জন্ম থেকে মৃত্যু বাঁধা পড়ে আছ নিয়তির চক্রে প্রতিযুগেই কর্ণরা ভাগ্য-বিড়ম্বিত ; বীরত্ব . সহায় হলেও রথের চাকা বারবার পুঁতে যায় কাদায় ; কারও সাধ্য নেই অদৃষ্টের সেই কর্দম থেকে . চাকা টেনে তোলে |
লিটল ম্যাগাজিনের কবি কবি অজিত বাইরী কলকাতা বইমেলা ২০১৫ তে প্রকাশিত “অর্ধেক আকাশ তুমি” কাব্যগ্রন্থের কবিতা।
স্বভাবের দ্বিচারণ করিনি কখনও ; নীল নদের মত বাহিত ছিল রক্তে সেই ধারা, যা দরিদ্র স্কুল-শিক্ষক পিতা আজীবন বহন করেছিলেন বংশপরম্পরায় | ফলত অমেরুদন্ডী প্রাণীর মত কুঁজো হতে . শিখিনি কখনও খোলামকুচি কুড়োনোর মত কুড়োতে শিখিনি . আনুগত্য | এর জন্য মূল্যও দিতে হয়েছে ঢের— তবু থেমে থাকেনি কলম | কবিতার জন্য রক্তক্ষরণ সেসব কাগজের ধর্ম তাদের প্রতি থেকেছি কৃতজ্ঞ | কেননা, এরাই আমার কলমকে কখনও বন্ধা . হতে দেয়নি, এরাই ছিল বিপন্ন কবির আত্মরক্ষার বর্ম | আমি যেদিন সত্যিকার আগুনে পুড়ব, লিটল ম্যাগাজিন, পাখার বাতাস দিও . চিতার আগুনে | . **************** . সূচিতে . . .
স্বাধীনতা শব্দের অর্থ ৬৮ বছর পরেও এদের কাছে স্পষ্ট হল না | রক্তের বিনিময়ে দিতে চেয়েছিলেন স্বাধীনতা— ভারতবর্ষ তাঁর কাছ থেকে কিছুই নিল না ; শুধু স্ট্যাচু বানিয়ে রাখল |
দূরে গেলে দেউলের ঘন্টার মত বাজো | কাছে থাকলে, বধির আমার কান,--- . শুনতে পায় না তোমাকে | দূরত্ব কি মায়া জানে ? দূরত্ব কি জাদু জানে ? মনের স্বভাবই এই---- কাছে পেয়ে রাখতে জানে না ; দূরে গেলে কষ্ট পেতে জানে |
যখন কাছে থাক, ক্ষণমুহূর্তে মনেও পড়ো না ; দূরে গেলে দেউলের ঘন্টার মত বাজো |
কেউ লন্ঠন তুলে ধরে, দূর গ্রামে সেই লন্ঠন ইশারায় কাঁপে | গাছের আড়ে-আড়ে আরও অনেক কুঁড়ে অন্ধকারে গা’ ঢাকা দিয়ে আছে | অন্ধকারে আমি ঠিক পথ চিনে নিই, আলোর ইশারা ক্রমাগত কাছে টানে | কাছাকাছি হতেই অপেক্ষায় অধীর কম্পমান একটি কন্ঠ ঘনিষ্ঠ মমতায় আশ্বস্ত হ’তে চায়: খোকা, এলি !