরাতে একবার বলেছিলে।
তোমাকে অপব্যবহার করিনি
শুধুমাত্র হাত ধরে বলেছিলাম, দূরত্ব কমাও।
শ্রেষ্ঠ সংকলনের কথা ভেবে
স্নিগ্ধ বুকে কিছু কথপোকথন লিখেছিলাম
যা অপ্রকাশিত পাণ্ডুলিপির মতো পড়ে থাকবে,
যা বলতে চেয়েছিলাম তার সবটাই ছিলো
আমাদের নির্বাক ইচ্ছের মূর্ছনা।
বলো তো, আমার বুকে এতো দীর্ঘশ্বাস কেনো!
জানি, একা হয়ে যাওয়ার ভেতরে জীবন থাকে না
মানুষের চলাচল ছাড়া পথ মরে যায়,
আলুথালু পাখির মতো
ক্ষত-বিক্ষত পালক মিলিয়ে যায় মৃত্তিকার বুকে।
ভালো লাগছে না!
কোনো এক বিক্ষুব্ধ প্রহরে যদি শুনতে পাও
এক মাতাল ঋত্বিক তোমার উদ্দেশ্যে চুম্বন দিচ্ছে
স্রোতস্বীনি নদীর ঠোঁটে,
সে নদীতে তুমি কি একটিবারের জন্যে নামবে না!
যদি নামো, অন্তত বিরহী জলের বুকে লিখে দিও
কে পেয়েছে সবকিছু! কেউ না,
দুঃখ করো না হে আমার মাতাল ঋত্বিক।
*********************
চলো যাই
কবি অমল বিশ্বাস
মিলনসাগরে প্রকাশ ২৫.১০.২০২৩।
তোমার সাথে যেতে চাচ্ছি না!
রোদবৃষ্টির খেলায় সবাই রঙধনু দেখতে চায়
তার উপর এক ছাতায় না-মানাবে রোদ, না-মানাবে বৃষ্টি
এবং আমাদের দিকে কৌতুহলে থাকবে মানুষের চোখ,
কেই বা ধরবে ছাতা!
না-জানো তুমি, না-জানি আমি।
রাস্তা জানে, যদি পিছলে পড়ে যাই
কে ধরবে তোমার হাত, কেই-বা আমার
আমরা তো দুইজন,
তবু আমার হৃদয় পৌঁছাতে চায় মানসিক প্রয়োজনে
মুক্ত ভালোবাসায় যে যৌবনের বিশ্বাস
সেই অতলান্তিক গভীরতায়।
সবাই দেখতে চাইবে
কোথায় কোথায় জলকাদা লাগলো
সিনেমাটিক দৃশ্যে কতোটা ছলোচ্ছল হলো শরীর,
অবশ্য ওরা যখন হাসাহাসি করবে
আমরা গা ধুতে-ধুতে নিশ্চিত একটি লক্ষ্যে পৌঁছে যাবো।
তোমার সাথে যেতে চাইছিলাম না,
ভাবা যায়, এই বয়সেও কি অদ্ভুত বোকা আমি!
চলো যাই-----
*********************
কবি অমল বিশ্বাস
মিলনসাগরে প্রকাশ ২৫.১০.২০২৩।
তোমার সাথে যেতে চাচ্ছি না!
রোদবৃষ্টির খেলায় সবাই রঙধনু দেখতে চায়
তার উপর এক ছাতায় না-মানাবে রোদ, না-মানাবে বৃষ্টি
এবং আমাদের দিকে কৌতুহলে থাকবে মানুষের চোখ,
কেই বা ধরবে ছাতা!
না-জানো তুমি, না-জানি আমি।
রাস্তা জানে, যদি পিছলে পড়ে যাই
কে ধরবে তোমার হাত, কেই-বা আমার
আমরা তো দুইজন,
তবু আমার হৃদয় পৌঁছাতে চায় মানসিক প্রয়োজনে
মুক্ত ভালোবাসায় যে যৌবনের বিশ্বাস
সেই অতলান্তিক গভীরতায়।
সবাই দেখতে চাইবে
কোথায় কোথায় জলকাদা লাগলো
সিনেমাটিক দৃশ্যে কতোটা ছলোচ্ছল হলো শরীর,
অবশ্য ওরা যখন হাসাহাসি করবে
আমরা গা ধুতে-ধুতে নিশ্চিত একটি লক্ষ্যে পৌঁছে যাবো।
তোমার সাথে যেতে চাইছিলাম না,
ভাবা যায়, এই বয়সেও কি অদ্ভুত বোকা আমি!
চলো যাই-----
*********************
অলৌকিক যুবতী
কবি অমল বিশ্বাস
মিলনসাগরে প্রকাশ ২৫.১০.২০২৩।
অস্থির যুবকের চোখ
রূপোলি আলপিন অর্থমুদ্রাহীন এবং এক নির্বোধ প্রেম
জোনাকি ছাড়া ম্লান অন্ধকার।
ছাইরঙা কুয়াশায় দাঁড়িয়ে
সে অহরহ ভেবে নিচ্ছে দূরগ্রহে প্রেমিকার মুখ
দীর্ঘরাত্রির নির্মোহ কালচে' চাদর ঝেড়ে
ক্ষীণ আলোয় যে বসন্ত-দিন
সেখানেও খুঁজে ফিরছে টানাটানা কাজলের রূপশ্রীচোখ
সোনালী-কুচি-মাখা বিকেল
প্রলম্বিত সন্ধ্যার আশায় শীর্ণ-প্রশাখার বাকলের পরে
এঁকে দিচ্ছে বাদামী রঙের চড়ুইয়ের ঠোঁট
যুবকের সান্ত্বনায়
বুকে তার আরোপিত একজন অলৌকিক যুবতীর বাস
অথচ যুবক জানে না
*********************
কবি অমল বিশ্বাস
মিলনসাগরে প্রকাশ ২৫.১০.২০২৩।
অস্থির যুবকের চোখ
রূপোলি আলপিন অর্থমুদ্রাহীন এবং এক নির্বোধ প্রেম
জোনাকি ছাড়া ম্লান অন্ধকার।
ছাইরঙা কুয়াশায় দাঁড়িয়ে
সে অহরহ ভেবে নিচ্ছে দূরগ্রহে প্রেমিকার মুখ
দীর্ঘরাত্রির নির্মোহ কালচে' চাদর ঝেড়ে
ক্ষীণ আলোয় যে বসন্ত-দিন
সেখানেও খুঁজে ফিরছে টানাটানা কাজলের রূপশ্রীচোখ
সোনালী-কুচি-মাখা বিকেল
প্রলম্বিত সন্ধ্যার আশায় শীর্ণ-প্রশাখার বাকলের পরে
এঁকে দিচ্ছে বাদামী রঙের চড়ুইয়ের ঠোঁট
যুবকের সান্ত্বনায়
বুকে তার আরোপিত একজন অলৌকিক যুবতীর বাস
অথচ যুবক জানে না
*********************